Mrs. Cakiey

Mrs. Cakiey More cakes and cake decorating ideas.

সংখ্যা কমিয়ে দেখাবার একটা রাজনীতি আছে। এটার উৎস বা ইতিহাস কি জানি না। লঞ্চ ডুবির এলাকার বহু মানুষের কাছে শুনতাম মালিকরা ...
22/07/2025

সংখ্যা কমিয়ে দেখাবার একটা রাজনীতি আছে। এটার উৎস বা ইতিহাস কি জানি না। লঞ্চ ডুবির এলাকার বহু মানুষের কাছে শুনতাম মালিকরা লাশ দূরে সরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতেন। সত্যি মিথ্যা জানা নাই, যাচাই করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনার বেলায় তা সত্যি এটা অনেকেই জানেন। দেশের অন্যতম প্রধান দ্রুতগামী এক বাস কোম্পানির এক লোকের সাথে পরিচয় হয়েছিল একটা কাজে, তার অন্যতম কাজ ছিল দুর্ঘটনায় পরা এলাকায় ব্রিফকেস ভর্তি টাকা নিয়ে নিমিষে হাজির হওয়া, ক্রাইসিস ম্যানেজ করা। খবররের শিরোনামে প্রতিষ্ঠানের নাম না যাওয়া, মৃতের সংখ্যা কমিয়ে দেখাবার ব্যবস্থা করা ইত্যাদি প্রয়োজনে স্থানীয় থানা, সাংবাদিক ইত্যাদি ব্যক্তিদের বন্দোবস্ত করে হাত পাকিয়েছিলেন।

ঠিক কী কী কারণে এটা করা হয়, নিশ্চিত না। এমন কোন ক্ষতিপূরণ এ দেশে দিতে হয় না কারও অনিয়মে প্রাণহাণি ঘটলে। হয়তো এর বাইরেও তাদের আরও অনেক বিষয় আছে। হতে পারে কয়েকদিন পর জানাজানি হলেও তখন মানুষের অতটা গায়ে লাগে না, অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি কিংবা অনিয়ম নিয়ে কথা হয় কম। বেপরোয়া গতির জন্য কোম্পানির বদনাম হলে হয়তো যাত্রী সংখ্যাতেও কয়েকদিন প্রভাব পরে।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে রানা প্লাজাতে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করার চেষ্টা হয়েছিল বেশ দ্রুতই। কতদিনের মাথায় মনে নেই, তাসলিমা বা কল্লোল হয়তো আরও দিনটা বলতে পারবে, তখনও উদ্ধার কর্মীরা সংখ্যায় খুব কম হলেও জীবন্ত মানুষ কিংবা লাশ বের করে নিয়ে আসছিলেন। কয়েদিকের মাথায় প্রশাসন খুব চাপ দিচ্ছিলো উদ্ধার কাজ বন্ধ করতে হবে। উদ্ধারকর্মীরা খানিকটা বিমূঢ়ই হয়ে গিয়েছিলেন। প্রশাসনের একটা যুক্তি ছিল রানা প্লাজা যে কোন সময়ে আরও ধ্বসে যেতে পারে, তখন উদ্ধারকর্মীরাও মারা যাবেন। ওদিকে উদ্ধারকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজটা করে যাচ্ছিলেন। এই সময়েও বেশ কয়েকজন মানুষকে জীবন্ত উদ্ধার করা হয়। বলা যায় অন্য যে কোন রাষ্ট্রীয় বাহিনীর তুলনায় সাধারণ নাগরিকরাই মূল উদ্ধারকাজটা পরিচালনা করেছেন, কল্পনাতীত সব জায়গায়, ধীরে ধীরে ডেবে আসছে এমন সব স্তুপ থেকে চাপা পড়া মানুষকে বের করে এনেছেন।

চাপের মুখে পরা এই উদ্ধারকর্মীদের তেমন কিছু করতে হয়নি। সাধারণ মানুষই রুখে দাঁড়িয়েছিলা। রীতিমত মুখোমুখি হয় তারা নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর। এবং অবশেষে তাদের দাবির মুখে প্রশাসন পিছু হটে। জীবন্ত মানুষ কিংবা লাশ উদ্ধার অব্যাহত থাকে।

ক্ষতিপূরণ কম দিতে হবে বলে রানা প্লাজা বা তাজরিনে মৃতের সংখ্যা কম দেখাবার চেষ্টা ছিল। সংগঠকরা বিপরীতে চেষ্টা করেছেন একটা নামও যাতে না হারিযে যায়। এমনকি তারা যেন সংখ্যায়ও পর্যবসিত না হন। প্রতিটি মানুষের জীবন তো মূল্যবান।

ভুলভাবে হোক, ঠিকভাবে হোক, মানুষের আশঙ্কা ছিল এই যে প্রশাসন লাশ গায়েব করবে। একটা দেশে মানুষ প্রশাসনকে কতটা অবিশ্বাস করে, সেই দিন মর্মে মর্মে বুঝেছিলাম। বলতে গেলে জনগণ পাহারা দিয়েছিল উদ্ধারকর্মীদের।

কিন্তু এই সময়ের ছেলেমেয়েরা আরও আলাদা। এই চরম শোকের দিনেও রানা প্লাজার কথা ভাবতে গিয়ে মনে হয়, এরা যে ভাবে তাদের শিক্ষকদের ওপর সামরিক বাহিনীর নিপীড়ন নিয়ে কথা বলেছে এই শোকের সময়ে, প্রশ্ন করেছে মৃত্যু কমিয়ে দেখানো নিয়ে-- কামনা করি এই প্রশ্ন করা প্রজন্ম শহরটাকে কারা কিভাবে মৃত্যুকূপ বানিয়ে রেখেছে, সেই কথাগুলোও আরও জোরেশোরে বলবে।

সংখ্যায় খুব কম হলেও আমাকে দুয়েকজন বলেছেন এই শোকের সময়ে এসব নিয়ে রাজনীতি না করতে। তাদের আমি দোষ দেই না, হয়তো তারা আসলেই শোকে বিমূঢ়। কিংবা সম্ভবনা আছে যে তারা আসলে হাসিনাদের যুক্তির জালে আটকা পড়েছেন।

কারণ,যে মৃত্যুগুলো নিছক মৃত্যু নয়, কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড, সেই কথা আপনি কিভাবে এড়িয়ে যাবেন? কখন সেই কথাগুলো বলবেন? কখন বলবেন যে জনবহুল এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান কেন? কখন বলবেন লালবাগে প্লাস্টিক গুদামগুলো কেন সরাচ্ছেন না? কবে বলবেন কাঠালবাগানে দুর্ঘটনা হলে মানুষ কোথায় দাঁড়াবে?

কবে?

কালেক্টেড

আমরা বাহিরে গেলে সূর্যের উত্তাপ সহ্য করা কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। কখনো কখনো মাথা ঘুরে ওঠে, আমরা লুটিয়ে পড়ি মাটিতে। যখন রান্নার...
22/07/2025

আমরা বাহিরে গেলে সূর্যের উত্তাপ সহ্য করা কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। কখনো কখনো মাথা ঘুরে ওঠে, আমরা লুটিয়ে পড়ি মাটিতে। যখন রান্নার কাজ করি, চুলার আঁচের তাপে মনে হয় দম আটকে আসছে। আজকে যখন বিমান বিধ্বস্ত হয়ে স্কুলে এসে পড়লো, ছোট ছোট বাচ্চাগুলোর না জানি কতটা কষ্ট হচ্ছিলো। একেকটা ঝ ল সে যাওয়া মানুষ দেখে যেনো রুহ কেঁপে বারবার। রান্না করতে গিয়ে গরম পাতিলে একটু ছ্যাঁক লাগলে কতো যন্ত্রণা হয়, পুরো শরীর পু ড়ে গিয়ে বাচ্চাগুলোর না জানি কতোটা তীব্র যন্ত্রণা হচ্ছে। আল্লাহ রহম করুক তাদের সকলের প্রতি।

#শাহানা_বিনতে_রফিক

21/07/2025

মাইলস্টোন স্কুলের উপর জেট বিমান বিধ্বস্ত। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।।
টিচার্স, স্টুডেন্ট সকলেই বিল্ডিংয়ের ভেতরে ছিলো।

হতাহতের সংখ্যা অনেক। বিমানটি পড়েছে মাইলস্টোন স্কুল শাখার ভবনে। সেখানে শিশুরা ক্লাস করছিলো।
মোট কতোজন নিহত তা এখনো অজানা।আহতদের সুস্থতা আর নিহতদের পরিবারের জন্য দোয়া করুন সবাই।

কত মায়ের বুক আজ খালি হলো রব! আল্লাহ আপনার করুনা ভিক্ষা দিন,রহম করুন-ধৈর্য্য দিন।

#আশফিকানওশিন

Today I saw my father shut the dining room door, turn on two bedroom ACs, and place a small fan all to make sure cool ai...
04/07/2025

Today I saw my father shut the dining room door, turn on two bedroom ACs, and place a small fan all to make sure cool air reaches the kitchen where my mother was cooking in this unbearable heat.

If love ever finds me, I hope it looks like this.
Quiet effort, thoughtful care, Especially when no one’s watching.


Collected

আপনি কি অনেক কম খেয়েও ওজন কমাতে পারছেন না?তাহলে এই পোষ্ট আপনার জন্য।যারা অনেক কম খেয়েও ওজন কমাতে পারেন না, তাদেরকে রাফলি...
04/07/2025

আপনি কি অনেক কম খেয়েও ওজন কমাতে পারছেন না?
তাহলে এই পোষ্ট আপনার জন্য।

যারা অনেক কম খেয়েও ওজন কমাতে পারেন না, তাদেরকে রাফলি ২ গ্রুপে ফেলা করা যায়।

👉 প্রথম গ্রুপঃ যারা কোন রকম কোন ওজনই কমাতে পারছেন না।

👉 দ্বিতীয় গ্রুপঃ যারা কিছু ওজন কমিয়েছেন, কিন্তু আর কমাতে পারছেন না। কিংবা কমানোর পরে ওজন আবার বেড়ে যাচ্ছে।

➡️ প্রথম গ্রুপের সমস্যা হচ্ছে, এরা আসলে অতো কম খাচ্ছেন না। কিন্তু তাদের “মনে হচ্ছে” যে তারা কম খাচ্ছেন।

এইটা অনেকে মানতে চান না কিংবা বলা ভালো মানতে পারেন না।

এর পেছনে আসলে অনেক রকম কারণ আছে। কমন কয়েকটা কারণ বলি।

১। অনেকেই আছে ভাত কম খেয়ে ভাবেন অনেক কম খাওয়া হচ্ছে। কিন্তু হয়তো অন্য কোন দিকে বেশি খেয়ে সেটা পুষিয়ে দিচ্ছিন।

২। আবার অনেকে মেইন মিলে খাবার কমিয়ে স্ন্যাকসে এতো বেশি খেয়ে ফেলেন যে সেটা পুষিয়ে যায়।

৩। অনেকে সপ্তাহে ৬ দিন কম খেয়ে শুক্রবারে এমনই জম্পেশ খাওয়া দেন, যে সেই ব্যাটেবলে খাওয়া সমান হয়ে যায়।

৪। অনেকে জাস্ট প্রোপার ফুড চয়েস করতে পারেন না।

যেমন অনেকে ফ্যাট লস করতে গিয়ে পিনাট বাটার, বাদাম, ড্রাই ফ্রুট এই রকম কিছু খেয়ে ফেলেন যা আসলে খুবই হাই ইন ক্যালরি।

➡️ এই বার আসি দ্বিতীয় গ্রুপের কথায়।

এদের বেলায় সাধারণত যেটা হয়, তা হল এরা খাওয়া কমিয়ে ওজন কমিয়েছেন, কিন্তু কোন এক্সারসাইজ করেন নি।

ফলে ফ্যাটের সাথে অনেক মাসেল বা পেশি লুজ করেছে। আর এইটা হলে মানুষের মেটাবলিজম স্লো হয়ে যায়।

মেটাবলিজম স্লো হতে থাকলে খাওয়া কমিয়েও আসলে একটা সময় আর ওজন কমানো যায় না। বরং অনেক ক্ষেত্রে কম খেলেও ওজন বাড়তে থাকে।

এদের জন্য আমেরিকান কলেজ অফ স্পোর্টস মেডিসিনের সাজেশিন হচ্ছে:

১। সপ্তাহে ৩ দিন স্ট্রেংথ ট্রেইনিং কিংবা ভারী এক্সারসাইজ করা।

২। পর্যাপ্ত প্রোটিন (প্রতি কেজি ওজনের জন্য ১-১.২ গ্রাম) গ্রহণ করা।

৩। সপ্তাহে ১৫০ মিনিট কার্ডিও এক্সারসাইজ (হাঁটা, সাইক্লিং, রানিং, জগিং, সুইমিং) করা

✍️ Tehzib Rahman

আপনারা চ্যলেন্জ নিয়া সুন্দর ভাবে ওজন কমাতে পারবেন।

ছোট বেলায় আমাদের বাসায় একজন আন্টি আসতেন।উনি মেইনলি আমার নানুর বাসায় থাকতেন।উনার হাসবেন্ড চলে গিয়েছিলেন ৩ জন ছেলেমেয়ে রেখ...
28/06/2025

ছোট বেলায় আমাদের বাসায় একজন আন্টি আসতেন।উনি মেইনলি আমার নানুর বাসায় থাকতেন।উনার হাসবেন্ড চলে গিয়েছিলেন ৩ জন ছেলেমেয়ে রেখে।তখন উনার বাচ্চাগুলো ছোটই।বড় মেয়ে টা খুব সম্ভবত ৭/৮ এ। ছেলে টা ছোট। উনার স্ট্রাগল তখন তো বুঝতাম না কিন্তু পরে দেখেছি ছেলেমেয়েদের নিয়ে উনি খুবই কষ্ট করেছেন।তবে ওরা সবাই পড়াশোনায় খুবই ভালো ছিলো। বাবা এজন্য আরও আন্টিকে বেশি হেল্প করতেন। আন্টি টুকটাক সেলাই কাজ করতেন,উনার ভাই বোন রা কিছুটা হেল্প করতো,দুইটা মেয়েই টিউশন করতো। মা সব সময় ওদের উদাহরণ দিতো যে দেখো পড়াশোনায় কত ভালো ওরা। আর এত লক্ষী ছিলো। এখন মনে পড়লে ভাবি কিভাবে মায়ের দুঃখ টা ধারণ করে চলতো।

মা'কে দেখতাম সব সময় বাজার গুছায় রাখতো উনার জন্য।কখনোই কিছু নিতে আসলে ছেলেমেয়েদের নিয়ে আসেন নি।বলতেন আপা ওরা কষ্ট পায়। যখন নিয়ে আসতেন তখন আন্টি গেস্টের মত এসে চলে যেতেন। আমার এখনও মনে পড়ে আন্টি সব সময় মুড়ালি নিয়ে আসতেন আমার জন্য।আমি পছন্দ করতাম। এখন মনে হয় আসলে উনার এটুকুই সাধ্য ছিলো। আমিও বেহায়া না আনলে চাইতাম।

মেঝো মেয়েটা যখন কলেজ বা ইউনিভার্সিটি তে তখন আন্টি গ্রামে চলে যায়। আর আসেন নি। ২০০৭/০৮ সালের পর অনেক বছর কোন যোগাযোগ ছিলো না।

২০১৫/১৬ সালে কুরবানির ইদের ৩/৪ দিন পড়ে হুট করে নানুর বাসার সামনে একটা গাড়ি থামে। You know what? সেই আন্টি উনার নিজের গাড়ি দিয়ে এসেছেন।

চেহারায়,শরীরে বয়সের ছাপ কিন্তু চোখ মুখ উজ্জ্বল।দরজা খুলে চিনতেই পারিনি প্রথমে।কিন্তু আমাকে দেখে দরজাতে দাড়িয়েই মুড়ালির প্যাকেট বাড়িয়ে দিয়েছেন।তোমার জন্য আনসি খালামনি,তুমি পছন্দ করো।

তারপর আসলো তার সুখের খবর। ২ টা মেয়েই ব্যাংকে জব ভালো করে। জব নিয়ে নিজেদের টাকায় বিয়ে করেছে। ছেলে কে বিদেশ পাঠিয়েছেন। দেশে ছেলেমেয়েরা মাকে বাড়ি তুলে দিয়েছে যেই মা সারাজীবন মানুষের বাড়িতে আশ্রিতা থেকেছেন।ছেলে গাড়ি কিনে দিয়েছে। এবং নিজে এক গরু কুরবানি দিয়েছেন। এবং মা নানু খালামনি সবার জন্য মাংস নিয়ে এসেছেন। উনার নিজের কুরবানির গরুর মাংস! উনার কোন হেজিটেশন নাই,কোন হামবড়া নেই। কি অমায়িক স্বীকারোক্তি *আপা আপনারা খুশি হইবেন এইজন্য আনসি*

এবং মনে করে করে আমার নানুর বাসার ঠিকানায়ই এসেছেন,ভেবেছেন এখানে আসলে কাউকে না কাউকে তো পাবেনই এবং ওইদিন সবাই ছিলাম সেখানে!

তারপর উনার ছেলেমেয়েরা সবাই কল দিলো,সবার সাথে কথা হলো। কি একটা পরিবার কোথা থেকে কোথায় এসেছে কিন্তু এক মুহুর্তের জন্য তারা নিজের অতীত ভুলেনি। কে পাশে ছিলো ভুলেনি। এত অমায়িক,এত বিনয়ী,এত ভদ্র।আন্টি বার বার বলছিলেন উনি রত্ন জন্ম দিয়েছেন। মায়ের দুঃখ কিভাবে ওউন করেছে ওরা!

সামান্য একটা মুড়ালির কথা পর্যন্ত মনে রেখেছে! অথচ কিছু মানুষের জন্য একটা পৃথিবী দিয়ে দিলেও মনে রাখে না!

©️

অনেকেই ভাবেন, টিনএজ বয়স মানেই শুধু পড়াশোনা, বন্ধু-বান্ধব আর মজা করার সময়। টাকা-পয়সার চিন্তা নাকি বড়দের কাজ! কিন্তু একবার...
23/06/2025

অনেকেই ভাবেন, টিনএজ বয়স মানেই শুধু পড়াশোনা, বন্ধু-বান্ধব আর মজা করার সময়। টাকা-পয়সার চিন্তা নাকি বড়দের কাজ! কিন্তু একবার ভেবে দেখো—এই বয়সেই যদি তুমি শেখো কিভাবে টাকা ব্যবস্থাপনা করতে হয়, তাহলে ভবিষ্যতের বড় বড় সমস্যাগুলো কিন্তু অনেক সহজ হয়ে যাবে।

ভাবো তো, ধরো তোমার হাতে প্রতি মাসে একটু পকেটমানি আসে। সেটা দিয়ে তুমি যদি ছোটখাটো বাজেট করো, কোথায় খরচ হবে আর কোথায় হবে না—এই সিদ্ধান্তগুলো নিজে নাও, তাহলে তোমার মধ্যে দায়িত্ববোধ গড়ে উঠবে। নিজের খরচ নিজে সামলানো মানে নিজেকে আরও ভালোভাবে জানা, বুঝা এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হওয়া।

আর যদি তুমি এখন থেকেই কোনো উপায় খুঁজে কিছু আয় করতে পারো, যেমন—টিউশনি, ফ্রিল্যান্সিং বা অন্য কোনো ছোট কাজ, তাহলে সেই টাকাটা তোমার নিজের হবে। তখন তুমি বুঝতে পারবে টাকা উপার্জন কতটা কঠিন, আর সেটাকে সেভ করে রাখা কতটা জরুরি।

ছোট ছোট সঞ্চয় যেমন তোমাকে হঠাৎ কোনো বিপদের সময় সাহায্য করবে, তেমনি ভবিষ্যতের বড় স্বপ্ন—নিজের পড়াশোনা, ক্যারিয়ার, কিংবা একটা নতুন প্রজেক্ট—সেগুলো পূরণ করতেও সাহায্য করবে।

👉 মানি ম্যানেজমেন্ট মানে শুধু হিসাব রাখা নয়, এটা দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম ধাপ।
👉 টাকা নিয়ে সচেতন হওয়া মানে নিজের জীবনের চালকের আসনে বসা।

তাই দেরি না করে এখন থেকেই শেখো কিভাবে টাকা আয় করা যায়, কিভাবে খরচ নিয়ন্ত্রণ করা যায়, আর কিভাবে একটু একটু করে সঞ্চয় করা যায়।

আজকের ছোট অভ্যাসই আগামী দিনের বড় সাফল্যের ভিত্তি।

C

তোমার সন্তান তা-ই হবে, তুমি তাকে যা বলছো।তাকে স্মার্ট বলেছ,... সে বিশ্বাস করবে সে স্মার্ট।তাকে একরোখা বলেছ,... একটি গোঁয়...
23/06/2025

তোমার সন্তান তা-ই হবে, তুমি তাকে যা বলছো।

তাকে স্মার্ট বলেছ,... সে বিশ্বাস করবে সে স্মার্ট।
তাকে একরোখা বলেছ,... একটি গোঁয়ার তৈরি করে ফেলেছ তুমি।
যদি বলো─ "কিছুই মনে রাখতে পারো না তুমি!"... পরদিন থেকে স্কুলের পড়া মনে থাকবে না তার, এবং প্রায়ই কিছু-না-কিছু হারিয়ে ফেলবে।
তাকে "বেয়াদব" বললে,... তুমি কল্পনাও করতে পারবে না আগামীকাল কী প্রচণ্ড মাত্রার বেয়াদবি করবে সে তোমার সাথে, বন্ধুদের সাথে, এমনকি স্কুলেও!
তাকে যদি "লক্ষ্মী" বলো,... দেখবে─ যে-সহপাঠীটির সাথে কেউ খেলছে না, তাকে তোমার সন্তানটি ডেকে নিয়ে একসাথে খেলছে; দেখবে─ টিচারকে হেল্প করছে সে গড়িয়ে পড়ে যাওয়া মার্কার-পেনটি তুলে দিয়ে; দেখবে─ কান্নারত একটি শিশুকে আদর করছে সে।

বলো─ "তুমি বড়ো হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে 'পারবে'",... "তুমি ডাক্তার হতে 'পারবে'",... "গায়িকা হতে 'পারবে' তুমি",... "তুমি বড়ো হয়ে পেইন্টার হতে 'পারবে'";... পরমুহূর্ত থেকেই তোমার সন্তান আপ্রাণ প্রচেষ্টায় থাকবে অমন হয়ে উঠতে।

গুরুত্ব দিলে, শিশু নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ভাববে।
অবহেলা করলে, সে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে।

শিশুকে, তার ক্ষমতা চিনিয়ে দিতে হয়;
তবেই সে হয়ে ওঠে যোগ্য মানুষ, নিজের মধ্যকার ক্ষমতা চিনে নিয়ে।

অতএব, তোমার শিশুসন্তানকে বলো─ "তুমি এই জগতের সুন্দরতম মানুষ।"
তোমার সন্তানটি হয়ে উঠবে তোমার জীবনের সুন্দরতম উদাহরণ।

ম্যাজিক!

সে তা-ই হবে, যা সে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে।

Salah Uddin Ahmed Jewel অনুদিত─

Collected ❤️
23/06/2025

Collected ❤️

আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার পরে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে একটি ছবি—মাঠজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শত শত আধপোড়া টাকা...
16/06/2025

আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার পরে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে একটি ছবি—মাঠজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শত শত আধপোড়া টাকা। পাঁচশো,একশো টাকার বান্ডিল—জ্বলন্ত ছাই হয়ে মিশে গেছে ঘাসে। অর্ধপোড়া পাসপোর্ট, ছিন্নভিন্ন পরিচয়পত্র, অচেনা মুখগুলোর ছবি, কিছু হাহাকার মাখা দলিল—সব মিলেমিশে এক গভীর আর্তনাদ। এক মুহূর্তে যেন সব থেমে গেল। যে টাকাকে ঘিরে এত আকুলতা, এত যুদ্ধ—তা আজ নিঃশব্দ, জ্বলে-পোড়ে ধূসর। কী নিঃসঙ্গ সে মৃত্যু, কী নির্মম সে পরিণতি!

প্রতিদিন আমরা টাকার জন্য ছুটে চলি। কেউ ঘুম ভেঙে প্রথম ট্রেন ধরেন, কেউ রাত জেগে ফাইল সাজান, কেউ নিজের আনন্দগুলো বন্ধক রেখে ভবিষ্যতের সুরক্ষায় বিনিয়োগ করেন। কেউ ভালোবাসাকে সময় দিতে পারেন না, কেউ ছেলেমেয়ের মুখ থেকে হাসি ছিনিয়ে নেন ‘স্ট্যাটাস’-এর জন্য, কেউ সম্পর্কের ওপরে ফেলে দেন হিসেবের ছায়া। জীবনের প্রতিটা বাঁকে আমরা ভাবি—‘আরও একটু পেলে হয়তো জীবনটা পূর্ণ হবে’। অথচ, সেই ‘পূর্ণতা’ পৌঁছনোর আগেই আমাদের থামিয়ে দেয় সময়ের গাড়ি।

সত্যি বলতে কি, আমরা যত টাকা জমাই, জীবন ততটা সময় দেয় না তাকে ছুঁয়ে দেখার। কেউ যেতে পারেন না সেই পাহাড়ে, যেখানে বলেছিলেন—‘একদিন যাবো’, কেউ হাতে তুলতে পারেন না সেই প্রিয় খাবারের প্লেট, কারণ আজ ডায়েট। আর কেউ সাহস পান না মনের মানুষটিকে বলতে—‘ভালোবাসি তোকে’। আমেদাবাদের সেই পোড়া নোটগুলো যেন সেই না-বলা কথাগুলোর গোপন চিঠি, যা আগুনের আঁচে আজ চিরতরে নিশ্চিহ্ন।

জীবনের আসল সম্পদ কী—টাকা, না ভালোবাসা? ICU-তে শুয়ে থাকা এক মানুষ ভাবেন না, ‘আরও একটা প্রজেক্ট নিতাম’। ভাবেন, ‘শেষবারের মতো যদি মায়ের মুখটা দেখতে পেতাম…’ টাকা দিয়ে ওষুধ কেনা যায়, জীবন নয়। টাকা দিয়ে বাড়ি কেনা যায়, ঘর নয়। টাকা দিয়ে জামা কেনা যায়, ভালোবাসা নয়। টাকায় সুরক্ষা মেলে, সম্পর্ক নয়।

তাই আজ,এখানেই থেমে একটু নিঃশ্বাস নিন। খেয়ে ফেলুন প্রিয় খাবারটা, ভুলে যান ক্যালোরির হিসেব। ফোন করে বলুন মাকে—‘ভালোবাসি’, বাবাকে—‘তুমি ছাড়া কিছু হতো না আমার’। পুরোনো বন্ধুকে টেক্সট করুন—‘তুই ছিলি বলেই পারলাম’। প্রেমে থাকলে বলেই ফেলুন—‘তুই ছাড়া আমি অসম্পূর্ণ’। হয়তো আগামী সেকেন্ডটাই শেষ সেকেন্ড, কে জানে!

আমেদাবাদের সেই ছাই হয়ে যাওয়া টাকাগুলো, সেই অন্ধকারে ঢেকে যাওয়া যাত্রাপথ, আমাদের সামনে রেখে গেল একটা কঠিন প্রশ্ন—শেষে থেকে যায় কী? টাকা নয়, মানুষ। সম্পর্ক। ভালোবাসা। তাই, প্রাণ খুলে বাঁচুন। সর্বস্ব দিয়ে ভালোবাসুন।দুঃখ পেলে কেঁদে নিন, ইচ্ছে করলে হাসুন,মন চাইলে জড়িয়ে ধরুন প্রিয় মানুষটাকে। কারণ মৃত্যু তো আর খবর দিয়ে আসে না ...

Collected

সকালবেলা চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছি, এমন সময় আমার স্ত্রী বলে উঠল,"আজ তুমি তিয়াশার স্কুলে যাবে। অংকের ম্যাডাম নাকি ডেকেছেন।"...
14/06/2025

সকালবেলা চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছি, এমন সময় আমার স্ত্রী বলে উঠল,
"আজ তুমি তিয়াশার স্কুলে যাবে। অংকের ম্যাডাম নাকি ডেকেছেন।"

আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনের অধ্যাপক। আর আমার স্ত্রী—একটা সরকারি হাইস্কুলের বিজ্ঞানের শিক্ষিকা। স্বভাবতই, দুজনেই বেশ কড়া ধাঁচের মানুষ, বিশেষত সকালে।

তিয়াশা ক্লাস ফাইভে পড়ে। এমন কিছু ভয় পাওয়ার ছিল না, তবুও মনে হল ম্যাডাম যখন আলাদা করে ডেকেছেন, নিশ্চয়ই কোনও গুরুতর বিষয়।

স্কুলে গিয়ে দেখি বিশাল একটা ঘর। এক কোণে বসে আছেন গম্ভীর মুখে চশমা পরা অংকের ম্যাডাম। ঠিক যেন কোনও জজ সাহেব। পেছনে অভিভাবকদের সারি। এক এক করে নাম ডাকা হচ্ছে, বিচার চলছে।

প্রথমেই উঠল ঈশানীর মা। ঈশানীর তিনটা অংক ভুল হয়েছে শুনেই বলে উঠলেন, “বাড়ি গিয়ে দেখিস! এবার তোর সব টিউশন বন্ধ করে দেবো।”

তারপর রিয়া। ম্যাডাম বললেন, ভুলভাল অঙ্ক কষছে। তখনই রিয়ার বাবা গর্জে উঠলেন, “আজ থেকে মোবাইলটা খেলার বদলে বই পড়বি, না হলে...!”

বাচ্চারা একে একে ডেকে নিয়ে অপমানিত হচ্ছে, আর অভিভাবকেরা যেন সেই অপমানকে আরও একধাপ বাড়িয়ে দিচ্ছেন। কারও কাঁধে হাত রেখে বোঝানোর ভাষা নেই।

অবশেষে ডাক এল তিয়াশার।

আমি শান্তভাবে এগিয়ে গেলাম।

ম্যাডাম বললেন, “আপনার মেয়ে বেশ কিছু অংক পারেনি। ওর মনোযোগ ঠিক নেই মনে হচ্ছে।”

আমি হাসলাম। বললাম, “ম্যাডাম, অর্ধেক অংক তো শিখেছে! বাকিটা সময়ের সঙ্গে শিখে নেবে। আমরা তাকে শেখার আনন্দটা নষ্ট হতে দিতে চাই না।”

তিনি বিস্মিত মুখে তাকালেন, “আপনি নিশ্চিন্ত এতটা?”

“আমি নিজে মাধ্যমিকে অংকে পঁচিশ পেয়েছিলাম। আমার স্ত্রী পেয়েছিল সাতাশ। অথচ আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াই, আর ও বিজ্ঞানের শিক্ষিকা। তাই না ম্যাডাম, জীবনের রেজাল্ট সব সময় নম্বরে মাপা যায় না!”

তিয়াশা আমার হাত চেপে ধরল। মুখে ছোট্ট একটা হাসি। আর আমার হৃদয়টা ভরে উঠল।

ফিরে আসার সময় তিয়াশা বলল, “বাবা, আজ চিকেন খেতে পারি?”

আমি বললাম, “শুধু তুই না, রিয়াকেও ডাক। ওর বাবার কথা শুনে মনে হল আজ খেতে পাবে না ও।”

বাচ্চারা বইয়ের পাতার চেয়ে বড়ো কিছু—তাদের মন, তাদের প্রশ্ন, তাদের আবেগ। অঙ্ক ভুল করলে ভয়ের নয়, ভুল শুধরে নিতে শেখাটাই বড়ো।

চাপ দিয়ে নয়, পাশে থেকে শেখালে ওরাই একদিন আমাদের থেকেও বড়ো হয়ে উঠবে।

# কালেক্টেড

এই গোল চিহ্নিত ফ্লাটে ছিলেন  খুব সম্ভবত ইরানের রেভলুশনারি গার্ডের প্রধান। তাকে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার দূর থেকে টার্গে...
14/06/2025

এই গোল চিহ্নিত ফ্লাটে ছিলেন খুব সম্ভবত ইরানের রেভলুশনারি গার্ডের প্রধান। তাকে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার দূর থেকে টার্গেট করে তাকে হ'ত্যা করা হয়েছে। কোনো প্রকার হেরফের হয়নি। না অন্যকোনো ফ্ল্যাটে আ'ঘাত হেনেছিল, না আ'ঘাত ২ হাজার কিলো দূরত্ব দ্বারা বাধাগ্রস্ত হয়েছিল।

কতটা নিখুঁত প্রযুক্তি চিন্তা করেছেন।
আপনি আমি কেউই কিন্তু নিরাপদ না। নিরাপদ হতে পারেন নাই ইরানের আর্মির সিজিএস (সেনাপ্রধানের পরের সর্বোচ্চ পদ)। তারা নিজ গৃহে মা'রা গেছেন। যু'দ্ধ ক্ষেত্রে যেতে হয় নাই। এই হচ্ছে আমাদের সময়ের বাস্তবতা।

এর আগে এক নিমিষে হি'জ'বুল্লাহর কমান্ডদের ধ্বং'স করে ফেলেছিল। শুনে মনে হবে জাদু যে আপনি বহু দূরে বসে কেবল বললেন হও। আর সাথে সাথে হয়ে গেলো উদ্দেশ্য সাধন। জি, পেজার হা'ম'লার কথা বলছি। এই সবকিছু একদিনে হয় নাই। বহুদিন ধরে বাহিনীর কোন কোন সদস্য সত্যিকার অর্থে কার্যকর, তাদের চিন্তা কেমন, কোথায় থাকে, কীভাবে তাদের আ'ক্রমণ করা হবে এই সব তথ্য সংগ্রহ করে এই ঘটনাগুলো ঘটানো হয়েছে। মেধা, প্রযুক্তি, তথ্য আর স্ট্র্যাটেজির এই অপূর্ব সম্মিলিন দেখে আমাদেরকেও মাথা নাড়িয়ে বলতে হয় যে সত্যিই অপূর্ব।

যোগ্যতা এই লড়াইয়ে সমকক্ষ হবার কোন প্রচেষ্টা আমাদের আছে কি? নাকি আশা করছি পাগলামি, সমালোচনা আর নিজেদের মাঝে ঝগড়া করতে করতে আমরা জিতে যাবো?

Collected

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mrs. Cakiey posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mrs. Cakiey:

Share