
17/08/2025
আমাদের ছোটবেলায় প্রকৃতি আরো অনেক বেশি সুন্দর ছিল কিন্তু তখন আমরা এত বেশি ব্যস্ত থাকতাম যে এগুলো দেখার মত সময় বা উপলব্ধি কার টাইম পেতাম না ।এখন তো শুধু মানুষ হয়ে যাচ্ছে শো অের কারখানা। চারিদিকে শুধু পিন্টারেস্ট পুকি পুকি ভাব সাজিয়ে রাখার রেস।সবাই সৌখিন ।সবার ঘরেই হোম ডেকোরেশন।সবাই এস্থেটিক সাজাতে ব্যস্ত। মানুষের মধ্যে প্রতিযোগিতা কে কার ঘর কে কতটা সুন্দর করে এক্সপোজ করতে পারবে আগে সৌখিনতায় কখনো প্রতিযোগিতা ছিল না যারা সৌখিন ছিল তাদের এভাবে এক্সপোস করতে হতো না।
সাদা মাটা জীবন ছিল আমাদের ৯০ দশকে
আগে শরতের আকাশটা ছিল অদ্ভুত সুন্দর আমি মাঝে মাঝেই পুকুরের ঘাটে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতাম মনে হতো নীল একটা পানির স্তরের উপরে ভেসে চলেছে সাদা তুলোর মত মেঘেরা। আলতো ছোঁয়াতেই যেন গলে পড়বে ,এরকম করে এগুলো ভেসে বেড়াতো আমি অপলক দৃষ্টিতে দেখতাম স্কুল থেকে ফিরে মাঝে মাঝে পুকুর ঘাটে বসে আমি অনেকক্ষণ আকাশটা দেখার পরে গোসল করতে যেতাম
ওই জিনিসগুলো ভাবলে মনে হয় যে সে দিনগুলোই মনে হয় বড্ড ভালো ছিল।
অক্টোবরে পূজো হতো দেখা যেত যে শরতের কাশফুল আর পুজোর ঢাক ঢোল মিলেমিশে একাকার হত ।তখন এত কিছু বুঝতাম না এখন বুঝি তখন প্রকৃতির পরিবর্তন অনুভব না করতে পারলেও এসব ব্যাপারগুলো তখন কতটা জমজমাট ছিল।
মেলা হত মেলাতে যেতাম কত রকম পুতুল বাটি খুটি মাটির জিনিস কিনে নিয়ে আসতাম এই মেলাগুলোর যে কি একটা আনন্দ ছিল কে কি কিনলো সেটা দেখার একটা অন্যরকম ফিলিংস ছিল। এখনের ছেলেমেয়েরা কোন ধরনের আনন্দ এগুলো থেকে পায় না ,যেটা আমরা ছোটবেলায় পেতাম ।
আসলে হিসেব করে দেখলে আমাদের ওই সময়টাই ছিল পারিবারিক বন্ধনের একটা সোনালী সময়।
হেমন্তের রোদটা কেমন নরম হয়ে আসতো চারিদিকে পাকা ধানের গন্ধ। উত্তরের ঠান্ডা বাতাসে কবে যে শীত নেমে আসতো টেরিপেতাম না। প্রকৃতিতে ঠান্ডার উপক্রম হওয়ার সাথে সাথে কত রস কত মুড়ি ভাজা কত খাবার কত পিঠার আয়োজন।
প্রকৃতিতে গরম ছাড়া এখন আর কিছুই টের পাইনা।