এক দ্বীন

এক দ্বীন সম্মুখে দৃষ্টি আমার আলোকিত উজ্জ্বল সূর্য!

ভবিষ্যৎ নিয়ে অত ভাবিনা অন্তরে রাখি ধৈর্য।

পাশ্চাত্য স্বাধীনতা অস্বীকার করে আল্লাহর আবদিয়্যাতকে। পাশ্চাত্য সমতা প্রত্যাখ্যান করে ইসলামের ন্যায্যতাকে। পাশ্চাত্য উন...
27/07/2025

পাশ্চাত্য স্বাধীনতা অস্বীকার করে আল্লাহর আবদিয়্যাতকে। পাশ্চাত্য সমতা প্রত্যাখ্যান করে ইসলামের ন্যায্যতাকে। পাশ্চাত্য উন্নতির ধারণা ছুড়ে ফেলে তাকওয়ার মানদণ্ডকে। আমাদের মুক্তি স্বাধীনতায় নয়; আবদিয়্যাতে, আল্লাহর দাসত্বে। আমাদের প্রাপ্তি সমতায় নয়; ন্যায্যতায়। আমাদের উন্নতি পুঁজিতে নয়; তাকওয়ায়।

বই : হিউম্যান বিয়িং (শতাব্দীর বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্ব)
পৃষ্ঠা - ৯২।

আমার বয়স এখন প্রায় চব্বিশ-পঁচিশ বছর। বিশ বছর হওয়ার আগে আমার দ্বীনি অবস্থা উন্নত ছিল। মস্তিষ্ক পরিষ্কার ছিল। ক্লাসে আমি এ...
27/07/2025

আমার বয়স এখন প্রায় চব্বিশ-পঁচিশ বছর। বিশ বছর হওয়ার আগে আমার দ্বীনি অবস্থা উন্নত ছিল। মস্তিষ্ক পরিষ্কার ছিল। ক্লাসে আমি একজন ভালো ও আদর্শ স্টুডেন্ট ছিলাম। কিন্তু কলেজে এডমিশন নেওয়ার পর ভালো অবস্থায় থাকা কোনো অংশেই কারামতের চেয়ে কম নয়। আপনিও আমাদের সহশিক্ষার ব্যাপারে ভালোই অবগত আছেন এবং পড়ালেখা শেষ করে পূত-পবিত্রতা ও সুচরিত্রতার সাথে বের হওয়া যে, কতটা অসম্ভব, তাও জানেন।
যেখানেই যাই, গুনাহের দৃশ্য দৃষ্টিগোচর হয়। সর্বত্র পাপের সয়লাব। এদিকে ঘরের পরিবেশ দ্বীনদার হওয়া সত্ত্বেও গুনাহের আখড়া হয়ে আছে। ভিসিআর ও টেলিভিশনের সমস্ত প্রোগ্রাম আমরা দেখি। দেখতে বাধ্য হতে হয়। কখনো কখনো বন্ধু-বান্ধব ও ক্লাসমেটরাও চলে আসে। একবার তো... (অপ্রকাশযোগ্য হওয়াতে এখানে ঘটনার প্রায় দশ লাইন উহ্য রাখলাম।)

এ জাতীয় আরও অন্যান্য ঘটনার কারণে আমার স্বাস্থ্য ভেঙে গেছে। পড়ালেখা বরবাদ হয়ে গেছে। এর জন্য আমার বিরাট ক্ষতি হয়েছে। আমি এখন ক্ষয়রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছি। নিয়মতিই প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে ধাতু বের হতে থাকে। ডাক্তারদের শরণাপন্ন হয়েছি। বহু রকমের চিকিৎসা করেছি, কিন্তু কোনোই উপকার পাচ্ছি না। তারা সকলেই আমাকে বিয়ের পরামর্শ দিয়েছেন। বিয়ে ছাড়া এ রোগ ভালো হবে না বলে তারা জানিয়েছেন। পিতা-মাতাকে আমি এ কথা জানিয়েছি। কিন্তু মাওলানা সাহেব! তারা কিছুতেই গ্র্যাজুয়েট কমপ্লিট করার আগে আমাকে বিয়ে করাবে না। আর এদিকে পড়ালেখা শেষ হতে আমার আরও চার-পাঁচ বছরের অধিক সময় বাকি।

এমতাবস্থায় আমার পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া নিজেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার নামান্তর। একজন তরুণ শিক্ষার্থীর যদি এই অবস্থায় হয়, তাহলে সে কীভাবে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারে?
অনুগ্রহপূর্বক আপনি এ ব্যাপারে আমাকে পরামর্শ দেবেন।

এক. আমি যদি এখন পড়ালেখা ছেড়ে দিয়ে চাকরি নিয়ে বিয়ে করি এবং পিতা-মাতা তাতে সন্তুষ্ট না থাকে, তাহলে আমার জন্য এর অবকাশ আছে কি? এক্ষেত্রে আমি কি পিতা-মাতার অবাধ্য বলে বিবেচিত হব?

দুই. উল্লিখিত অবস্থায় যদি পিতা-মাতা বিয়েতে প্রতিবন্ধক হয় এবং বিবাহ না করার দরুন আমার থেকে কোনো গুনাহ প্রকাশ পায়, তাহলে এর দায় কি তাদের ওপর বর্তাবে?'

পত্রের জবাব__

এক. উদ্ভুদ পরিস্থিতিতে আপনার কোনো নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে অথবা সরাসরি নিজেই আপনার অবস্থা লিখে পিতা-মাতাকে অবগত করুন। তারা যদি পড়ালেখা ছেড়ে চাকরি গ্রহণের ব্যাপারে সম্মত হয় এবং আপনাকে বিয়ে করিয়ে দেয়, তাহলে তারা অসন্তুষ্ট হয়-এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন না। আর যদি তারা তাতে রাজি না হয় এবং আপনার বিয়ে করার সামর্থ্য থাকে, তাহলে আপনি নিজেই বিয়ে করে নিন। আপনার জন্য এই মুহূর্তে বিয়ে করা ফরজ। এমন পরিস্থিতিতে পিতা-মাতার আনুগত্য আবশ্যক নয়। যদি বিয়ে করার সামর্থ্য আপনার না থাকে, তাহলে চাকরি নিয়ে বিয়ের সামর্থ্য অর্জন করে তারপর বিয়ের করুন। আর সামর্থ্য না হওয়া পর্যন্ত রোজা রাখতে থাকুন।

দুই. এমতাবস্থায় যদি আপনি পিতা-মাতার কথানুযায়ী বিয়ে না করেন এবং এর জন্য গুনাহে লিপ্ত হন, তাহলে আপনি ও আপনার পিতা-মাতা সকলেই কবিরা গুনাহের অপরাধী হবেন।

বই- বিয়ে ও রিজিক

বি:দ্র: আপনার জন্য বিয়ে করা ফরজ হয়ে গেলে, এই ক্ষেত্রে পিতা-মাতার আনুগত্য করা আবশ্যক নয় এবং তাদের অবাধ্য হয়ে বিয়ে করলে শরিয়তে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
এবং বিয়ে না করে কোনো গুনাহে লিপ্ত হলে এর দায় পিতা-মাতাকেও নিতে হবে। অর্থাৎ সবারই কবিরা গুনাহ হবে।

🤲🏻🤍
26/07/2025

🤲🏻🤍

অসাধারণ উক্তি।  মাশাআল্লাহ
26/07/2025

অসাধারণ উক্তি। মাশাআল্লাহ

25/07/2025
🤍
24/07/2025

🤍

23/07/2025

মাহরিন চৌধুরী স্বামী বলেন, আমি যখন তারে বললাম , তোমার বাচ্চা দুটোকে এতীম করে ফেললা?

সে আমারে বললো, ওই বাচ্চাগুলোও তো আমার বাচ্চা ছিলো। আমি কী করবো?

নিজে দগ্ধ হয়েও পালিয়ে যাননি এই মহীয়সী নারী । নিজের কথা তিনি চিন্তাও করেননি। তার প্রচেষ্টায় কমপক্ষে আরও বিশটি বাচ্চা রক্ষা পেয়েছে।

এই রকম সাহসী মমতাময়ীরা হয় ক্ষণজন্মা। এদের আত্মত্যাগের ভার ধারণ করার কিংবা বুঝার ক্ষমতা কি আমাদের আছে?

এই মহিলাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া উচিত ছিলো।

অনেককেই তো রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া হয়। উনাকে দিলে রাষ্ট্র সম্মানিত হত। শিক্ষা উপদেষ্টা অবশ্য এনজিও নিয়ে নাকি প্রচন্ডরকম ব্যস্ত থাকেন তিনি ।

যে মহিলা নিজেকে নিয়ে ভাবেননি, বাচ্চাদের নিয়ে ভেবেছেন। অনেকগুলো মায়ের বুক খালি হতে দেননি। তার ওজন বহন করার মত ঔদার্য অনেকের হয়না।

অনেকে আবার আমাদের মতো মোল্লা মৌলভীদের এসব রাষ্ট্র ট্রাষ্ট্র নিয়ে বাতচিত করা পছন্দ করেননা। রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রীয় সম্মান, চেতনা ফেতনা উনারা একমাত্র উনাদের সম্পদ হিসেবেই মনে করেন। কি আর করার আছে!

আমরা প্রতিটি মসজিদ ও মাদ্রাসায় এই অসাধারণ ত্যাগী মহিলার জন্য দোয়া করতে পারি৷

আল্লাহ মাইলস্টোনের শিক্ষিকা মাহরিন চৌধুরীকে ক্ষমা করুন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।

22/07/2025

আ/গুনের নিজস্ব কোন গন্ধ নেই,
যখন যাকে পোড়ায়
তখন তার গন্ধ-ই ছড়ায়!

Address

Fulbaria

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when এক দ্বীন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to এক দ্বীন:

Share

Category