21/09/2024
পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিরা বেপরোয়া
পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিরা নানা ভাবে প্রচার চালাচ্ছে যে তারা নির্যাতিত। অথচ, তারা সমতলের বাংলাদেশীদের চাইতে অনেক অনেক বেশি সুবিধা ভোগ করার পরও বাংলাদেশের সাথে নিমক হারামী করছে।
১। উচ্চ শিক্ষা এবং সরকারি চাকরিতে উপজাতিদের জন্য আলাদা কোটা রয়েছে। এই কোটা সুবিধা গ্রহন করে এই উপজাতিরা অনেকটা বিনা প্রতিযোগিতায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে। তারপর এই নিমকহারাম গুলা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েই সরকারের ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা বলে। শুধু তাই নয়, কোটা সুবিধা নিয়ে তারা সরকারি চাকরিতেও অনেকটা বিনা প্রতিযোগিতায় ঢুকে পড়ে। তারপরও তারা দাবি করে তাদের প্রতি রাষ্ট্র কোন সুবিধা দেয় না। উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরও এই উপজাতি কোটা বহাল রয়েছে।
২। সকল বাংলাদেশীরা বাংলাদেশের কোন আদালতে বিচার চাইতে আসলে মামলার ধরন ভেদে সর্বোচ্চ ৫৭৫০০/- টাকা পর্যন্ত কোর্ট ফি পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু এই পাহাড়ি উপজাতিরা কোন কোর্ট ফি দিতে হয় না। তারপরও তারা সুবিধা পায় না?
৩। বিগত সরকারের আমলে দেখেছি সরকার বিরোধীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার জঙ্গি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু পাহাড়ের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোন জঙ্গি মামলা দায়ের করা হয় না। অথচ, তারাই প্রকৃত সন্ত্রাসী ও জঙ্গী কর্মকান্ড করে থাকে।
৪। পাহাড়ের উপজাতি সন্ত্রাসীরা জুমল্যান্ড নামে স্বাধীন রাষ্ট্রের ঘোষনা দিয়েছে। কিন্তু সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোন রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করে নাই। বরং একের পর এক সুবিধা দিয়েই যাচ্ছে।
৫। ২০০৭ সালের আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ী উপজাতিদের বিচার করার ক্ষমতা বিচার বিভাগের হাতে ছিল না। ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিচার বিভাগের হাতে কিছু বিচারিক ক্ষমতা দিয়েছে। তবে এখনো উপজাতিদের কিছু কিছু বিষয়ে বিচারিক ক্ষমতা তাদের নিজেদের হেডম্যান (অনেকটা গ্রাম প্রধান টাইপ) দের হাতে। একই দেশের বাসিন্দা হলেও তাদের উপর আইন প্রয়োগ করা যায় না।
এতো কিছুর পরও তারা মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে আমাদের সিম্প্যাথি চায়।