06/12/2025
চিড়িয়াখানায় খাঁচা থেকে একটি সিংহী বেরিয়ে গেছে... এটা নিয়ে আপনারা অনেক হাসি তামাশা কৌতুক করছেন।
কিন্তু এ ব্যাপারটা আসলে হাসি তামাশার না!
একটা বন্য প্রাণীকে বছরের পর বছর একটা ছোট্ট নোংরা খাঁচায় আটকে রাখা হয়, এর চাইতে ভয়াবহ অমানবিক আর কিছুই হতে পারে না। ওদের জন্য বরাদ্দ থাকে ১৫-২০ কেজি করে মাংস, ওদেরকে দেওয়া হয় ৩-৪ কেজি পচা গলা মাংস। দিনের পর দিন বছরের পর বছর ওরা কোন অপরাধ না করেও বিনা অপরাধে জেল খাটে...
আর ভাবছেন সিংহকে খুব আদর করে ধরা হবে??? জ্বি না! বেচারি একটু স্বাধীনতার জন্য না জানি কত অসংখ্য মাস চেষ্টা করে আজকে বের হতে পেরেছে... পুনরায় ওকে খাঁচার ভরা সময় ব্যথা দেওয়া হবে, আঘাত করা হবে, নির্যাতন করা হবে, হয়তো না খাইয়েও রাখা হবে.... "চিড়িয়াখানা" নামক টর্চার সেলের ভেতরে ওদের সাথে কি কি হয় আমরা জানতেও পারি না। পুনরায় বন্দী হবার পর ওর মানসিক অবস্থা কি ভয়াবহ হবে... আপনাদের কোন ধারনাই নাই। আমার আছে, আমি পশুপাখিদের সাথে থাকি।
বিষয়টা হাসাহাসির না।
কেবলমাত্র একবার কিছুক্ষণের জন্য চিন্তা করুন যে কোন একটা জঙ্গলে আপনি হারিয়ে গেছেন, চারপাশে হিংস্র শ্বাপদের দল। আপনি প্রাণ বাঁচানোর জন্য ছুটছেন, কেবলমাত্র নিজের ঘরে ফিরে যেতে চান... কিন্তু কোনভাবেই পথ খুঁজে পাচ্ছেন না...
চিড়িয়াখানার এই অসহায় প্রাণীদের জন্য এই শহর হচ্ছে জঙ্গল আর মানুষ হচ্ছে হিংস্র শ্বাপদ। (অবশ্য মানুষ যে সৃষ্টির সেরা হিংস্র জীব সে ব্যাপারে আমার কোন সন্দেহ নাই 💔)
বিষয়টা নিজের বিবেক কে প্রশ্ন করার... "চিড়িয়াখানা" নামক আয়নাঘরের আসলেও কি কোন প্রয়োজনীয়তা আছে এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে??? না, নাই! এই ইন্টারনেটের যুগে পশুপাখি দেখার জন্য চিড়িয়াখানায় যাবার কোন প্রয়োজন নাই... শুধুমাত্র আপনাদের বিনোদনের জন্য বন্যপ্রাণীকে ধরে খাঁচায় ভরে রাখার কোন দরকার নাই... খাঁচায় বন্দী মানুষ যেরকম বিনোদনের উৎস না, খাঁচায় বন্দি পশুপাখিও কোন বিনোদনের উৎস না।
বিবেকবান মানুষ হয়ে থাকলে চিড়িয়াখানাকে "না" বলবেন। চিড়িয়াখানা একটা ন্যাক্কারজনক প্রতিষ্ঠান। কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের কাছে চিড়িয়াখানাকে বিনোদনের উৎস মনে হতেই পারেনা!
কিছু দিন আগে আমি নিজেও টিকিট কেটে চিড়িয়াখানায় গিয়েছি কিন্তু দুমড়ে মুচড়ে চুরমার হয়ে ফিরে এসেছি, একজন পশুপ্রেমির অনুভূতি এমনটাই তো হওয়া উচিৎ,,! তা নয় কি ??
#চিড়িয়াখানাকে_না_বলুন