18/06/2025
"এম্বুলেন্স এর অশরীরী"
এই ঘটনাটি অডিও শুনতে আমাদের Youtube চ্যানেল টি ভিজিট করুন।
Video Link : https://youtu.be/pqPb_hDFLn4
--ঘটনাটি কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার বারপাড়া গ্রামের।
--ঘটনাটি যিনি লিখে পাঠিয়েছেন আমি তার মতো করেই পরার চেষ্টা করছি।
--ঘটনাটি আমার বন্ধুর বড় ভাই এর সাথে ঘটা।
--আমার বন্ধুর বড় ভাই গৌড়িপুর হাসপাতালের একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক।
--উনি প্রতিদিন রাতে অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে রোগী বা লাশ আনা নেয়া করেন। কোনো দিন যদি রোগী বা লাশ না পান তাহলে ভাড়া টানেন অর্থাৎ প্যাসেঞ্জের আনা নেয়া করেন।
--তেমনি একদিন তিনি রোগী বা অন্য কোনো কাজ না পাওয়ায় তিনি ভাড়া টানার সিদ্ধান্ত নেন।
--তাই তিনি গৌরিপুর স্টেশন এ এসে কুমিল্লার কিছু পেসেন্জার নেন। প্রায় ৪-৫ জন পেসেঞ্জার ছিলেন তার গাড়িতে।
--এবং সেই ৪-৫ জন পেসেন্জার নিয়েই তিনি কুমিল্লার দিকে রওনা হন। তখন রাত আনুমানিক ১২ টা।
--প্রথম কিছুক্ষন সব কিছু ভালোই চলছিল। কিন্তু গাড়ি চালাতে চালাতে ড্রাইভার হটাৎ রাস্তার পাশে কিছু একটা জিনিস আবিষ্কার করে।
--পরে তিনি গাড়িটা থামালের আর তিনি সহ সব পেসেন্জার গাড়ি থেকে নেমে পড়লেন। তারপর তারা সবাই রাস্তার পাশে একটা মৃত লাশ পরে থাকতে দেখলেন।
--এই দৃশ্য টা কিন্তু সবাই দেখতে পেয়েছিলো। যেহেতু গাড়িটা অ্যাম্বুলেন্স ছিল তাই সবাই সিদ্ধান্ত নেয় এই লাশ টা কুমিল্লা মেডিকেল এ নিয়ে যাওয়ার জন্য।
--এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো যে তাদের মনে হচ্ছিলো যে লাশ টা এখনো ঠিক লাস হয়ে উঠেনি। এটা জীবিত কিছু একটা।
--তাই তারা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ এ নেয়ার সিদ্দান্ত নিলো সেটা। তারপর তারা লাশ টা গাড়িতে উঠায় তারপর ড্রাইভার গাড়ি চালানো শুরু করলো।
--এখানে বলা বাহুল্য যে ড্রাইভার একা সামনে ছিল আর পেসেন্জার ছিল পেছনে। অর্থাৎ পেসেন্জার লাশ এর সাথে ছিল।
--কিছুক্ষণ পর গাড়ির পেসেন্জার গাড়ি থামাতে বলে তারা সবাই ড্রাইভার কে বললো তারা সবাই চা নাস্তা খেয়ে আসবে।
--তারা ড্রাইভার কে রেখে চা নাস্তা খেতে গেলো তখন আনুমানিক ১ তা বাজে। ড্রাইভার অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রাস্তার পাশে অপেক্ষা করতে লাগলো।
--কিন্তু ১ ঘন্টা হয়ে গেলো পেসেন্জার দের আসার কোনো খবর নেই। তখন রাত আনুমানিক ২ টা।
--রাস্তায় কোনো যানবাহন নেই নেই কোনো আলো সুদু মাত্র ড্রাইভার অ্যাম্বুলেন্স এ বসে আছে।
--আর তার সাথে আছে একটি লাশ। এভাবে কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর হটাৎ ড্রাইভার কে পেছন থেকে কেউ একজন ডাক দিলো।
--ড্রাইভার মনে করেছে পেসেন্জার চা নাস্তা করে চলে এসেছে আর ড্রাইভার কারো গাড়িতে উঠার শব্দ পেলো।
--ড্রাইভার মনে করলো পেসেন্জার গাড়িতে উঠছে। তাই ড্রাইভার পিছনে ফিরে তাকালো পিছনে ফিরে তাকিয়ে সে যা দেখলো তা দেখার জন্য সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত ছিল সে সেই মুহূর্তে।
--সে দেখলো লাশটি বসে রয়েছে। আর তার দিকে বড় বড় লাল ২ টি চোখ করে চেয়ে রয়েছে।
--এই দৃশ্য দেখে সে এত ভয় পেলো যে সে আবার গাড়ি ব্যাক করে গৌরী পুরের দিকে চালাতে লাগলো।
--এভাবে কিছুক্ষন চালানোর পরে সে লাশটা তার পাশের সিটে আবিষ্কার করলো। এই দৃশ্য দেখার পর তার ভয় আরো বেড়ে যায়।
--এবং সেই লাশটি তার সাথে কথা বলা শুরু করলো। সে ভয়ে আরো স্পিড বাড়িয়ে গাড়ি চালাতে শুরু করল।
--এক পর্যায় সে গৌরী পুর হাসপাতালে পৌঁছে যায়। তারপর তার সহকর্মীরা তাকে গাড়িতে সেন্সলেস অবস্থায় পায়।
--তারপর তার সহকর্মীরা তার জ্ঞান ফেরান। তারপর কি হয়েছিল তা জিজ্ঞেস করা হলে সে আবোল তাবোল বলা শুরু করে।
--অর্থাৎ সে সম্পূর্ণ রূপে উন্মাদ এর মতো আচরণ করছিলো। সে তার সহকর্মীদেরকেও বিশ্বাস করছিলোনা।
--আর সবচেয়ে মজার বেপার যেটা হলো তার সহকর্মীরা তার সেই গাড়িতে কোনো লাশ খুঁজে পায়নি।
--কিন্তু ড্রাইভার এর সিটের পাশের সিটে এবং পেছনের সিটে অনেক রক্ত পরে থাকতে দেখা গেছে।
--তারপর থেকে সেই ড্রাইভার সাড়ে ৪ মাস উন্মাদ এর মতো ছিল।
--তারপর তাকে অনেক চিকিৎসা করে সুস্থ করা হয়। এই ছিল ঘটনাটি।
--আসা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে।
অনুমতি ছাড়া এই গল্পটি কেউ কপি করে নিয়ে অন্যের Facebook ID, Page, বা Group - এ পোস্ট করবেননা।