নৃ-গুঞ্জন

নৃ-গুঞ্জন Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from নৃ-গুঞ্জন, Magazine, Fulbaria.

প্রতি বছর, প্রাক্তন রোমান সাম্রাজ্যের অঞ্চলে প্রায় ১,৫০০টি প্রাচীন ল্যাটিন শিলালিপি পাওয়া যায়। এই লেখাগুলো পাথরে খোদা...
19/08/2025

প্রতি বছর, প্রাক্তন রোমান সাম্রাজ্যের অঞ্চলে প্রায় ১,৫০০টি প্রাচীন ল্যাটিন শিলালিপি পাওয়া যায়। এই লেখাগুলো পাথরে খোদাই করা, দেয়ালে আঁকা, বা স্মৃতিস্তম্ভে উৎকীর্ণ সাধারণ রোমানদের জীবন সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে। সময়ের সাথে সাথে এদের অনেকগুলো ক্ষতিগ্রস্ত ও অসম্পূর্ণ হয়ে পড়েছে, যা বোঝা কঠিন করে তুলেছে।
এখন, গুগল ডিপমাইন্ডের গবেষকরা এবং তাদের একাডেমিক সহযোগীরা এনিয়াস নামে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সরঞ্জাম তৈরি করেছেন, যার নামকরণ করা হয়েছে রোমান পুরাণের ট্রোজান নায়কের নামে। এনিয়াস হারিয়ে যাওয়া শব্দ পুনরুদ্ধার করতে পারে, লেখার তারিখ ও স্থান সনাক্ত করতে পারে, এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে অন্যান্য শিলালিপির সাথে সমান্তরাল তথ্য খুঁজে বের করতে পারে...

03/08/2025

The Shah Jalal Dargah

Genre : micro-doc
Release date: August 3, 2025 (Bangladesh)
Director: Nrigunjan
Language: English
Running time: 2m 46s
Distributed by: Nrigunjan Productions

Indigenous Knowledge Systems and Practices among PVTGs in India - IIভারতে পিভিটিজি সম্প্রদায়ের মধ্যে স্থানীয় জ্ঞান ব্যব...
29/07/2025

Indigenous Knowledge Systems and Practices among PVTGs in India - II

ভারতে পিভিটিজি সম্প্রদায়ের মধ্যে স্থানীয় জ্ঞান ব্যবস্থা ও চর্চা শীর্ষক এই বইটি তার বিষয়বস্তুর জন্য অনন্য, কারণ এটি সম্পূর্ণভাবে বিশেষভাবে অরক্ষিত নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের জন্য উৎসর্গীকৃত। বিশেষ করে, এটি ভারতের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি এবং স্থানীয় জ্ঞান ব্যবস্থাকে বোঝার এক গভীর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। পিভিটিজি বলতে বোঝায় অরক্ষিত নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়।

প্রফেসর এ.বি. ওটা, ড. রজনী লাম্বা এবং ড. সুনীতা রেড্ডি তাদের মৌলিক গবেষণার মাধ্যমে নৃগোষ্ঠী অঞ্চলে, বিশেষত পিভিটিজি সম্প্রদায়ের মধ্যে, আধুনিক জীবনের দ্রুত পরিবর্তনের প্রভাব তুলে ধরেছেন। তারা আধুনিক জীবনধারা, নতুন আইনি, প্রশাসনিক এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রবর্তনের কারণে সম্প্রদায়ের মুখোমুখি হওয়া চাপ ও সংকটের কথা উল্লেখ করেছেন। বইটি পিভিটিজি সম্প্রদায়ের রূপান্তর এবং কিছু ক্ষেত্রে তাদের অস্তিত্ব হারানোর প্রক্রিয়ার দিকে নজর দিয়েছে। দেশের নৃগোষ্ঠীদের বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সম্পাদকরা জোর দিয়েছেন যে, তাদের সহজাত দক্ষতা কীভাবে তাদের টেকসই জীবনযাপনের ক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করেছে, তা নথিবদ্ধ করার জরুরি প্রয়োজন রয়েছে।

পরিধি ও কাঠামো

সম্পাদকরা পিভিটিজি সম্প্রদায়ের স্থানীয় ঐতিহ্যগত জ্ঞান ব্যবস্থা ও প্রথাগুলোকে একত্রিত করার জন্য বিদ্যমান গবেষণা এবং বিশেষজ্ঞদের কাজের উপর ভিত্তি করে একটি সাধারণ প্রয়াস চালিয়েছেন।

বইটিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লেখকদের লেখা ২১টি অধ্যায় রয়েছে, যা চারটি ভাগে বিভক্ত।

প্রথম ভাগ- টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য পূরণে নৃগোষ্ঠী স্থানীয় জ্ঞান ব্যবস্থা ও প্রথা এবং তাদের চ্যালেঞ্জ, হিমালয় এবং আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের প্রাচীন জ্ঞানের উপর আলোকপাত করেছে।

দ্বিতীয় ভাগ- পিভিটিজি-দের টেকসই জীবনযাপন: খাদ্য, কৃষি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, চুকটিয়া ভুজিমা, কোরাগা, কুটিয়া কন্ধ, বিরহোর এবং ডংরিয়া কন্ধ নৃগোষ্ঠীদের এথনো-পরিবেশগত জ্ঞান এবং ঐতিহ্যগত প্রথাগুলো নিয়ে আলোচনা করেছে।

তৃতীয় ভাগ- জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য, চিকিৎসা ও এথনোমেডিসিন জ্ঞান, সাহারিয়া, বাইগা, লোধা এবং বুকসা সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্যসেবা প্রথার বিষয়গুলো তুলে ধরেছে।

চতুর্থ ভাগ- পিভিটিজি-দের বস্তুগত সংস্কৃতি, শিল্প ও কারুশিল্প এবং জীবনচক্রের আচার-অনুষ্ঠান, প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার এবং সম্প্রদায়ের উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেছে।

সম্পাদক এবং লেখকদের গভীর জ্ঞান ও এ বিষয়ের প্রতি তাদের সুনির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি বইটির প্রতিটি অধ্যায়ে স্পষ্ট।

এই বইটি পিভিটিজি সম্প্রদায়ের বেঁচে থাকা, অভিযোজন এবং টেকসই জীবনযাপনের জন্য গৃহীত পদক্ষেপগুলোর বিশ্লেষণাত্মক, বুদ্ধিবৃত্তিক এবং সাংস্কৃতিক বিশ্লেষণ প্রদান করে। এটি শিক্ষাবিদ, গবেষক, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এমন ছাত্র, নীতিনির্ধারক এবং প্রশাসকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রায়শই ব্যবহৃত সম্পদ এবং পথপ্রদর্শক হয়ে উঠতে পারে। বইটির একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো এর উপস্থাপনা; এটি একাডেমিক হলেও সহজবোধ্য ভাষায় লেখা। যদিও এটি আঞ্চলিক বিষয়ের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে, তবুও আলোচিত বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক গুরুত্ব বহন করে, যা বইটির আবেদনকে ভারতের বাইরেও প্রসারিত করে তোলে।

বই রিভিউ: অঙ্গনা গোস্বামী
ভাষান্তর - নৃ-গুঞ্জন

11,000-year-old feast in Iran's Zagros Mountains reveals long-distance animal transport and early Neolithic social ritua...
28/07/2025

11,000-year-old feast in Iran's Zagros Mountains reveals long-distance animal transport and early Neolithic social rituals

Archaeologists have uncovered new evidence that ancient human communities in western Iran, over 11,000 years ago, were engaging in grand feasting rituals with wild animals transported from far-off places, well before the dawn of agriculture. The research, published in Communications Earth & Environment, is centered around discoveries at the Early Neolithic site of Asiab in the Zagros Mountains...

ইরানের জাগ্রোস পর্বতমালায় ১১,০০০ বছরের পুরনো ভোজসভা: দূর-দূরান্ত থেকে পশু পরিবহন ও প্রাথমিক নব্যপ্রস্তর যুগের এক সামাজিক ভোজনসভা।

প্রত্নতাত্ত্বিকদের অক্লান্ত গবেষণায় উন্মোচিত হয়েছে এক অপূর্ব ইতিহাস। প্রায় ১১,০০০ বছর পূর্বে, পশ্চিম ইরানের জাগ্রোস পর্বতমালার বুকে, যখন কৃষির প্রভাত এখনও দূর অস্তিত্বে ছিল, তখন প্রাচীন মানব সম্প্রদায় দূর-দূরান্ত থেকে বন্য পশু পরিবহন করে মহানন্দে ভোজসভার আয়োজন করত। কমিউনিকেশনস আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট পত্রিকায় প্রকাশিত এই গবেষণা জাগ্রোসের আসিয়াব নামক প্রাথমিক নব্যপ্রস্তর যুগের স্থানে প্রাপ্ত নিদর্শনের ওপর আলোকপাত করে, যা সে যুগের সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

Introducing Anthro Tales- Where culture becomes storyWe are thrilled to launch Anthro Tales, an online magazine explorin...
13/07/2025

Introducing Anthro Tales- Where culture becomes story

We are thrilled to launch Anthro Tales, an online magazine exploring the human experience through storytelling, art and anthropology - made by and for curious minds.

From rural rituals to city subcultures, from myths that shaped generations to modern voices challenging tradition, this is a space where lives, identities and histories come alive in creative form.

We are now OPEN for submissions!

Writers, researchers, artists, photographers - if your work tells a human story with cultural depth, we want to see it. Think essays, photo series, comics, interviews, poems- anything that explores what it means to be human.

Let's document, imagine and express the stories that makee us who we are. Together.

Follow us, spread the word, and tag your friends who see the world a little differently.

অ্যানথ্রো টেলস্ - যেখানে সংস্কৃতি রূপ নেয় গল্পে।

আমরা অতি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, অ্যানথ্রো টেলস্ এর যাত্রা শুরু হয়েছে! এটা একটা অনলাইন ম্যাগাজিন, যেখানে গল্প, ছবি আর ভাবনার মাধ্যমে আমরা খুঁজে দেখি মানুষ আর জীবনের অভিজ্ঞতা।

গ্রামের রীতিনীতি থেকে শহরের নতুন ধারা, পুরনো গল্পকথা থেকে নতুন প্রজন্মের ভিন্ন চিন্তা- এখানে উঠে আসবে জীবন, পরিচয় আর ইতিহাসের নানা রং।

আমরা এখন কনটেন্ট নিচ্ছি!

যারা লেখেন, ছবি তোলেন, গবেষণা করেন বা আঁকেন - যদি আপনার কাজ মানুষের গল্প বলে বা সংস্কৃতির কথা তুলে ধরে,, তাহলে আমাদের পাঠাতে পারেন। প্রবন্ধ, ফটো স্টোরি, কমিক, সাক্ষাৎকার, কবিতা- যা কিছু মানুষকে বুঝতে সাহায্য করে।

চলুন, একসাথে তুলে ধরি আমাদের দেখা, ভাবা আর অনুভবের গল্পগুলো।

আমাদের ফলো করুন, বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন, আর ট্যাগ করুন সেই মানুষদের, যারা পৃথিবীকে একটু ভিন্ন চোখে দেখে।

Send your content to this address- [email protected]

'শাহ-ই-বাঙ্গালিয়ান' বাংলা সালতানাতের সুলতানদের এথনিসিটি।বাংলা সালতানাতের সুলতানরা Ethnically কোন জাতির ছিলেন?অনেকে প্রায়...
30/12/2024

'শাহ-ই-বাঙ্গালিয়ান'
বাংলা সালতানাতের সুলতানদের এথনিসিটি।

বাংলা সালতানাতের সুলতানরা Ethnically কোন জাতির ছিলেন?

অনেকে প্রায়ই প্রশ্ন করে থাকেন যে বাংলার সুলতানরা বায়োলজিক্যালি কোন জাতির ছিলেন? আবার অনেকের মধ্যে বদ্ধমূল একটি বড়ো রকমের ভ্রান্ত ধারণা আছে যে, বাঙ্গালা সালতানাতের সুলতানরা নাকি তুর্কী ছিলেন!

আজ সে বিষয় নিয়েই খোলাখুলিভাবে আলোচনা করতে চলেছি। এর উত্তর হলো- স্বাধীন বাংলা সালতানাতে রাজত্বকারী কোনো রাজবংশই তুর্কী ছিলো না, বাংলার একজন সুলতানও তুর্কী ছিলেন না, একজনও নয়।

মহান বাঙ্গালা সালতানাতে (১৩৫২-১৫৩৯, ১৫৫৪-১৫৭৬) ৬ টি রাজবংশ রাজত্ব করেছে। যথা- (১) ইলিয়াস শাহী বংশ, (২) রাজা গণেশের পরিবার বা কানস শাহী বংশ, (৩) হাবশী বংশ (৪) হোসেন শাহী বংশ, (৫) মুহাম্মাদ শাহী বংশ এবং (৬) কররানী রাজবংশ `|| ~

(১) এর মধ্যে বাংলা সালতানাতের সূচনাকারী ইলিয়াস শাহী রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ্ ছিলেন একজন পার্শিয়ান, আরও নির্দিষ্ট করে বললে তিনি ছিলেন সিস্তানী। সিস্তানীরা হলো ইরানে বসবাসকারী একটি স্বতন্ত্র সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী, ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশে যাদের বাস।

সিস্তানীরা ইউরেশিয়ার শক জাতির বংশধর, সিস্তানীরা সুপ্রাচীনকাল থেকে ছিলো যোদ্ধা জাতি।

সুলতান ইলিয়াস শাহ্ ছিলেন একজন পার্শিয়ান (সিস্তানী) বংশোদ্ভুত ব্যক্তিত্ব এবং তাঁর মাতৃভাষা ছিলো পার্শিয়ান সিস্তানী (ফার্সী ভাষার সিস্তানি উপভাষা)

সুতরাং যেহেতু সুলতান ইলিয়াস শাহ্ পার্শিয়ান ছিলেন, তাই তার প্রতিষ্ঠিত ইলিয়াস শাহী বংশ এথনিক্যালি পার্শিয়ান (সিস্তানি)।

আর ইলিয়াস শাহী বংশের সুলতানরা সকলেই ধর্মান্তরিত বাঙালি নেটিভ বিয়ে করতেন। ইলিয়াস শাহর স্ত্রী সুলতানা ফুলওয়ারা বেগম (ফুলমতী বেগম) ছিলেন বিক্রমপুরের বজ্রযোগিনীর ব্রাহ্মণ ঘরের মেয়ে, ইসলাম গ্রহণের আগে তাঁর নাম ছিলো- পুষ্পবতী ভট্টাচার্য। তিনি সুলতান সিকান্দার শাহর আম্মা এবং ইলিয়াস শাহর সংগ্রামময় ও সাফল্যমণ্ডিত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রের অংশীদার।

ইলিয়াস শাহের সম্রাজ্ঞী সুলতানা ফুলওয়ারা বেগম থেকে শুরু করে সকল ইলিয়াস শাহী সম্রাজ্ঞীই ছিলেন বাঙ্গালী নেটিভ। ইলিয়াস শাহী বংশের রীতি ছিলো নেটিভ বিয়ে করা। ২য় সুলতান সিকান্দার শাহ্ থেকে আরম্ভ করে জালালউদ্দিন ফতেহ শাহ্ অবধি ইলিয়াস শাহর সব বংশধর ছিলেন বাঙ্গালী নেটিভ মায়ের সন্তান। আর যেহেতু তারা নেটিভ বাঙালি মায়ের সন্তান, তাই তাদের মাতৃভাষা (মায়ের ভাষা) অবশ্যই বাংলা!

ইলিয়াস শাহ্ এক অসাধারণ রীতির প্রচলন করেন। ইলিয়াস শাহী সুলতানেরা সবাই বাঙালি বিয়ে করতেন। রাজপরিবারের সদস্যরা নেটিভ বিয়ে করায় রাজপরিবারের দেখাদেখি বহিরাগত অভিজাত মুসলিম আমির-ওমরাহ, সমরনায়ক, সৈনিক ও মন্ত্রীগণও বাঙালি বিয়ে করা শুরু করেন ও বাংলায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ফলে দলে দলে বাংলার অজস্র মানুষ ইসলামের সাম্যের বাণী গ্রহণ করে মুসলিম হতে থাকে। আর এভাবেই বাংলায় ইসলামের ব্যাপক বিস্তার ঘটে এবং বহিরাগত মুসলিমরা ধীরে ধীরে বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিসত্তার সাথে মিশে একাকার হয়ে যান। এভাবেই বহিরাগত মুসলিমরা বাংলা জনজাতির সাথে মিশে যাওয়া শুরু করেন, তারা পরিণত হন বাঙ্গালীতে।

তাই যেহেতু সিকান্দার শাহ্ থেকে শুরু করে সব সুলতানের মা-ই ছিলেন নেটিভ বাঙালি, তাই ইলিয়াস শাহী বংশ ছিলো- "সিস্তানী ও বাঙালির মিশ্রিত ধারা"

(২) রাজা গণেশের পরিবার বা কানস শাহী বংশ বায়োলজিক্যালি নেটিভ বাঙালিই ছিলো- সবারই জানা।

গণেশের পুত্র সুলতান জালালউদ্দিন মুহাম্মাদ শাহর রাজত্বকালে বাংলায় সবচেয়ে বেশি ইসলামের বিস্তার ঘটেছিলো। এটি প্রায় সবারই জানা যে, রাজা গণেশের পরিবার জাতিগতভাবে বাঙ্গালিই। গণেশ ছিলো বারেন্দ্রী ব্রাহ্মণ, দিনাজপুরের জমিদার। সে ইলিয়াস শাহী সুলতানদের দুর্বলতার সুযোগে ক্ষমতার দখল নিয়ে মুসলিমদের উপর অত্যাচার করা শুরু করে দিয়েছিলো। আল্লাহর ইচ্ছায় তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র রাজকুমার যদু ইসলাম গ্রহণ করেন ও পিতা ও ছোটভাইকে হত্যা করে ইসলামি সাম্রাজ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।

(৩) হাবশীরা ছিলো আবিসিনিয়ান বা ইথিওপিয়ান। তাদেরকে বারবাক শাহর আমলে পঙ্গপালের মত নিয়ে আসা হয়েছিলো সেনাবাহিনী, প্রশাসনে নিযুক্তির জন্য। এরা একসময় ইলিয়াস শাহী বংশকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে নেয় ও ছয় বছর চরম দুঃশাসন চালায়।

উল্লেখ্য, হাবশিদের সাথে বাঙালির কোনো মিশ্রণ ঘটেনি। কারণ, হাবশি দাসদের পাশাপাশি অনেক হাবশী দাসীকেও আনা হয়েছিলো। ক্রীতদাসদের সাথে ঐ আবিসিনিয় দাসীদের-ই বৈবাহিক সম্পর্ক হয়েছিলো। কোনো বাঙালিকে তারা বিবাহ করেনি কখনো এবং হাবশিদের উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করার পর সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ্ তাদেরকে বাংলা থেকে চিরতরে বহিষ্কার করেছিলেন।

(৪) হোসেন শাহী বংশ এথনিক্যালি বাঙালি নেটিভই ছিলো। বুকাননের মতে আলাউদ্দিন হোসেন শাহ্ ছিলেন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সন্তান।
যৌবনে গৌড়ের আধিকারিক সুবুদ্ধি রায়ের কর্মচারী ছিলেন তিনি।

অনেক ক্ষেত্রে উল্লেখ করা হয় যে, আলাউদ্দিন হোসেন শাহ্ আরব ছিলেন। ধারণা করার কারণ তাঁর নামের পূর্বে 'সৈয়দ' (সৈয়দ হোসেন) তাই বলা হয়ে থাকে অনেকক্ষেত্রে যে, তিনি নাকি মক্কার শরিফের সন্তান - রাসুল (সা.) এর বংশধর। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর বংশধরের নামের পূর্বে সৈয়দ/সায়্যিদ ব্যবহারের রীতি এসেছে শিয়াদের থেকে।

কিন্তু হোসেন শাহ্ ছিলেন সুন্নি। তাই রমেশ্চন্দ্র সাহার এই "সৈয়দ তত্ত্ব' গ্রহণযোগ্য নয়। আরবিতে সৈয়দ অর্থ জনাব, হোসেন শাহ্ উত্তরবঙ্গের নেটিভ সৈয়দ পরিবারের ছিলেন।
এছাড়া তিনি গৌড়ের সুবুদ্ধি রায়ের অধীনে কাজ করেছেন যৌবনে। একজন শরিফের সন্তান বাংলায় এসে নিম্নপদে তাও অমুসলিমের অধীনে কাজ করবেন- এটি অনেকটাই ভ্রান্ত ধারণা। হোসেন শাহ্ তাঁর উস্তাদ চাঁদ কাজীর কন্যাকে বিবাহ করেছিলেন বলে শক্ত মত রয়েছে।

এই সকল কিছু বিবেচনায় প্রমাণিত হয় যে, তিনি নেটিভ বাঙালি ছিলেন, হোসেন শাহী রাজবংশ নেটিভ। এছাড়া হোসেন শাহী বংশও ইলিয়াস শাহী বংশের মতোই বংশানুক্রমে বাঙালি নেটিভই বিবাহ করতেন। তাঁর প্রমাণ হিসেবে অনেক পুঁথিতে গ্রাম সম্পর্কে চৈতন্যকে হোসেন শাহর শ্যালক বলা হয়েছে।

হোসেন শাহ্ নিজে নেটিভ বিবাহ করেছিলেন। তাঁর সম্রাজ্ঞী নেটিভ ছিলেন...এছাড়া নুসরত শাহ্ নেটিভ ছাড়াও দিল্লীর সুলতান ইব্রাহিম লোদীর কন্যাকে বিয়ে করেছিলেন।

(৫) মুহাম্মাদ শাহী ও কররানী বংশ দুইটাই পাঠান। মুহাম্মাদ শাহী বংশের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মাদ খান শূর ও কররানী বংশের প্রতিষ্ঠাতা তাজ খান কররানী।

দাউদ শাহ্ কররানীর পতনের পর তাঁর পুত্র শাহজাদা হাসান ও পরিবারবর্গ সিলেটে আশ্রয় গ্রহণ করেন। শাহজাদা হাসানের পুত্র দ্বিতীয় বায়েজিদ কররানী সিলেটের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে ভাটিরাজ ঈসা খাঁর অধীনে মুগল প্রতিহতকরণে যোগ দেন। পরবর্তীতে বারো ভূঁইয়াদের পতনের পরও বাংলায় আসা আফগানরা বাংলাতেই স্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরু করেন এবং নেটিভ বিবাহ করে বাস করতে করতে বাংলার সাথে মিশে যান।

সুতরাং, দেখা যাচ্ছে বাংলা সালতানাতের কোনো সুলতানই তুর্কী ছিলেন না, একজনও না। ইলিয়াস শাহী বংশ সিস্তানি ও বাঙালির মিশ্রিত ধারা, গণেশের পরিবার বাঙালি, হোসেন শাহী বংশ বাঙালি, এবং মুহাম্মাদ শাহী ও কররানী বংশ পাঠান।

তাই যারা বলে থাকেন বাংলা সালতানাত তুর্কীদের শাসন, কথাটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত।

তাহলে তুর্কী কারা ছিলেন? তুর্কী ছিলেন ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজী ও গৌড়ে নিযুক্ত দিল্লীর সুলতানের গভর্নররা। তারা কোনো সুলতান ছিলেন না, বখতিয়ার খলজি ও খলজিরা কোনো সুলতান ছিলেন না, তিনি ছিলেন কুতুব উদ্দিন আইবেকের গভর্নর। দিল্লী সালতানাতের অধীনস্থ বাংলার গভর্নররা ও লখনৌতির বলবানী শাসকেরা ছিলেন তুর্কী (১২০৪-১৩৩৮) ,, তারা বাংলা সালতানাতের কেউ ছিলো না।

বাংলা সালতানাত প্রতিষ্ঠার পূর্ববর্তী বাংলার শাসকেরা ছিলেন তুর্কী, তখন বাংলা সালতানাত ছিল না, ছিল দিল্লীর প্রদেশ (১২০৪-১২৮৭, ১৩২২-১৩৩৮) এবং বলবানী সুলতানদের শাসন (১২৮৭-১৩২২)।

বাংলা সালতানাত প্রতিষ্ঠিত হয় ১৩৫২ সালে ইলিয়াস শাহ্ কর্তৃক পুরো বাংলা জয়ের মাধ্যমে।

বাঙ্গালা সাম্রাজ্যের সুলতানরা কেউই তুর্কী ছিলেন না, ছিলেন পার্শিয়ান, বাঙালি ও পাঠান এবং তারা এথনিক্যালি যাই হয়ে থাকেন না কেন, বাঙালি জনজাতির সাথে মিশে তারা বাঙালিতে পরিণত হয়ে গিয়েছিলেন কালক্রমে। আর জেনে রাখা ভালো-
ইলিয়াস শাহ্ থেকে শুরু করে বাংলার সুলতানেরা সবাই নিজেকে পরিচয় দিতেন "বাঙ্গালী" নামে। শুধু সুলতানেরাই নয়, বাংলা সালতানাতের সব অভিজাত ও কর্মকর্তারাই নিজেদের পরিচয় দিতেন "বাঙ্গালি" নামে, সে তারা আরব, তুর্কি,পাঠান, বালুচ, ইরানি, তাজিক যাই হয়ে থাকুক না কেনো- বহির্বিশ্বে তাঁরা নিজেদের পরিচয় দিতেন 'বাঙ্গালী' নামে। ইরানি বংশোদ্ভুত ইলিয়াস শাহ্ নিজেকে পরিচয় দিয়েছিলেন "শাহ-ই-বাঙ্গালিয়ান" (বাঙালির সম্রাট) নামে। যিনি বাংলার তিনিই বাঙালি- তিনি এথনিক্যালি আরব না তুর্কি না অন্যকিছু সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। তিনি আরব বা তিনি পাঠান, বাংলার অধিবাসী যিনি তার নাগরিক পরিচয় তিনি বাঙ্গালী। আর এভাবেই শুরু হয় বাংলার মানুষের জাতিগত স্বতন্ত্র পরিচয় বা বাঙ্গালি পরিচয়ের।

বাংলার সুলতানেরা নিজেকে পরিচয় দিতেন "শাহ-ই-বাঙ্গালিয়ান" নামে এবং বাংলা সালতানাতের সৈন্যরা দিল্লীসহ সারাবিশ্বে পরিচিত হয় "পাইক-ই-বাঙ্গালাহ" হিসেবে। বাঙালি নামে যে আলাদা একটা রাজনৈতিক শক্তি আছে, তা ১৩৫২ সালের আগে ছিলোইনা, বাঙ্গালী জাতিপরিচয়ের স্রষ্টা সুলতান ইলিয়াস শাহ্ গাজী (রহঃ)। শায়খ নূর কুতুব উল আলম ছিলেন শাহী বাংলা সাম্রাজ্যের প্রধান ইসলামিক স্কলার। বিশ্বে তিনি পরিচিত ছিলেন "শেখ নূর বাঙ্গালী" নামে [যদিও তিনি ছিলেন এথনিক্যালি আরব]।

মুঘল আমলে বাংলার সুবাদার ও অভিজাতরা নিজেদের হিন্দুস্তানী বলে দিতেন- বাঙ্গালি নামে তারাও পরিচয় দিতেন না নিজেকে। মুঘল বাদশাহ ও অফিসাররাও নিজেদের পরিচয় দিতেন হিন্দুস্তানী নামে। এভাবে 'হিন্দুস্তানী' পরিচয় নির্মাণে যেমন মুঘলরা ভূমিকা রেখেছিলো, তেমনি বাঙ্গালি পরিচয় নির্মাণে ভূমিকা রেখেছিলেন কেবলমাত্র শাহী বাঙ্গালার সুলতানেরা।

বাংলা সালতানাত তাই বিশ্বে পরিচিত হয় বাঙ্গালি সাম্রাজ্য নামে এবং বাংলার সুলতানকে সারাবিশ্ব চিনতো বাঙালির সুলতান নামে, বাঙালির বাদশাহ নামে, সে তিনি হোক নেটিভ বা হোক ইরানি বা হোক পাঠান..

They were Bengali not because they were born in Bengal but because Bengal was born in them.

উৎস:
১) তারিখ-ই-মুবারাক শাহী
২) তারিখ-ই-দাউদি
৩) আইন-ই-আকবরী
৪) রিয়ায উস সালাতিন
৫) তারিখ-ই-ফিরিশতা
৬) "ভারতজনের ইতিহাস" - শ্রীবিনয় ঘোষ
৭) চৈতন্যপুরাণ
৮) মধ্যযুগে বাংলার শাসক- আসকার ইবনে শাইখ
৯) শ্রীচৈতন্যভগবত -- বৃন্দাবন দাস।

'নোলাভোয়' শব্দটার অর্থ মেহনত করা আরো নির্দিষ্ট করলে 'নাচা'। উত্তর মেক্সিকোর তারাহুমারে জনগোষ্ঠীর মানুষ এই শব্দটি ব্যাপক ...
29/12/2024

'নোলাভোয়' শব্দটার অর্থ মেহনত করা আরো নির্দিষ্ট করলে 'নাচা'। উত্তর মেক্সিকোর তারাহুমারে জনগোষ্ঠীর মানুষ এই শব্দটি ব্যাপক ভাবে ব্যাবহার করে। বয়ো-জ্যেষ্ঠরা ছেলে-ছোকরাদের ধমক দিয়ে বলে, ঘরের কোণায় কুঁড়ের মত বসে না থেকে দলের সঙ্গে 'নোালাভোয়' তে যোগ দেও। তাদের মধ্যে বয়স (অভিজ্ঞতা) বাড়বার উপাদান হলো এই নাচ। দলের সাথে নাচের সংখ্যা যার যত বেশি তার কদর ও তত বেশি।

কথাগুলো আমাদের কাছে অদ্ভুত মনে হলেও ওদের কাছে মোটেও অদ্ভুত না, কারণ নাচা আর কাজ করা ওদের কাছে একই ব্যাপার দুই-ই হলো পৃথিবীর সঙ্গে লড়াই করার কায়দা কানুন। তাই তারা নাচে অংশগ্রহন না করলে ধমক খায়। কেউ যদি অর্থব হয়ে পড়ে, নাচতে না পারে, তাহলে সে কপাল চাপড়ে বলে: বেঁচে থেকে আর লাভ কি?

"ইচ্ছে ছিল তোমাকে সম্রাজ্ঞী করে সাম্রাজ্য বাড়াবো,ইচ্ছে ছিল তোমাকেই সুখের পতাকা করেশান্তির কপোত করে হৃদয়ে ওড়াবো।ইচ্ছে ...
21/12/2024

"ইচ্ছে ছিল তোমাকে সম্রাজ্ঞী করে সাম্রাজ্য বাড়াবো,
ইচ্ছে ছিল তোমাকেই সুখের পতাকা করে
শান্তির কপোত করে হৃদয়ে ওড়াবো।

ইচ্ছে ছিল সুনিপুণ মেকাপ-ম্যানের মতো সূর্যালোকে কেবল সাজাবো,
তিমিরের সারাবেলা
পৌরুষের প্রেম দিয়ে তোমাকে বাজাবো, আহা তুমুল বাজাবো!

ইচ্ছে ছিল নদীর বক্ষ থেকে জলে-জলে শব্দ তুলে
রাখবো তোমার লাজুক দুই চঞ্চুতে,
জন্মাবধি আমার শীতল চোখ
তাপ নেবে তোমার দু’চোখের।

ইচ্ছে ছিল রাজা হবো─
তোমাকে সম্রাজ্ঞী করে সাম্রাজ্য বাড়াবো,
আজ দেখি─
রাজ্য আছে
রাজা আছে
ইচ্ছে আছে,
শুধু তুমি অন্য ঘরে।"
─ 'ইচ্ছে ছিল'
(যে জলে আগুন জ্বলে, ১৯৮৬)
হেলাল হাফিজ

19/12/2024
✒️Asmaul Husna Drishti 🖤🖤
17/12/2024

✒️Asmaul Husna Drishti 🖤🖤

M 🌝 🌝 N
17/12/2024

M 🌝 🌝 N

Address

Fulbaria

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when নৃ-গুঞ্জন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category