20/08/2025
বোনেরা, ফরজ ইবাদাতের পর কয়েকটা আমল ছাড়বেন না কখনো। ইনশাআল্লাহ জীবনে বারাকাহ্ আসবে।🌺
১) সবসময় জবানে ইস্তেগফার রাখবেন। ১/২ হাজার যত পারেন। ইস্তেগফারে রত থাকলে আপনার উপর আযাব,মুসিবত আসবে না ইনশাআল্লাহ। রিজিকে বারাকাহ্ আসবে৷ দুআ কবুল হবে।
২) ইস্তেগফারের ফাঁকে ফাঁকে দুরুদ পাঠ করবেন। দুরুদ পাঠে আল্লাহর রহমত নাযিল হয়৷ ফেরেশতাদের দুআ পাওয়া যায়।
৩) ঘরের মানুষজনকে সালাম দিবেন প্রতিদিন। সালামে পরস্পরের মধ্যে মোহাব্বত বাড়ে৷ ঘর থেকে শয়তান বিতাড়িত হয়।
৪) ছোট কাজ হোক,তবুও তা বিসমিল্লাহ পাঠ ছাড়া শুরু করবেন না। আল্লাহর নামে বরকত লাভ হয়৷
৫) প্রতিদিন সূরা বাকারাহ তিলওয়াত করার চেষ্টা করবেন। সব দায়িত্ব সামলে পুরোটা তিলওয়াত কঠিন। তাই যতটুকু সম্ভব তিলওয়াত করবেন। এটি বরকতময় সূরা। হায়েজ থাকলে অডিও শুনবেন।
৬) প্রতিদিন এক টাকা হলেও সদকাহ্ করবেন। তা না পারলে কুকুর-বিড়ালদের খাবার-পানি দিবেন। সদকাহ্ বিপদমুক্তির উসিলা।
৭) সকাল-সন্ধ্যার যিকর ভুলেও বাদ দেওয়া যাবে না। সকাল,সন্ধ্যা,ঘুমানোর আগে তিন কুল পড়ে শরীর বন্ধ করা বাধ্যতামূলক। এই আমলের কারণে আল্লাহ আপনাকে হেফাজতে রাখবেন।
৮) টাকা-পয়সা,সম্পদ,ঘরের আসবাব,জিনিসপত্র, চাল-ডাল বারবার গণনা করবেন না। এতে বারাকাহ্ নষ্ট হয়। লোভ করবেন না। দুনিয়াকে অন্তরে নয়,মস্তিষ্কে ঠাঁই দিবেন। ফলে দুনিয়ার কিছু হারিয়ে গেলেও আফসোস হবে না। আবার হারানোর ভয়ও থাকবে না৷
৯) মাগরিবের আগেই "বিসমিল্লাহ" পড়ে দরজা,জানালা বন্ধ করে দিবেন। মাগরিবের নামাজের পর আবার খুলে দিতে পারেন,সমস্যা নেই। হাদিসে এই ব্যাপারে সতর্কতা আছে।
১০) সব বিষয়ে আল্লাহর কাছে চাইবেন। আল্লাহকে বলবেন৷ যা প্রয়োজন,আল্লাহকে আগে বলবেন,পরে অন্য কাউকে। ঘরের জিনিস ফুরিয়ে গেলে কর্তাকে বলার আগেও আল্লাহকে বলবেন৷ দুআর মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি আপনার মুখাপেক্ষিতা বাড়বে। মানুষের অমুখাপেক্ষী হতে সাহায্য করবে।
১১) "আমার নাই, আমি পাই নাই,তুমি দাও নাই,কেউ দেয় নাই" টাইপের আফসোস করবেন না৷ হা-হুতাশ করবেন না। হিংসা ঝেড়ে ফেলে দুআ করবেন অন্যের জন্য। নিজের অবস্থান নিয়ে বেশি বেশি কৃতজ্ঞ হবেন আল্লাহর প্রতি। শুকরিয়া করলে আল্লাহ বাড়িয়ে দেন।
এই ক'টা আমল নিজের জন্য লাযিম করে নিবেন ইনশাআল্লাহ।