08/04/2025
**রাসূল সাঃ এর যুগে যুদ্ধের বাস্তবতা ও ঈমানের শক্তি**
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর যুগে মুসলিম ও কাফেরদের মধ্যে যুদ্ধের সময় অস্ত্র ছিল প্রায় একই রকম—তলোয়ার, বর্শা, ঢাল, তীর। সংখ্যার দিক থেকেও কাফেররা প্রায় সবসময়ই মুসলিমদের তুলনায় বেশি ছিল।
**বদর যুদ্ধের কথা মনে আছে?**
মাত্র ৩১৩ জন মুসলমান, বিপরীতে ১০০০ কাফের!
অস্ত্রসজ্জাও সীমিত। কিন্তু মুসলমানদের কাছে ছিল এমন কিছু যা কাফেরদের ছিল না—তাওহীদের প্রতি ঈমান, রাসুলের নেতৃত্ব, এবং আল্লাহর সাহায্য।
আল্লাহ কুরআনে বলেন:
> "তোমরা যদি ধৈর্য ধরো এবং তাকওয়া অবলম্বন করো, তবে শত্রুরা হঠাৎই তোমাদের উপর আক্রমণ করলেও তোমাদের রব পাঁচ হাজার ফেরেশতা দিয়ে সাহায্য করবেন।"
> (সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১২৫)
**যুদ্ধের বাস্তবতা আজ বদলে গেছে, কিন্তু নীতি বদলায়নি**
আজ কাফেরদের অস্ত্র আধুনিক—পারমাণবিক বোমা, ড্রোন, স্যাটেলাইট নজরদারি। তারা এক বাটনে লক্ষ মানুষকে ধ্বংস করতে পারে।
**কিন্তু মূল প্রশ্ন হলো:**
কীসের ভিত্তিতে জয় আসে? অস্ত্রের? না ঈমানের?
**ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়:**
- **তুর্কি সালাহউদ্দিন আইয়ুবি**, যিনি ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছিলেন, তার সৈন্যসংখ্যা তুলনায় কম ছিল।
- **তারেক বিন জিয়াদ**, যিনি স্পেন জয় করেন, সৈন্যদের জাহাজ পুড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন, "পেছনে সমুদ্র, সামনে শত্রু—জয় ছাড়া বিকল্প নেই।"
- **উসমানী সালতানাত** শত শত বছর ইউরোপকে কাঁপিয়ে রেখেছিল, যখন মুসলিমদের মধ্যে তাকওয়া ও সংহতি ছিল।
**বর্তমানের বাস্তবতা কী শেখায়?**
আজ যদি মুসলমানরা কেবল সংখ্যা বা আধুনিক অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করতে চায়, তা হলে তাদের হার নিশ্চিত।
কারণ, তারা ভুলে গেছে প্রকৃত শক্তি আসে ঈমান, ঐক্য, ও সত্যের উপর অটল থাকা থেকে।
আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে তুমি দেহ মেরে ফেলতে পারো, কিন্তু আদর্শ কখনো মরে না।
**সর্বশেষে একটা বাস্তব উপলব্ধি:**
আজ মুসলিমরা যদি এক লক্ষ লোক নিয়ে কাফেরদের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তারা হয়তো টেকনিক্যালভাবে পরাজিত হবে।
কিন্তু যদি সেই লোকগুলোর অন্তরে হয় বদরের সাহাবাদের মতো ঈমান—তাহলে পৃথিবীর কেউ তাদের থামাতে পারবে না।
অন্যথায়, শুধু যুদ্ধ নয়, কোনো দিকেই তারা সফল হবে না।