12/06/2025
_আপনি কি ফোনের ক্রীতদাস..?_
প্রতিবার রিং হলেই সবসময় আপনার ফোনটি তুলবেন না; আপনার ফোনটি আপনার সুবিধার জন্য ব্যবহৃত হয়; যারা আপনাকে কল করে তাদের জন্য নয়। আপনি যা করছেন তা চালিয়ে যাওয়ার স্বাধীনতা দিন এবং অন্যকে বলুন যেন আপনাকে SMS প্রেরণ করে। পড়তে খারাপ লাগছে ? কিছু দিন আগেও ফোন ধরতে না পারলে, আমি খুব উদ্বিগ্ন হয়ে থাকতাম। আমি ভাবতাম, আমি কিছু মিস করেছি। আমার একজন শিক্ষক এই সম্পর্কে অনেক ব্যতিক্রমী ছিলেন। তিনি নির্দিষ্ট কিছু সময়ে ফোনের উত্তর দিতেন। আমি কাজটি পছন্দ করতে শুরু করি এবং আমার টিচারের মতো মানসিকতাকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করি এবং নিজেকে বলি, "আমি মরে গেলেও দুনিয়ার সবকিছুই চলবে।"
আমার কথায় আমাকে 'স্বার্থপর' মনে হচ্ছে ? দেখুন আপনি যদি আপনার ফোনের দাস হয়ে যান তাহলে জীবনে ভালো কিছুই করতে পারবেন না।
ফোন আমাদের ফোকাস এবং সময় নষ্ট করে দেয়। তাই আপনার নিজের প্রয়োজনে ফোন ব্যবহার করুন। আপনার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষদেরকে বলে রাখুন যে আপনি কী নিয়মে ফোন ব্যবহার করে থাকেন। আপনি ফোন কল কম রিসিভ করলে আপনাকে মানুষ কম ফোন করবে। আর আপনার অনেক সময় বেঁচে যাবে।
আপনি যেভাবে মানুষকে অভ্যাস করাবেন তারা সেভাবেই আপনার সঙ্গে আচরণ করবে।
আপনি বলতে পারেন যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কল হতে পারে, সেটিও রিসিভ করব না ? অবশ্যই রিসিভ করবেন। বুঝবেন কীভাবে ?
খুব গুরুত্বপূর্ণ হলে একই ব্যক্তি একই সময়ে ৫-৬ বার কল করবে। আর সাধারণ প্রয়োজন হলে বারবার কল করা থেকে বিরত থাকবে। সাধারণত এমনটাই ঘটে তাই না ? একটু বুঝেশুনে মানিয়ে নিন। নিজেকে অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করা থেকে বাঁচান।
যদি সত্যিই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কল হয়,তবে কলকারী হাল ছেড়ে দেবে না। আপনি তা অবশ্যই বুঝতে পারবেন।
মোবাইল ফোনের ব্যবহার বর্তমান বিশ্বকে সবার হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। মানুষ এখন ঘরে বসেই দেশ বিদেশের যে কোনো খবর জানতে পারছে। শুধু খবরই নয় বরং মোবাইল ফোনের কারণে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ, ব্যবসায়, বাণিজ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ইত্যাদি সব বিষয়েই কাজ করা সম্ভব হয়েছে। মোবাইল আমাদের যেমন উপকার করে, তেমনি মোবাইল আমাদের ক্ষতিও করে।
মোবাইলের ক্ষতিকর অনেক দিক রয়েছে। মোবাইল ফোনের প্রভাবে মানুষ এখন নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। তাই চলুন জেনে নেই মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিকগুলো:
মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে শারীরিক সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে চোখ জ্বালা করা, ঘাড় ব্যথা করা, কানে সমস্যা, মাথা ব্যথা করা, চোখে ঝাপসা দেখা, অতিরিক্ত ক্লান্তি, জীবাণুর আক্রমণ, চোখের জ্যোতি কমে যাওয়া, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, চিন্তাশক্তি কমে যাওয়া, পর্নো আসক্তি, শ্রবণ শক্তি কমে যাওয়া ইত্যাদি।
(লেখা-বই-মনের শক্তি, লেখক সাবিত রায়হান)