Munawara Mehreen Maya.

Munawara Mehreen Maya. ~ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আমার জন্য যথেষ্ট•!💖🤍

একজন মানুষ ওয়াজ-নসিহত করতে চাইলে তার জন্য শুধুমাত্র স্কুল-কলেজের সার্টিফিকেট না থাকলেও চলে, কিন্তু ইসলামি জ্ঞানে শিক্ষি...
26/07/2025

একজন মানুষ ওয়াজ-নসিহত করতে চাইলে তার জন্য শুধুমাত্র স্কুল-কলেজের সার্টিফিকেট না থাকলেও চলে, কিন্তু ইসলামি জ্ঞানে শিক্ষিত ও সচেতন হওয়া অপরিহার্য। নিচে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো:

---

✅ একজন মানুষ ওয়াজ-নসিহত করতে পারবেন যদি:

১. ধর্মীয় জ্ঞান থাকে

কুরআনের মৌলিক বিষয়, সহীহ হাদীস, ইসলামী আকীদা, নামাজ-রোজার বিধান, হালাল-হারাম—এগুলো ভালোভাবে জানা থাকতে হবে।

কোনো বিষয় নিয়ে কথা বললে দলিল (কুরআন ও হাদীস)সহ কথা বলতে জানতে হবে।

২. বিশুদ্ধ আকীদা (বিশ্বাস) থাকে

তাওহীদ, রিসালাত, আখিরাতের বিষয়ে সঠিক বিশ্বাস থাকতে হবে।

বিদআত ও শিরক থেকে মুক্ত হওয়া জরুরি।

৩. সঠিক নিয়ত থাকে

খ্যাতি বা অর্থের জন্য নয়, বরং আল্লাহর সন্তুষ্টি ও মানুষের হেদায়াতের জন্য ওয়াজ করা উচিত।

৪. নিজের আমল থাকে

নিজে নামাজ-রোজাসহ ইসলামী আমলে শক্ত হতে হবে।

যিনি নিজে পালন করেন না, তার কথা মানুষের মনে প্রভাব ফেলে না।

৫. ভাষার যোগ্যতা ও মৃদুভাষিতা থাকে

কথা বলার দক্ষতা, সহজবোধ্য ও মার্জিত ভাষা ব্যবহার জানা জরুরি।

কঠিন শব্দ বা তাচ্ছিল্যসূচক কথা ব্যবহার করা ঠিক নয়।

---

❌ কারা ওয়াজ করা থেকে বিরত থাকবে:

যারা নিজে ধর্মীয় আমল করে না।

কুরআন ও হাদীস না জেনে মিথ্যা বা ভিত্তিহীন কাহিনী বলে।

সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে বা অন্যদের বদনাম করে।

নিজের মতবাদ প্রচারের জন্য ওয়াজ করে।

ওয়াজ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি লাগবে না, তবে ইসলামী বিষয়ে গভীর ও বিশুদ্ধ জ্ঞান, আখলাক, ও আল্লাহভীতি থাকা বাধ্যতামূলক। যারা অল্প জানে তারা যদি ওয়াজ করতে চায়, তবে প্রথমে যোগ্য আলেমদের তত্ত্বাবধানে শিক্ষা গ্রহণ করা জরুরি।

✍️ মোঃ ইনজামাম সাহাজী ❤️

25/07/2025

ফকির যদি ভিক্ষা চাওয়ার সময় ১ টি কথা বলে ফেলে.!

ইবাদাতের সুমিষ্ট স্বাদ আকাশচুম্বী সবসময় থাকবেনা। কখনো আপনি ইবাদাত করে এতই আনন্দ পাবেন যে ইবাদাত ছাড়া দুনিয়া ভাবতে পারবেন...
25/07/2025

ইবাদাতের সুমিষ্ট স্বাদ আকাশচুম্বী সবসময় থাকবেনা।
কখনো আপনি ইবাদাত করে এতই আনন্দ পাবেন যে ইবাদাত ছাড়া দুনিয়া ভাবতে পারবেন না। আবার কখনো ইবাদাত করতেও প্রচন্ড অনিহা আসবে।
আমরা ইবাদাতগুলোর স্বাদ থেকে বঞ্চিত হই বিভিন্ন কারণে।
ঈমানের পারদ কমে যাওয়ার সাথেই ইবাদাতে আসে অনিহা।

ইবাদাতে অনিহা কাটাতে কিছু টিপস-

১.ইবাদাতে অনিহা এসেছে এটা অনুভব করা ও এটা ধরে আল্লাহর কাছে দু'আ করা। আল্লাহর কাছে বান্দা আল্লাহর কাছে যেতে চাইবে আর আল্লাহ বঞ্চিত করবেন তা সম্ভব না। বেশি বেশি, আল্লাহুম্মা আ ইন্নি আ'লা জিকরিক,ওয়া শুকরিক ওয়া হুসনি ইবাদাতিক পড়া।দু'আ করার সময় অন্তর থেকে করবো, অনুভব করে করবো।

২.খেয়াল করা আমার দৈনন্দিন জীবনে কোন ছোট-বড়, জেনে-না জেনে গুনাহ হয়ে যাচ্ছে কিনা। যদি পাওয়া যায় সেই গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা।

৩.ইবাদাতে অনিহা আসলেও তা ছেড়ে না দেওয়া, বরং জোর করে ধরে রাখা।

৪.অজানা কোন গুনাহ হয়েছে কিনা এটা নিয়ত করে তওবা ও ইস্তেগফার করা।

৫.আমল গুলোর পুরষ্কার সম্পর্কে জানা, সাথেই বড় আমল হচ্ছেনা বলে সব আমল ছেড়ে না দেওয়া। যেমন: আজানের জবাব,সালাতের পরের জিকির, অযুর পরের দু'আ।

৬.উত্তম ও কল্যাণকর বুজুর্গের সহবতে যাওয়া। সম্ভব না হলেও, দ্বীনিদার কোন বন্ধুর কাছে যাওয়া ও ঈমানি আলোচনা করা।

৭.আল্লাহর স্মরণ হয় এমন মজলিসগুলোতে রেগুলার থাকার চেষ্টা করা।

৮.নাফসকে প্রশ্রয় না দেওয়া, যা ইচ্ছা করবো, যা ইচ্ছা খাব,যতক্ষণ ইচ্ছা ঘুমাবো এই চিন্তা থেকে বের হওয়া। নাফসের লাগাম টেনে ধরা।

সর্বশেষ বিষয় হলো,মন না চাইলেও করুন। জোর করে করুন, নিজেকে ঠেলে নিয়ে যান।
ইবাদাত শেষ এ দেখবেন প্রশান্তি চলে এসেছে!

( সংগৃহীত )

মিশরের জনতা বোতলে করে সাগরের ঢেউয়ে খাদ্য ভাসিয়ে দিচ্ছে, যেন আল্লাহর ইচ্ছায় সাগরের ঢেউ এই খাবার গা.জাবাসীর কাছে পৌঁছে দেয়...
24/07/2025

মিশরের জনতা বোতলে করে সাগরের ঢেউয়ে খাদ্য ভাসিয়ে দিচ্ছে, যেন আল্লাহর ইচ্ছায় সাগরের ঢেউ এই খাবার গা.জাবাসীর কাছে পৌঁছে দেয়।

তারা এই চিন্তা কোত্থেকে পেল সেটা নিশ্চিত করে বলা না গেলেও এরকম একটি চমৎকার ঘটনা ঘটেছিল "বনি ইসরা.য়েলের" সময়ে। রাসুল ﷺ সেই ঘটনা নিজে সাহাবায়ে কেরামকে শুনিয়েছিলেন।

আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে থেকে বর্ণিতঃ

❝আল্লাহর রাসুল ﷺ বলেছেন, বনী ইসরাঈলের কোন এক ব্যক্তি বনী ইসরাঈলের অপর এক ব্যক্তির নিকট এক হাজার দীনার ঋণ চাইল। তখন সে (ঋণদাতা) বলল, কয়েকজন সাক্ষী আন, আমি তাদেরকে সাক্ষী রাখব। সে বলল, সাক্ষী হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট। তারপর (ঋণদাতা) বলল, তা হলে একজন যামিনদার উপস্থিত কর। সে বলল, যামিনদার হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট। ঋণদাতা বলল, তুমি সত্যই বলেছ। এরপর নির্ধারিত সময়ে তাকে এক হাজার দীনার দিয়ে দিল। তারপর ঋণ গ্রহীতা সামুদ্রিক সফর করল এবং তার প্রয়োজন সমাধা করে সে যানবাহন খুঁজতে লাগল, যাতে সে নির্ধারিত সময়ের ভেতর ঋণদাতার কাছে এসে পৌঁছতে পারে। কিন্তু সে কোন যানবাহন পেল না। তখন সে এক টুকরো কাঠ নিয়ে তা ছিদ্র করল এবং ঋণদাতার নামে একখানা পত্র ও এক হাজার দীনার তার মধ্যে ভরে ছিদ্রটি বন্ধ করে সমুদ্র তীরে এসে বলল, হে আল্লাহ! তুমি তো জান আমি অমুকের নিকট এক হাজার দীনার ঋণ চাইলে সে আমার কাছে যামিনদার চেয়েছিল। আমি বলেছিলাম, আল্লাহই যামিন হিসাবে যথেষ্ট। এতে সে রাজী হয়। তারপর সে আমার কাছে সাক্ষী চেয়েছিল, আমি বলেছিলাম সাক্ষী হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট, তাতে সে রাজী হয়ে যায়। আমি তার ঋণ (যথাসময়ে) পরিশোধের উদ্দেশ্যে যানবাহনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি, কিন্তু পাইনি। তাই আমি তোমার নিকট সোপর্দ করলাম, এই বলে সে কাষ্ঠখন্ডটি সমুদ্রে নিক্ষেপ করল। আর কাষ্ঠখন্ডটি সমুদ্রে প্রবেশ করল। অতঃপর লোকটি ফিরে গেল এবং নিজের শহরে যাওয়ার জন্য যানবাহন খুঁজতে লাগল। ওদিকে ঋণদাতা এই আশায় সমুদ্রতীরে গেল যে, হয়ত বা ঋণগ্রহীতা কোন নৌযানে করে তার মাল নিয়ে এসেছে। তার দৃষ্টি কাষ্ঠখন্ডটির উপর পড়ল, যার ভিতরে মাল ছিল। সে কাষ্ঠখন্ডটি তার পরিবারের জ্বালানীর জন্য বাড়ী নিয়ে গেল। যখন সে তা চিরল, তখন সে মাল ও পত্রটি পেয়ে গেল। কিছুদিন পর ঋণগ্রহীতা এক হাজার দীনার নিয়ে এসে হাযির হল এবং বলল, আল্লাহর কসম! আমি আপনার মাল যথাসময়ে পৌঁছিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে সব সময় যানবাহনের খোঁজে ছিলাম। কিন্তু আমি যে নৌযানে এখন আসলাম, তার আগে আর কোন নৌযান পাইনি। ঋণদাতা বলল, তুমি কি আমার নিকট কিছু পাঠিয়েছিলে? ঋণগ্রহীতা বলল, আমি তো তোমাকে বললামই যে, এর আগে আর কোন নৌযান আমি পাইনি। সে বলল, তুমি কাঠের টুকরোর ভিতরে যা পাঠিয়েছিলে, তা আল্লাহ তোমার পক্ষ হতে আমাকে আদায় করে দিয়েছেন। তখন সে আনন্দচিত্তে এক হাজার দীনার নিয়ে ফিরে চলে গেল।❞
(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২২৯১)

আমার ধারণা বনি ইসরায়েলের সেই ঘটনা মিশরের এই মানুষগুলোকে সাগরে খাদ্য ভাসিয়ে গা.জায় পাঠানোর ব্যাপারে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

আল্লাহু আলাম©

বর্তমানে গুজবের এই ফেসবুকে কিছু বলার মত রুচি নাই।  শুধু একটা হাদীস বলি, "একজন মানুষের মিথ্যাবাদী হয়ে যাওয়ার জন্য এতটুক...
24/07/2025

বর্তমানে গুজবের এই ফেসবুকে কিছু বলার মত রুচি নাই।

শুধু একটা হাদীস বলি,

"একজন মানুষের মিথ্যাবাদী হয়ে যাওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট, যে সে যা কিছুই শোনে, যাচাই-বাছাই না করে তা-ই অন্যদের বলে বেড়ায়।"

সহীহ মুসলিম, হাদীস নম্বর: 5 (মুকাদ্দিমায়)

24/07/2025

স্বামীর কাছে স্ত্রীরা এই ৪ টি জিনিস দাবি করলে স্বামী যদি তা পূরণ না করে ওই স্বামী জাহান্নামী!!

আমিও যাচ্ছি স্কিন (চামড়া, উরু থেকে নেয়া হবে- ১৪ দিনে সেরে যাবে, একটা দাগ থাকবে শুধু) ডোনেট করতে- আপনারা কে কে ডোনেট করতে...
24/07/2025

আমিও যাচ্ছি স্কিন (চামড়া, উরু থেকে নেয়া হবে- ১৪ দিনে সেরে যাবে, একটা দাগ থাকবে শুধু) ডোনেট করতে-

আপনারা কে কে ডোনেট করতে চান বলেন তো দেখি ?

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গুরুতর দগ্ধ অসংখ্য শিক্ষার্থীর জীবন এখন ঝুঁকিতে। তাদের অনেকের শরীরের বিশাল অংশ পুড়ে যাওয়ায় চিকিৎসকরা জানিয়েছেন—স্কিন গ্রাফটিং ছাড়া তাদের বাঁচানোর আর কোনো উপায় নেই।

বার্ন ইনস্টিটিউট এর দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. মাহবুব হাসান (Room No: 345) জানিয়েছেন, স্কিন ডোনেশন এখন অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে যাদের শরীরের অনেকটা অংশ পুড়ে গেছে, তাদের জন্য এটা জীবন-মরণ পরিস্থিতি।

চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী

• সাধারণত উরুর (thigh) অংশ থেকে ত্বক সংগ্রহ করা হয়।

• দাতার শরীরের ওই অংশ ১৪ দিনের মধ্যে সেরে ওঠে।

• সামান্য একটি দাগ ছাড়া শরীরে কোনো বড় ক্ষতি হয় না।

স্কিন ডোনেশনের প্রক্রিয়া:
• প্রথমদিন শুধু রক্ত পরীক্ষার জন্য হাসপাতাল আসতে হবে।

• রিপোর্ট ঠিক থাকলে দুই দিনের মধ্যে যোগাযোগ করে ডোনেশন নেয়া হবে।

• সেই দিনই ডে কেয়ারে পর্যবেক্ষণের পর রাতে ছেড়ে দেওয়া হবে।

ডা. মাহবুব আরও বলেন, “একজনের দেওয়া স্কিন আরেকজনের জীবন বাঁচাতে পারে। সময় খুবই সংকটাপন্ন।”

এই মানবিক বিপর্যয়ে দাঁড়িয়ে সকল সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসর অনুরোধ জানানো হয়েছে বার্ন ইউনিটের পক্ষ থেকে। আগ্রহীরা দ্রুত যোগাযোগ করতে পারেন সংশ্লিষ্ট ইউনিটে।

এখনই আপনার সহানুভূতি আর সাহসিকতার সময়। আমাদের ছোট্ট এক পদক্ষেপ, কারো জন্য হতে পারে নতুন জীবন।

© Nd Nazrul Islam

সন্তান। নয় মাস গর্ভে ধারণ করে তীব্র যন্ত্রণা সহ‍্য করে দুনিয়ায় যখন সন্তান  আসে তখন মা কিন্তু সব যন্ত্রণা কষ্ট ভুলে যায় স...
23/07/2025

সন্তান। নয় মাস গর্ভে ধারণ করে তীব্র যন্ত্রণা সহ‍্য করে দুনিয়ায় যখন সন্তান আসে তখন মা কিন্তু সব যন্ত্রণা কষ্ট ভুলে যায় সেই ছোট্ট সন্তানের মুখটা দেখেই। ছেলে বা মেয়ে। মা এর কাছে সে শুধুই সন্তান। এই সন্তান এর নিরাপত্তা আল্লাহ্ পাকের হাতে সবচেয়ে আগে। তিনিই আশ্রয়, হেফাজত ও নিরাপত্তার মালিক। তাই তার কাছেই সন্তান কে আমানত করে দিন। কারণ তিনি আল্লাহ্। কখনও আমানতের খেয়ানত করেননা। আপনার সন্তানের জন্য প্রতিদিন আল্লাহ্ পাকের কাছেই নিরাপত্তা চান। ইং শা আল্লাহ্ তিনি নিজ হেফাজতে রাখবেন।
কিছু দোয়া আপনারা প্রতিদিন আমল করেন। আপনার প্রিয় সন্তানের জন্য। হেফাজত করবেন আরশের আজীম।
সন্তান যখন বাড়ি থেকে বের হয় তখন মা যদি এই তিনটি দোয়া পড়ে ফু দেয় তাহলে বাচ্চা সারাদিন আল্লাহর জিম্মায় থাকে।
১. সুরা ফাতেহা পড়ে সন্তান কে ফু দিন।
২. বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আল আল্লাহ,,,
লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ
৩. আয়াতুল কুরসি
৪. বিসমিল্লাহ তিনবার পড়ে ফু দিন তার মুখ সহ সারা শরীরে।
৫. সূরাতুল ইয়াসিনের [৯] ( নয়) নং আয়াত পড়ে ফু দিন সন্তানের শরীরে।
সূরা ইয়াসিনের ৯ নং আয়াত ছোট একটা আয়াত যেটা আপনি চার পাচ বারেই মুখস্ত হয়ে যাবে ইং শা আল্লাহ্।

সন্তান যদি আপনার থেকে দূরে থাকে দেশ বা বিদেশ তাহলেও এসব পড়ে আমল করে ফু দিন আসমানের দিকে। আল্লাহ্ পাক মা এর দোয়া পৌছে দিবেন আপনার সন্তানের কাছে ইং শা আল্লাহ্।

(একটি শিক্ষণীয় গল্প)নিজের স্ত্রীকে আলিঙ্গনরত অবস্থায় কোন পুরুষকে চুমু খেতে দেখলে স্বামীর ধারণা এক দরিদ্র লোক  ও তার স্ত...
23/07/2025

(একটি শিক্ষণীয় গল্প)
নিজের স্ত্রীকে আলিঙ্গনরত অবস্থায় কোন পুরুষকে চুমু খেতে দেখলে স্বামীর ধারণা

এক দরিদ্র লোক ও তার স্ত্রী পাহাড়ে বাস করতো।
বেশিরভাগ সময় এই পরিবারের নুন আনতে পান্তা ফুরায় , মাঝেমধ্যে না খেয়েও দিনাতিপাত করতে হয় মোটকথা, বাঁচার সংগ্রাম । একদিন লোকটি রুটি রোজগারের সন্ধানে পাহাড় ছেড়ে অন্য কোথাও বেরুবার সিধান্ত নেয় । যাবার আগে স্ত্রীকে বলে, ‘ আমি দীর্ঘ দিনের জন্য বাইরে যাচ্ছি । তোমার প্রতি আমি সবসময় বিশ্বস্ত ছিলাম এবং থাকব, প্রতিজ্ঞা করতে পারবে যে তুমিও আমার অনুপস্থিতে আমার প্রতি বিশ্বস্ত থাকবে ‘? তার স্ত্রী মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যাঁ সূচক সম্মতি জানায়।
অনেক দিন পার করে পাহাড় বেয়ে নিচে নেমে লোকটি
শর্ত দিয়ে একটি দোকানে চাকরি নেয় । শর্তটি হচ্ছে
এই যে, পুরো উপার্জন বা মজুরি মালিকের কাছে
জমা থাকবে; কাজ ছেড়ে চলে যাবার সময় সমুদয়
অর্থ ফেরত নেয়া হবে। মালিক গরিব লোকটির কথায়
রাজি হলেন।বিশ বছর পর লোকটি আর কাজ করবেনা বলে মালিকের কাছে তার প্রাপ্য সব টাকা
ফেরত চাইল।
মালিক বললেন , তুমি টাকা নিবে নাও কিন্তু টাকার পরিবর্তে আমার তিনটা উপদেশও গ্রহণ করতে পার‌বে তুমি স্বাধীন। হয় আমার উপদেশ মানবে নয়তো তোমার বিশ বছরের পারিশ্রমিক ফেরত নেবে, কোনটা ? লোকটি দুদিনের সময় নিয়ে অনেক ভেবেচিন্তে বলল, আমি আপনার তিনটি উপদেশ চাই, আমার প্রাপ্য অর্থ নয়’‌।
মালিক বললেন তাহলে মনোযোগ দিয়ে শুনো এবং কথাগুলো মাথায় রেখো।
উপদেশ-১ঃ
কখনও সংক্ষিপ্ত রাস্তা বা সর্টকাট বেছে
নেবেনা ; আপাতদৃষ্টে ভাল হলেও লম্বা সময়
নিয়ে করা কাজ অধিকতর উপকারী‌।
উপদেশ-২ঃ
কোন কিছুতে হুট করে আগ্রহ দেখাবেনা । ধৈর্য ধরে
উপসংহারে উপনীত হবার চেষ্টা করবে।
উপদেশ ৩ঃ
কারো সম্পর্কে ধারণা নেবার আগে
পূঙ্খানুপুঙ্খ চিন্তাভাবনা করবে।

এই বলে মালিক লোকটিকে তিনটা পাউরুটি দিয়ে
বললেন , এই দুটি খাবে রাস্তায় ভ্রমণকালে আর
এই বড় রুটিটা খাবে বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর সাথে
শেয়ার করে।
মালিকের উপদেশ মনে গেঁথে লোকটি তার দীর্ঘ ও
ক্লান্তিময় সফর শুরু করে । পথিমধ্যে একজনের
সাক্ষাতে জানতে পারে যে এই পথে যেতে যা
সময় লাগবে, বিকল্প পথে লাগবে তার চেয়ে অনেক
কম সময়। আর যেহেতু বিশ বছর ধরে সে স্ত্রীকে
দেখেনা তাই এমনভাবে সময় নষ্ট করা ঠিক না।
লোকটি প্রথমে রাজি হোল কিন্তু পরক্ষনে মালিকের
উপদেশ -১ স্মরণ করে দীর্ঘ পথই বেছে নিলো। পরে
জানতে পারে যে সংক্ষিপ্ত পথে একটা ভয়ংকর প্রাণী ছিল যা তার প্রাণ নিয়ে নিতে পারতো‌।

সফরের এক সময় রাত্রি যাপনের জন্য লোকটি
একজন মহানুভব মানুষের সাহায্য গ্রহণ করল।
অনেক রাতে একটা গোংরানির শব্দে তার ঘুম
ভেঙ্গে গেলে সে খুব আগ্রহ নিয়ে কি ঘটেছে দেখার
জন্য দরজা খুলতে যায়। হটাৎ তার মনে পড়ে
মালিকের উপদেশ -২ অর্থাৎ হুট করে আগ্রহ
দেখানো ভাল ফল নাও দিতে পারে। সত্যি তাই।
সকালে আশ্রয়দাতা জানালো যে রাতে এই
বাড়িতে একটা বাঘ ঢুকেছিল।

অবশেষে দীর্ঘ পথ পরিভ্রমণ শেষে একরাশ ক্লান্তি
ও হাতে একটা পাউরুটি নিয়ে লোকটা বাড়ি
পৌঁছায়। ঘরে ঢুকতে যাবে এমন সময় জানালা
দিয়ে উঁকি মেরে দেখে তার স্ত্রী আলিঙ্গনরত
একজন পুরুষের গালে চুমু খাচ্ছে। রাগে, ক্ষোভে আর
ক্লান্তিতে বিধ্বস্ত লোকটি তার স্ত্রীর প্রতি
চরম ঘৃণা ভরে চিরতরে বাড়ি ত্যাগ করার
সিদ্ধান্ত নেয়। আর তখনি হটাৎ তার মনে পড়ে
মালিকের উপদেশ -৩ কারো সম্পর্কে ধারণা নেবার আগে পুঙ্খনাপুঙ্খ চিন্তাভাবনা করবে। তাই লোকটি বাড়ি ছাড়ার আগে সে জানতে চায় কেন তার স্ত্রী তার প্রতি বিশ্বস্ত থাকার প্রতিজ্ঞা করেও বিশ্বাসঘাতকতা করল। অথচ সেতো সেই আগের মতই বউকে ভালবাসে।
দরজায় কড়া নাড়তেই সহাস্যে তার স্ত্রী
দরজা খুলে দিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরতে এগিয়ে আসে।
লোকটি তাকে কাছে ঘেঁষতে দেয় না ‘আমি শুধু
জানতে চাই তুমি আমাকে রেখে আমার
অনুপস্থিতে অন্য একজন পুরুষের গালে চুমু খেয়ে
বিশ্বাসঘাতকতা করলে কেন? কই আমি তো ওইরকম
নই বরং বিশটা বছর তোমার কথা ভেবে ভেবে
কাটিয়েছি ‘ লোকটি বলল।
‘ঘরে এসো সব খুলে বলছি’ তার স্ত্রী
বিনীতভাবে আমন্ত্রন জানাল। ‘না, তার আগে
আমার নিজ চোখে দেখা এই মাত্র ঘটে যাওয়া
অপকর্মের ব্যাখ্যা চাই’।
‘আচ্ছা ঠিক আছে, বলছি। তুমি যখন বাড়ি ছেড়ে চলে
গেলে তখন আমি সন্তানসম্ভবা। এখন আমাদের
বিশ বছর বয়সের একটা ছেলে আছে। দূরে পাহাড়ে
কাজে যাবে বলে দুইগালে চুমু খেয়ে দোয়া
করছিলাম’।

আনন্দাশ্রু নিয়ে উভয়ে পাউরুটিটা ভাগ করে খেতে
বসলো। রুটি ছিড়তেই লোকটি দেখে তার মালিক তার
পাওনা সম্পূর্ণ অর্থ রুটির ভেতর গুঁজে দিয়েছিল।

(সংগ্ৰহকৃত)।

প্রেম ছেড়ে দেওয়া যায়, সংসার নয়—বিশেষ করে যখন ভুল মানুষের সঙ্গে জীবন জড়িয়ে যায়।ভুল মানুষকে ভালোবেসে ফিরে আসা যায়, কিন্তু ...
23/07/2025

প্রেম ছেড়ে দেওয়া যায়, সংসার নয়—বিশেষ করে যখন ভুল মানুষের সঙ্গে জীবন জড়িয়ে যায়।

ভুল মানুষকে ভালোবেসে ফিরে আসা যায়, কিন্তু যদি তার সঙ্গে সংসার বাঁধা পড়ে—তাহলে সেই বাঁধন ভাঙা এতটা সহজ হয় না। সমাজ, সন্তানের ভবিষ্যৎ, মা-বাবার সম্মান—এইসব ‘দায়’ এতটাই ভারী হয়ে ওঠে যে অনেকেই ভাঙা বিশ্বাস, নিঃস্ব মন নিয়েই সারাজীবন কাটিয়ে দেন। অথচ সেই ভুল মানুষটা বুঝতেই চায় না, সে কতটা বিরক্তিকর হয়ে উঠেছে।

শুধু খাবার আর শরীরের ছায়ায় মানুষ প্রিয় হয়ে ওঠে না।

একসাথে থেকেও যখন মনের টান থাকে না, তখন প্রতিটা মুহূর্তেই বোঝা বাড়ে। প্রিয় হওয়ার জন্য প্রয়োজন বোঝার অনুভূতি লাগে—না হলে সে শুধু ‘সহবাসে’ থাকা এক অপরিচিত মুখ। যার পাশে হাসলেও মন খালি থাকে, যে স্বার্থের বাইরে কিছুই দেখে না—তার সঙ্গে বেঁচে থাকাটা নিছক সহ্য করার নামান্তর।

একটা সম্পর্ক তখনই বিষ হয়ে ওঠে, যখন সেখানে সম্মান হারিয়ে যায়।

দুঃখে কেউ পাশে থাকে না, খারাপ সময়ে কেউ হাত ধরার মানুষ হয়ে ওঠে না—তখন সংসারের ভিতরেও মানুষ একা হয়ে যায়। কথাগুলো আর কাউকে বলা যায় না, চোখের জল আর কেউ মুছে দেয় না, তখন মানুষ নিজের মধ্যেই একটা দেয়াল তুলে ফেলে। ভালোবাসার নামে এই নিঃসঙ্গতাই সবচেয়ে নির্মম।

যে সম্পর্ক বাঁচায় না, বরং ধীরে ধীরে মেরে ফেলে—সেই সম্পর্ক ছেড়ে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ।

সমাজ যাই বলুক না কেন, নিজেকে হারিয়ে ফেললে, নিজের আত্মবিশ্বাস মরে গেলে, জীবনের কোনো মানে থাকে না। তখন মানুষ দাঁড়ায় দুটো পথের সামনে—একটা হলো সমস্ত স্বপ্ন শেষ করে দেওয়া, আরেকটা—নিজেকে নতুন করে গড়ে তোলা।

যারা নিজেকে ভেঙে আবার গড়তে পারে, তারাই আসল সাহসী।

ভুল মানুষের ভালোবাসা কেবল প্রলোভন—যেটা শেষে ক্ষত আর দুঃখ ছাড়া কিছু দেয় না। তাই প্রিয়জন আর প্রয়োজনের তফাতটা বুঝতে শিখতে হবে। কে পাশে থাকবে, কে মাঝপথে ছেড়ে দেবে—এই যাচাইটা সময় থাকতেই করতে হয়।

কারণ সুখের দিনে সবাই থাকে, কিন্তু দুঃখের দিনে যে হাত ছাড়ে না, সেও তো একরকম দেবতা।

জীবন বারবার ভাঙে, আবার গড়েও। চোখের জল দিয়ে মাটিতে বীজ ফেললে তবেই নতুন সুখের বৃক্ষ গজায়।
আশার ছায়ায় বাঁচা যায়, যদি মনের ছায়াটাও পাশে থাকে।

শেষ কথা একটাই—সুখ শুধু শরীরের নয়, মনের সংযোগেই জীবন জ্বলে ওঠে।
আর সেই জ্বলন্ত জীবনের মাঝেই এক টুকরো শান্তি খুঁজে নিতে হয়—নিজের জন্য।

©

প্রত্যেক মানুষের অন্তরেই রয়েছে অস্থিরতা,যা কেবল আল্লাহর কাছে ফিরে গেলেই ঠিক করা সম্ভব।ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহি.)সূত্র : ...
23/07/2025

প্রত্যেক মানুষের অন্তরেই রয়েছে অস্থিরতা,
যা কেবল আল্লাহর কাছে ফিরে গেলেই ঠিক করা সম্ভব।

ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহি.)সূত্র : মাদারিজুস সালেকিন, ৩/১৫৬]

🌿যে তাওবা করে ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে পরিণামে আল্লাহ তাদের পাপগুলোকে পূণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন।আল্লাহ অতীব ক্ষমাশী...
23/07/2025

🌿যে তাওবা করে ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে পরিণামে আল্লাহ তাদের পাপগুলোকে পূণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন।
আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু

⭕সূরা ফুরক্বান আয়াত - ৭০

Address

Fulbaria

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Munawara Mehreen Maya. posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share