
08/04/2024
একটি নিরাপদ ফলের স্বপ্নযাত্রা। 🤲
নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থা একটি আপোষহীন বিষয়। কারণ আমাদের বেঁচে থাকতে হলে খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। অনিরাপদ খাদ্য যেমন আমাদের স্বাস্থ্যহানির কারণ হিসেবে বিবেচিত হয় তেমনি অর্থ ব্যয়ের কারণ হিসেবে পরিগণিত হয়।
পুষ্টিমানের বিচারে আমাদের দৈনিক খাদ্যের তালিকায় ফলমূলের উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরি। ফলমূলে আছে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ লবণ যা রোগের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করতে পারে। ফল আমাদের দেশে একটি জনপ্রিয় উদ্যানতাত্ত্বিক ফসল। রং, গন্ধ, স্বাদ ও পুষ্টির বিবেচনায় বাংলাদেশের ফল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও বৈচিত্র্যময়।
আমাদের দেশে প্রায় ১৩০ রকমের ফল জন্মে, যার মধ্যে ৭০ রকমের ফল চাষ করা হয়। আমারা ফল খাওয়ার সময় অনেকেই কার্বাইড আতংকে থাকি। ‘ক্যালসিয়াম কার্বাইড’ এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ। এর ব্যাপক অপব্যবহারের ফলে আমসহ অন্যান্য ফল সহজে পাকানো যায়। এটি খুবই শক্ত এক ধরনের যৌগ। যা বাতাসে বা জলীয় সংস্পর্শে এলেই উৎপন্ন করে এসিটিলিন গ্যাস। এটি ফলে প্রয়োগ করলে এসিটিলিন ইথানলে রূপান্তরিত হয়। এর ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এ কেমিক্যাল মিশ্রিত ফল খেলে মানুষ দীর্ঘমেয়াদি নানা রকম রোগে বিশেষ করে বদহজম, পেটের পীড়া, পাতলা পায়খানা, জন্ডিস, গ্যাস্টিক, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, লিভার ও কিডনি নষ্ট হওয়া, ক্যান্সারসহ গর্ভবতী মহিলারা এর প্রভাবে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম দিতে পারে। রাসায়নিক মেশানো ফল খেয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কোমলমতি নিষ্পাপ শিশুরা। যার ফলে বিষাক্ত খাদ্য নীরব ঘাতক হিসেবে কাজ করছে।
প্রিয় দেশের মানুষের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আমরা আমাদের নিজস্ব এবং বাছাইকৃত নিবন্ধিত চাষীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ফল উৎপাদন এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে সর্টিং এবং গ্রেডিং করে বাগানের স্বতেজ ফলগুলো পৌছে দেই আমাদের আস্থাভাজন গ্রাহকদের দোরগোড়ায়।
এটি আমাদের একটি নিরাপদ ফলের স্বপ্নযাত্রা।আমাদের এই যাত্রায় আপনাদের ভালোবাসা সহযোগিতা এবং পরামর্শ একান্ত কাম্য। আমরা চাই নিরাপদ ফল হোক দেশের সকল মানুষের অধিকার। ভালোবেসে পাশে থাকুন নিরাপদ ফলের এই স্বপ্নযাত্রাকে অনুপ্রাণিত করুন। 🤲💞🥭