
27/07/2025
লাশের উপর ব্যবসা? রাজশাহী মেডিকেল চত্বরে অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের অমানবিক চিত্র!
একজন মানুষ মারা গেলে, পরিবারের ওপর নেমে আসে এক পাহাড়সম শোক। এমন এক মুহূর্তে কেউ চায় না আর বাড়তি ঝামেলা বা অপমান। কিন্তু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেই শোকের সময়েই যেন শুরু হয় আরেক দুঃস্বপ্ন — কথিত অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট।
যে পরিবারটি নিজের গাড়ি নিয়ে এসেছে, তাদেরও মৃতদেহ বহনের অনুমতি দেয়া হয় না। কারণ, 'ওয়ার্ডে কেউ মারা গেছে' — এই খবর ছড়াতে না ছড়াতেই হাজির হয়ে যায় এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা। আপনি চাইলেও আপনার স্বজনের মরদেহ নিয়ে যেতে পারবেন না, যদি না তাদের হাতে "নির্ধারিত অতিরিক্ত টাকা" তুলে দেন।
👉 সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হচ্ছে —
আপনি নিজের ইচ্ছেমতো গাড়ি বেছে নিতে পারবেন না।
আপনাকে নিতে হবে তাদের সিরিয়াল অনুযায়ী দেওয়া সেই জরাজীর্ণ গাড়িগুলো, যেগুলোতে নেই ঠিকমতো ফিটনেস, নেই দরজা-জানালার ঠিকঠাক অবস্থা।
বৃষ্টির দিনে ভেতরে পানি পড়ে, রাস্তায় নষ্ট হয়— তাও মরদেহ তোলার পর আর পিছু ফিরতে পারেন না কেউ।
📍 রাজশাহী থেকে পার্শ্বতী কোন জেলায় যেখানে একটি সুস্থ রোগী গেলে ভাড়া লাগে ২০০০ টাকা — সেখানে মৃতদেহ পরিবহনে দাবি করা হয় ৫০০০ টাকারও বেশি।
কোন আইন? কোন মানবতা?
এই সিন্ডিকেটের চোখে এ যেন কেবল এক ‘সুযোগ’, আর্তনাদের মাঝেই অর্থ কামানোর সুযোগ!
🔍 কিছু বছর আগে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ কিলোমিটার হিসেবে ভাড়ার তালিকা নির্ধারণ করেছিল।
কিন্তু সেই নিয়ম এখন কোথায়?
সেই মূল্যতালিকা কি কেবল কাগজ-কলমে থেকে যাবে?
এই সিন্ডিকেট ব্যবস্থা এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, কেউ প্রতিবাদ করার সাহসও পান না।
কারণ এমন অবস্থায় পরিবার শুধু মরদেহ দ্রুত বাড়ি নিতে চায়। কে আর ঝামেলায় যেতে চায়?
একজন মানুষের মৃত্যুর পরও যদি পরিবারকে এমন অমানবিক লেনদেনের শিকার হতে হয়, তবে আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছি?
এই দুর্নীতি আর কত বছর চলবে?
কবে এগুলোর জবাবদিহিতা আসবে?
আপনার কী কখনো এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে? কমেন্টে জানাতে পারেন
©