Golpo Bondhu

Golpo Bondhu Sob golpo shudhu golpo noy, kisu shomoy gatha abong kisu jibon kotha…

মৃত্যুর পরও ব্যাংকে আমাদের কত টাকা রয়ে যায়! অথচ আমরা আমাদের জীবদ্দশায় খরচ করার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পাই না।সেদিন এক ধনকুব...
01/07/2025

মৃত্যুর পরও ব্যাংকে আমাদের কত টাকা রয়ে যায়! অথচ আমরা আমাদের জীবদ্দশায় খরচ করার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পাই না।

সেদিন এক ধনকুবের মারা গেলেন। ভদ্রলোকের বিধবা স্ত্রী ২০০ কোটি টাকার মালিক হয়ে তার মৃত স্বামীর ড্রাইভারকে বিয়ে করে ফেললেন। সদ্য বিবাহিত ড্রাইভার মনে মনে বলল, এতদিন জানতাম আমি আমার মালিকের জন্য কাজ করেছি। এখন দেখি আমার হৃদয়বান মালিকই আমার জন্য শ্রম দিয়ে গেছেন!

নিরেট সত্যটি হচ্ছে, অধিক ধনবান হওয়ার চেয়ে সুস্থ শরীর এবং দীর্ঘজীবন লাভ করা অনেক বেশি জরুরি।

তাই অধিক ধনবান হওয়ার জন্য অবিরাম শ্রম না দিয়ে দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবন যাপন করার চেষ্টা করা উচিত এবং নিজেকে সেভাবে গড়ে তোলা উচিত।

আমাদের জীবনের নানা ঘটনাতেই এই সত্যটি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করা যায়। যেমন:

* দামি এবং অনেক সুবিধা সম্পন্ন একটি মোবাইল ফোনের ৭০% অব্যবহৃতই থেকে যায়।

* একটি মূল্যবান এবং দ্রুতগতি গাড়ির ৭০% গতির কোনো দরকারই হয় না।

* প্রাসাদতুল্য মহামূল্যবান অট্টালিকার ৭০% অংশে কেউ বসবাস করে না।

* কারো কারো এক আলমারি কাপড়-চোপড়ের বেশির ভাগ কোনদিনই পরা হয়ে উঠে না।

* আপনার সারা জীবনের পরিশ্রমলব্ধ অর্থের ৭০% আসলে অপরের জন্য। আপনার জমানো অর্থ যাদের জন্য রেখে যাবেন, বছরে একবারও আপনার জন্য প্রার্থনা করার সময় তাদের হবে না।

তাহলে করণীয় কী?

✓ অসুস্থ না হলেও সুযোগ থাকলে মেডিকেল চেকআপ করুন।

✓ অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করবেন না।

✓ মানুষকে ক্ষমা করে দিন।

✓ রাগ পুষে রাখবেন না। মনে রাখবেন, কেউ-ই রগচটা মানুষকে পছন্দ করে না। আড়ালে-আবডালে পাগলা বলে ডাকে।

✓ পিপাসার্ত না হলেও জল পান করুন। শরীরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে এর বিকল্প নেই।

✓ সিদ্ধান্তটি সঠিক জেনেও কখনো কখনো ছাড় দিতে হয়।

✓ যতই বয়স হোক না আর ব্যস্ত থাকুন না কেন, জীবনসঙ্গীর সাথে মাঝে মাঝে নিরিবিলি কোথাও হাত ধরে হাঁটুন, রেস্টুরেন্টে খেতে নিয়ে যান। তাকে বুঝতে দিন, সেই আপনার সবচেয়ে আপন। কারণ, আপনার সবরকম দুঃসময়ে সেই পাশে থাকে বা থাকবে।

✓ ক্ষমতাধর হলেও বিনয়ী হোন।

✓ সুযোগ পেলেই পরিবার পরিজন নিয়ে সামর্থ্য অনুযায়ী নিজের দেশকে এমনকি ভিনদেশে বেড়াতে নিয়ে যান।

✓ ধনী না হলেও তৃপ্ত থাকুন। মনে রাখবেন, সকল ধনী লোক কিন্তু মানসিক শান্তিতে থাকে না।

✓ মাঝে মাঝে ভোরের সূর্যোদয়, রাতের চাঁদ এবং সমুদ্র দেখতে ভুল করবেন না।

✓ বৃষ্টিজলে বছরে একবার হলেও ভিজবেন। আর দিনে ১বার গায়ে রোদ লাগান।

✓ মাঝে মাঝে উচ্চস্বরে হাসবেন।

জীবন তো একটাই, তাই পরিপূর্ণভাবে বাঁচার চেষ্টা করুন।

সুখ আসলে কী?বিখ্যাত এক তুর্কি কবি তার বিখ্যাত চিত্রশিল্পী বন্ধুকে অনুরোধ করেন, সুখ কী তা যেন এঁকে দেখান। তিনি এই ছবিটা আ...
30/06/2025

সুখ আসলে কী?

বিখ্যাত এক তুর্কি কবি তার বিখ্যাত চিত্রশিল্পী বন্ধুকে অনুরোধ করেন, সুখ কী তা যেন এঁকে দেখান। তিনি এই ছবিটা আঁকেন।

একটা ভাঙা খাটের ছোট বিছানায় শান্তিতে ঘুমাচ্ছে একটি বড়ো পরিবার। খাটের একটা পায়া নাই, সেখানে দুটি ইট রাখা। জরাজীর্ণ বাড়ির ছাদের ফুটো থেকে পানি পড়ছে, ওখানে তাই ছাতা রাখা। বাড়ির কুকুরটিও বিছানায় শান্তিতে ঘুমায়। কপাট বিহীন জানালায় পাখি বসেছে। মুরগি শেয়ালে নেবারও দুর্ভাবনা নেই।

ছবিটা দেখার পর মনে হলো, সুখ মানে সমস্যা না থাকা নয়, কষ্টের পরিস্থিতিকে স্বাচ্ছন্দ্যে মেনে নেওয়ার মধ্যেই সুখ। যা আছে তা নিয়েই খুশি থাকি, শান্তিতে ঘুমায়।

✅❤️🥀

🍁কথার সৌন্দর্যই সাফল্যের চাবিকাঠিএকদিন এক রাজামশাই স্বপ্নে দেখলেন—তার মুখের সব দাঁত পড়ে গেছে। তিনি খুব চিন্তিত হয়ে এক ...
24/06/2025

🍁কথার সৌন্দর্যই সাফল্যের চাবিকাঠি

একদিন এক রাজামশাই স্বপ্নে দেখলেন—তার মুখের সব দাঁত পড়ে গেছে। তিনি খুব চিন্তিত হয়ে এক জ্যোতিষীকে ডেকে পাঠালেন এবং স্বপ্নের কথা বিস্তারিতভাবে বললেন।

প্রথম জ্যোতিষীটি স্বপ্নের ব্যাখ্যা করে বললেন,
"মহারাজ, এই স্বপ্নের অর্থ হলো আপনার চোখের সামনেই আপনার পরিবারের সকল প্রিয়জন মারা যাবে। আপনি একা বেঁচে থাকবেন।"

এ কথা শুনে রাজা ভীষণ রেগে গেলেন। এমন অশুভ কথা বলার জন্য তিনি সেই জ্যোতিষীকে মৃত্যুদণ্ড দিলেন।

পরে রাজামশাই আরেকজন জ্যোতিষীকে ডেকে পাঠালেন এবং একই স্বপ্নের কথা বললেন।

দ্বিতীয় জ্যোতিষীটি মনোযোগ দিয়ে স্বপ্ন শুনে মৃদু হেসে বললেন,
"মহারাজ, আপনার আয়ু আপনার পরিবারের সকল সদস্যের চেয়ে দীর্ঘ হবে। আপনি দীর্ঘদিন সুস্থভাবে রাজত্ব করবেন।"

রাজা খুব খুশি হলেন এবং আনন্দের সঙ্গে সেই জ্যোতিষীকে পুরস্কৃত করলেন।

দুই জ্যোতিষী একই অর্থ বললেও পার্থক্য ছিল কেবল ‘কথা বলার ধরনে’। একজন পেল মৃত্যুদণ্ড, আর অন্যজন পেল পুরস্কার।

তাই বলা যায়, কথা বলার ভঙ্গিই পারে আপনার ভাগ্য নির্ধারণ করতে।
মধুর ভাষণ মানুষের হৃদয় জয় করে, আর তির্যক ভাষা আনে বিপদ।
সুন্দরভাবে কথা বলা শুধু সৌজন্যের পরিচয় নয়—এটা এক বিশেষ গুণ।

#কথারসৌন্দর্য #ভদ্রভাষা #ভদ্রতা #কথারগুণ

─ "ছোটবেলায় বাবামা মারতেন আমাকে। এটা স্বাভাবিক। এতে আমার কোনো মানসিক সমস্যা হয়নি পরবর্তীতে।"কথাগুলো যিনি বলছিলেন, তাঁর প...
03/06/2025

─ "ছোটবেলায় বাবামা মারতেন আমাকে। এটা স্বাভাবিক। এতে আমার কোনো মানসিক সমস্যা হয়নি পরবর্তীতে।"
কথাগুলো যিনি বলছিলেন, তাঁর প্রাক্তন পার্টনারের গায়ে তিনি প্রায়ই হাত তুলতেন বলেই তাঁদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।

─ "মাবাবা তাঁদের সন্তান হিসেবেই আমাকে নানারকম শাস্তি দিয়েছেন। এটা ঠিকাছে।"
সেই লোকটি বলছিলেন, যিনি কোনো একটি ভুল করার পরে নিজেকে নিজে গালাগালি করেন। তাঁর মতে─ এটি একধরণের আত্মশাস্তি।

─ "বাবামা যখন আমাকে মারা শেষ করতেন, আমি একা-একা ইচ্ছেমতো কাঁদতাম। ওরকম মার বাচ্চা-বয়সে অবশ্যই দরকারি।"
বলছিলেন সেই লোকটি, যিনি তাঁর জীবনটা কাটিয়ে দিলেন এই আক্ষেপে─ কেন তিনি একা, নি:সঙ্গ; কেন কারও সাথে মিশতে পারলেন না কখনোই!

─ "আমি কোনো ভুল করলেই বাবামা চিল্লাতেন আমার উপর রেগেমেগে। এজন্যই আমি সবকিছু ভালোভাবে শিখতে পেরেছি জীবনে।"
তিনি বলছিলেন, যে-লোক আজও শিখে উঠতে পারেননি কিভাবে অন্যের সাথে ভদ্রভাবে কথা বলতে হয়।

─ "শৈশবে, মাবাবা আমার গায়ে প্রায়ই হাত তুলতেন, এবং এই একটিমাত্র কারণেই আমি আজ শিক্ষিত হতে পেরেছি।"
কথাগুলো বলছিলেন সেই মহিলাটি, যিনি আজও জানেন না─ কেন তাঁর সব পার্টনারই তাঁকে ছেড়ে গেছেন 'বদমেজাজি' অভিযোগ তুলে!

─ "শিশুকালে খামখেয়ালি কিছু করলেই, আমাকে একটি ঘরে একাকী তালাবন্ধ করে রাখতেন বাবামা, আজকের জীবনে এসে সেই সিদ্ধান্তকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই।"
যে মহিলাটি বলছিলেন, তিনি জীবনের দীর্ঘ সময় ধরে অকারণ দুশ্চিন্তার প্রভাবে উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন, এবং তিনি আজও জানেন না─ কেন তিনি প্রায় রাতে, 'ক্ষুদ্র একটি কক্ষে তালাবন্ধ হয়ে আটকে থাকা'র দুঃস্বপ্নটি দেখেন, এবং এর ভয়ে আর ঘুমাতে পারেন না আর!

─ "আমি যখন দুষ্টুমি করতাম, বাবামা বলতেন, আমাকে কোথাও ফেলে দিয়ে আসবেন একলা, কিংবা কোনো অচেনা লোকের কাছে দিয়ে ফেলবেন। বাচ্চাবয়সের ওসব নিয়ে এখন আমার কোনো মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা নেই, ওগুলো ভাবলে বরং হাসিই পায় এখন।"
সেই মহিলাটি বলছিলেন, যিনি একটুকুন ভালোবাসা পাওয়ার জন্য এমনকি প্রার্থনাতেই বসে যেতেন; যিনি তাঁর পার্টনারের পরনারী-আসক্তি সম্পর্কিত বহু বহু অপরাধ ক্ষমা করে দিয়েছেন নিজে পরিত্যক্ত ও একলা হয়ে যাওয়ার ভয়ে।

─ "আমার বাবামা আমাকে স্রেফ লালচোখের শাসন দিয়েই নিয়ন্ত্রণ করেছেন, এখন দেখুন আমি জীবনে কীরকম সফল! এই সাফল্য সেই শাসনেরই ফল।"
কথাগুলো বলা মহিলাটি কখনোই কারও চোখের দিকে সরাসরি তাকিয়ে কথা বলতে পারেন না। আর, উর্ধ্বতন কারো চোখের দিকে তাঁর চোখ পড়ে গেলেই, বুকের ভেতরটায় ধড়ফড় করে তাঁর! বিনাবাক্যব্যয়ে তিনি মেনে নেন সবকিছুই।

─ "ছোটবেলায় আমি এমনকি শেকলে হাতপা বাঁধা অবস্থায়ও মারও খেয়েছি, যে অনুশাসনের ফলশ্রুতিতেই আমি আজ একজন ভালো মানুষ হিসেবে তৈরি হতে পেরেছি।"
বলছিলেন তিনি, যাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবেশী কর্তৃক পুলিশের কাছে অভিযোগ আছে মদ্যপ অবস্থায় নিজের ঘরের ও আশেপাশের অন্যদের জিনিশপত্র ভেঙে ফেলার, এবং স্ত্রীকে যাচ্ছেতাই গালাগালি করার।

─ "আমি যখন খুব ছোট, তাঁরা আমাকে জোরজবরদস্তি করে খাওয়াতেন, যতোক্ষণ পুরো খাবার খেয়ে শেষ না-করছি ততোক্ষণ বসিয়ে রাখতেন, এমনকি আমাকে পিটিয়ে-পিটিয়েও খাইয়েছেন, ঠেসেঠুসে। তাঁরা ওইসব আহ্লাদি মাবাবার মতো নন, যারা নিজের সন্তানের খাওয়াদাওয়ার প্রতি নজর দেয় না।"
যিনি বলছিলেন, সেই মহিলা আজও বুঝে উঠতে পারেননি─ কেন খাবারদাবারের প্রতি তাঁর আজীবন তীব্র অনীহা! এমনকি, কৈশোরে তাঁকে একবার চিকিৎসকের কাছেও যেতে হয়েছিলো আহারের প্রতি ভীতি জন্মানোর কারণে।

─ "আমি, আমার মায়ের ও আমার বাবার প্রত্যেকটি থাপ্পড়ের জন্য, প্রত্যেকবারের শাস্তির জন্য, তাঁদেরকে আজও ধন্যবাদ দেই মনেমনে; তাঁরা যদি আমাকে ওভাবে শাসন না-করতেন, কে জানে আমি হয়তো আজ ওই রাস্তার ছেলেগুলোর মতো বখে যেতাম।"
বলছিলেন সেই লোকটি, যিনি এ-জীবনে কারও সাথেই একটি স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারলেন না।

এবং, এ-ই আমরা। আমরা এভাবেই বেঁচে আছি, চারদিক থেকে রাতদিন এই দাবি শুনেশুনে যে─ "আমরা 'ভালো মানুষ', আমরা 'ভালো মানুষ' হতে পেরেছি শৈশবের সেই মারধরের কারণে, এবং আমাদের কারও কোনোই মানসিক সমস্যা দেখা দেয়নি সেই শাস্তিগুলোর ফলশ্রুতিতে।" আমরা নিজেরাও এসবই বলে চলেছি অন্যদেরকে রোজ, রোজ, রোজ, আটপ্রহর। এবং, এখানেই প্যারাডক্সিক্যাল ব্যাপারটি, অর্থাৎ─ আমরা জীবন কাটিয়ে দিচ্ছি এমন একটি সমাজে, যে-সমাজ সন্ত্রাস, কলহ, পরচর্চা, পরনিন্দা, পারস্পরিক হিংসা-রেষারেষিতে ভর্তি, যে-সমাজ ভর্তি মানসিকভাবে সম্পূর্ণ পর্যুদস্ত ও ভাঙাচোরা সব মানুষে। কারা তবে এইসব মানুষ?

হাহা!... এরা, সেই আমরাই।

Salah Uddin Ahmed Jewel অনুদিত─
#শৈশব_ও_দৈহিক_শাস্তি
(মূল ইংরেজি নিবন্ধটির লিখকের নাম পাইনি আমি। তবে তাঁকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।)...
Gaaner Feriwala

Be good, do good and leave beautiful memories behind.
06/04/2025

Be good, do good and leave beautiful memories behind.

টক্সি**ক মাদার!অনেকে এটা মানতেই চায় না যে, অনেক মায়েরাও সন্তানের বেলায় টক্সি*ক হয়ে থাকে। হ্যাঁ, জন্মদাত্রী মা! এসব মায়ের...
06/04/2025

টক্সি**ক মাদার!

অনেকে এটা মানতেই চায় না যে, অনেক মায়েরাও সন্তানের বেলায় টক্সি*ক হয়ে থাকে। হ্যাঁ, জন্মদাত্রী মা! এসব মায়েরা হয় ছেলে-মেয়ের মধ্যে কিংবা দুই মেয়ে/দুই ছেলের ক্ষেত্রে বৈষম্য করে থাকেন।

এক সন্তান থাকে চোখের মনি, অন্য সন্তান যেন দুই চোখের বিষ। একজনের একশটা ভুল অনায়াসে মাফ, অন্যজনের একটি মাত্র ভুলকে দশগুণ বড় করে তোলে মানসিক অত্যা**চার!

টক্সি**ক মায়েরা অবলীলায় সন্তানদের দূর্নাম করে বেড়ান আত্মীয়-স্বজন এবং প্রতিবেশীদের নিকটে। এমনকি তাদের সামনে সন্তনকে তুচ্ছতা*চ্ছিল্য করতেও ছাড়েন না। এমন ভাব দেখান, এ যেন তার সন্তান-ই নয়।

এর সীমাল**ঙ্ঘনের জন্য দায়ী পরিবারের পুরুষ, অর্থাৎ সন্তানের পিতা। প্রায় সময় দেখা যায়, স্বামী তার ট**ক্সিক স্ত্রীকে সমর্থন করে যাচ্ছে। কেবল, নিজে বাঁচার জন্য। সন্তান তার মায়ের ট**ক্সিক আচরণের শীকার হয়ে ভয়ে পাং**শু মুখে অধীর আগ্রহে পিতার ঘরে ফিরার অপেক্ষা করে যখন দেখে, পিতাও তাল মিলিয়ে অপ্রী*তিকর আচরণ করছে, তখন সে-ই সন্তানের আশার প্রদীপ এমনিও নিভে যায়।

সে তখন ভাবতে শুরু করে, পৃথিবীর বুকে সে এক নিঃস*ঙ্গ জীব। যার কেউ নেই, কিছুই নেই।

একটি শিশুর শৈশব ন*ষ্ট হওয়ার জন্য টক্সিক বাবা-মা-ই যথে*ষ্ট। অনেক ক্ষেত্রে শুধু শৈশব নয়, পুরো জীবনটাও বরবাদ হয়ে যায়। এটা আসলে ব্যাখ্যা করা যায় না। কেবল পরিস্থিতির শীকার হওয়া সন্তানরা বুঝে তাদের জীবন কতটা নিরানন্দ হয়ে গেছে।

আপনার সন্তানকে ভালোভাবে বাঁচার সুযোগ দিন। স্ত্রী/স্বামীর ট*ক্সিক আচরণের প্রতিবাদ করুন। স্ত্রী/স্বামীকে সন্তু*ষ্ট করতে তাল মিলিয়ে সন্তানকে আ**ক্রমণ করবেন না। সন্তানকে বুঝার চেষ্টা করুন, সবসময় বাবা-মা-ই সঠিক হয় না। আপনার স*ঙ্গী/স*ঙ্গীনী যখন সন্তানের সাথে অস্বাভাবিক আচরণ করে, তখন বিষয়টা ভালোভাবে বুঝে সমাধানের চেষ্টা করুন। একটি সন্তানকে শৈশব থেকে নেতিবাচক প্রভাবে বেড়ে তুলবেন না।

সময় ঠিকই একদিন আপনার সব হিসেব চুকিয়ে দিবে। যে-ই দূ*র্বল ছোট্ট শিশুর প্রতি বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করে মানসিক অত্যাচার করছেন, একদিন সে-ও সম*গ্র শক্তি নিয়ে বড় হবে। সেদিন যেন আপনার করা আচরণ আপনাকে ফিরিয়ে না দেয়!

জীবনে যা কিছুই করো না কেন, নিজের সুখের চাবিকাঠি অন্য কারো হাতে তুলে দিও না। কখনোই কারো ওপর এত বেশি নির্ভরশীল হবে না যে, ...
04/04/2025

জীবনে যা কিছুই করো না কেন, নিজের সুখের চাবিকাঠি অন্য কারো হাতে তুলে দিও না। কখনোই কারো ওপর এত বেশি নির্ভরশীল হবে না যে, তাদের সামান্য অবহেলাতেই তোমার মন খারাপ হয়ে যায়, বিশেষ করে মানসিকভাবে।

তোমার মন খারাপ? তাহলে মান্না দের গান শোনো। নিজের জন্য এক কাপ ধোঁয়া ওঠা কফি বানাও। বিকেলের মিষ্টি রোদে আপনমনে হাঁটো। কিংবা প্রিয় লেখকের বইয়ে ডুবে থাকো। যদি কোনো সৃজনশীলতা থাকে, তবে সেটাই হোক তোমার সঙ্গী।

অন্যকে ব্যঙ্গ করে স্ট্যাটাস দেওয়া, নিজের দুঃখ-দুর্বলতা সবার সামনে প্রকাশ করা— এগুলো কোনো পরিণত মানসিকতার পরিচয় নয়। খুব বেশি একা লাগলে বা মন খারাপ হলে ঘর অন্ধকার করে কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থেকো, প্রার্থনা করো।

পুরোনো স্মৃতি মনে করো, হাসো, কাঁদো— কিন্তু নিজের সাথে এমন একটা সম্পর্ক গড়ে তোলো, যেন দুঃখের দিনগুলোতে কাউকে না পেলেও নিজেই নিজের সবচেয়ে কাছের বন্ধু হয়ে উঠতে পারো।

যদি কোনো কাজে সফল হও, নিজেকে পুরস্কৃত করো। যদি ব্যর্থ হও, নিজের সাথে একটু অভিমান করো, কিন্তু হাল ছাড়বে না। তবে কখনোই অন্যের চোখে নিজের পারফেকশন খোঁজার ভুল করো না।

কারণ, মানুষ সবসময় তোমার গুণের চেয়ে তোমার ত্রুটিগুলো দেখতেই বেশি পছন্দ করবে। তুমি যদি পারো, সেটাই যথেষ্ট। একা রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়াটা স্বাভাবিক মনে করো, একা পার্কে সময় কাটানোটা যেন হাস্যকর না লাগে।

নিজেকে আর্থিকভাবে স্বাধীন করো, যাতে মুড অফ থাকলে নিজের জন্য এক টুকরো চকলেট কিনতে পারো, নিজের জন্মদিনে নিজেকে একটা সুন্দর উপহার দিতে পারো। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে জন্মদিনের আনন্দ ভাগাভাগি করো, নিজের পছন্দের পোশাক নিজের জন্য নিজেই কিনতে পারো।

মাঝেমধ্যে নিজেকে কিছু ফুল উপহার দাও। ঘরের কোণায় একটা ফুল রাখো, সুন্দর সুবাস মন ভালো করে দেবে। সবার মন জয় করাও তোমার দায়িত্ব নয়, কারণ পৃথিবীর কেউই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারেনি। তাই যেখানে প্রয়োজন, সেখানে "না" বলতে শেখো।

"আমার বাবা-মা আমাকে বোঝে না, বন্ধুরা আমাকে সময় দেয় না, কাছের মানুষ আমাকে অবহেলা করে"— এসব ভাবনাকে প্রশ্রয় দিও না। কারণ এগুলো আসলে তোমার নিজের তৈরি করা মানসিক চাপ।

কেন নিজেকে অন্যের বিরক্তির কারণ বানাবে? বরং এমন এক ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলো, যাতে তোমার উপস্থিতিই সম্মানের অনুভূতি সৃষ্টি করে।

Collected Post
Please DM for credit or removal

১. জীবনে সফল হতে চাইলে দুটি জিনিস প্রয়োজন: জেদ আর আত্মবিশ্বাস।২. সাফল্য মাপার মানদন্ড আপনি কি অর্জন করেছেন সেটা নয়, বরং...
30/03/2025

১. জীবনে সফল হতে চাইলে দুটি জিনিস প্রয়োজন: জেদ আর আত্মবিশ্বাস।

২. সাফল্য মাপার মানদন্ড আপনি কি অর্জন করেছেন সেটা নয়, বরং আপনি পড়ে যাবার পর কতবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন সেটা।

৩. পরাজয়ের ভয়, পরাজয়ের চেয়েও মারাত্মক।

৪. সাফল্য হলো ৯৫% কঠোর পরিশ্রম, ৪% অনুপ্রেরণা আর ১% ভাগ্যের যোগফল।

৫. পরাজিতরা যা যা পারে তার উপর গুরুত্ব দেয়। অন্যদিকে, বিজয়ীরা জয়ী হতে গেলে কি কি করতে হবে সেটার উপর গুরুত্ব দেয়।

৬. "End" মানে সবকিছু শেষ নয়, "End" শব্দের অর্থ হচ্ছে "Efforts never die" অর্থাৎ প্রচেষ্টার মৃত্যু নেই।

৭. একটা পরাজয় আরো পরাজয়ের জন্ম দেয়। প্রত্যেকটি পরাজয়ের পর মানুষ তার আত্মমূল্য হারিয়ে ফেলে যেটা তার পরবর্তী হারের কারণ।

৮. পরাজিতরা কোনো কিছু ঘটার অপেক্ষায় থাকে, তারা কখনই কোনো কিছু ঘটাতে পারে না।

৯. যে সবকিছু তৈরি অবস্থায় পেতে চায়, সে জীবনে কিছু করতে পারে না।

১০. "NO" শব্দের অর্থ "না" নয়। "NO" মানে হলো "Next Opportunity" বা পরবর্তী সুযোগ।

১১. আজ থেকে ৫ বছর পর আপনি কোথায় যাবেন তা নির্ভর করবে এখন আপনি কতটুকু পরিশ্রম করছেন এবং কোন ধরনের মানুষের সাথে মিশছেন তার উপর।

১২. ফার্স্ট ইমপ্রেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজনের সাথে সাক্ষাৎ হওয়ার ৩ থেকে ৫ সেকেন্ডের মধ্যেই তার সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি হয়ে যায়।

১৩. সম্পর্ক তৈরি করা একটি প্রক্রিয়া বা প্রচেষ্টার ফলাফল, কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়।

১৪. মানুষের ইচ্ছাশক্তি তার ভাগ্যকে নিয়ন্ত্রণ করে।

১৫. গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবার সময় যে আবেগকে কম মস্তিষ্ককে বেশি প্রাধান্য দেয় সে জীবনে সফল হয়।

১২টি গোপন সত্য যা ধনী লোকেরা আপনাকে জানতে দিতে চায় না.......আমরা এমন এক দুনিয়ায় বাস করি যা ধনীদের দ্বারা এবং ধনীদের জ...
17/03/2025

১২টি গোপন সত্য যা ধনী লোকেরা আপনাকে জানতে দিতে চায় না.......

আমরা এমন এক দুনিয়ায় বাস করি যা ধনীদের দ্বারা এবং ধনীদের জন্য গঠিত। আপনি যে মিডিয়া দেখেন, যে পরামর্শ শুনেন—সবকিছুই সুচিন্তিতভাবে সাজানো হয় আপনাকে কর্মজীবনের দৌড়ে ফাঁসিয়ে রাখার জন্য, যাতে তারা আরও উপরে উঠতে পারে। কিন্তু এবার পর্দা সরানোর সময় এসেছে এবং সেই সত্যগুলো জানার সময় এসেছে যা ধনী ব্যক্তিরা আপনাকে জানতে দিতে চায় না। প্রস্তুত থাকুন, কারণ এই তথ্যগুলো আপনার বিশ্বাসের অনেক ভ্রান্তি ভেঙে দিতে পারে।

১. কঠোর পরিশ্রম আপনাকে ধনী করবে না

হ্যাঁ, তারা আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে বলে, কিন্তু সত্যটা জানে—ধনী হওয়ার মূল চাবিকাঠি শ্রম নয়, লেভারেজ। মানে, যখন আপনি অতিরিক্ত সময় কাজ করে আপনার শক্তি খরচ করছেন, তারা অন্যের সময়, অর্থ এবং দক্ষতাকে ব্যবহার করে বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলছে।

২. তারা চায় আপনি বিশ্বাস করুন যে টাকা খারাপ জিনিস

আপনি যদি মনে করেন টাকা লোভ এবং দুর্নীতির প্রতীক, তাহলে আপনি কখনো এটি অর্জনের জন্য আত্মবিশ্বাসী হবেন না। অথচ ধনীরা জানে যে অর্থ কেবল একটি হাতিয়ার—যা সঠিকভাবে ব্যবহার করলে প্রভাব বিস্তারের শক্তিশালী মাধ্যম হতে পারে।

৩. সঞ্চয় আপনাকে ধনী করবে না

তারা বলে "সঞ্চয় করুন এবং মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করুন", কিন্তু নিজেরা তা করে না। তারা বিনিয়োগ করে বড় ঝুঁকি ও বড় লাভের সুযোগে—স্টার্টআপ, রিয়েল এস্টেট, স্টক মার্কেট এবং ব্যবসায়, যা তাদের সম্পদকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।

৪. শিক্ষাব্যবস্থা আসলে একটি ফাঁদ

শিক্ষাব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য হলো আপনাকে আজ্ঞাবহ কর্মচারী বানানো, উদ্যোক্তা বা ঝুঁকি গ্রহণকারী নয়। আপনাকে শেখানো হয় কীভাবে অর্থের জন্য কাজ করতে হয়, কিন্তু ধনী ব্যক্তিরা শেখে কীভাবে অর্থকে তাদের জন্য কাজ করানো যায়।

৫. কর ব্যবস্থা ধনীদের জন্য সুবিধাজনকভাবে তৈরি

তারা জানে কর কমানোর উপায়, আইনি ফাঁকফোকর এবং বিভিন্ন কর সুবিধা। কিন্তু সাধারণ মানুষ তাদের আয়ের বড় একটি অংশ কর হিসেবে পরিশোধ করতে বাধ্য হয়। ধনীরা বেতনভোগী নয়, তারা সম্পদের মালিক—আর সম্পদের ওপর করের হার ভিন্ন।

৬. ঋণ হলো শক্তিশালী অস্ত্র—যদি আপনি এটি ব্যবহার করতে জানেন

তারা চায় আপনি ঋণকে ভয় পান, কিন্তু ধনীরা ঋণকে ব্যবহার করে আরও বেশি সম্পদ অর্জন করতে। তারা অন্যের অর্থ (OPM) দিয়ে বিনিয়োগ করে এমন সম্পদ কেনে, যা তাদের জন্য নিয়মিত আয় সৃষ্টি করে এবং সেই আয় দিয়েই ঋণ শোধ হয়ে যায়।

৭. আপনার ভোগবাদ তাদের বিলাসী জীবনযাত্রার মূল কারণ

প্রতিবার যখন আপনি নতুন মোবাইল, ফ্যাশনেবল পোশাক বা দামি কফি কিনছেন, তখন আসলে আপনি তাদের পকেটেই অর্থ ঢালছেন। অন্যদিকে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে এমন সম্পদে, যা সময়ের সঙ্গে আরও মূল্যবান হয়।

৮. পরিচিতি প্রতিভার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ

তারা চায় না আপনি জানেন যে সঠিক মানুষের সংস্পর্শ আপনার জন্য অমূল্য সুযোগ তৈরি করতে পারে। তারা নিজেদের জন্য একটি এলিট নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে, যা তাদের ধনী থাকার সুযোগ নিশ্চিত করে এবং বাইরের লোকদের প্রবেশের পথ বন্ধ রাখে।

৯. সময় হলো তাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ

তারা সময় নষ্ট করে না। তারা এমন কাজ করে না যা অন্যরা করতে পারে। তারা মানুষ নিয়োগ করে তাদের জন্য কাজ করাতে, যাতে তারা সম্পদ গঠনের ওপর ফোকাস করতে পারে।

১০. শেয়ার বাজার তাদের সুবিধার জন্য নিয়ন্ত্রিত

আপনার শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ থেকে নিয়মিত মুনাফার আশা থাকলেও, তারা ইন্সাইডার তথ্য, স্বয়ংক্রিয় ট্রেডিং প্রযুক্তি এবং বিশাল মূলধন ব্যবহার করে বাজারকে নিজেদের স্বার্থে নিয়ন্ত্রণ করে।

১১. ব্যর্থতা তাদের সবচেয়ে বড় শিক্ষা

তারা ব্যর্থতাকে ভয় পায় না, বরং প্রতিটি ব্যর্থতাকে শিক্ষার সুযোগ হিসেবে দেখে। কিন্তু আপনাকে শেখানো হয় নিরাপদ খেলা খেলতে, ঝুঁকি না নিতে। ধনীরা জানে বড় পুরস্কারের জন্য বড় ঝুঁকি নেওয়া লাগে।

১২. তারা চায় আপনি অজ্ঞ থাকুন

যত কম আপনি অর্থ, বিনিয়োগ এবং ব্যবসা সম্পর্কে জানবেন, তত বেশি তারা আপনার শ্রম, সময় এবং ভোক্তাস্বভাবকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের আরও ধনী করে তুলবে।

তাহলে আপনাকে কী করতে হবে?

এই নিয়ন্ত্রিত খেলায় আর অংশ নেবেন না। টাকার ব্যাপারে জ্ঞান অর্জন করুন, ইনভেস্টরের মতো চিন্তা করতে শিখুন, এবং ভোগের পরিবর্তে সম্পদের মালিক হওয়ার দিকে মনোযোগ দিন। গড়পড়তা জীবনের শৃঙ্খল থেকে বেরিয়ে এসে নিজের সাম্রাজ্য গড়ে তুলুন। এখনই সময় এসেছে ব্যবস্থা নেওয়ার, যাতে আপনি সেই সম্পদ এবং ক্ষমতা অর্জন করতে পারেন যা ধনীরা আপনাকে পেতে দিতে চায় না।

©

টং দোকানে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম। বিল দিয়ে ঘুরতেই দেখি পাশের ইলেকট্রিসিটি পোলটার গায়ে কি একটা লিফলেট লাগানো। উৎসাহ নিয়...
08/03/2025

টং দোকানে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম। বিল দিয়ে ঘুরতেই দেখি পাশের ইলেকট্রিসিটি পোলটার গায়ে কি একটা লিফলেট লাগানো। উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে গেলাম। সাদা কাগজে লাল কালি দিয়ে বড় বড় করে লেখা, "আমি ১০০০ টাকার একটা নোট এখানে হারিয়ে ফেলেছি। যদি কেউ খুঁজে পান দয়া করে আমার কাছে পৌঁছে দিন। আমি একজন বৃদ্ধ মহিলা, চোখে খুব কম দেখি।" তারপর নিচে একটি ঠিকানা দেওয়া।

ঠিকানা কাছেই। হাঁটা পথে মিনিট পাঁচেক। কৌতূহল দমন করতে না পেরে আমি খুঁজতে খুঁজতে গেলাম সেখানে।

জং ধরা ভাঙাচোরা গেট দিয়ে সাবধানে ভেতরে ঢুকলাম। একটি জরাজীর্ণ টিনের ঘর, উঠানে এক অশীতিপর বৃদ্ধা বসে আছেন।

আমার পায়ের শব্দে পেয়ে তিনি মুখ তুলে তাকালেন, "কে?"

আমার সম্বিত ফিরল, "গলির মাথায় আমি আপনার ১০০০ টাকা খুঁজে পেয়েছি!"

আমার কথা শুনে তিনি হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলেন। একটু পর, কিছুটা ধাতস্থ হয়ে বললেন, "বাবা, এই পর্যন্ত অন্তত ১০/১২ জন আমার কাছে এসেছে আর ১০০০ টাকা করে দিয়ে বলেছে, তারা নাকি রাস্তায় আমার টাকা খুঁজে পেয়েছে। আমার কোনো টাকা হারায় নাই, ওই লেখাগুলোও আমার না, আমি খুব একটা পড়ালেখা জানিও না!"

আমি নিচু হয়ে ওনার হাত ধরে বললাম, "যাই হোক, সন্তান মনে করে আপনি টাকাটা রেখে দিন।"

এই কথা শোনার পর তিনি টাকাটা নিয়ে বললেন, "বাবা, আমি খুব অসুস্থ। ভালো করে হাঁটতে চলতে পারি না। কি যে তোমায় খেতে দিই!"

এই বলে তিনি অনেক কষ্টে লাঠিতে ভর দিয়ে বারান্দায় উঠলেন, আমার মনে হলো তিনি এখনি পড়ে যাবেন। আমি তাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে গেলাম।

তিনি কম্পমান হাতে বাটিতে গুড়মুড়ি ঢালতে বললেন, "তুমি আমার অতিথি! তুমি বসো।"

আমার পেটে একটুও ক্ষুধা ছিল না। তবুও, কিছুটা বৃদ্ধার আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়ে, বাকিটা তার সাথে আরো খানিকক্ষণ গল্প করার লোভে ধীরে ধীরে গুড়মুড়ি খেতে লাগলাম।

কথায় কথায় জানলাম এই পৃথিবীতে আপনজন বলতে ওনার কেউ নেই। আগে ভিক্ষা করতেন, অসুস্থ হবার পর আর বাড়ি থেকে বেরোতে পারেন না।

ফেরার সময় বৃদ্ধা বললেন, "বাবা, একটা অনুরোধ, তুমি যাওয়ার সময় ওই কাগজটা ছিঁড়ে ফেলো।"

আমি ওনার বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় মনে মনে ভাবছিলাম, "সবাইকে উনি বলার পরও কেউ কেন কাগজটি ছেঁড়েনি?"

আর ভাবছিলাম ওই মানুষটির কথা যিনি ওই নোটটি লিখেছেন। সহায়সম্বলহীন অসুস্থ বৃদ্ধ মানুষটাকে সাহায্য করার জন্য এত সুন্দর উপায় বের করার জন্য আমি তাকে মনে মনে ধন্যবাদ দিলাম।

হঠাৎ ভাবনায় ছেদ পড়ল একজনের কথায়, "এই যে, শুনছেন?"

চল্লিশোর্ধ্ব এক ভদ্রলোক আমার দিকে এগিয়ে এসে বললেন, "এই ঠিকানাটা কোথায় বলতে পারেন? একটু আগে আমি রাস্তায় ১০০০ টাকার একটা নোট পেয়েছি, এটা আমি ফেরত দিতে চাই।"

ঠিকানা দেখিয়ে সামনে এগোলাম। কখন জানি আমার চোখদুটো ভিজে উঠেছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে আমি বিড়বিড় করে বললাম, এভাবেই বেঁচে থাকুক আমাদের মানবতা।

সংগৃহিত

নিজেকে ভালো লাগে না? কখনো কি ভেবেছেন, অন্যকে ভালোবাসার আগে নিজেকে ভালোবাসা কতটা জরুরি? সবাই বলে, “নিজেকে ভালোবাসুন,” কিন...
27/02/2025

নিজেকে ভালো লাগে না?

কখনো কি ভেবেছেন, অন্যকে ভালোবাসার আগে নিজেকে ভালোবাসা কতটা জরুরি?

সবাই বলে, “নিজেকে ভালোবাসুন,” কিন্তু সেই ভালোবাসার মানে কী, সেটা কি আমরা জানি? নিজেকে ভালোবাসা মানে নিজেকে গ্রহণ করা—ঠিক যেমন আছেন সেভাবেই।

আমাদের অনেকের ধারণা, নিজেকে ভালোবাসা মানে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাওয়া। কিন্তু আসল বিষয়টা একেবারেই ভিন্ন।

নিজেকে ভালোবাসা মানে নিজের ভুলগুলো মেনে নেওয়া, নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া, আর নিজের সুখের জন্য নিজে উদ্যোগ নেওয়া।

যে নিজেকে ভালোবাসতে পারে, সে-ই অন্যকে ভালোবাসার যোগ্য হয়। কারণ নিজের ভেতরে শান্তি না থাকলে, বাইরে সেটা ছড়ানো অসম্ভব।

তাহলে নিজেকে ভালোবাসার উপায় কী?

১. নিজের রিয়েলিটি মেনে নেওয়া:⤵️

আমরা অনেকেই ভাবি, “আমি যদি আরেকটু সুন্দর হতাম,” বা “আমার যদি ওর মতো যোগ্যতা থাকত!” এই চিন্তা আপনাকে আরও অসন্তুষ্ট করে। নিজের শক্তি আর দুর্বলতাগুলোকে মেনে নিন। আপনি যেমন, সেটাই আপনার সবচেয়ে বড় পরিচয়।

২. নিজের প্রতি সদয় হোন:⤵️

জীবনে অনেক সময় আমরা নিজেদের প্রতি একটু বেশি সমালোচনা করে ফেলি। নিজের ব্যর্থতা বা ভুলের জন্য নিজেকে শাস্তি দেওয়া বন্ধ করুন। মনে রাখবেন, মানুষ মাত্রই ভুল করে।

৩. নিজের জন্য সময় দিন:⤵️

প্রতিদিন অন্তত কয়েকটা মুহূর্ত নিজের জন্য রাখুন। যেটা আপনার ভালো লাগে, সেটা করুন—হাঁটুন, গান শুনুন, বই পড়ুন। নিজের সঙ্গে সময় কাটানো মানেই নিজেকে ভালোবাসা।

৪. নিজেকে গুরুত্ব দিন:⤵️

সবসময় অন্যকে খুশি করতে গিয়ে নিজের ইচ্ছাকে অবহেলা করবেন না। যেটা আপনার জন্য ভালো, সেটা করার সাহস রাখুন।

৫. নেতিবাচক মানুষ এড়িয়ে চলুন:⤵️

আপনার চারপাশে এমন মানুষ থাকতে পারে, যারা আপনাকে শুধু দোষারোপ করে বা খারাপ অনুভব করায়। এই ধরনের মানুষের প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত রাখুন।

৬. নিজেকে ক্ষমা করে দেন:⤵️

পুরনো ভুল বা ব্যর্থতার জন্য নিজেকে দোষারোপ করবেন না। অতীতকে মেনে নিন, কিন্তু তাকে নিজের ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে দেবেন না।

৭. নিজের বেস্ট ভার্সন তৈরিতে ফোকাস দেন:⤵️

সব মানুষের ভিতরই অপার সম্ভাবনা থাকে। আপনি লাইফে কেমন মানুষ হলে সবাই আপনাকে দেখে গর্ব করতে পারবে- তেমন মানুষ হয়ে উঠুন। সেটা হতে যা যা করা উচিৎ সেটাকেই ফরজ ইবাদাত হিসাবে গ্রহণ করুন।

নিজেকে ভালোবাসা মানে নিজের প্রতি আন্তরিক হওয়া।

নিজেকে ভালোবাসতে শুরু করলে দেখবেন, জীবন অনেক সহজ আর আনন্দময় হয়ে উঠেছে।

মনে রাখবেন, পৃথিবীতে আপনার আপনি টা ভালো রাখতে না পারলে ভালো থাকাটা কোনো কালেই হয়ে উঠবে না।

১. কেউ বিশ্বাস ঘাতকতা করছে?- চুপ হয়ে যান।২.কেউ যন্ত্রণা দিচ্ছে? - চুপ হয়ে যান। ৩.কেউ অনেক ভালবাসার পরও প্রাপ্যটা দেয়নি? ...
20/02/2025

১. কেউ বিশ্বাস ঘাতকতা করছে?
- চুপ হয়ে যান।

২.কেউ যন্ত্রণা দিচ্ছে?
- চুপ হয়ে যান।

৩.কেউ অনেক ভালবাসার পরও প্রাপ্যটা দেয়নি?
- চুপ হয়ে যান।

৪.কোন মানুষ অনেক অপমান করছে?
- চুপ হয়ে যান।

৫.কেউ ঠকিয়ে গেছে?
- চুপ হয়ে যান।

৬.কেউ আপনাকে নিয়ে তুমুল মিথ্যা দোষারোপ করছে?
- চুপ হয়ে যান।

এমন নিরব হয়ে যান, সে মানুষগুলো যেনো আর কখনই আপনার শব্দ কিংবা ছায়া না দেখে। মৃ'ত হয়ে যান তাদের কাছে।

প্রতিজ্ঞা করুন আর কখনই ঘুরে তাকাবেন না। শুধু এই প্রতিজ্ঞাটা করতে পারলে আপনি কষ্ট পাবেন না। এই যে নিরবতা আপনাকে দম বন্ধ করা আর্তনাদ দিবে কিন্তু অপর পক্ষকে দিবে আফসোস।

আসলে আমরা হারাবার ভয়ে শব্দ দিয়ে প্রতিবাদ করি। কিন্তু আপনি জানেন কি? যে মানুষগুলো আপনাকে মানুষ বলে মূল্যায়ন করেনি, আপনাকে দমবন্ধ কান্নার অনুভূতি দিয়েছে তারা আপনার কেউ না।

তাই নিজের স্বার্থে বাঁচুন, নিজেকে ভালোবাসুন, আপনার একজন "সৃষ্টিকর্তা" আছেন। সকল দুঃখ, কষ্ট, চাওয়া, পাওয়ার কথা সৃষ্টিকর্তাকে বলুন তিনি সব কিছুর সমাধান করবেন।

সংগৃহীত

Address

Fulbaria

Telephone

+8801733198346

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Golpo Bondhu posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Golpo Bondhu:

Share