27/11/2023
#রক্তজবা ১৪তম/শেষ পর্ব
--তাহলে কী করবেন? আর আমার পিছুই বা নিয়েছেন কেন? আপনাকে কে পাঠিয়েছে? নাকি আপনি আমার কাছে এই মুহুর্তে কোনো কল্পনার চরিত্র?
-আমি সত্য। আমার কোনো কাল্পনিক রুপ নেই। আমি এখানে এসেছি তোমাকে সঠিক পথ দেখাতে। ধরো, এখন তুমি বাড়ি ফিরে গেলে। ডাইনিং রুমে বসে আছে তোমার ভাই এবং সম্মানীয় পিতা ইউনূস সাহেব। সেখানে লাবন্যের সাথে সাথে যেসকল মেয়েকে নিয়ে তুমি ফ্যান্টাসির জগত সৃষ্টি করতে,তারা সবাই এসে অভিযোগ জানাচ্ছে। এমন মুহুর্তে কী করবে তুমি? আর নিজের দোষ ঢাকতে কতজনকেই বা খু*ন করবে মিহির?
-আমি কখনোই তাদের মুখোমুখি হবো না। কখনো না। আমি আমার পরিবারের কারো সামনেই যেতে চাই না। এখান থেকে দূরে পালিয়ে যাবো আমি। তুমি আমার সামনে থেকে চলে যাও প্লিজ। এক মিনিট, তুমি আমার সম্পর্কে এতকিছু কীভাবে জানলে? পুলিশের কেউ? তার মানে আমাকে পুলিশে ধরবে? তারপর আমাকে থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে বড় করে ছবি তুলে পত্রিকায় ছাপাবে, তাই না! উঁহু, আমি এমন দৃশ্য দেখতে চাই না।
মিহিরের এমন উতলা অবস্থা দেখে ফেরারি মুচকি হাসলো। সে জানে, এই মুহুর্তে তাকে ঠিক কী উত্তর দিতে হবে। তবুও চুপ করে রইলো। মিহির আবার জিজ্ঞাসা করে,
-আমি আপনার কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করছি। প্লিজ, আমাকে বলুন।
-অনুরোধ? তুমি তো আমাকে ভয়ও দেখাতে পারতে। আমি একা মেয়ে, এই অন্ধকারে তোমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে আছি। যে অপরাধের জন্য রুমকির মৃত্যু হলো, যে অপরাধের জন্য তুমি এই রাতে এভাবে পালাতে যাচ্ছো, এখন নিজেই সেই অপরাধ করতে ভয় পাচ্ছো?
মিহিরের শিরদাঁড়া বেয়ে যেন অপমানের ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল। সে মিনমিন করে জবাব দেয়,
-আপনি আমার সম্পর্কে সব জেনেই এসেছেন। তাই না? শুধু আপনিই নন, হয়তো আমার চারপাশের প্রতিটি মানুষই জেনে গেছে এখন। হতে পারে-আপনি আমার এনকাউন্টার করতে এসেছেন। যাই করুন, আমি নিজের বিরুদ্ধে আর কোনো প্রমাণ অবশিষ্ট রেখে যাবো না। আপনি জানেন, আমি আজ অব্দি কোনো মেয়েকে ধ*র্ষণ করিনি?
-জানি।
-সত্যিই জানেন? কীভাবে?
-এখন বলার প্রয়োজন মনে করছি না।
- হ্যাঁ, জানতেই পারেন। সেই ক্ষমতা যে আপনার আছে,এতক্ষণে আমি বুঝে গেছি। আমি এখনও বলছি। কোনো মেয়েকে আমি ধ*র্ষণ করিনি। আমার শুধু মেয়েদেরকে নিয়ে একটা আলাদা ফিলিংস, আলাদা রোমাঞ্চ জাগে। বাইরের মানুষের সাথে মেশা বন্ধ করতে করতে আমি ঘরের মধ্যেই নিজেকে বন্দি করে নিয়েছিলাম। তারপর ধীরে ধীরে ইন্টারনেটের নানান রেস্ট্রিকটেড সাইটের ভিডিও দেখা শুরু। একসময় তীব্র নেশা ধরে গেল। বাইরের জগতের মেয়েদেরকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতে ভীষণ আনন্দ লাগত। ওদের শরীরের গন্ধ, পারফিউমের নেশাময় ঘ্রাণ আমার কাছে যেন পৃথিবীর সবচেয়ে মোহময় মনে হয়। আমি ওদের কাছে যাই, খুব গোপনে গন্ধ নিই, ওদের ব্যবহারের জিনিস চুরি করে এনে রাতে নিজের শরীরে জড়িয়ে ঘুমাই। আহ, আমার কী যে শান্তির ঘুম হত। আমি মনে মনে কল্পনা করতাম- বিশেষ জৈবিক মুহুর্তে ওদের চোখেমুখের তৃপ্তিময় চেহারা কত সুন্দর! কিন্তু আমি কখনো এগিয়ে গিয়ে কাউকে কাছে ডাকিনি। আমার ভালো লাগা তো ওইটুকুই। কিন্তু মাঝখানে রুমকি কেন যে বুঝে গেল! আমাকে না বুঝলে এতদিন ঠিকই বেঁচে থাকতো। আবার এই লাবন্য মেয়েটাও তেমন!
"তুই আমার ভাইয়ের বউ, তেমনই থাক। তোকে কে বলেছে, আমাকে নিয়ে এতখানি ঘাটাঘাটি করতে?" নাহ, আমারও অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে। লাবন্যকে না বুঝেই ওকে ফলো করতে গেছি। আমার বুঝা উচিত ছিল-হুট করে যাকে তাকে নিয়ে এত বেশি পাগল হওয়া উচিত নয়। এখন তার খেসারত আমাকেই দিতে হচ্ছে! এখন আমি কী করবো? আমার পালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই, নেই, কোনো উপায় নেই।
ফেরারি একদৃষ্টিতে ওর দিকে চেয়ে থেকে বলে ওঠে,
-কে বলেছে উপায় নেই? তুমি যদি এখন ম*রে যাও, তাহলে কেউ তোমাকে কিচ্ছু বলতে পারবে না। পালিয়ে গিয়ে লাভ কী বলো? সেই কেউ না কেউ ঠিক ধরে ফেলবে। থানা, পুলিশ, বাবা-ভাইয়ের তিরস্কার। কিন্তু ম*রে গেলে কেউ তোমাকে কিছুই বলবে না। বরং কান্না করবে। ভাবো, ভাবো মিহির। ভয়ংকর সময়ের মুখোমুখি হবার আগেই ভাবো। এই মুহুর্তে তোমার বেঁচে থাকা উচিত নয়৷
ফেরারি সেভাবেই ওর দিকে চেয়ে থেকে নানানভাবে তাকে বুঝাতে থাকে-মৃত্যু ভিন্ন তার আর কোনো অপশনই থাকা উচিত নয়। তার প্রতিটি কথা মিহিরের কানে এত বেশি বাজতে শুরু করে যে, মিহির তার দুই হাত দিয়ে নিজের কপাল চেপে ধরে। এমন মুহুর্তে ফেরারি তাকে সেভাবেই ফেলে রেখে পাশ কাটিয়ে সরে যায়। কিছুটা দূরে যেতেই পানিতে একটি মানুষের লাফিয়ে পড়ার শব্দ শুনতে পেল সে। শব্দটা কানে আসতেই একবার পিছন ফিরে তাকিয়ে সে মুচকি হাসে।
**
দুইদিন পর।
বাসার গেটের সামনে মিহিরের লাশ রাখা হয়েছে। বাড়িশুদ্ধ মানুষের কান্নার রোল পড়ে গেছে। কিন্তু লাবন্যের কান্না আসছে না। মানুষকে দেখাতে জোরপূর্বক দুই এক ফোঁটা চোখের পানি বের করার চেষ্টা করছে কেবল। বাড়ির মধ্যে লাশ থাকলে ভেজা চোখে তাকাতে হয়। সামাজিকতা রক্ষার এই নিয়ম। তা সে কান্না আসুক, আর না আসুক। রাফায়েত তার ভাইয়ের পাশেই নির্বাক হয়ে বসে আছে। লাবন্যের মনে শুধু একটা প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে,
"মিহিরের মত একটা ছেলে এত সহজে সুইসাইড করবে? নাকি রাফায়েত তার প্রাক্তণ স্ত্রীর খুনের প্রতিশোধ নিতে ওকে পানিতে ফেলে দিয়েছে?"
সে বারবার আড়চোখে রাফায়েতের দিকে তাকায়। বাসায় পুলিশ ঘুরঘুর করছে। স্থানীয় থানার এসআই,কয়েকজন দারোগা, রাশেদ জামান নামে কীসের যেন এক অফিসার, থানা থেকে বেশ কয়েকজন মেয়ে, আত্মীয়-স্বজন সব মিলিয়ে পা ফেলার জায়গা নেই। লাবন্যের বেশ ভয় ভয় করতে লাগলো। কে মে*রেছে ওকে? আর না মারলে কেনোই বা সুই*সাইড করেছে? কিছুক্ষণ পরেই ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পাঠানো হবে। রিপোর্টে কীসব ভয়ংকর তথ্য উঠে আসবে, কে জানে!
লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানোর পর সে রাফায়েতের পাশে গিয়ে দাঁড়ালো। রাফায়েত মিটমিট করে ফিরে তাকায়।
-লাবন্য, আমার ভাইয়ের জন্যই রুমকি মা*রা গেছে। গতকাল ভোর অব্দিও আমি বিশ্বাস করিনি। কিন্তু ওর ঘরে এসব খুঁজে পাওয়ার পর…
-মিহিরকে কে মে*রেছে? আপনি?
রাফায়েত অবুঝ বাচ্চার মত ফ্যালফ্যাল করে ওর দিকে ফিরে তাকিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করে,
-আমি কেন মা*রতে যাবো? আমি কী মানুষ খুন করি? পুলিশ বলছে-সুইসাইড কেস।
-আপনার প্রিয়তমা স্ত্রীর প্রতি সে যে মস্তিষ্ক বিকৃত আচরণ করেছে, সেটা ভেবে তো যেকোনো পুরুষেরই মাথা গরম হয়ে যাবে। এমনকি, আমার সাথে যা করেছে, সেসব মনে হলে আমার নিজেরই তো ওকে খু*ন করতে ইচ্ছে করছিল।
-তুমি নিজে কাউকে ভাড়া করোনি তো?
লাবন্য এমন করুণ দৃষ্টিতে তাকালো, রাফায়েত আর দ্বিতীয়বার প্রশ্ন করার সাহস পায় না। কিন্তু ভিতরে ভিতরে দুজনই দুজনকে সন্দেহ করে যাচ্ছে।
কিছুক্ষণ পর লাবন্য নিজের ঘরের দিকে পা বাড়াতেই হঠাৎ ফেরারি এসে উপস্থিত হলো। লাবন্য কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে জিজ্ঞাসা করে,
-সরি, আপনাকে তো চিনলাম না। কে আপনি?
ফেরারি তার প্রশ্নের উত্তর দিলো না। শুধু লাবন্যের হাতে দুটি চিরকুট ধরিয়ে দিয়ে বললো,
-আপনার দেবরের মৃত্যুতে আপনি যে স্বস্তির শ্বাস ফেলছেন, তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। এত সহজে মানুষকে খুশি দেখাতে নেই। সাবধান। আর হ্যাঁ, এই দুনিয়ায় সব মানুষের পরিচয় জানা উচিত নয়। চিরকুট দুটি পড়বেন। আশা করি আপনার মনের সমস্ত প্রশ্নের জবাব পেয়ে যাবেন। আর যদি না পান, তবে জানার প্রয়োজন নেই।
ফেরারি তাকে চিরকুট দুটো দিয়েই দ্রুত সরে যায়। যাবার আগে রাশেদ জামানের দিকে চেয়ে একবার মুচকি হাসে। ব্যাপারটা কী হলো! লাবন্য চিরকুট দুটি নিয়ে সোজা নিজের ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয়। মিষ্টি ঘুমোচ্ছে। কিন্তু ঘটনাটা এমনভাবে সাজালো, যেন বাইরের পরিবেশের জন্য মিষ্টির ঘুমে ব্যাঘাত ঘটছে।
সে প্রথম চিরকুটটি খুলে দেখে। সেখানে লেখা আছে,
"ফেরারি,
রাশেদ নামের এক পুলিশ অফিসার আমাকে তার বন্ধুর বোন (লাবন্যের) সাথে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা শেয়ার করেছে। সাসপেন্স-লাবন্যের দেবর মিহির। সব শুনে আমারও ধারণা, ছেলেটি একজন যৌণ বিকৃত সাইকো। শুনেছি, পূর্বে তার ভাইয়ের প্রাক্তণ স্ত্রী মা*রা গেছে। আর এই ঘটনায় লাবন্য মিহিরকে সন্দেহ করছে। ছেলেটা ভয়ংকর সাইকো। যেকোনো সময় বিপদ ঘটাতে পারে।
আমি চাই, এই কেসটা তুমি গোপনে তদন্ত করতে আমাকে সহযোগিতা করবে। মিহিরের উপর যত দ্রুত সম্ভব নজরদারির ব্যবস্থা করো।
ইতি-
রাশেদ জামান, ইনটেলিজেন্স এজেন্সি"
লাবন্য চিরকুটটা পড়ে মনে করার চেষ্টা করে- তার রাশেদ ভাই আরেক এজেন্সীর রাশেদ জামান স্যারের কথা বলেছিল। তার মানে এই রাশেদ জামানই তিনি। আর উনিই একটি মেয়েকে চিঠিটি লিখেছে। এতটুকু সে ক্লিয়ার। এবার সে আরেকটি চিরকুট খোলে। সেটি শুধুমাত্র লাবন্যকে উদ্দেশ্য করেই লেখা হয়েছে।
"লাবন্য,
আপনি নিশ্চিত দুশ্চিন্তা করবেন, আমি কে? আমিই ফেরারি। আর আপনার দেবরকে আমিই মে*রেছি। ঠিক মারিনি। আসলে ওকে সুইসাইড করতে উদ্বুদ্ধ করেছি। বিষয়টা খুলে বলি।
আপনি এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন, মিহিরের কথা আমার অব্দি কীভাবে পৌঁছেছে। রাশেদ জামান আমাকে মিহিরের ব্যাপারটা জানানোর পর আমি তখন থেকেই খোঁজ নেওয়া শুরু করেছি। মিহির সহ আপনার পরিবারের সবার মোবাইল ট্র্যাক করেছি। মিহির যখন ছাদে উঠেছে, বাসা থেকে পালিয়েছে-পুরোটা সময় আমি ওকে অনুসরণ করেছি। ও পালিয়ে বাঁচতে চেয়েছিল। কিন্তু ওর মত অমন সাইকোকে আমি কীভাবে বাঁচতে দিতাম? তাই সরাসরি ওর সামনে গিয়ে সুই*সাইড করার জন্য ইন্ধন দিয়েছি। আর সেটা কাজেও লেগেছে। মিহির ভয়ে সুই*সাইড করেছে৷ ভাবছেন, এত সহজে কীভাবে রাজি হলো? হ্যাঁ, সহজেই হলো। ওই যে, আমার কাছে ওর গোপন বিষয় ফাঁস হবার তথ্য ছিল। আর তাছাড়া, সাইকোদের একটা ভীষণ কমন আতঙ্ক আছে। ওরা সোস্যালি নিজেদের সম্মান নিজেরা কখনোই ডুবতে দিতে পারে না। আজ থেকে আপনি নিরাপদ।
আর হ্যাঁ, একটা কথা মনে রাখবেন। এ পৃথিবীতে এমন যৌণ বিকৃত, ধর্ষ*ক-এদের কারোর জায়গা নেই। সুযোগ পেলেই উপড়ে দিতে শিখুন।
পুনশ্চ:- মিহিরের তদন্তের রিপোর্ট আমি ব্যবস্থা করে নেবো। আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন।
ইতি-
বারবার নাম বলার প্রয়োজন আছে? You know, what you have to do. "
চিরকুট দুটো পড়ে এতক্ষণে লাবন্য নিশ্চিত হলো, মিহিরের সাথে কী ঘটেছে। রাশেদ ভাই ইনটেলিজেন্স এজেন্সির অফিসার রাশেদ জামানকে সেদিন সমস্ত ঘটনা খুলে বলেছেন। আর এই রাশেদ জামানই ফেরারিকে নজরদারি করতে বলেছিলেন। কিন্তু ফেরারি কী আর তার মত এক পা এগিয়ে দুই পা থেমে যাওয়া মানুষ? মিহিরের মত সাইকোর জন্য সে হয়তো এই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় এন্টি ডোজ! রক্তের কেউ না হয়েও এই মেয়েটি তার বুক থেকে মিহির নামক আতঙ্ককে এক মুহুর্তেই কাটিয়ে দিয়েছে। ফেরারিকে ওর ভীষণ জড়িয়ে ধরে ধন্যবাদ ইচ্ছে করছে।
সে চিরকুট দুটি ছিঁড়ে কুটিকুটি করে দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে আসে।
কোথায় গেল সেই মেয়েটি!
তার মত আশির্বাদ মানুষের জীবনে বেশিক্ষণ থাকাটা যে খুব জরুরি, খুব।
(সমাপ্ত)
(প্রিয় পাঠক, ফেরারি কীভাবে মিহিরের খোঁজ জেনেছে,তা চিরকুটেই উল্লেখ আছে। স্বামী-স্ত্রী কাউকেই অপরাধী বানিয়ে গল্পটা নষ্ট করতে চাইনি। আর হয়তো ফেরারিকে নিয়ে অনেক প্রশ্ন আপনাদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। সংক্ষেপে বলতে গেলে-ফেরারি আমার সৃষ্টি করা এমন এক চরিত্র,যে মিহিরের মত এমন সাইকো,ধ*র্ষকদের কৌশলে শাস্তি দেয়। ফেরারি সম্পর্কে আরও জানতে আমার লেখা #আলাপন গল্পটি পড়তে পারেন। এছাড়াও এই চরিত্রে আমার পাঠকপ্রিয় উপন্যাস "ফেরারি" তো আছেই। এবং, এই বইমেলায় ফেরারি চরিত্রের দ্বিতীয় থ্রিলার বই "কেউ না জানুক" আসবে। ফেরারি এমন এক চরিত্র, যাকে আমি হাজারবার আপনাদের কাছে জানাতে চাই।)
#রক্তজবা পর্ব-১৪/শেষ
লেখা- Sharifa Suhasini