হাইয়া আ’লাল ফালাহ্ - حي على الفلاح

হাইয়া আ’লাল ফালাহ্ - حي على الفلاح দৈনন্দিন জীবনের দ্বীনি সমাধান!

24/10/2022

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রবল বেগে বায়ু প্রবাহিত হতে দেখলে বলতেন:

‎اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِهَا وَخَيْرِ مَا فِيهَا وَخَيْرِ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا فِيهَا وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ

বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন খাইরিহা, ওয়া খাইরি মা ফীহা, ওয়া খাইরি মা উরসিলাত্ বিহী, ওয়া আঊযু বিকা মিন শাররিহা, ওয়া শাররি মা ফীহা, ওয়া শাররি মা উরসিলাত্ বিহী।

অনুবাদ: হে আল্লাহ, তোমার নিকট আমি এ বাতাসের মঙ্গল, এর মাঝে নিহিত মঙ্গল এবং যে মঙ্গলসহ এটা পাঠানো হয়েছে তা প্রার্থনা করি। আর এর ক্ষতিকর দিক, এর মাঝে নিহিত ক্ষতি এবং যে ক্ষতিসহ এটা পাঠানো হয়েছে তা হতে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

সুনান তিরমিযি, হাদীস-৩৪৪৯।

🔘আসুন বিপদগ্রস্ত ভাই বোনদের জন্য দুয়া করি। প্রয়োজনে তাদের পাশে দাড়াবার মানোষিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখি। আল্লাহ সবাইকে হিফাজত করুন।

24/10/2022

স্ত্রীকে অনলাইনে প্রদর্শন করা একটা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্বীনদাররা করে পর্দার সাথে; অন্যরা করে বেপর্দাভাবে। সন্দেহ নেই—পর্দার সহিতও গাইরে মাহরামের সামনে অযথা স্ত্রীকে প্রদর্শন করা গাইরতের খেলাফ।

হযরত আলী ইবনে আবি তালিব রাযিয়াল্লাহু আনহু একদিন স্ত্রী ফাতেমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, বলো তো ফাতেমা, একজন স্ত্রীর জন্য কোন জিনিস উত্তম? ফাতেমা জবাব দিলেন, সে পুরুষদেরকে দেখবে না; এবং পুরুষরা তাকে দেখবে না।

আলি রাযিয়াল্লাহু আনহু খুব রাগ করে পুরুষদের বলতেন, তোমাদের লজ্জা করে না? তোমাদের মধ্যে গাইরত জাগে না? তোমরা স্ত্রীদেরকে ছেড়ে দাও; তারা পুরুষদের মাঝে ঘুরে বেড়ায়। তারা পুরুষদের দেখতে থাকে; পুরুষরাও তাদেরকে দেখতে থাকে![আল-কাবাইর পৃ. ১৭৬-১৭৭, যাহাবি, দারুন নদওয়া, বৈরুত]

বলাবাহুল্য, আলি রাযিয়াল্লাহু আনহু যখন এই কথা বলেছেন, তখন পর্দাহীনতার সাথে নারীরা বের হতো না। শতভাগ পর্দা রক্ষা করেই বের হতো। এবং, অপ্রয়োজনে বের হতো না। তবুও, মাহরামবিহীন একজন নারীর বাইরে বের হওয়াকে তিনি অত্যন্ত দৃষ্টিকটু হিসেবে দেখেছেন। এমন পুরুষদের গাইরত জাগানোর জন্য ভর্ৎসনা করেছেন।

স্ত্রীকে পর্দার সহিত একাকী বাইরে যেতে দেওয়া যেমন গাইরতহীনতা; স্বেচ্ছায় অনলাইনে প্রদর্শন করাও গাইরতহীনতা।

শায়খ মাহমুদ সিদ্দিকী হাফি.

23/10/2022

মৃত ব্যক্তিকে মাটি দেওয়ার পর চার কোণে চার জন খেজুর গাছের ডাল বা অন্য গাছের ডাল গেড়ে দেওয়া শরীয়তসম্মত কি না?

উত্তরঃ কবরে খেজুর গাছের ডাল পুঁতে দেওয়া রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আমল দ্বারা প্রমাণিত। বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুটি কবরে আযাব হচ্ছে জানতে পেরে একটি খেজুর গাছের ডালকে দুই টুকরা করে কবর দুটিতে গেড়ে দেন। (সহীহ বুখারী ১/১৮২)

অন্য বর্ণনায় আছে, সাহাবী বুরাইদা আসলামী রা. মৃত্যুর পূর্বে অসিয়ত করে যান, যেন তার কবরে খেজুর গাছের দুটি ডাল গেড়ে দেওয়া হয়। (সহীহ বুখারী ১/১৮১)

এসব বর্ণনা দ্বারা কবরে খেজুর বা অন্য কোনো গাছের ডাল গেড়ে দেওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়। তাই কেউ চাইলে মৃত ব্যক্তিকে মাটি দেওয়ার পর কবরের উপর এক দুটি ডাল গেড়ে দিতে পারে। কিন্তু কবরের চার কোণায় ডাল দেওয়া আবার চারজন ব্যক্তি দ্বারা একাজ করানো দলীলবিহীন অতিরঞ্জিত কাজ। সুতরাং এ থেকে বিরত থাকা কর্তব্য।

প্রকাশ থাকে যে, হাদীস ও আছারে কবরে যা কিছু করার কথা বলা হয়েছে তাই করা যাবে। নিজ থেকে এর অতিরঞ্জণ কোনো কিছু করাই বিদআতের শামিল।
-সহীহ বুখারী ১/১৮১; ইলাউস সুনান ৮/৩৪৪; তুহফাতুল মুহতাজ ৪/১৯০; ফাতহুল কাদীর ২/১০২; উমদাতুল কারী ৩/১২১; হাশিয়াতুস সারী ১/৩১১; আলবাহরুর রায়েক ২/১৯৪; রদ্দুল মুহতার ২/২৪৫

কোনো এক রাতে কুরআনুল কারীমের অক্ষরগুলো উঠিয়ে নেয়া হবে। সকালে মানুষ কোরআন শরীফ খুলে দেখবে পৃষ্ঠাগুলো খালি পড়ে আছে, কাল...
10/10/2022

কোনো এক রাতে কুরআনুল কারীমের অক্ষরগুলো উঠিয়ে নেয়া হবে। সকালে মানুষ কোরআন শরীফ খুলে দেখবে পৃষ্ঠাগুলো খালি পড়ে আছে, কালির একটি অক্ষরও নেই সেখানে।

তড়িঘড়ি করে সবাই ঐ সকল লোকদের কাছে ছুটে যাবে যাদের কোরআন মুখস্থ। কিন্তু তারা অনেক চেষ্টা করেও একটি আয়াতও স্মরণে আনতে পারবে না। (সুনানে দারেমী হাঃ নং ৩২০৯)📖

এ দৃশ্য দেখে সবাই ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে তওবা করতে থাকবে, বেঈমানের দলেরা ঈমান আনতে থাকবে।

কিন্তু তাদের তওবা ও ঈমান আল্লাহ কবুল করবেন না। এ মর্মে আল্লাহ তায়ালা সূরা আনআমের ১৫৮ নং আয়াতে বলেন-
لا يَنفَعُ نَفسًا إيمٰنُها لَم تَكُن ءامَنَت مِن قَبلُ أَو كَسَبَت فى إيمٰنِها خَيرًا
অর্থ- সেদিন এমন কোন ব্যক্তির ঈমান তার জন্যে ফলপ্রসূ হবে না, যে পূর্ব থেকে ঈমান আনয়ন করেনি কিংবা স্বীয় ঈমান অনুযায়ী সৎকর্ম করেনি। (সূরাঃ আনআম ১৫৮)📖

10/10/2022

-দ্বীনি ভাইয়েরা গরীব মেয়েকে বিয়ে করলেও দ্বীনি বোনেরা গরীব ছেলেকে বিয়ে করতে চায়না।

-শায়েখ মতিউর রহমান মাদানি।

10/10/2022
10/10/2022

দ্রুত বিয়ের আমল
১. বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। যথাসম্ভব সার্বক্ষণিক এস্তেগফার করা। উঠতে বসতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে থাকা।
২. সুরা ফুরকানের ৭৪ নং আয়াতটা পড়তে পারি। প্রতি ফরজ নামাজের পর তো বটেই, সুযোগ পেলেই দোয়াটি গভীর আবেগ নিয়ে পড়তে পারি।
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
৩. সুরা কাসাসের ২৪ আয়াতে বর্ণিত দোয়াটাও বেশি বেশি পড়তে পারি,
رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنْزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
এই দোয়ায় বিয়ে, বিবিবাচ্চা, চাকুরি, ঘরবাড়ি সবকিছুর ব্যবস্থা হয়ে যাবে। ইন শা আল্লাহ।
৪. বেশি বেশি দোয়া করা। বিশেষ করে দুয়া কবুল হওয়ার সময়গুলো একটাও দোয়াবিহীন না যায়।
৫. আমল-দোয়ার পাশাপাশি হালাল পন্থায় পাত্র/পাত্রীর খোঁজ করাও জরুরী।
৬. অনেক সময় জাদু-সিহর করে বিয়ে আটকে রাখা হয়। এজন্য রুকইয়া করা।
৭. নিয়মিত সদকা করা।
৮. অন্য মুসলিম ভাইবোনের জন্য বিয়ের দোয়া করা।
৯. মা-বাবার সাথে ভালো সম্পর্ক রাখাও জরুরি।

যদি জিগ্যেশ করি— আজকের দিনে আল্লাহর কাছে কী কী চেয়েছেন?আমাদের অধিকাংশ-ই হয়তো বলবো— 'ওরকম তো কিছু চাওয়া হয়নি। মসজিদে গিয়ে...
05/10/2022

যদি জিগ্যেশ করি— আজকের দিনে আল্লাহর কাছে কী কী চেয়েছেন?

আমাদের অধিকাংশ-ই হয়তো বলবো— 'ওরকম তো কিছু চাওয়া হয়নি। মসজিদে গিয়েছি, সালাত আদায় করেছি, চলে এসেছি'।

কিন্তু যদি পুনরায় জিগ্যেশ করি— আপনার জীবনে কি আল্লাহর কাছে চাওয়ার মতো কোন উপলক্ষ নেই? কোন সমস্যা? কোন আবদার বা আহ্লাদ?

এই জিজ্ঞাসার জবাবে আমাদের উত্তর হবে— আল্লাহর কাছে চাওয়ার কি আর অভাব আছে? কোন জিনিসটা না চেয়ে পারা যায় যেখানে আমরা জানিই না আমাদের চাকরিটা আগামিকাল থাকবে কী না, আমাদের ব্যবসা আজ ভালো যাচ্ছে, আগামিকাল ভালো যাবে কী না, আমাদের সন্তান-সন্তনির ভালো থাকা, নিজেদের ভালো থাকা, সংসারে সুখ শান্তি, সময়ে বারাকাহ ইত্যাদি।

সত্যই তা-ই। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া'তায়ালা সত্যিই চান যে— প্রত্যেকটা বিষয়, একেবারে খুঁটিনাটি ধরে ধরে যেন আপনি আল্লাহর কাছে চান। আপনার বাজারে যাওয়া লাগবে, আগে আল্লাহর কাছে চান। তাঁকে বলেন— ইয়া আল্লাহ, বাজারে যাচ্ছি। আমি যেন ভালো খাবার কিনে আনতে পারি। রাস্তায় যদি কোন বিপদ থাকে, তা থেকে আমাকে হেফাযত করুন।

ক্লাশে যাচ্ছেন? আগে আল্লাহকে বলুন— আমার আল্লাহ, আমি ক্লাশে যাচ্ছি। আমাকে জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করুন। উপকারি জ্ঞান দান করুন। এমন জ্ঞান আমাকে দিবেন না যা আমাকে আপনার রাস্তা থেকে বিচ্যুত করে দেবে।

অফিস থেকে ফিরছেন? আল্লাহকে বলুন— মাবুদ, ক্লান্ত-শ্রান্ত দেহে ঘরে ফিরছি। কষ্ট করছি হালালভাবে বেঁচে থাকতে। সবকিছুই আপনার সন্তুষ্টির জন্যে। আপনি কবুল করে নিন। সহজ করে দিন।

প্রতিটা উপলক্ষকে সামনে রেখে তাঁকে ডাকুন, তাঁর কাছে চান। নিজের মতো করে আল্লাহর সাথে কথা বলুন। যদি এই অভ্যাসটা করতে পারেন, দেখবেন জীবনটা কতো সুন্দর, কতো সহজ আর আনন্দময় হয়ে উঠবে।

কী চমৎকারভাবেই না বলেছেন ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ। তিনি বলেছেন:

'বান্দার কাছে কিছু চাইতে গেলে তারা রাগ করে। আর, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া'তায়ালা রাগ করেন যখন বান্দা আল্লাহর কাছে চায় না'। (১)

চলুন না, আমরা আমাদের প্রয়োজনগুলো আল্লাহর সাথে ভাগাভাগি করি...

রেফারেন্স:

১. 'মাদারিজুস সালেকীন'। ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ। প্রকাশনি- Maktabatul Bayan

একদিন হুট করেই মৃত্যু চলে আসবে। আমাকে অপ্রস্তুত দেখে মালাকুল মউত কখনোই ফিরে যাবে না। আমাকে আরেকটিবার শুধরে নেওয়ার সুযোগ ...
05/10/2022

একদিন হুট করেই মৃত্যু চলে আসবে। আমাকে অপ্রস্তুত দেখে মালাকুল মউত কখনোই ফিরে যাবে না। আমাকে আরেকটিবার শুধরে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না। পরকালের পাথেয় ছাড়াই যখন জীবনের সমাপ্তি ঘটবে তখন কেমন অবস্থা হবে আমার?

- বেলা ফুরাবার আগে

04/10/2022

জীবনে যা কিছুই ঘটুক, আল্লাহর সাথে সম্পর্কটা যদি ঠিক ,থাকে দিনশেষে বিজয়ের মালাটা আপনার গলাতেই উঠবে।

04/10/2022

যারা অল্পতেই কাঁদতে পারে, তাদেরকে বোকা কিংবা আবেগী ভেবে অবহেলা করবেন না। হতে পারে চোখের জল দিয়ে তারা আসমানের এমন একটা দরোজা নিজেদের জন্য খুলে রেখেছে যা আপনি কোনোদিনও নিজের জন্য খুলতে পারবেন না।

কান্না করতে পারা খুব অসাধারণ একটা গুণ— বিশেষ করে জায়নামাযে।

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন-রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “অনর্থক অপ্রয়োজনীয় বিষয় ...
04/10/2022

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন-রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
“অনর্থক অপ্রয়োজনীয় বিষয় ত্যাগ করাই একজন ব্যক্তির উত্তম ইসলাম।”

[হাদীসটি হাসান। তিরমিযীঃ ২৩১৮, ইবনে মাজাহঃ ৩৯৭৬]

04/10/2022

অমুসলিমদের ধর্মীয় উৎসবে উপস্থিত হওয়ার বিধান

পূজা দেখতে যাওয়া ও শুভেচ্ছা জানানো ঈমানের দাবীর পরিপন্থি

ইসলাম আল্লাহ প্রদত্ত একমাত্র গ্রহনযোগ্য দ্বীন বা জীবন বিধান। আল্লাহ আমাদেরকে কুরআনে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন "নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে একমাত্র গ্রহনযোগ্য বা মনোনীত জীবন বিধান হচ্ছে ইসলাম"। এছাড়া অন্যান্য জীবন বিধান বা ধর্ম বাতিল। তাহলে অন্যান্য ধর্মের মানুষদের প্রতি আমাদের মুআ'মালাত বা আচরণ-ব্যবহার কেমন হবে?

কুরআনে আল্লাহ স্পষ্ট করে বলেছেন "তোমরা অন্য ধর্মের অনুসারীদের প্রভুদের গালি দিও না"। তাদেরকে গালি দিলে তারা মনে কষ্ট পাবে এবং আমাদের প্রভু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা'লাকেও গালি দিবে। এজন্য অন্য ধর্মের দেবতা, ধর্ম গ্রন্থ বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে গালি দেয়া বা হেয় প্রতিপন্ন করা ইসলামে নিষিদ্ধ।

তাহলে আমরা কি তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাব? তাদেরকে শুভেচ্ছা জানাব? সেটাও গ্রহনযোগ্য নয়!

আমাদের দেশের এক শ্রেণীর মানুষকে বলতে শোনা যায় "ধর্ম যার যার, উৎসব সবার"। এটা একটা অমানবিক ও অযৌক্তিক কথা। কোনো বিবেকবোধ সম্পন্ন ও মানবিক লোক এটা বলতে পারে না। ধর্মীয় বিশ্বাস যেই উৎসবের সাথে জড়িত থাকে সেই উৎসবকে সকলের জন্য সাধারণ করতে চাওয়া একটা হঠকারীতা। কারণ এক ধর্মের উপাসনা বা উৎসব আরেক ধর্মের ব্যক্তির ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক। তাই একমাত্র ধর্মহীন বা নাস্তিক ব্যক্তির পক্ষেই বলা সম্ভব "ধর্ম যার যার, উৎসব সবার"।

মুসলিমদের জন্য জাস্ট দেখার জন্য বা মজা করার জন্য অন্য কোনো ধর্মের ধর্মীয় উৎসবে যোগ দেয়া বৈধ নয়। অথবা তাদেরকে তাদের উৎসবে শুভেচ্ছা জানানোও বৈধ নয়। কারণ আমরা এক আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে প্রভু বলে স্বীকার করি না। তাই আমরা যদি অন্য ধর্মের ধর্মীয় উৎসবে শুভেচ্ছা জানাই তাহলে প্রকারান্তে তাদের করা শিরকের উৎসবে আমরা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। কারণ তাদের কাছে যেটা তাদের ধর্মের ইবাদত, আমাদের কাছে সেটা আল্লাহর সাথে শিরক করা। তাই অন্য ধর্মের ইবাদতে আমাদের উপস্থিত থাকা বা তাদেরকে শুভেচ্ছা জানানো উচিত নয়।

আমরা কোনো হারাম কাজ হতে দেখলে কোনো মুমিন কি তা সেলিব্রেট করতে পারি? উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় কোথাও মদ খাওয়া হচ্ছে বা সুদের কারবার হচ্ছে বা কোথাও শুকরের মাংস খাওয়া হচ্ছে। আমরা মুমিনরা কি বলতে পারি "হ্যাপি ড্রিংকিং"? বা বলতে পারি "আপনাদের সুদ খাওয়া বা শুকর খাওয়া শুভ হোক"? কখনোই না! কারণ এগুলো আমাদের কাছে হারাম। আমরা কোনো হারামের ব্যাপারে শুভ কামনা জানাতে পারি না।

একই ভাবে আমরা অন্য ধর্মের কাউকে বাধ্য করতে পারি না আমাদের নামাজ, আমাদের ঈদে একাত্মতা জানাতে। হিন্দু ধর্মে গরু হত্যা করা নিষেধ। আমরা কুরবানিতে গরু কুরবানি করি। তাদের ধর্মীয় অনুসাশনে কিন্তু এটা সাপোর্ট করবে না আমাদের কুরবানির ঈদে আমাদের গরু জবাইয়ের সময় সামনে থাকা বা শুভেচ্ছা জানানো। কারণ আমাদের কাছে এটা ইবাদত কিন্তু তাদের কাছে এটা পাপ। তাই বলা হয় এক ধর্মের ইবাদত অন্য ধর্মের পাপ হিসাবে গণ্য হতে পারে।

অন্য ধর্মের ধর্মীয় উপাসনা ও উৎসব পালনে পূর্ণ স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ইসলামী রাষ্ট্রের দায়িত্ব। মুসলিম সমাজের দায়িত্ব হচ্ছে তারা যেন তাদের ধর্ম-কর্ম নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে সে ব্যাপারে সহযোগিতা করা। তাদের প্রতি কটুক্তি বা অসহযোগিতামূলক কোনো আচরণ করা কোনো মুসলিমের জন্য বৈধ নয়। যেমনি ভাবে তাদের উৎসবে অংশগ্রহন ও শুভেচ্ছা জানানোও বৈধ নয়।

আল্লাহ আমাদেরকে সকল প্রকার শিরক ও বিদআত থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন।

আজ তার বিয়ে! আলহামদুলিল্লাহ! এক বছর আগে আমার বাসা থেকে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল! কিন্তু রাজি হয়নি! তখন অনেক আফসোস...
04/10/2022

আজ তার বিয়ে! আলহামদুলিল্লাহ!

এক বছর আগে আমার বাসা থেকে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল! কিন্তু রাজি হয়নি! তখন অনেক আফসোস হয়েছিল! পছন্দের মানুষ কে হয়তো পাওয়া হবে না আর!

আজকে তার বিয়ে কিন্তু সামান্য আফসোস ও হচ্ছে না! কারণ তার বাসায় গান-বাজনা, নাচানাচি, পর পুরুষ এসে হলুদ দিয়ে তাকে স্পর্শ করা সহ যত বাজে পন্থা সমাজে হয় সেই সবই হয়েছে! আস্তাগফিরুল্লাহ!

যখন থেকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাকে হেদায়েত দিয়েছেন তখন থেকেই নিয়ত ছিল সমাজের রীতি নয়; রাসূল (সাঃ) সুন্নাহ মোতাবেক বিবাহ করবো! তাই আজ আর আফসোস নেই!

আমার রব তাকে না পাওয়ার মধ্যেই কল্যাণ রেখেছেন! আলহামদুলিল্লাহ! আর আমার রব কখনোই অকল্যাণকর ফায়সালা করেন না! কখনো না! ওয়াল্লাহি, কখনোই না!

04/10/2022

নারী বেশ-ভূষায় পুরুষের মতো হতে চাওয়া নারীত্বের অপমান। কারণ মহান আল্লাহ তাকে নারী হিসেবে সৃষ্টি করেছেন সেটাই তার জন্য সম্মানের। কেন তিনি পুরুষের মতো হওয়ার চেষ্টা করতে যাবেন?

পৃথিবীতে মানুষ ছাড়া অন্য কোনো প্রাণীর মধ্যে পোশাকের কালচার নেই। মহান আল্লাহ মানুষকে যেসব বিষয় দিয়ে অন্যসব জীবজন্তু থেকে পৃথক ও স্বতন্ত্র করেছেন তার মধ্যে পোশাক অন্যতম। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন- "হে আদম আ: সন্তান , আমি তোমাদের জন্য অবতীর্ণ করেছি শরীর আবৃতকারী পোষাক এবং সৌন্দর্যপূর্ণ পোষাক।" সূরা আল আ'রাফ ২৬

সুতরাং পোষাকহীনতা কিংবা পোষাক সংক্ষিপ্ত করার প্রবণতা মানবীয় স্বভাব হতে পারে না।

অনেকের কাছে পোশাক তেমন কোনো ইস্যু না হলেও মুসলিমের কাছে পোশাক অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অভিশপ্ত ইবলিস মানবপিতা আদমকে (আলাইহিস সালাম) জান্নাত থেকে বের করতে (নিষিদ্ধ ফল খাইয়ে) শরীর থেকে জান্নাতি পোশাক খসিয়েছিলো। আজও ইবলিসের দোসররা আল্লাহর নবী আদমের সন্তানদের পোশাক খুলে ফেলে জান্নাতে যাওয়ার পথ রুদ্ধ করে ফেলতে চাইছে। মহান আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।

03/10/2022

লোকের কটুক্তিতে তুমি ধৈর্য ধরো এবং ভদ্রভাবে ওদের পরিহার করো।"

📖 সুরা মুযযামমিলঃ১০

03/10/2022

ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মীয় কার্যকলাপ ও উৎসব পালন করবে। কোনো মুসলিমের জন্য তাতে বাধা প্রদান কিংবা আক্রমণের অনুমোদন করে না ইসলাম। এমনকি যুদ্ধ চলাকালীনও ভিন্ন ধর্মের উপাসনালয়ে আক্রমণ করতে নিষেধ করেছেন রাহমাতুল্লিল আলামীন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুতরাং মুসলিমদের দুর্নাম কিংবা কোনো স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কেউ যেন ভিন্ন ধর্মের উপাসনা কিংবা উৎসবকে টার্গেট বানাতে না পারে, সে ব্যপারে সবার সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

সেই সাথে এও মনে রাখতে হবে, আপনি যদি নিজ বিশ্বাসে সত্যবাদী তথা ঈমানদার হয়ে থাকেন তবে একজন মুসলিম হিসেবে আপনি শির্কের আয়োজনে শামিল কিংবা শরীক হতে পারেন না। এটা উদারতা নয়, বরং ঈমানের ব্যাপারে উদাসীনতা। বিশ্বের সকল মুসলিম স্কলারদের ঐকমত্যে এটি হারাম এবং ঈমান-বিধ্বংসী কাজ।

সুতরাং একজন মুসলমানকে উভয় ধরণের সীমালঙ্ঘন থেকে বিরত থাকতে হবে।

Address

Fulbaria

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when হাইয়া আ’লাল ফালাহ্ - حي على الفلاح posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share