10/07/2025
আওয়ামী লীগাররা হইলো কুরআনের ঐ আয়াতটার একদম পারফেক্ট উদাহরণ।
যে আল্লাহ তাদের অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন।ওরা কান থাকতেও শোনে না, চোখ থাকতেও দেখে না, অন্তর থাকলেও উপলব্ধি করে না।
ওরা এখন বলতেছে, এই অডিও এআই।
কেউ বলতেছে এই অডিও হোলি আর্টিজানের সময়কার।
অথচ কমনসেন্স কী বলে?
হোলি আর্টিজানে লিথ্যাল ওয়েপন ব্যবহার করার কথা হাসিনা ফোনে কেন বলবে?
হোলি আর্টিজানের পুরো মিশনের আগে মিটিং হয়েছিল। সেই মিটিং এ হাসিনা ছিল, বেনজির ছিল। কী অস্ত্র ইউজ করা হবে বা হবে না,সেটা মিটিং এই ঠিক করা হয়েছিল। ফোনে না।
ফোনে হাসিনাকে কখন অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিতে হবে?
যেখানে অফিসিয়ালি অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি নাই।
ফলে হাসিনাকে আলাদা করে ফোন করে বলতে হয়।
সমস্যা হলো, এই লজিকও আওয়ামী লীগ মানবে না।
কোন লজিকই ওরা মানবে না।
চোখের সামনে ২০০০ মানুষ মরতে দেখে যারা সেটার পক্ষে ছিল, ২০০০ লাশ যাদের বিবেক জাগাতে পারে নাই, একটা রেকর্ড তাদের বিবেক জাগাবে না,এটাই স্বাভাবিক।
এইটা কি অস্বাভাবিক?
না। লাখ লাখ লোক মারার পরেও জার্মানিতে এখনও ইটলারের প্রচুর সমর্থক আছে।এরা এখনও মনে করে না,ইটলার কোন খারাপ কাজ করেছে। বাংলাদেশের ২৫ শে মার্চের গনহত্যা নিয়েও আপনি সেইম সিনারিও বহু মানুষের মধ্যে দেখতে পাবেন।
এত স্পষ্ট ঘটনাও কি মানুষ অস্বীকার করতে পারে?
উত্তর হলো, পারে।
সূরা কাহফে আল্লাহ তায়ালা এমনই এক ঘটনায় নবিজীকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন।
নবিজি তখন খুব পেরেশান হয়ে ভাবছেন, সত্য এত স্পষ্ট হওয়ার পরেও তাঁর অনেক কাছের লোকজন কেন সেই সত্য গ্রহণ করছে না?
উত্তরে আল্লাহ বললেন, হে নবী, তাদের সত্য গ্রহণ না করার বেদনায় আপনি মনে হয় বিলীন হয়ে যাবেন।
বিশেষ করে, আত্মীয় স্বজনদের মুখেও যখন আওয়ামী লীগের সাফাই শুনি, তখন সেইম ফিলিংসটাই হয়।
বাট আসলে কিছু করার নাই।
সত্য জিনিসটা সবাই গ্রহণ করবে না জেনেই আমাদের আগাতে হবে।
এত বড় একটা গনহত্যাকে অস্বীকার করা লোকজনের সাথে আমাদের চলতে হয়, কথা বলতে হয়, এর চেয়ে দু:খের কিছু আমাদের জন্য আর কী হতে পারে?
সমাধান কী?
এদের সাথে তর্ক না করে এদের এভয়েড করা।
২০০০ মানুষের রক্ত যাদের বিবেক জাগাতে পারে নাই, আপনার লজিক বা প্রমাণ, যত স্ট্রং ই হোক, এদের বিবেক জাগাতে পারবে না।