
25/06/2025
মা বাচ্চাকে শাসন করলে বাবার ভূমিকা হওয়া উচিত সহযোগী ও ভারসাম্যপূর্ণ। মায়ের শাসনকে সমর্থন করা, তবে প্রয়োজনে নরম সুরে বুঝিয়ে বলা এবং শিশুর ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ দেওয়া বাবার দায়িত্ব। এছাড়াও, বাবার উচিত শিশুর প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া এবং তাকে বোঝানো যে শাসন ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
এখানে কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো:
সমর্থন ও সহযোগিতা:
মা যখন সন্তানকে শাসন করছেন, তখন বাবার উচিত মায়ের পাশে থাকা এবং তাকে সমর্থন করা। এতে করে সন্তানের কাছে স্পষ্ট হবে যে, শাসন করাটা পরিবারের সকলের সিদ্ধান্ত এবং এটি সন্তানের ভালোর জন্যই করা হচ্ছে।
নরম সুরে বুঝিয়ে বলা:
শাসন করার পর বাবা শিশুর কাছে এসে নরম সুরে বুঝিয়ে বলতে পারেন যে, কেন তাকে শাসন করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে একই কাজ করা উচিত নয়। এক্ষেত্রে, শিশুর বয়স ও পরিস্থিতি অনুযায়ী বুঝিয়ে বলা গুরুত্বপূর্ণ।
শিশুকে ভালোবাসার অনুভূতি দেওয়া:
শাসন করার পরেও, বাবাকে নিশ্চিত করতে হবে যে, সন্তান ভালোবাসার অনুভূতি থেকে বঞ্চিত না হয়। তাকে জড়িয়ে ধরা, আদর করা এবং বোঝানো যে, শাসন করা সত্ত্বেও বাবা-মা দুজনেই তাকে ভালোবাসেন।
শিশুর ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ দেওয়া:
শাসন করার পর, বাবার উচিত শিশুর ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ দেওয়া। তাকে বোঝানো যে, ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে ভালো কাজ করা উচিত।
শিশুর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখা:
বাবা-মায়ের উচিত সবসময় শিশুর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা। এতে করে, শিশু যেকোনো সমস্যায় বাবা-মায়ের সাথে আলোচনা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে।
মোটকথা, মা যখন সন্তানকে শাসন করেন, তখন বাবার ভূমিকা হওয়া উচিত সহযোগী, সহানুভূতিশীল এবং ভারসাম্যপূর্ণ। বাবার উচিত শিশুর ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ দেওয়া এবং তাকে ভালোবাসার অনুভূতি দেওয়া।
মা শাসন করলে বাবা সন্তানকে বুঝাবে আর বাবা শাসন করলে মা বুঝাবে এটাই হওয়া উচিত।
আবার বাচ্চার সকল জিদ, চাওয়া,দুষ্টুমি,খেলাধুলা ইত্যাদি একটা মাকেই সহ্য করতে গিয়ে মায়ের মেজাজ খিটখিটে হলে তাতেও আবার মাকে শুনতে হয় তুমি অসুস্থ।