26/07/2025
মাইলস্টোন ট্রাজেডিতে সবাই যেভাবে পাইলটকে গালাগালি করতেসে, তাতে বোঝা যায় বাঙালি কতটা মূর্খ!
পাইলট তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও যখন প্লেইনটাকে সেইফ জায়গায় নিতে পারলো না, তখন সে ইজেক্ট করসে। আর ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেসে। অল্প দূরত্ব থেকে লাফ দেওয়ায় সে আর বাঁচে নাই। আর ইজেকশনের পর ম্যাক্সিমাম পাইলটই নরমাল লাইফে ফিরে যেতে পারে না কারণ আজীবনের জন্য মেরুদণ্ডে ফ্র্যাকচার হয়ে যায়। ইজেকশন খুবই রিস্কি একটা প্রসেস।
একদল বলতেসে, পাইলট ইজেক্ট করে নাই, সে তার জীবন উৎসর্গ করে দিসে।
ও ভাই প্লিজ! তাকে হিরো বানাইতে গিয়ে মিথ্যা ছড়াইয়েন না।
আরেক দল বলতেসে, পাইলট ইচ্ছা করে স্কুলের উপর প্লেইন ছেড়ে দিয়ে নিজে বাঁচার জন্য প্যারাসুট নিয়ে আগেই লাফ দিসে।
না ভাই, কোন পাইলট ইচ্ছা করে আগেই ইজেক্ট করে না, এতে তার নিজের জীবনের রিস্ক থাকে। সর্বোচ্চ চেষ্টার পর কোন উপায় না থাকলে তখনই ইজেক্ট করে।
আরেকদল বিজ্ঞানী বলতেসে, পাইলট বেঁচে ছিল, তাকে মেরে ফেলা হইসে।
নিজেকে একবার জিজ্ঞেস করেন তো তাকে কেন মেরে ফেলা হবে? তার দোষটা কি?
আর কিছু ছাগল পরে আছে আরেক টপিকে, কেন পাইলটকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দিলো, কেন টিচারদেরকে দিলো না? ওরে ছাগল, সব বাহিনীর কিছু নিয়ম কানুন আছে। ওইগুলা সম্পর্কে জেনে শুনে তারপর কথা বল।
যে টিচাররা জীবন দিলেন, উনাদের রাষ্ট্রীয় সম্মান না দিলেও উনারা আমাদের কাছে সম্মানিত থাকবেন আজীবন।
যাই হোক, কথা সেইটা না, কথা হইলো এই ট্রাজেডিতে পাইলট হিরোও না, ভিলেইনও না। তাকে গালাগালি করা বন্ধ করেন। লোকটা নিজেও মারা গেসে।
Have some mercy, leave him alone!