03/09/2025
গত বছর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা তাদের দাবী মানা হয়নি বলে প্রতিবাদ স্বরূপ ১ থেকে ২ ঘন্টা প্রতীকী বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখেছিল। এরপর সারা দেশ তাদেরকে নিন্দা জানিয়েছিল। রাষ্ট্রদোহী হিসাবে অনেক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। তখন আওয়ামী দোসর হিসাবে তাদের আখ্যা দেয়া হয়েছিল। বহুদিন ধৈর্য্য ধরে জেলে জীবন কাটিয়ে তাদেরকে জাতির কাছে প্রমান করতে হয়েছে যে দেশকে অস্থিতিশীল করা বা দেশের মানুষকে সমস্যায় ফেলা তাদের উদ্দেশ্য ছিল না। নানান অভিযোগ ও প্রতিকুলতার মধ্যে ধৈর্য্য ধরে তারা এসব মিথ্যাচারের পেছনে যে আরইবির ভূমিকা ছিল তা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। আসলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে কিছুই করতে হয়নি, আরইবির নিপীড়নমুলক নীতি, শোষনমূলক ব্যবস্থা, কর্মীদের প্রতি অমানবিক ব্যবহার, ও অব্যাহত দুর্নীতির প্রমান দিয়ে আরইবি নিজেই তার স্বৈরাচারী চরিত্রকে জনগনের কাছে স্পষ্ট করেছে। গত জুন মাসে কর্মীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদেরকে আবার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন থেকে সরে আসতে বলা হয়।
পল্লীবিদ্যুত সমিতি সেই প্রতিশ্রুতির উপর ভরসা করে আবার তিন মাস অপেক্ষা করে। এর মধ্যে আবার শুরু হয়েছে ফেসবুক পোস্টের জন্য সাসপেন্ড করা, এক দিনের নোটিশে বদলী। এমনকি অসুস্থ ও শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও বাধ্য হয়েছেন অল্প সময়ের নোটিশে বদলি হতে।
সংস্কারের জন্য প্রথম কমিটির প্রস্তাব আরইবির মনপুত হয়নি মনে হয় কারণ সেখানে দ্বৈত ব্যবস্থার অবসানের সুপারিশ করা হয়েছে। তাই আবার কমিটি করেছে।
গতকাল যদি নীলফামারীর শ্রমিকদের উপর পুলিশের আক্রমণ দেখি, তাহলে বোঝা যাবে যে এই সরকার কোনো সমস্যার সমাধান না করে, জিইয়ে রেখে, শোষনের শিকার মানুষকে রাস্তায় নামতে উৎসাহিত করছে। রাস্তায় নামার পর আবার গুলি করছে। এই অরাজকতা সৃষ্টির জন্য দায়ী সরকারের অবিবেচক সিদ্ধান্ত। কিছু হলেই তারা অযৌক্তিক অজুহাত দেয়।
এখন জনগন কি ধরে নেবে? গত অক্টোবর মাসে সাময়িক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করাই কি তবে ঠিক ছিল? সরকার কি এটাই প্রমান করতে চায়? কঠোর অবস্থানে না গেলে যদি কথা না শোনে তাহলে কী উপায় তারা বাকী রেখেছে?
যমুনায় পুলিশের গুলি দিয়ে অভ্যর্থনা জানানোর পূর্বাভাস দিচ্ছে মনে হয় আবার। নাহলে আর কী ব্যখ্যা থাকতে পারে এমন আচরণের?
©