21/05/2025
পলাশ সাহার মা ছেলের চিন্তায় হানিমুন পর্যন্ত চলে গেল ছেলের সাথে!
কিন্তুু ছেলের সাথে দুঃসাহসিক অভিযানে কেন গেল না?
অভিযানেতো কিছু হয়ে যেতে পারত! কেন ছেলেকে ঝুকিপূর্ণ পেশায় কাজ করতে দিল?
ওনার মায়া তখন কোথায় থাকতো? শুধু ছেলের বউয়ের সাথে দেখলেই চিন্তা হতো ছোট বাচ্চাটার জন্য তাইনা? বাড়ীর পাশে মুদি দোকান দিয়ে বসিয়ে দিল না কেন? পলাশ সাহার মেজ বউদির সাথে এত দহর্রম মহর্রম কেন ছিলো? বউদির সাথে মায়ের সামনে হাসি ঠাট্রা, নাচুনি কুদুনি দিতে পারলেও, মায়ের সামনে বউয়ের সাথে কথা বলতেও এত ভয় দ্বিধা কেন ছিলো? মাথা নীচু করে বসে মোবাইলে মেসেজে কথা বলতে হলো কেন?
পলাশ সাহা একজন এএসপি ছিলেন। রাস্ট্রের
গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ও দায়িত্ব তার ওপর ছিলো।ব্রিফিং ও বেশ করতেন গণমাধ্যমকে। এমন একজন ব্যক্তিত্ববান মানুষকে মেজ বউদি কি করে তার নিজ স্ত্রী কে ডিভোর্স দিতে পরামর্শ দেয়? সাহস পায় কোত্থেকে? একই বাড়ীর ছেলের বউ হয়ে আরেক বউয়ের সংসার কি করে ভাঙ্গার মনোবাসনা জাগে? বিয়ের আসরে পলাশের সাথে মেজবউদির যেই কেমিস্ট্রি জনগন দেখলো তাতো ঐ আয়োজনে আর কোন নারীর সাথে দেখা গেল না! পলাশ সাহার
মা মেজ বউয়ের সাথে এত খুল্লম খুল্লম হতে পারলেও ছোট বউয়ের সাথে কেন পারলো না?
এ সবের উত্তর ছিলো একমাত্র পলাশ সাহার কাছে? একমাত্র পলাশ সাহার কারনে সুস্মিতা
আজ কলংকিত! লাভবান তার মা ও মেজ বউদিরা! পলাশ সাহার জীবনাচারই হয়তো তার মৃত্যুর কারন! পরিবারের ছোট ছেলেরা বিয়ের আগে তার পূর্ববর্তী বড় ভাইদের সাংসারিক জীবনে এতটাই নিমগ্ন থাকে,জড়িত থাকে, দায়িত্বে থাকে যে ( মা ই ছোট ছেলেকে এভাবে গড়ে তোলে) সে তার নিজস্ব জীবন নিয়ে একা কিছু ভাবতে পারে না! সবাইকে নিয়ে ভাবতে হয়। আর যারা তার উপর নির্ভরশীল ছিলো, তাকে নিয়ে এতটাই আনন্দ করতো, ভাবতো যে, হয়তো তাদের নিজ স্বামীদের নিয়েও করতো কিনা সন্দেহ আছে! তারা কি চাইবে পলাশ সাহার নিজের একটা পৃথিবী হোক? যেখানে শুধু সুস্মিতার ভালোবাসা থাকবে! মোটেও না। তাইতো নিজেদের স্বামীদের হাত করে, নিজ নিজ আবাস আলাদা করে, দূর থেকে ভালো সেজে শাশুড়ীর মনে সদ্য বিবাহিত ছোট ছেলের সাথে থাকার বিষ ঢেলে নিজেদের বাঁচায়! পাছে শাশুড়ী নিজেদের বাগানে ঢুকে না পড়ে! সর্বনাশ!
পলাশ সাহার জীবনাচার, অবহেলার, অতিভক্তি ও ভুলকে ভুল বলতে না পারার ব্যর্থতাই দায়ী তার মৃত্যুর জন্য। কি করে মুখ দেখাবে সমাজে, অফিসে যদি সুস্মিতা আত্নহত্যা করে এবং সব সত্য সবাই জেনে যায়!
তাই পরিবারকে বাঁচাতেই তার এই পদক্ষেপ!
কিন্তুু পলাশ সাহা জানতেন না যে, তার চলে যাওয়ার পরও তার মা, ভাই ভাবীদের লীলা শেষ হবে না। সুস্মিতাকে আক্রমণ শেষ হবেনা।
বিয়ে করা বউয়ের স্বামীর ওপর কতটা অধিকার তা পলাশ জানতেন! জানতেন মাও!
কিন্তু বড় দুছেলের নিজ নিজ স্ত্রী নিয়ে সটকে থাকা, মাকে সময় ও সৎপরামর্শ না দিতে পারার গ্যাপটা কোন পথ রাখেনি পলাশ সাহার মায়ের জন্য! পলাশের টাকার ওপর লোভ ছিলো সবার। মনেতো হয় মেজ ছেলের বিয়েতে পলাশই খরচপাতি করেছে বেশ! অর্থাৎ সোনার ডিম পাড়া হাসকে কেউ কি অন্যের হতে দিয়ে হাতছাড়া করে? উড়ে এসে জুড়ে বসা সুস্মিতা
তার স্বামীর জীবনে এসবের আধিক্য দেখেই
হয়তো শাশুড়ী থেকে আলাদা হতে চাইতো! কারন, শাশুড়ীর মাধ্যমেই অন্যরা সুস্মিতার হাড়ির খবর রাখতেন ও গুটির চাল চালতেন!
বেশ স্পষ্ট এসব অলাইনের সব ভিডিও তে।
মায়ের প্রতি অতিভক্তি বা অন্ধভক্তিই পলাশ সাহার অকালে চলে যাওয়ার কারন। একজন মা সেও মানুষ রক্তে মাংসে। তিনি কাছের মানুষ। তিনি ভুল করবেন এটা মেনে নিয়ে তাকে বোঝাতে ব্যার্থ পলাশ সাহা নিঃশ্চয়ই সুস্মিতার চলে যাওয়া মেনে নিতে পারতেন না। আর বেঁচে থাকলে মা ও পরিবারের কেউই তার সুখটা চাইতো না, চাইতো টাকা টাকা টাকা......কতৃত্ব ও অধিকারবোধ। কেউই পলাশের মনের কথা বুঝতো না। আর তাই, নে খা তোরা! জম্মের মতো অপরাধবোধ মনে নিয়ে খা। জন্মদাত্রী মাই বুঝলো না আর তোদের কাছে, সুস্মিতার কাছে কি আশা!! নীরবে চলে যাওয়াই শ্রেয়!