02/02/2024
মনে আছে মহাভারতের সেই বিরাট রাজার কথা ?
যেখানে পান্ডবরা এক বৎসরের অজ্ঞাতবাসে ছিলেন। এবার সেই রাজার মহামূল্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মিলল বাংলাদেশের গাইবান্ধায়। যেসব মানসিক রোগীরা বলে যে এই দেশটা শুধুই তাদের অন্যকারো নয়; এই পোস্টটা পড়ে তাদেরকে বলবেন এই দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটিতে রয়েছে আমাদের পূর্বপুরুষের মায়া মমতার প্রমাণ৷ সাহস করে, গর্বের সাথে বলুন আমরা এদেশে বহিরাগত নই। আমরা এই মাটির ভূমিপুত্র।
------------------------------------------------------------------
গাইবান্ধার বিরাট রাজার ঢিবিতে পাওয়া গেল প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক এবং খননকারী দলের প্রধান ড. নাহিদ সুলতানা দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বিরাট রাজার ঢিবিতে প্রথমবারের মতো প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ পরিচালনা করছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। খননের মাঝামাঝি সময়ে বেরিয়ে এসেছে বেশকিছু অবকাঠামো ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, যেগুলো প্রাচীন ও মধ্যযুগের হতে পারে বলে ধারণা করছে খনন কাজে নিয়োজিত রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের প্রত্নতাত্ত্বিক দল।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক এবং খননকারী দলের প্রধান ড. নাহিদ সুলতানা দ্য ডেইলি স্টার কে এ তথ্য জানান।
ঢিবিটির আকার ৫০ মিটার, প্রস্থ ৩৫ মিটার এবং উচ্চতা ৪ মিটার।
নাহিদ সুলতানা বলেন, খননে ধারণার চেয়ে বড় আকারের অবকাঠামো পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত এখানে পোড়ামাটির ভগ্নাংশ, পোড়ামাটির ফলক, অলংকৃত ইট (সাধারণত ধর্মীয় উপাসনালয়ের সাজসজ্জায় ব্যবহৃত), ভিত্তিপ্রস্তর পিলার পাওয়া গেছে, যা প্রাচীনত্বের সাক্ষ্য বহন করে।
'তবে নিদর্শনগুলো ঠিক কোন সময়ের এবং কারা এখানে বাস করতেন বা কাদের রাজ্য ছিল বড় আকারে খনন কাজ সম্পন্ন না হলে তা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়', বলেন তিনি।
জনশ্রুতি আছে, এখানে প্রাচীন একটি দুর্গ নগরী ছিল। এর নিরাপত্তার জন্য ছিল সু-উচ্চ প্রাচীর এবং প্রাচীরের বাইরে প্রশস্ত ও সুগভীর পরিখা। তবে খননকারী দল এখন পর্যন্ত প্রাচীন দুর্গ নগরীর কোনো চিহ্ন খুঁজে পায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মূল অবকাঠামোর সঙ্গে আরও দুই-তিনটি মন্দিরের সংযোগ সড়ক ছিল, যা ধ্বংসপ্রাপ্ত।
খাঁজা এম এ কাইয়ুম নামের স্থানীয় গবেষক দীর্ঘ ৪০ বছর বিরাট রাজার ঢিবি নিয়ে গবেষণা করেছেন। তার নোটবুকের ত