23/05/2025
চমৎকার! তাহলে আমি "চিঠির ভেতর ভালোবাসা" গল্পের ধারাবাহিক সিরিজ শুরু করছি। নিচে **পর্ব ১** দিলাম:
---
# # # **পর্ব ১: অচেনা চিঠি**
রাত্রির দিনগুলো এখন খুব একঘেয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস, পড়াশোনা আর মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে কফি — এর মাঝেই কেমন একটা শূন্যতা অনুভব করে সে। একদিন ছুটির বিকেলে, সে ঠিক করল পুরনো বাড়িটার মেঝে ঘরটা একটু গুছিয়ে রাখবে। দাদুর রেখে যাওয়া বই, পত্রিকা আর পুরনো জিনিসপত্রে ভরা সেই ঘরটা যেন এক রহস্যের ভাণ্ডার।
হঠাৎ, এক কোণে ধুলোর মধ্যে লুকিয়ে থাকা ছোট একটা লোহার বাক্স নজরে পড়ে। খুলতেই দেখা যায় বেশ কয়েকটা হলুদ হয়ে যাওয়া চিঠি, প্রতিটাই যত্ন করে মোড়ানো, আর প্রতিটির ওপরে একটিই নাম — **“আরিফ”**।
রাত্রি ধীরে ধীরে প্রথম চিঠিটা পড়া শুরু করে। পুরনো কালির গন্ধ, লেখার ভঙ্গি আর প্রতিটি শব্দ যেন এক অজানা সময়ে টেনে নিয়ে যায় তাকে।
চিঠিতে লেখা ছিল—
> *“আরিফ,
> আমি জানি তুমি আসবে না। তবুও জানলার পাশে বসে থাকি, কারণ এই অপেক্ষাটাই যেন আমার একমাত্র সত্য। ভালোবাসি— এমন একটা শব্দ, যা মুখে বলতে পারিনি, কিন্তু প্রতিটি চিঠির অক্ষরে রেখে গেছি তোমার জন্য।”*
> — *লাবণ্য*
রাত্রির বুকটা হঠাৎ কেমন যেন ধক করে ওঠে। কে এই লাবণ্য? কেন এত কষ্টে লেখা এই চিঠিগুলো? আরিফ কি কোনোদিন এসেছিল?
তার চোখে ভেসে ওঠে লাবণ্যের ছবি, যদিও কখনও দেখেনি তাকে। কেমন ছিলেন তিনি? আর এত গভীর ভালোবাসা যিনি ধারণ করেছিলেন— তার গল্পটা কি এভাবে হারিয়ে যাবে?
রাত্রি ঠিক করে, সে খুঁজে বের করবে এই গল্পের শেষটা।
---
**পরবর্তী পর্বে:** রাত্রি খুঁজে পায় আরও এক গোপন চিঠি, যেটা লাবণ্য কোনওদিন পাঠাতে পারেননি...
---
।