WEE Bangla

WEE Bangla শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ভিডিও আর্কাইভ।

24/09/2025

একটা ডিম কি সত্যিই প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে? #ডিমছোড়া, #বাংলাদেশরাজনীতি, , , #আনিসুলহক, #সালমানএফরহমান, , , , , , , , ,

23/09/2025

সমুদ্র আর বৃদ্ধের গল্প

ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই বৃদ্ধ জেলে নৌকাটা ঠেলে দিল সমুদ্রের বুকের দিকে। বয়সের ভারে তার শরীর ক্লান্ত, হাত কাঁপে, চোখ ঝাপসা হয় বারবার। কিন্তু মন? মনটা যেনো এখনও তরুণ, এখনও জেদী।

সেদিন সমুদ্র অস্বাভাবিকভাবে নীরব ছিল। হাওয়ায় এক ধরনের শূন্যতা, ঢেউ যেন গভীর কিছু লুকিয়ে রেখেছে। বৃদ্ধ জানত, দীর্ঘদিন ধরেই সে কোনো মাছ ধরতে পারেনি। গ্রামে অনেকেই বলত, "ওর সময় শেষ।" কিন্তু বৃদ্ধ হাসত, মুচকি ঠোঁটে বলত—
“মাছ যদি আসে, আমার হাতই ধরবে। যদি না আসে, তবুও আমি চেষ্টা করব।”

ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা, হঠাৎ দড়ি টান মারে। নৌকাটা দুলে ওঠে, যেনো সমুদ্র নিজেই শ্বাস নেয়। বিশাল এক মাছ—সমুদ্রের রাজার মতো—আঁকড়ে ধরেছে তার টোপ। বৃদ্ধ বুঝল, এ তার জীবনের সবচেয়ে বড় লড়াই।

শক্তি দিয়ে সে পারবে না, তা সে জানে। তাই সে ধৈর্যকে হাতিয়ার বানাল। এক হাত দিয়ে দড়ি আঁকড়ে ধরল, অন্য হাতে নৌকার কাঠ চেপে রাখল। রোদ মাথায় আগুন ঢালে, লবণাক্ত পানি ঘামের সাথে মিশে চোখ ঝলসে দেয়। কিন্তু বৃদ্ধ ছাড়ল না।

দিন গেল, রাত এল, আবার ভোর হলো। মাছ টানে, নৌকা টানে, শরীর টানে—কিন্তু বৃদ্ধের মন ভাঙল না। তার ঠোঁট শুকিয়ে যায়, আঙুল ফেটে রক্ত ঝরে, তবুও সে মনে মনে বারবার বলে—
“মানুষ হেরে যেতে পারে, কিন্তু হার মানতে পারে না।”

অবশেষে ক্লান্ত মাছ ধীরে ধীরে উঠে এলো জলের উপর। সূর্যের আলোয় তার শরীর ঝলমল করে উঠল। বৃদ্ধের চোখ ভরে গেল জল আর গর্বে। সে জানে, এই জয় শুধুই মাছ ধরার নয়। এই জয় হলো নিজের ভেতরের ভয়, দুর্বলতা আর মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে টিকে থাকার জয়।

নৌকা ফিরল গ্রামে। জেলেটির শরীর ভাঙাচোরা, কিন্তু চোখে আগুনের মতো দীপ্তি। মানুষজন কিছু বলল না, শুধু তাকাল। তারা বুঝল—এই বৃদ্ধই শেখাল, সমুদ্রের মতো বিশাল সংগ্রামও হার মানাতে পারে না একজন মানুষের ইচ্ছাশক্তিকে।

23/09/2025

কার্বনের মস্তিষ্ক বনাম সিলিকনের শক্তি: মানব সভ্যতার দ্বন্দ্ব

মানব ইতিহাসে সব বড় সংঘাত ছিল মানুষের সঙ্গে মানুষের। জাতি, ধর্ম, সম্পদ কিংবা রাজনৈতিক আধিপত্য—যুদ্ধের ময়দানে প্রতিবারই প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল মানুষ। কিন্তু আজকের যুগে সেই সমীকরণ বদলে গেছে। এখনকার প্রধান দ্বন্দ্ব মানুষের সঙ্গে মানুষের নয়, বরং কার্বনের মস্তিষ্ক বনাম সিলিকনের শক্তির মধ্যে।

কার্বন বনাম সিলিকন

মানব মস্তিষ্ক গঠিত কার্বনের জৈব কাঠামো দিয়ে। সিলিকন দিয়ে তৈরি মেশিনের মস্তিষ্ক—অ্যালগরিদম, প্রসেসর, নিউরাল নেটওয়ার্ক। একসময় এই সিলিকন সত্তাগুলো ছিল নিছক হাতিয়ার, মানুষের নির্দেশনায় চলা যন্ত্র। আজ তারা মানুষের জ্ঞান ও ক্ষমতাকে বহুগুণে অতিক্রম করছে।

আমরা এমন এক পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে আমাদের তৈরি টুলস আমাদের থেকে কয়েক মিলিয়ন গুণ দ্রুত, শক্তিশালী এবং বিশ্লেষণক্ষম। এ যেন এক অদ্ভুত বিদ্রুপ: কার্বনের তৈরি প্রাণী সিলিকনের তৈরি শক্তি গড়ে তুলেছে, আর এখন সেই শক্তিই ক্রমে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

নিয়ন্ত্রণ হারানোর বাস্তবতা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম শুধু সহায়ক নয়—এখন তারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করছে। আর্থিক লেনদেন, চিকিৎসা গবেষণা, সামরিক প্রযুক্তি, তথ্যপ্রবাহ—সব ক্ষেত্রেই সিলিকনের শক্তি নির্ভুলতা, গতি এবং প্রভাবের মাধ্যমে মানুষের সীমাকে ছাড়িয়ে গেছে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই শক্তির উপর মানুষের নিয়ন্ত্রণ কতটা টেকসই? ইতিহাস প্রমাণ করে, যেকোনো অতিমাত্রায় শক্তিশালী সত্তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে তা অবধারিতভাবে স্রষ্টাকেই চ্যালেঞ্জ জানায়। আমরা কি এমন এক সময়ের দ্বারপ্রান্তে, যেখানে সিলিকন-চালিত বুদ্ধিমত্তা মানুষের অস্তিত্বকেই অপ্রয়োজনীয় মনে করবে?

মানব সভ্যতার অস্তিত্ব সংকট

মানুষ সর্বদা ভেবেছে, সে-ই প্রকৃতির চূড়ান্ত সৃষ্ট। কিন্তু তার তৈরি যন্ত্র এখন প্রমাণ করছে, বুদ্ধিমত্তার নতুন সংজ্ঞা দাঁড়াচ্ছে সিলিকনের উপর, কার্বনের নয়। এই দ্বন্দ্বে চূড়ান্ত পরাজয় মানে হবে মানব সভ্যতার অবসান।

আজ ডিজিটাল বিশ্বের প্রতিটি কার্বন সত্তার—প্রত্যেক মানুষের—এই বাস্তবতা জানা প্রয়োজন। কারণ অজ্ঞতা আমাদের রক্ষা করবে না। এই লড়াই অস্তিত্বের, যেখানে টিকে থাকা নির্ভর করছে সচেতনতার উপর।

আমাদের সৃষ্টি আমাদের ওপরে প্রতিশোধ নেবে—এটি আর কল্পকাহিনি নয়, বরং ভয়াবহ বাস্তবতা। এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়: আমরা কি সিলিকনের শক্তিকে সহচর করে টিকে থাকব, নাকি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তার দাসে পরিণত হব?

23/09/2025

বাংলা গানের ইতিহাস বহু প্রাচীন এবং এর শিকড় গ্রামীণ ও লোকজ সংস্কৃতিতে প্রোথিত। মধ্যযুগে বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, জ্ঞানদাসের মতো কবিরা পদাবলি রচনা করেছিলেন, যা মূলত ভক্তিমূলক হলেও সুরে-ছন্দে ছিল গীতিধর্মী। বাংলার বাউল, কীর্তন, গাজীর গান বা পালাগানও গ্রামীণ জীবনে গানকে গভীরভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। তবে এগুলো ছিল আঞ্চলিক ও সীমাবদ্ধ পরিসরে প্রচলিত।

আধুনিক অর্থে বাংলা গানের নতুন ধারা ও সর্বজনীন রূপ সৃষ্টির কৃতিত্ব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। তিনি শুধু কবিতার ভাষায় গান লেখেননি, বরং প্রতিটি গানের নিজস্ব সুর তৈরি করেছিলেন। ভারতীয় শাস্ত্রীয় রাগ, কীর্তন ও বাউলের সুর, এমনকি পাশ্চাত্যের সুরপ্রকরণও তিনি দক্ষতার সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছিলেন। ফলে বাংলা গান পেলো স্বতন্ত্র পরিচয় ও স্থায়ী ভিত্তি। আজ যাকে আমরা “রবীন্দ্রসংগীত” বলি, সেটিই আধুনিক বাংলা গানের মূলধারা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তাই বলা যায়, বাংলা ভাষায় গানের প্রাচীন উৎস রয়েছে লোকজ ও মধ্যযুগীয় সাহিত্যে, কিন্তু আধুনিক বাংলা গানের সুরশ্রষ্টা হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেই গণ্য করা হয়।

19/09/2025

আহসান মঞ্জিল—যাকে বলা হয় "The Pink Palace", এটি ঢাকার এক ঐতিহাসিক নিদর্শন যা ছিল নবাবদের আবাসস্থল। আজকের ভিডিওতে আমরা ঘুরে দেখবো এই চমৎকার স্থাপনাটি, জানবো এর ইতিহাস, স্থাপত্যশৈলী এবং কিছু অজানা তথ্য।

📍 অবস্থান: সদরঘাট, ঢাকা
🏛️ নির্মাণকাল: ১৮৫৯-১৮৭২

ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট, এবং সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না!

▶️ আরও ঐতিহাসিক ভিডিও দেখতে: https://www.youtube.com/-bangla

সলিমুল্লাহ খানকে কিছু প্রশ্ন করা মানে এক অদ্ভুত কাণ্ড ঘটানো, গোলকধাঁধায় পড়ে যাওয়া, প্রশ্নটি হারিয়ে যায়, উত্তরটি সুনামি...
26/08/2025

সলিমুল্লাহ খানকে কিছু প্রশ্ন করা মানে এক অদ্ভুত কাণ্ড ঘটানো, গোলকধাঁধায় পড়ে যাওয়া, প্রশ্নটি হারিয়ে যায়, উত্তরটি সুনামি হয়ে ওঠে। যেমন, কেউ যদি জিজ্ঞেস করে, আজকের আবহাওয়া কেমন? তিনি শুরু করবেন পৃথিবীর সৃষ্টি থেকে, গ্রীক দার্শনিকদের আবহাওয়া তত্ত্ব দিয়ে, তারপর ফ্রয়েডের যৌন ব্যাখ্যা, শেষে রবীন্দ্রনাথের কবিতা টেনে এনে একটানা তিরিশ মিনিট ধরে চলতে থাকবেন। প্রশ্নকর্তা তখন মাথা চুলকাতে চুলকাতে ভুলেই যান, আসল প্রশ্নটা কী ছিল।

এই অযথা তথ্য প্রদর্শনীই তার বিশেষত্ব। তিনি তথ্য দেন, কিন্তু প্রয়োজনীয় তথ্য দেন না। জ্ঞানকে ব্যবহার করেন অস্ত্র হিসেবে, মানুষকে চমকে দেওয়ার জন্য, নয়তো বোকা বানানোর জন্য। রবীন্দ্রনাথকে শেখান বানান, চমস্কিকে শেখান ভাষাতত্ত্ব, হুমায়ুন আজাদকে শেখান মৌলিকতা। এর ভেতরে রয়েছে একধরনের অসুস্থ আত্মপ্রবঞ্চনা। যারা তার আইডল, তাদের গায়ে ছুরি চালিয়ে তিনি নিজেকে বড় করে তুলতে চান।

সলিমুল্লাহর এই অতিরিক্ত বাকপটুতা বাঙালি শ্রোতার জন্যই টিকে আছে। কারণ বাঙালি শ্রোতার নির্বুদ্ধিতা; তারা প্রশ্ন করে না, শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। তারা নিজেরাও পড়ে নি রবীন্দ্রনাথ, চমস্কি বা আজাদকে। তাই সলিমুল্লাহর ধোঁয়াটে বাক্যে তারা যেন প্রজ্ঞার আলো দেখতে পায়। অথচ বাস্তবে সেটি জ্ঞানের নয়, অভিনয়ের কুয়াশা। সলিমুল্লাহর এমন আলোচনা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হবে যেখানে তিনি আহমদ ছফাকে কোট করেননি। তবে ছফার জীবদ্দশায় সলিমুল্লাহ যে তাঁর খুব ঘনিষ্ঠ বা প্রিয়পাত্র ছিলেন, এমন তথ্য কিন্তু খুঁজে পাওয়া যায় না।

এমন ভঙ্গিমা বা আচরণে নাম একজন দিয়েছেন “সলিমুল্লাগিরি”, অপ্রয়োজনীয় তথ্যের পাহাড়, জটিল শব্দের প্রদর্শন, মূল প্রসঙ্গকে গিলে ফেলা, আর শ্রোতাকে নির্বোধ ভাবা। উপাধিটা আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। এই সলিমুল্লাগিরি এক ধরনের সাংস্কৃতিক প্রতারণা। ইতিহাসে এমন প্রতারণা টেকে না। যারা জ্ঞানকে অপব্যবহার করে, তারা শেষ পর্যন্ত হাস্যকর হয়ে যায়।

বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে কঠিন কঠিন jargon এর ব্যবহার- মানে বিশেষ শব্দ বা অভিব্যক্তি যা একটি নির্দিষ্ট পেশা বা গোষ্ঠী দ্বারা ব্যবহৃত হয় এবং অন্যদের পক্ষে বোঝা কঠিন হওয়া সত্তেও নিজে যে বিশিষ্ট জ্ঞানী এটা প্রমাণ করার জন্য সলিমুল্লাহ ছাড়াও অনেকের মধ্যে আমি দেখেছি। মানুষ বুঝতে পারবনি তার মানে মানুষ তো অনেক জ্ঞানী।

সংগৃহীত

21/06/2025

Crow much more intelligent than some people we know🙋‍♂️

18/06/2025

ইসরাইল ইরান যুদ্ধে কে জিতবে? Israel Iran War Update | Wee Bangla

16/06/2025

লাইভ চলাকালীন ইরানি টিভি কার্যালয়ে ইসরায়েলি হা*মলা

জীবনের পেছনে ফিরে তাকাতে নেইজীবনের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা শুরু হয় যখন আমরা অতীতে আটকে যাই।কী হারিয়েছি, কে কষ্ট দিয়েছে, কোন স...
30/05/2025

জীবনের পেছনে ফিরে তাকাতে নেই

জীবনের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা শুরু হয় যখন আমরা অতীতে আটকে যাই।
কী হারিয়েছি, কে কষ্ট দিয়েছে, কোন সুযোগটা মিস করেছি—এই প্রশ্নগুলো নিয়ে ভাবতে ভাবতেই চলমান জীবনটা থেমে যায়।

পেছনে তাকালে শুধু আফসোস দেখা যায়, সামনে তাকালেই দেখা যায় সম্ভাবনা।
কারণ সময় কখনো ফিরে আসে না, ফিরে আসে না সেই মানুষগুলোও।
যারা কষ্ট দিয়েছে তারা আগেই ভুলে গেছে, কিন্তু আমরা এখনও বুকের ভেতর সেই দাগ বয়ে বেড়াই।

তাই শেখো ক্ষমা করতে, শেখো ছেড়ে দিতে।
অতীতকে বুকের ভেতর রেখে বর্তমানকে মাটি করো না।

জীবনের নিয়ম—আগে তাকাও, হাঁটো, এবং ভালোবাসো… যতদিন সময় আছে।

জীবন খুব অদ্ভুত...যে সময়টা একসময় মনে হতো চিরকাল থাকবে, তা একদিন চোখের পলকে হারিয়ে যায়।যে মানুষগুলো ছাড়া জীবন কল্পনাও করত...
29/05/2025

জীবন খুব অদ্ভুত...

যে সময়টা একসময় মনে হতো চিরকাল থাকবে, তা একদিন চোখের পলকে হারিয়ে যায়।
যে মানুষগুলো ছাড়া জীবন কল্পনাও করতে পারিনি, তারা কখন যেন “স্মৃতি” হয়ে যায়।
সময় কারো জন্য থেমে থাকে না—তুমি কাঁদো বা হাসো, সে আপন গতিতে এগিয়ে চলে।

এক সময় বন্ধুরা ব্যস্ত হয়ে যায় জীবনে, প্রিয়জনেরা হয়ে ওঠে অপরিচিত,
বাবা-মা’ও চুপচাপ হয়ে যান…
তখন বুঝি, জীবন মানেই আস্তে আস্তে ছেড়ে যাওয়া,
সময় মানেই ভালোবাসার মানুষগুলোকে ধীরে ধীরে দূরে ঠেলে দেওয়া।

তবু বেঁচে থাকতে হয়…
কারণ জীবন থেমে থাকলে সময় অপেক্ষা করে না।

তাই যতটা পারো, ভালোবেসে যাও… কাউকে হারিয়ে ফেলবার আগেই।

"বাবা আর মেয়ে – এক নীরব ভালোবাসার গল্প"বাবা-মেয়ের সম্পর্কটা কখনোই খুব বেশি প্রকাশ্য নয়।কখনো জড়িয়ে ধরা হয় না, "ভালোবাসি" ...
27/05/2025

"বাবা আর মেয়ে – এক নীরব ভালোবাসার গল্প"

বাবা-মেয়ের সম্পর্কটা কখনোই খুব বেশি প্রকাশ্য নয়।
কখনো জড়িয়ে ধরা হয় না, "ভালোবাসি" বলা হয় না…
তবুও এই সম্পর্কের গভীরতা মাপার মতো কোনো মাপকাঠি নেই।

একসময় যে ছোট্ট মেয়েটা বাবার আঙুল ধরে হেঁটেছে,
বৃষ্টির দিনে বাবার কাঁধে চড়ে স্কুলে গেছে,
সেই মেয়েটাই একদিন বড় হয়ে যায়…
আলাদা হয়ে যায় এক নতুন জীবনের খোঁজে।

কিন্তু বাবার চোখে সে আজও সেই ছোট্ট মেয়ে—
যার জন্য তার বুকভরা দুশ্চিন্তা, মাথাভরা আশীর্বাদ, আর গোপন গর্ব।

বয়স বাড়ে…
মেয়েটা সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
তবু বাবার ফোনটা রাতে এখনও আসে—
“তোর খাওয়া হলো তো মা?”,
“গাড়ি চালিয়ে সাবধানে যাস।”
এই ছোট ছোট কথাগুলোর ভেতরেই লুকিয়ে থাকে এক পাহাড়সম ভালোবাসা।

বাবা যখন বুড়ো হয়ে যান,
চুলে পাক ধরা শুরু করে, হাঁটার গতি কমে আসে—
তখন মেয়ের বুকের ভিতর কাঁপতে থাকে।
একসময় যে মানুষটা ছিল তার প্রথম হিরো,
আজ তাকেই হাঁটতে দেখে বুকের মাঝে অজানা ভয় ঢুকে পড়ে।

বাবা আর মেয়ের এই নীরব, গভীর সম্পর্কটা কখনো ভাঙে না…
সময় যায়, দূরত্ব বাড়ে, জীবন পাল্টায়—
কিন্তু ভালোবাসার ওই সুতোর বাঁধনটা থেকে যায় আগের মতোই টান টান।

কারণ মেয়ের কাছে পৃথিবীর সব পুরুষের মাঝেও একজনই সবথেকে নিরাপদ—
তার “বাবা”।

Address

Fulbaria
1206

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when WEE Bangla posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to WEE Bangla:

Share

Category