04/10/2023
পিরিয়ড নিয়ে কিছু কথা........
(শুরুতেই মাইন্ড না করে একটু পড়ুন)
"---> মাম্মা দেখ, তোর গার্লফ্রেন্ডের মাসিক হইসে,
সেলোয়ার লাল।
---> আনীলা, তোকে ফার্মেসী থেকে কি জানি কিনতে
দেখলাম। দেখি দোস্ত, ব্যাগ দেখি!! কি কিনেছিস?
---> আপু পাউরুটি কিনেছেন নাকি। আমাদের দিবেন না?
না থাক, কাল দিয়েন। কালকে জেলী সহ পাউরুটি খাব।---"
-----------
আচ্ছা এত খাটাশ কেন আমরা????
স্কুলে লেফট রাইট হচ্ছে।
হঠাৎ মেয়েটি টের পায় কিছু একটা ঘটে যাচ্ছে।
এই বিব্রতকর অবস্থাটি মাত্রা
ছাড়িয়ে যায় তখনি, যখন সে দেখে তার সাদা কামিজের উপর থেকেই রক্ত দেখা যাচ্ছে !
মেয়েটার বয়স ১৩।
এই প্রথম দূরে ঘুরতে যাচ্ছে।
পড়নে সাদা লং স্কাট।
হঠাৎ সে টের পায় কিছু একটা ঘটে যাচ্ছে।
মাকে বলতে না পেরে সে চুপ করে থাকে ভয়ে আর
আতংকে।
একসময় মা বুঝে ফেলে তার ওড়না দিয়ে
মেয়েকে জড়িয়ে রাখে।
এই ঘটনা মনে পড়লে মেয়েটির এখনো গা শিউরে উঠে।
একটা মেয়ের কতটা ধৈর্য থাকলে এসব পরিস্থিতি
সামাল দিতে পারে? ভাবতে পারেন!!
কাউকে কিছু না জানিয়ে নিজে নিজে সহ্য করার এক অদ্ভুত ক্ষমতা নিয়ে জন্মায় এরা।
প্রায় প্রতিটা মেয়ের জীবনে পিড়িয়ডের প্রথম
সময়ের এরকম অসংখ্য ঘটনা থাকে।
-- বাসায় কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন হলে,-
মেয়েটি প্রথমে আগ্রহ নিয়ে তারিখ জানতে চায়।
যদি সে তারিখ তার পিড়িয়ডের সাথে মিলে যায,
তখন় মনের কষ্টটা তার মুখে ফুটে উঠে।
-- পেটের ব্যাথা আর অসহ্য কষ্ট নিয়ে একটা মেয়েকে
ভার্সিটির শিক্ষা সফরে যাওয়ার শখ বাতিল করতে হয়।
-- বন্ধুরা যখন ফুচকা খায়, সে তখন পেটে হাত দিয়ে মাথা নিচু করে বাসায় চলে আসে।
-- রিক্সাটা যখন ভাঙা রাস্তার উপর দিয়ে যায়, মেয়েটা তখন এক হাত দিয়ে সিটের নিচটা চেপে ধরে রাখে ; ব্যাথাটা যেনো তখন সহ্য হয় না মানুষটার।।
এত কিছু শুনেও কেউ অমানুষ না হলে মেয়েদের অসম্মান করাটা কঠিন ব্যাপার।
একটি বিষয় মাঝে মাঝে আমাকে খুব লজ্জায়
ফেলে দেয়।
ফার্মেসীতে একটি মেয়ে স্পষ্ট গলায় বলতে পারে না -
সে ন্যাপকিন কিনতে এসেছে। সে অপেক্ষা করে, কখন
মানুষ কমবে।
দোকানদার ( সবাই না ) যখন জানে,---
সে এই জিনিস কিনতে এসেছে।
তখন কেমন করে যেন তাকায় !
কীভাবে যেন শুয়রের মত করে হাসে !
ঋতুস্রাবের মত সাধারণ একটি বিষয়কে আমরা খুব নিষিদ্ধ মনে করি।
আমি জানি, উপোস রাখতে না পেরেও সারাদিন না খেয়ে থাকে এরকম মেয়ের সংখ্যা প্রচুউউর !
এরপরেও মেয়েটিক