05/04/2023
মুসলমান হয়ে বিজাতীয় কুসংস্কার অনুসরণ সম্পর্কে
হযরত ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, হযরত নবী
করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তিন প্রকার মানুষ অন্যান্য
পাপীদের তুলনায় আল্লাহর নিকট বেশী ঘৃণিত ১. হেরেম শরীফের সীমা রেখার
অভ্যন্তরে শরীয়তের সীমা লঙ্ঘনকারী ২ মুসলমান হয়ে ইসলাম ধর্মে
জাহিলিয়াতের বিজাতীয় কুসংস্কারের অনুসরণকারী ৩. অন্যায়ভাবে কোন
মুসলমানকে খুন করার জন্য উম্মত্ত ব্যক্তি। - বুখারী শরীফ, মিশকাত : ২৭
ফায়েদা : আল্লাহর নিকট এ তিন প্রকার অপরাধী সবচেয়ে ঘৃণিত। কারণ,
পবিত্র হেরেমের সীমানায় প্রবেশ করার পরও শরীয়তের সীমা লংঘন করা
প্রকাশ্যত: রাজ দরবারে প্রবেশ করে বিদ্রোহ করার শামিল। আর যে কোন সময়
যে কোন বিজাতীয় কুসংস্কারের অনুসরণ এবং তা মুসলমানদের মধ্যে জারী করার
অপপ্রয়াসে লিপ্ত হওয়া ইসলামী তরীকার সর্বনাশ ঘটায়। পূর্বেকার যুগে এই সব
কুসংস্কার বলতে বুঝায় যেমন : কারো মৃত্যুতে বিলাপ করে ক্রন্দন করা, দুঃখ
মুসিবতের সময় জামা-কাপড় ছিড়ে ফেলা, কোন কাজের জন্য যাত্রা করার কালে
কোন বিষয়কে কাল্পনিক ভাবে কু-সাত বা কু লক্ষণের ধারণা পোষন করা, জুয়া
খেলা, কন্যা সন্তানের জন্মকে অপছন্দ করা, বিজাতীয় অনুসরণে যে কোন দিবস
পালন করা, যেমন : হিন্দুয়ানী তরীকায় পহেলা বৈশাখ পালন করা, খৃষ্টানী
তরীকায় পহেলা এপ্রিলে আরেকজনকে বোকা বানানোর অভিনয় সুলভ আচরণ
করা, খৃষ্টীয় জগতের শ্রমিক দিবস পহেলা মে পালন করা, খৃষ্টানী অনুসরণে
রবিবারে সাপ্তাহিক ছুটি পালন করা, অগ্নি-পূজারীদের অনুসরণে স্বাধীনতার স্মৃতি
স্বরূপ শিখা অনির্বাণ ও শিখা চিরন্তনের মত মহা জঘন্য কুসংস্কার জারী করা,
কোন জাতীয় আনন্দ উৎসবে রং ছিটিয়ে উল্লাস করা, ঢোল- তবলা বাজিয়ে
নেচে-গেয়ে আনন্দ-উৎসব করা, নাট্য সামগ্রী সহকারে বিভিন্ন প্রকারের মেলার
আয়োজন করা, বলী খেলা- গরুর লড়াই ইত্যাদির জন্য মেলা-মজলিসের
আয়োজন করা ইত্যাদি। কোন নিরপরাধ মুসলমানকে খুন করার জন্য উন্মুক্ত
হওয়া মানব প্রাণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছারখার করে দেয়। তাই এ তিন প্রকার
পাপী আল্লাহর নিকট জঘন্যতম পাপী হিসেবে ঘৃণিত।