18/07/2025
হাজার বছর পর উনি আবার প্রাকটিস শুরু করেছেন। শরীরের কন্ডিশান আস্তে ধীরে রিকোভার হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ। আমার দুর্দিনে যারা ভালোবাসা আর দোয়া দিয়েছেন তাদের সবাইকে কৃতজ্ঞতা।
এখন একটা কথা, আর্নিং কমে যাওয়া নিয়ে অনেক পরিচিত আপুরা বিভিন্ন কোয়েশ্চেন করেছেন। আমি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বেশ অনেক মাসই হয়ে গেছে দূরে আছি। আমি কখনোই সোশ্যাল মিডিয়ার মানুষ ছিলাম না। আমার কর্মক্ষেত্র সব সময়ই ভিন্ন ছিলো। আর্নিং এর ব্যাপারে যদি বলেন তাহলে মনে করে দেখেন আমি প্রায়ই আমার লাইভে আপনাদের বলতাম ফেসবুক কোন পার্মানেন্ট আর্নিং সোর্স না। ফেসবুকে যারা কামায় তারা শুধুনাত্র কনটেন্টেই কামায় না। তাদের আর্নিং সোর্স একটা থাকে বা ফেসবুক থেকে পাওয়া টাকা তারা বিভিন্ন ব্যবসায়ে ইনভেস্ট করে। যারা পপুলার তারা ব্রান্ড প্রমোশনে মুভ করে। তাই আর্নিং সোর্সের জন্য আপনার স্কিল ডেভেলপম্যান্টে মনোযোগ দিতে হবে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার বাকি সেক্টরগুলাতে ও সমান গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। এখন আর্নিং যা কমেছে সেটা গ্লিচ বা কোন আপডেটের কারনে কমে নাই যে ঠিক হয়ে যাবে। এটা কমেছে এআই দিয়ে তৈরী কন্টেন্টগুলাকে ফেসবুক এলগরিদম ডিটেক্ট করতে পারছে না বলে। ফেসবুক এটা নিয়ে কাজ করবে। মেটা যদিও বিভিন্ন মামলায় বিশেষ করে পাবলিক সিকিউরিটি এবং প্রাইভেসি রিলেটেড বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চাপে আছে তারা তাদের এলগরিদম এবং এআই কনটেন্ট ডিটেক্টরের ডেভেলপমেন্ট না হওয়া পর্যন্ত আর্নিং আগের অবস্থায় আনবে না। কোন সোশ্যাল জায়ান্টই আনবে না এটা হলো প্রথম কথা। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, মেটা ক্রিয়েটরদের স্যালারি দিয়ে নিজেদের একটা শক্তপোক্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে। সেটা এমনই শক্তিশালী নেটওয়ার্ক যা দ্বারা শুধু ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোন দেশের সরকার পর্যন্ত পাল্টে দিতে পারে৷ এই নেটওয়ার্ক আপাতদৃষ্টিতে এখন মনে হচ্ছে শুধু বিজনেস স্পন্সর বা বুস্টের ব্যবসা করছে কিন্তু ডিপ ইনসাইড এটা আর নীরিহ কোন সোশ্যাল এপ নাই। তাই এটার উপর কড়া নজরদারী চলবে। ইউটিউবে আবার ব্যাপারটা এরকম না। তারা আগেও কম দিতো আর্নিং এখনো কম দেয় তবে তাদের ভবিষ্যত হচ্ছে নেটফ্লিক্সের মতো একটা বিঞ্জ নেটওয়ার্ক তৈরী করা। এটা একটা আদর্শ সোশ্যাল এপ এবং ওয়েবসাইট যা মেটার মতো ডার্ক নয়। তো তারা যা করছে সেটা হলো বড় লেংথের প্রফেশনাল কোয়ালিটির ভিডিও গুলাকে রিচ দিচ্ছে। এমনিতেও তারা তাদের ক্রিয়েটরদের মেইলের মাধ্যমে বিভিন্ন সহযোগীতা করে থাকে। তারা একেকটা চ্যানেল যেগুলো এপিসোড আকারে ভ্লগ দিচ্ছে ২০ মিনিট থেকে এক ঘন্টার সেগুলাকে ক্যাটাগরাইজড করছে। তো ইউটিউবে মুভ করার আগে আপনাকে মানসিক এবং ফাইনান্সিয়াল প্রস্তুতি নিয়ে নামার সাজেশান ই দিবো।
তো মিলিয়ন ডলার কোয়েশ্চেন হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় কাজ করবো কি করবো না? আমি সেই দুই বছর আগের কথারই পুনরাবৃত্তি করবো। কাজ সেটা করবেন যেটা আপনার করতে ভালো লাগে। আপনার ভিডিও বানাতে ভালো লাগে আপনি আগের মতো বানিয়ে যাবেন। ভিউ ভালো হলে ভিডিও কোয়ালিটি ভালো হলে ব্রান্ড প্রমোশনে ডাক পাবেন সেখান থেকে আয় আসবে। অরিজিনাল ক্রিয়েটর কেউ ই খুব যে সমস্যায় পড়বেনা তা না। তাদের ফেসবুক আয়ের অংশটা কমে যাবে।বাদবাকি তারা মোটামুটি সেট ই৷ ৫ বছরে যা কামানোর কামিয়ে ফেলেছে। আমার ভিডিও বানাতে ভালো লাগতো না আমি কন্টিনিউ করিনাই। আমি জানি এ আই এলগরিদমকে টেক্কা দিবে আমি তখন থেকে ক্লাস ও করিনা, পেজের প্রবলেম নিয়ে কোন কাজ ও করিনা। ব্যক্তিগত জীবন এবং ব্যবসার গ্রোথেে সময় দিয়ে সেগুলার অবকাশ ও ছিলো না।
তবে, অনলাইন মানে কিন্তু শুধুই সোশ্যাল মিডিয়া না। আপনি মাসে এক থেকে দেড় লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন এমন কাজ ও অনলাইনে পেয়ে যাবেন, ঘরে বসে করতে পারবেন। শুধু দরকার সঠিক গাইডলাইন এবং স্কিল যেগুলা ইউটিউব ঘাটলেও পেয়ে যাবেন। অরিজিনাল ক্রিয়েটর রা এখনো কামাচ্ছে তবে সেটা ফেসবুক থেকে না। আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের থেকে৷ তো যারা ভাবছেন কাজ ছেড়ে দিবেন তারা এক মিনিট সময় নিন এবং ভাবুন আর্নিং আসবেনা জেনেও আপনি ভ্লগ বানাতে আগ্রহ পান কিনা, আপনার ভালো লাগে কিনা৷ যদি উত্তরটা হ্যা হয় তাহলে আমার সবিনয় অনুরোধ থাকবে কাজ করা ছাড়বেন না।