
20/07/2025
-কব'রের পাশে বসে থাকা মেয়েটির নাম খাদিজা আক্তার (হুমায়রা)।
গত ৪ জুলাই এই বোনের স্বামী এক সড়ক দুর্ঘ'টনায় ইন্তে'কাল করেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর একটি থানার সেক্রেটারি ছিলেন। দুর্ঘ'টনার দিন তিনি নিজের থানার এক রুকন ভাইকে রক্ষা করতে গিয়ে নিজেই প্রাণ হারান।
মেয়েটি তার এই মৃ'ত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না। স্বামীর মৃত্যু'সংবাদ শুনে সে আট ঘণ্টার বেশি সময় অচেতন ছিল। দাফ'নের পরদিন সন্ধ্যায় কাউকে না জানিয়ে, গোপনে কবরে চলে যায়। স্বামীর কবরের সমস্ত মাটি সরিয়ে, মৃত'দেহ উঠিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে সে কান্নাকাটি করতে করতে ভেঙে পড়ে। এলাকাবাসী কান্নার আওয়াজ শুনে দৌড়ে গিয়ে এই হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখতে পান। বাড়ির লোক খবর পেয়ে গিয়ে মেয়েটিকে জোর পূর্বক নিয়ে আসে, আবার ইমামকে ডেকে এনে দা'ফনের ব্যবস্থা করে। এরপর থেকে বোনটিকে সর্বক্ষণ চোখে চোখে রাখে। প্রতিদিন ফজরের পর তাকে নিয়ে যায় স্বামীর কবর জিয়ারতে, যেখানে সে ইচ্ছেমতো কান্না করে, দোয়া করে।
কিন্তু ওই দিন কবর থেকে ফিরে আসার পর থেকে আজ পর্যন্ত বোনটি কারো সঙ্গে আর একটা কথাও বলেনি।
সে শুধু নামাজ পড়ে সিজদায় দু'হাত তুলে একটি দোয়া করত "হে আল্লাহ, আমি আত্মহ'ত্যা করতে চাই না, কিন্তু আমি আমার স্বামীকে ছাড়া থাকতে পারছি না। আপনি যদি সত্যিই রহমান হন, আমাকে আমার স্বামীর কাছে নিয়ে যান।"
আজ ভোর ৫:১৫ সেই সিজদার মধ্যেই আল্লাহ তাঁর দোয়া কবুল করেছেন। বোনটি চলে গেছেন রবের জিম্মায়।
এই মৃ'ত্যু তার পরিবারের জন্য এক অপূরণীয় শোক, অসহনীয় শূন্যতা। বোনটি একজন আদর্শ স্ত্রী ছিলেন।
স্বামী বাসায় না ফিরা পর্যন্ত কখনো একগ্রাস খাবার মুখে তোলেনি। স্বামীর অনুমতি ছাড়া কোনো কাজ করত না।
কোনো পুরুষের সঙ্গে দেখা বা কথাও বলত না।
তার হৃদয়াবেগ ব্যাথা,আর পরপারে পাড়ি জমানো তো এই বুঝায়.. যে স্বামী নামক মানুষটা তার কাছে কি ছিলো।
নিঃসন্দেহে স্বামীও স্ত্রীর সন্তোষভাজ সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন।
আল্লাহ দুজনকে সেই সু-সজ্য জান্নাতে মিলিত করুন।
আমিন🤲🤲
©