মাশফিক হেলাল

মাশফিক হেলাল Explore topics like politics, news, sports, science, and economics with simplified, objective explainers.

Join Masfic to learn, stay informed, and understand complex issues with ease.

28/06/2025

শুধুমাত্র কুমিল্লার মুরাদনগরে নয় পটুয়াখালী তে কি হয়েছে, জানেন কি?

28/06/2025

শুধু একটি রিসেট বাটনই বাস্তবে সক্রিয়, বাকি সব প্রতিশ্রুতি যেন কেবল শব্দের বাহার।

সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে, কিছু স্থানে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য, স্মৃতিস্তম্ভ বা গৌরবময় প্রতীকগুলো অপসারণ করা হচ্ছে। সেই জায়গায় তৈরি হচ্ছে নতুন স্থাপনা, যা একটি ভিন্ন রাজনৈতিক অধ্যায়ের স্মারক হিসেবে নির্মিত হচ্ছে—যেমন “জুলাই মিনার”।

যদি সত্যিই 'জুলাই' নামক ইতিহাসকে সংরক্ষণ করতে হয়, দেশের বহু স্থান রয়েছে যেখানে তা সম্মানের সঙ্গে নির্মাণ করা যেত। কিন্তু প্রশ্ন জাগে, মুক্তিযুদ্ধের মতো একটি ঐতিহাসিক অধ্যায়ের স্মৃতিচিহ্ন কেন ভাঙতে হবে?

জনগণের জীবনমান উন্নয়নে দৃশ্যমান কোনো ইতিবাচক পরিবর্তনের অভাব আজও বিদ্যমান। কিন্তু অন্যদিকে চোখে পড়ে—

জুলাই মিনার,

জুলাই জাদুঘর,

জুলাই ভাতা,

জুলাই উৎসব,

জুলাই কনসার্ট ইত্যাদি।

এসব আয়োজন হচ্ছে সাধারণ মানুষের টাকায়, জাতীয় বাজেট থেকে। সময়ের সাথে সাথে এসবের মূল্যায়ন ইতিহাস নিজেই করবে—তা টিকে থাকবে, না ভেসে যাবে, সেই বিচারের ভার ভবিষ্যতের হাতে।

কিন্তু একথা বলাই যায়—কোনো ভাস্কর্য সরিয়ে, কোনো স্মৃতিস্তম্ভ ধ্বংস করে, কিংবা ইতিহাসের পাতা ছিঁড়ে ফেলা গেলেও মানুষের হৃদয়ে যে বাংলাদেশ, যে মুক্তিযুদ্ধ, সেটিকে কখনো মুছে ফেলা সম্ভব নয়।

Repost
25/06/2025

Repost

https://youtu.be/5E6ykMP85mE?si=ozChODfEGrkzL1Ap
22/06/2025

https://youtu.be/5E6ykMP85mE?si=ozChODfEGrkzL1Ap

📌 ইরান কি হরমুজ প্রণালি বন্ধ করতে পারবে? আর যদি পারে, তাহলে বিশ্বের অর্থনীতি, তেলের বাজার ও রাজনীতি কেমনভাবে বদলে য...

21/06/2025

সংস্কারের ছদ্মবেশে অনিয়মের বিস্তার?
– একটি নিরপেক্ষ পর্যালোচনা

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের হার ছিল মোট ঋণের ১২.৬ শতাংশ। দীর্ঘ ১৫ বছর পর ২০২৪ সালের জুন মাসে সেই হার ছিল ১২.৫ শতাংশ—অর্থাৎ প্রায় অপরিবর্তিত।

কিন্তু নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার এক বছরের মাথায়, খেলাপি ঋণের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪.১৩ শতাংশে। অর্থাৎ, মাত্র এক বছরে এটি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

এই পরিসংখ্যান একটি বড় প্রশ্ন তুলে দেয়: যাদের হাত ধরে 'সংস্কার' শুরু হয়েছিল, তাদের কর্মপদ্ধতি আসলে কোন দিকে যাচ্ছে?

দেশের অর্থনীতিতে সংস্কার প্রয়োজন, সন্দেহ নেই। কিন্তু যদি সেই সংস্কার প্রক্রিয়াতেই নিয়ন্ত্রণহীনতা, দায়িত্বহীনতা ও অব্যবস্থাপনার পরিচয় মেলে—তাহলে তা উন্নয়ন নয়, দুর্বলতার ইঙ্গিতই বহন করে।

অর্থনীতির এমন গতি যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে সামনে আরও গভীর সংকটের মুখোমুখি হতে পারে দেশ।

নিরপেক্ষতা মানে কেবল অতীতের দোষ দেখানো নয়, বর্তমানের ভুলও চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো। অতএব, প্রশ্ন উঠতেই পারে—সংস্কারের ছদ্মবেশে কী তবে চলছে অনিয়মেরই বর্ধিতকরণ?

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা যখন আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের সবকিছু উন্মুক্ত করে দিই—ছবি, পারিবারিক তথ্য, আয়-রোজগার, খাবার-দাবার,...
15/06/2025

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা যখন আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের সবকিছু উন্মুক্ত করে দিই—ছবি, পারিবারিক তথ্য, আয়-রোজগার, খাবার-দাবার, পোশাক-পরিচ্ছদ, গাড়ি-বাড়ি—তখন তা এক অদৃশ্য প্রতিযোগিতার জন্ম দেয়। এই প্রতিযোগিতা আমাদের ব্যক্তিগত জীবনকে বিষাক্ত করে তোলে। প্রশ্ন হলো, জেনে বুঝেও কেন আমরা এই বিষাক্ত পরিবেশ থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পারি না?

কেন আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার বিষাক্ত চক্রে আটকা পড়ি? এর প্রধান কারণ হলো আসক্তি। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেন তা আমাদের মস্তিষ্ককে সারাক্ষণ 'হ্যাপি হরমোন' ডোপামিনের ফাঁদে আটকে রাখে। যখন আমরা একটি লাইক, কমেন্ট বা শেয়ার পাই, তখন আমাদের মস্তিষ্কে ডোপামিন নিঃসৃত হয়, যা আমাদের সাময়িক সুখের অনুভূতি দেয়। এই অনুভূতির লোভে আমরা আরও বেশি করে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন তুলে ধরতে উৎসাহিত হই।

এর ফলে যা হয়:
* অবাস্তবতার প্রতিযোগিতা: আমরা অন্যের চাকচিক্যময় জীবন দেখে নিজেদের জীবনকে তুচ্ছ মনে করি এবং তাদের মতো হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠি। এর ফলে মানসিক চাপ ও হতাশা বাড়ে।

* গোপনীয়তার অভাব: ব্যক্তিগত তথ্য জনসমক্ষে চলে আসার কারণে সাইবার বুলিং, প্রতারণা বা অন্যান্য ঝুঁকির শিকার হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

* সম্পর্কের অবনতি: ভার্চুয়াল জগতে বেশি সময় ব্যয় করার কারণে বাস্তব জীবনের সম্পর্কগুলো ফিকে হয়ে যেতে পারে।

* মানসিক স্বাস্থ্যহানি: ক্রমাগত অন্যের সঙ্গে নিজেদের তুলনা করা এবং তথাকথিত 'পারফেক্ট' জীবন দেখানোর চাপে উদ্বেগ, বিষণ্ণতা এবং আত্মমর্যাদা হারানোর মতো সমস্যা দেখা দেয়।

আমরা জানি যে এই স্ক্রল করা আমাদের জন্য ভালো নয়, তবুও আমরা থামতে পারি না। এটি অনেকটা চক্রের মতো, যেখানে আমরা জেনেও আরও গভীরে ডুব দিই। সোশ্যাল মিডিয়ার এই আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসা সত্যিই কঠিন, তবে অসম্ভব নয়।

14/06/2025

সমঝোতা নির্বাচন, নাকি সময়ের পুনরাবৃত্তি?

✍️ কলাম মাশফিক হেলাল (রাষ্ট্র ও জনগণের পক্ষে)

“মনে রেখো—এক ফোঁটা দিলাম শিশির…”
এই এক ফোঁটার মূল্য কতখানি, তা নির্ধারণ করবে সময়। তবে রাজনৈতিক আকাশে জমে থাকা ঘন মেঘ, সামনের দিনে এক নতুন জলোচ্ছ্বাসের ইঙ্গিত দিচ্ছে—যার কেন্দ্রবিন্দুতে এনসিপি, ইউনূস সরকার, এবং বিএনপি।

রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন উঠেছে, এনসিপি তাদের জুলাই সনদে ঘোষণার মাধ্যমে বলবে, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দল আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে একটি ‘মেটিকুলাস’ পরিকল্পনা, যার নেতৃত্বে আছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অনেকেই বলছেন, এটি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে—একটি একদলীয় নির্বাচন, যার পরিণতি আগে থেকেই নির্ধারিত।

সাংবিধানিক বৈধতার পরও যদি কোনো নির্বাচন একটি বড় অংশকে বাইরে রেখে হয়, তাহলে প্রশ্ন উঠবেই। প্রশ্ন উঠবে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে, প্রশ্ন উঠবে সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে, প্রশ্ন উঠবে, জনগণের ভোটাধিকার কতটা সুরক্ষিত থাকছে?

একটি রাজনৈতিক সত্য হলো, ইতিহাসের অনেক বিতর্কিত অধ্যায়ে বিএনপি, আওয়ামী লীগ কিংবা অন্যান্য দল কেউ-ই পুরোপুরি নির্দোষ নয়। তবে বর্তমানে যেসব আলোচনা শোনা যাচ্ছে—যে বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসবে, জামায়াত হবে পাতানো বিরোধী দল, আর ইউনূস পাবেন "সেফ এক্সিট"—এসব কথার সত্যতা যাচাই করা এখনো অসম্ভব, তবে রাজনীতির গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করলে এমন সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো, বিএনপির উপদেষ্টা খলিলুর রহমানকে কেন্দ্র করে হওয়া বিতর্ক। বিএনপির তরফে যেখানে তার পদত্যাগ চাওয়া হয়েছিল, সেখানে ইউনূস সরকার তার সঙ্গেই বৈঠক করেছেন। এটি কিছুটা হলেও ড. ইউনূসের অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, কারণ একটি দলের সঙ্গে একতরফা আলোচনা কখনোই নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।

নির্বাচন যদি হয় একটি সাজানো খেলা—যেখানে ফলাফল আগেই নির্ধারিত—তবে সেটি গণতন্ত্র নয়, বরং গণতন্ত্রের ছদ্মবেশ। এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে জনগণই। আর এই খেলায় যারা ‘ফিক্সার’, তারাই হবেন জনরোষের লক্ষ্যবস্তু।

তবুও কেউ কেউ বলছেন, এই নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য হতে পারে একটি দীর্ঘমেয়াদী আশীর্বাদ। আজ পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ শোনা গেছে—বিরোধী দল দমন, একতরফা ভোট, প্রশাসনিক ব্যবহার। কিন্তু যদি এবার বিএনপি ও জামায়াত নিজেরা এমন একটি নাটকীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তাহলে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ সেই দায় থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকতে পারবে।

ড. ইউনূস যদি সত্যিই অতীতের 'ঋণ' শোধ করতে চান—যা ১/১১ সময়কার জটিল রাজনৈতিক অবস্থায় বিএনপিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল—তবে প্রশ্ন থাকবে, তিনি সেটা করছেন রাষ্ট্রের ভবিষ্যতের বিনিময়ে? ব্যক্তিগত নিরাপত্তা এবং সম্পদের গ্যারান্টি নেওয়ার চুক্তি কি একজন নোবেল বিজয়ীকে মানায়?

সবশেষে বলতেই হয়—সময়ের কাছে একদা সবই ধরা পড়ে। রাজনীতি যেখানে 'সমঝোতা'র মোড়কে 'বাণিজ্য', সেখানে জনগণের সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব হারিয়ে যায়। সব ভালো, ভালো না। কিছু মেটিকুলাস পরিকল্পনা হয়তো জাতির জন্য হতে পারে এক দীর্ঘমেয়াদী বিপর্যয়।

13/06/2025

Videography without edited

13/06/2025

Adda with Sumon Attune

09/06/2025

আপনি জাজমেন্ট এ থেকে 'এটা ভুল হচ্ছে' বলবেন, ত আপনি 'দালাল'। আওয়ামী লীগ ও একই কাজ করতো। ভুল বা অনিয়ম বললেই তকমা দিতো 'রাজাকার'.

বাংলাদেশ নেতাদের r জনগণ চ্যাটে'র baল 😄

05/06/2025

Address

Fulbaria

Telephone

+8801717492501

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মাশফিক হেলাল posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মাশফিক হেলাল:

Share