Zayyan Islamic TV

Zayyan Islamic TV Islamic Knowledge Sharing

স্বামীর কথা শুনুন এবং তার সাথে শান্তিপূর্ণভাবে চলুন। অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক বা দ্বিমত এড়িয়ে চলুন। স্বামীর যত্ন নিন এবং তার পর...
20/03/2025

স্বামীর কথা শুনুন এবং তার সাথে শান্তিপূর্ণভাবে চলুন। অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক বা দ্বিমত এড়িয়ে চলুন। স্বামীর যত্ন নিন এবং তার পরিবারের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল থাকুন। যদি তার পরিবারের প্রতি যত্নশীল হলে স্বামীর মন পাওয়া যায়, তবে তা মেনে নিন এবং এতে অভিযোগ না করে ধৈর্য ধরুন।

স্বামী যদি কোনো ভুল করেন, ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করুন। নিজের চাহিদা সীমিত রাখুন এবং তার কাছে কিছু চাইতে যাবেন না। তিনি অন্যায় করলেও সরাসরি বিরোধিতা করবেন না, বরং ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি সামাল দিন।

মনে রাখবেন, অভিযোগ করে কাউকে বদলানো সম্ভব নয়। তাই বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে ধীরে ধীরে তার মন জয় করার চেষ্টা করুন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার সম্পূর্ণ মন দখল করুন এবং অবশেষে তার বাড়ি-ঘর, সম্পত্তি সব নিজের করে নিয়ে তাকে উপযুক্ত শিক্ষা দিন!

#স্বামী #পরিবার

ইবনুল কাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ বলেন, নবিজির চলন ছিল সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং অঙ্গগুলোর জন্য আরামদায়ক। খুব দ্রত চলা কিংবা অলসতা কর...
20/01/2025

ইবনুল কাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ বলেন, নবিজির চলন ছিল সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং অঙ্গগুলোর জন্য আরামদায়ক। খুব দ্রত চলা কিংবা অলসতা করে মরার মতো চলার বিপরীত।

কেউ অলসতা করে অস্বস্তি ভাব নিয়ে হাঁটে, যেটা নিন্দনীয়। আবার কেউ দ্রুত গতিতে অধোৈর্য্য উটের ন্যায় চলে, যেটা উক্ত ব্যক্তির জ্ঞানহীনতার পরিচয়। বিশেষ করে যখন চলার সময় ডানে বামে খুব বেশি দৃষ্টি ফেরাতে থাকে, এটাও নিন্দনীয়। আবার কেউ শান্তভাবে ধীরস্থিরতার সাথে চলে, যেটা হলো আল্লাহ তাআলার খাঁটি বান্দাদের চলার ধরন।

এই গুণের কথা আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে ইরশাদ করেছেন।

আর রহমানের বান্দা তারাই, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে।

শামায়েলে তিরমিজি প্রথম খন্ড
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর চলারফের ধরন
#শামায়েলে_তিরমিজি #তিরমিজি #কুরআনুল_কারিমে #কুরআন

13/12/2024

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars - they help me earn money to keep making content you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars!

 #ইহরাম বিষয়ে শাস্ত্রীয় জ্ঞান------------১. হজ ও উমরা আদায়কারির জন্য ইহরামের নিয়ত না করে মীকাত অতিক্রম করা জায়েয নয়৷...
13/12/2024

#ইহরাম বিষয়ে শাস্ত্রীয় জ্ঞান-
-----------
১. হজ ও উমরা আদায়কারির জন্য ইহরামের নিয়ত না করে মীকাত অতিক্রম করা জায়েয নয়৷ যদি কেউ ইহরাম না বেঁধে মীকাত অতিক্রম করে ভেতরে চলে আসে তার উচিত হবে মীকাতে ফিরে গিয়ে ইহরামের নিয়ত করা। এমতাবস্থায় তার ওপর ক্ষতিপূরণ হিসেবে ‘দম’ দেয়া ওয়াজিব হবে না। যদি সে #মীকাতে ফিরে না গিয়ে যেখানে আছে সেখান থেকে ইহরামের নিয়ত করে, তাহলে তার হজ-উমরা হয়ে যাবে বটে তবে তার ওপর ‘দম' দেয়া ওয়াজিব হবে। কেননা সে অন্তরে হজ বা উমরা অথবা উভয়টার ইচ্ছা রেখেই মীকাত অতিক্রম করেছে। ইবন আব্বাস (রা) বলেন,
“কেউ যদি তার হজের কোন আমল ভুলে যায় বা ছেড়ে দেয় সে যেন পশু যবেহ করে।' (মুআত্তা মালেক- ১/৪১৯; দারা কুতনী- ২/২৪৪; বাইহাকী: ৫/১৫২)
----
২. #মীকাত থেকে ইহরামের নিয়ত করার বিধান মীকাত অতিক্রমকারী সবার জন্য প্রযোজ্য। তারা সেখানকার অধিবাসী হোক বা না হোক। কেননা এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
'এগুলো তাদের জন্য এবং যারা অন্যত্র থেকে ওই পথে আসে হজ ও উমরা আদায়ের ইচ্ছা নিয়ে তাদের জন্য।' (বুখারী: ১৫২৪; মুসলিম: ১১৮১)
----
৩. যদি কারো পথে দুটি মীকাত পড়ে, তাহলে বিশুদ্ধ মতানুযায়ী তিনি দ্বিতীয় মীকাতে পৌঁছে ইহরাম বাঁধতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে মদীনা হয়ে মক্কায় গমনকারী হাজীগণ এই মাসআলার আওতায় পড়েন। তারা জেদ্দা বিমান বন্দরের পূর্বে যে মীকাত আসে সেখান থেকে ইহরাম না বেঁধে মদীনা থেকে মক্কা যাওয়ার পথে যে মীকাত পড়ে (যুল হুলায়ফা) সেখান থেকে ইহরাম বেঁধে থাকেন।
----
৪. যদি কোন ব্যক্তি এমন পথ দিয়ে যায় যেখানে কোন মীকাত নেই, তবে অপেক্ষাকৃত নিকটবর্তী মীকাত বরাবর পৌঁছলে তার ইহরাম বাঁধা ওয়াজিব। বসরা ও কুফা জয় লাভের পর এই দুই শহরের অধিবাসীরা উমর (রা) এর নিকট এসে বলল, হে আমীরুল মু'মিনীন! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাজদবাসীদের জন্য কারনুল মানাযিলকে মীকাত হিসেবে নির্ধারণ করেছেন, কিন্তু এটা আমাদের পথ থেকে অনেক দূরে। যদি আমরা সেখানে যেতে চাই তবে আমাদের অনেক কষ্ট হবে।
উমর (রা) বললেন,
“তোমরা তোমাদের পথে কারনুল মানাযিল বরাবর ইহরাম বাঁধার স্থান দেখ, এরপর তিনি ‘যাতু ইরক’ কে তাদের মীকাত হিসেবে নির্ধারণ করে দিলেন।' (বুখারী: ১৫৩১)
----
৫. যখন কোন #হজ্জ বা উমরাকারী বিমান বা জাহাজে সফর করবেন, তখন নিকটতম মীকাতের বরাবর হওয়ার সাথে সাথে তার ইহরাম বাঁধা ওয়াজিব। এ ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, বিশেষ করে যারা বিমান আরোহী। কারণ বিমানের গতি অনেক বেশি।
----
৬. যদি কোন মুহরিম স্থানবিষয়ক মীকাতে আসার পূর্বেই ইহরাম বাঁধে, তাহলে তার ইহরাম সহীহ হবে, তবে তা হবে সুন্নত পরিপন্থী। কেননা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরকম করেননি। উম্মতকেও এরকম শিক্ষা দেননি। এ থেকে বুঝা যায়, মীকাতে আগমনের পূর্বেই ইহরাম বাঁধা কোন সওয়াব বা ফযীলতের কাজ নয়।
----
৭. যে ব্যক্তি মীকাত না চিনেই জেদ্দায় পৌঁছে এদিকে তার পক্ষে আবার মীকাতে ফিরে আসাও সম্ভব নয়, তার জন্য জেদ্দাতেই ইহরাম বেঁধে নেয়া যথেষ্ট হবে।
----
৮. হজ ও #উমরা পালন করবে না- এমন ব্যক্তি যদি #ইহরাম বাঁধা ছাড়াই মীকাত অতিক্রম করে, তবে তাতে কোন সমস্যা নেই। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেবল হজ ও উমরা পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তির জন্যই মীকাত অতিক্রমের পূর্বে ইহরাম বাঁধা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘এগুলো তাদের জন্য এবং যারা অন্যত্র থেকে হজ ও উমরা আদায়ের ইচ্ছা নিয়ে ওই পথে আসে তাদের জন্য।'
----
৯. যদি কোন হাজী মুআল্লিমের কথা অনুযায়ী প্রথমে মদীনা যাওয়ার ইচ্ছা করেন, কিন্তু #জেদ্দায় অবতরণের পর তার কাছে প্রতীয়মান হয়, হজের আগে তার পক্ষে মদীনায় যাওয়া সম্ভব নয়, তাহলে তিনি জেদ্দা থেকেই হজের ইহরাম বাঁধবেন। এ কারণে তাকে দম দিতে হবে না।
----
১০. যাদের আবাস মীকাতের সীমারেখার ভেতর, যেমন ‘বাহরাহ’ ও ‘শারায়ে’ এর অধিবাসীগণ, তারা নিজ নিজ আবাসস্থল থেকেই হজ ও উমরার ইহরাম বাঁধবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“যে ব্যক্তি মীকাতসমূহের ভেতরে থাকে তার আবাসস্থলই তার ইহরামের স্থান।' (বুখারী: ১৫২৬; মুসলিম: ১১৮১)
----
১১. যিনি মক্কায় অবস্থান করছেন, তিনি হজ করতে ইচ্ছে করলে মক্কা থেকেই হজের ইহরাম বাঁধবেন। চাই তিনি মক্কার অধিবাসী হোন বা না হোন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘এমনকি মক্কাবাসীরা #মক্কা থেকেই হজের ইহরাম বাঁধবে।' (মুসলিম: ১১৮১) তাছাড়া ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজের সময় তাঁর সাথে আসা সাহাবায়ে কিরাম (রা) কে তাঁদের অবস্থানস্থল ‘আবতাহ’ থেকেই ইহরাম বাঁধার নির্দেশ দিয়েছিলেন।' (মুসলিম: ১২১৪) তাঁরা তামাত্তু হজ করেছিলেন। উমরার জন্য তাঁরা বাইরে থেকে ইহরাম বাঁধলেও হজের জন্য মক্কায় তাঁদের আবাসস্থল থেকে ইহরাম বেঁধেছেন।
----
১২. মক্কায় অবস্থানকারী কোন ব্যক্তির জন্য হারামের সীমারেখার ভেতর থেকে উমরার ইহরাম বাঁধা জায়েয হবে না। তাকে হারামের সীমানার বাইরে গিয়ে ইহরাম বাঁধতে হবে। উম্মুল মু'মিনীন আয়েশা (রা) যখন উমরা করতে চাইলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন তাঁর
ভাই আবদুর রহমানকে বললেন,
“তুমি তোমার বোনকে হারামের বাইরে নিয়ে যাও, যাতে সে উমরার ইহরাম বাঁধতে পারে।' (বুখারী: ১৫৬০, মুসলিম: ১২১১)
----
১৩. বাইরের লোক যদি হজ করতে গিয়ে স্বেচ্ছায় বা ভুলক্রমে ইহরাম না বেঁধে মীকাত অতিক্রম করে ফেলে, তাহলে তারা মীকাতের ভেতরে ঢুকে ‘তান‘ঈমে’ অবস্থিত মসজিদে আয়েশায় গিয়ে হজের ইহরাম বাঁধলে চলবে না। কেননা মসজিদে আয়েশা হারাম এলাকার অভ্যন্তরে বসবাসকারীদের উমরার মীকাত। বাইরের লোকদের জন্য হজের মীকাত নয়।
----
১৪. ইহরাম বাঁধার জন্য পবিত্রতা শর্ত নয়। তাই হায়েয ও নিফাসবতী মহিলা বা অনুরূপ যে কেউ অপবিত্র অবস্থায় থাকলেও নির্দ্বিধায় হজ বা উমরার ইহরাম বাঁধতে পারবেন।
----
সম্পাদনা-
----
শায়েখ ড. আবু বকর যাকারিয়া (হাফিঃ)
উপমহাদেশের অন্যতম ফিকাহ বিশেষজ্ঞ
লেখক-- তাফসীরে যাকারিয়া, কিং ফাহাদ প্রেস

11/12/2024

মাশায়াল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ নামাজ শুরু হয়ে গেছে।

ধরুন, বাসের ভাড়া দিয়ে নেমে দেখলেন, ভাংতি হিশেবে হেল্পার আপনাকে যে বিশ টাকার নোটটা ধরিয়ে দিয়েছে সেটাতে তিনটা তালিজোড়া। আপ...
20/11/2024

ধরুন, বাসের ভাড়া দিয়ে নেমে দেখলেন, ভাংতি হিশেবে হেল্পার আপনাকে যে বিশ টাকার নোটটা ধরিয়ে দিয়েছে সেটাতে তিনটা তালিজোড়া। আপনাকে নিতান্তই অসাবধান এবং সরল পেয়ে বেচারা হাসতে হাসতেই তার ‘চালাতে না পারা’ নোটখানা ধরিয়ে দিয়ে হাওয়া হয়ে গেছে।

বাস থেকে নেমে আপনি রিক্সায় উঠলেন। রিক্সা ভাড়া চল্লিশ টাকা। মোক্ষম একটা সুযোগ এলো আপনার হাতে—হেল্পারের ধরিয়ে দিয়ে যাওয়া ছেঁড়া বিশ টাকার নোটটাকে অন্য একটা বিশ টাকার নোট, কিংবা দুটো দশ টাকার নোটের সাথে মিশিয়ে দিয়ে রিক্সাওয়ালার কাছে আপনি তা অনায়েশে চালিয়ে দিতে পারেন। বেচারা টের পেলে তো পেলোই, না পেলে নির্বিঘ্নে আপদটা অন্যের ঘাঁড়ে উঠিয়ে দেওয়া গেল!

কিন্তু, সেই ছেঁড়া বিশ টাকার নোট অন্য নোটের সাথে মিশিয়ে রিক্সাওয়ালাকে গছাতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত পারলেন না।

আপনি ভাবলেন—কেউ একজন আমার সাথে অন্যায় করেছে বলে সেই একই অন্যায় আমি অন্য একজনের সাথে করতে পারি? এমনও তো হতে পারে—এই ছেঁড়া নোট রিক্সাওয়ালাটা কোথাও চালাতে পারল না। এই নোট চলবে না বলে তাকে দোকানদার চাল না দিতে পারে, ওষুদের দোকানদার ওষুদ না দিতে পারে, এমনকি—নিজের মেয়ের জন্য একটা খেলনা কিনতে গেলেও এই ছেঁড়া নোটের কারণে তাকে ফেরত আসতে হতে পারে।

মানিব্যাগ থেকে নোটটা বের করতে গিয়েও শেষ পর্যন্ত বের করা হলো না আপনার। রিক্সাওয়ালাকে চকচকে দুটো বিশ টাকার নোট দিয়ে ছেঁড়া নোটটাকে মানিব্যাগের অবহেলিত কোণটায় গুঁজে রাখলেন।

এই যে শেষ মুহূর্তের এই বোধ—এটার নাম হলো #তাকওয়া। এই কাজটার সাক্ষী কেবল আপনি আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা। দুনিয়ার আর কেউ এই ব্যাপারে জানে না। না আপনাকে ধোঁকা দিয়ে যাওয়া সেই বাসের হেল্পার, না যে রিক্সাওয়ালাকে আপনি ধোঁকায় ফেলতে যাচ্ছিলেন সে—কেউ না।

হতে পারে, কেবল এমন একটা অতি-ক্ষুদ্র কাজের জন্য আখিরাতে আপনি জান্নাতে পৌঁছে যাবেন। হতে পারে আপনার সেদিনকার এই কাজটা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার এতো পছন্দ হয়ে যায় যে—তিনি আপনার পূর্বের আর পরের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেবেন।

কখনোই কোন ভালো কাজকে তুচ্ছ জ্ঞান করে এড়িয়ে যাবেন না। হয়তো, ওই কাজটাই হয়ে উঠবে আখিরাতে আপনার নাজাতের চাবিকাঠি।
©আরিফ আজাদ

06/11/2024
03/11/2024

মক্কা নগরী

Address

Fulbaria

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Zayyan Islamic TV posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Zayyan Islamic TV:

Share

Category