BIF World

BIF World News24/7 To Establish Islamic Society According To The Sunni Doctrine Is Our Objective.

16/07/2025

এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল হতে সেনাবাহিনী ও ছাত্রলীগের মধ্যে দফাই দফায় সংঘর্ষ এবং সেখানকার পরিস্থিতি থমথমে বিরাজ করছে।

16/07/2025

সেনাবাহিনী ও ছাত্রলীগের মধ্যে দফাই দফায় সংঘর্ষ এবং সেখানকার পরিস্থিতি থমথমে বিরাজ করছে

15/07/2025


15/07/2025
উল্লাপাড়ায় সরকারি ভবনে জামায়াতের অফিস!সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সরকারি তুলা উন্নয়ন বোর্ডের একতলা পাকা ভবন দখল করে জামায়াতে ...
15/07/2025

উল্লাপাড়ায় সরকারি ভবনে জামায়াতের অফিস!

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সরকারি তুলা উন্নয়ন বোর্ডের একতলা পাকা ভবন দখল করে জামায়াতে ইসলামীর সাইনবোর্ড লাগিয়ে দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় এজ জামায়াত নেতা বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত পড়ে থাকায়, তাদের নেতাকর্মীরা সেটা ঠিক করে তারা সেখানে বসেন!

সরকারী সম্পত্তি পরিত্যক্ত পড়ে থাকলেও সেটা ব্যবহার বা দখলের সুযোগ নেই। সেটা ফৌজদারি অপরাধ।

13/07/2025

গত ১৪ মে ২০২৫, রাত ৯.২১ মিনিটে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এটি ধারণ করা হয়েছে। এখানে দেখা যাচ্ছে- জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)র কেন্দ্রীয় সদস্য ইমামুর রশিদ ইমন একজন নারীর কাছ থেকে ৭লক্ষ টাকা গ্রহণ করছেন। কোন এক ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা দেয়ার জন্য, কিন্তু উনি দিয়েছেন ৭ লক্ষ। ভুক্তভোগী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ওই নারী জানিয়েছেন, বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ দেয়ার আশ্বাসে তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টিকে বিভিন্ন সময় প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকা চাঁদা প্রদান করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে তাঁকে কোন কাজ বা প্রজেক্ট কিছুই দেয়া হয়নি।
©️ A K M Wahiduzzaman

শেখ হাসিনার যেসব তথ্য ফাঁস হয়েছে তা দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অন্ধকারময় অধ্যায়
12/07/2025

শেখ হাসিনার যেসব তথ্য ফাঁস হয়েছে তা দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অন্ধকারময় অধ্যায়

12/07/2025

চাঁদপুরে মসজিদের ইমাম রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পিয়ন ডাকায় মুসুল্লি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান।

সৈয়্যদি ইমাম হোসাইন কারবালার ময়দানে তৃষ্ণার্ত ক্ষুধার্ত পরিবার নিয়েও নামাজ ছাড়েননি! তুমি নিজের সুরক্ষিত ঘরে পরিবারের সঙ্...
05/07/2025

সৈয়্যদি ইমাম হোসাইন কারবালার ময়দানে তৃষ্ণার্ত ক্ষুধার্ত পরিবার নিয়েও নামাজ ছাড়েননি! তুমি নিজের সুরক্ষিত ঘরে পরিবারের সঙ্গে থেকেও আল্লাহ'র হুকুম অমান্য করছ।

- গাজীয়ে মিল্লাত সৈয়দ হাশমি মিয়া আশরাফি মা:জি:আ:

05/07/2025

র যুদ্ধের চেতনায় আঘাতকারী ‘আলবদর’দের বিচার চাই
-আবছার তৈয়বী
‘বদর যুদ্ধ’ হক ও বাতিলের সুস্পষ্ট পার্থক্য নির্ণয়কারী কালজয়ী ইতিহাসের নাম। জালিমের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই করার প্রেরণা জোগায়- এই ঐতিহাসিক ‘বদর যুদ্ধ’। জাগতিক শক্তি ও সামরিক শক্তিতে উম্মত্ত লোকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য নিপীড়িত ও দূর্বল মানুষের যুগপৎ সাহস সঞ্চারকারী- এই ‘বদর যুদ্ধ’। প্রবল সামরিক শক্তিতে উল্লম্ফনকারীদের টুটি চেপে ধরতে যে ‘সাহস’ দরকার- তার প্রতিচ্ছবি এই ‘বদর যুদ্ধ’। জালিমের অস্তিত্ব বিনাশে মজলুমের দ্রোহী চেতনার নাম এই ‘বদর যুদ্ধ’। যুদ্ধক্ষেত্রে কীভাবে ‘মানবাধিকার’ রক্ষা করতে হয়, তার ‘সফল পাঠ’র নাম- এই ‘বদর যুদ্ধ’। পৃথিবীর সকল সফল কমাণ্ডার ও যোদ্ধাদের ‘শিক্ষাক্ষেত্র’- এই ‘বদর যুদ্ধ’।
প্রিয় পাঠক/পাঠিকা! ২য় হিজরির ১৭ রমজান সংঘটিত হয়েছিল ঐতিহাসিক ‘বদর যুদ্ধ’। প্রিয়নবী হযরত রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহী ওয়াসাহবিহী ওয়াসাল্লাম মদিনায় হিজরত করার পর বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠির সমন্বয়ে মদিনাকে একটি রাষ্ট্র কাঠামোতে রূপদানের লক্ষ্যে সেখানকার ইহুদি, খ্রিস্টান, পৌত্তলিক ও মুসলমানদের নিয়ে পৃথিবীর প্রথম লিখিত সংবিধান ‘মদিনা সনদ’ সম্পাদন করলেন। সেই সাথে সনদে স্বাক্ষরকারী সকল সম্প্রদায় এবং মদিনায় বসবাসকারী সকল জাতি-গোষ্ঠীকে নিয়ে ‘পৃথিবীর প্রথম ‘ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্র’ গঠন করলেন। ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’- এই ছিল মদিনার এই কল্যাণরাষ্ট্রের মূলমন্ত্র। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে মদিনায় বসবাসকারী সকল সম্প্রদায় মহান আল্লাহর প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথায়, কাজে ও নেতৃত্বে এতোই সন্তুষ্ট ও মোহিত ছিল যে, মদিনার জনগণ একবাক্যে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মদিনা রাষ্ট্রের ‘প্রতিষ্ঠাতা’ ও ‘প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে মেনে নিলেন। আল্লাহ্র প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন ইনসাফভিত্তিক, ভারসাম্যপূর্ণ ও নিরপেক্ষ সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন যে, জাতি-ধর্ম-গোত্র নির্বিশেষে মদিনা রাষ্ট্রের সকলেই ছিল তুষ্ট, নিঃশঙ্ক ও নির্বিরোধ। শতধা বিভক্ত, কলহপ্রিয় ও যুদ্ধপাগল মদিনাবাসী ‘শীশা ঢালা প্রাচীর’ এর মতো ঐক্যবদ্ধ জাতিতে পরিণত হলো। ফলে ইসলামের বাণী ধীরে ধীরে আরব উপদ্বীপ ছেড়ে বহির্বিশ্বে প্রচার হচ্ছিল।
তখন মক্কার কাফের সম্প্রদায় ও মদিনার ষড়যন্ত্রকারী ইহুদী ও মুনাফিকরা মিলে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ইসলামকে দুনিয়ার বুক থেকে চিরতরে মিটিয়ে দেওয়ার মানসে যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। আল্লাহ্র প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ খবর জানতে পেরে সাহাবীদের সঙ্গে পরামর্শ সভায় বসলেন। আনসারদের মধ্যে হযরত সাদ ইবনে ওবাদা (রা.) বললেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ (দ.)! আপনি যদি হুকুম করেন, তবে আমরা সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়তেও রাজি আছি।’ মুহাজিরদের মধ্য থেকে হযরত মিকদাদ (রা.) বললেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ (দ.)! আমরা মুসা (আ.)-এর উম্মতদের মতো একথা বলবো না যে, ‘আপনি এবং আপনার প্রভু গিয়ে তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করুন’; বরং আমরা আপনার সামনে-পিছনে ও ডানে-বামে যুদ্ধ করে আপনার ‘সম্মান’ ও আল্লাহর দ্বীন রক্ষায় নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করবো’। সাহাবীদের এরূপ মনোবল দেখে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যন্ত খুশি হলেন। তিনি মাত্র ৩১৩ জন প্রাণোৎসর্গকারী সাহাবী নিয়ে শত্রুবাহিনীকে বাধা দেওয়ার জন্য মদিনা থেকে বের হয়ে বদর প্রান্তরে উপস্থিত হলেন। সেখানে আগে থেকেই শত্রু বাহিনী ঘাঁটি গেড়ে উল্লম্ফন করছিল। আল্লাহর প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদর প্রান্তরে কেঁদে কেঁদে দোয়া করেছিলেন, ‘হে আল্লাহ! সম্মিলিত কাফের বাহিনীর ওপর তুমি মুসলমানদের বিজয় দান কর। আজ যদি মুসলমানদের এ ছোট দলটি শত্রু বাহিনীর হাতে পর্যুদস্থ হয়, তাহলে পৃথিবীতে তোমার নাম নেয়ার মতো আর কোন লোক অবশিষ্ট থাকবে না’।
আল্লাহ্র প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হৃদয়স্পর্শী এ ফরিয়াদ সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহ্র দরবারে কবুল হয়। মুসলমানদের ওপর নেমে আসে আসমানি সাহায্য আর খোদায়ী নুসরত। সর্বমোট পাঁচ হাজার ফেরেশতা দিয়ে আল্লাহ মুসলমানদের সাহায্য করেন। মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন, ‘ওয়া লাক্বাদ নাসারাকুমুল্লাহু বিবাদ্রিন ওয়াআন্তুম আজিল্লাঃ’ অর্থাৎ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ জাল্লা শানুহু বদর প্রান্তরে তোমাদের অবারিত সাহায্য করেছিলেন, যখন তোমরা হীনবল ছিলে’। (সূরা আলে ইমরান: ১২৩) । খোদায়ী মদদে মাত্র ৩১৩ জন (মতান্তরে ৩১৪, ৩১৫, ৩১৭ ও ৩১৯ জন) নিরস্ত্র মুসলমানের এ ক্ষুদ্র দলটি তৎকালীন রণকৌশলে পারদর্শী হাজারেরও অধিক সশস্ত্র সম্মিলিত কাফের বাহিনীর সঙ্গে অসম যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে ইসলামের বিজয় ছিনিয়ে আনেন। সেই থেকে ঐতিহাসিক ‘বদর যুদ্ধ’ বিশ্বের ইতিহাসে ‘হক ও বাতিলের পার্থক্য নির্ণয়কারী’ হিসেবে অদ্যাবধি পরিগণিত হয়ে আসছে। সেই যুদ্ধে মুসলিম বাহিনী বীরবিক্রমে লড়ে ছিনিয়ে আনেন ‘বিজয়ের লালসূর্য’। বদর যুদ্ধে মাত্র ১৪ জন মুসলিম সেনা শহীদ হন। অন্যদিকে ৭০ জন কাফির সেনা নিহত হয় ও ৭০ জন বন্দি হয়। বন্দি যুদ্ধাপরাধীদের রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক্ষমা করেননি। গুরুতর অপরাধের কারণে বিচারের মাধ্যমে তাদের কয়েকজনকে চরম শাস্তি দেয়া হয়েছিল। লঘু অপরাধীদের বন্দি করে রেখেছিলেন মুক্তিপণ না দেওয়া পর্যন্ত। তাদের মধ্যে রাসূলে করিম (দ.)-এর চাচা হযরত আব্বাস (রা.)ও ছিলেন। তার কাছ থেকেও তিনি মুক্তিপণ আদায় করেছিলেন। আর যারা মুক্তিপণ দিতে অপারগ ছিল, তাদের মুক্তিপণ ছিল- প্রত্যেকে মদিনার দশজন ছেলে-মেয়েকে শিক্ষাদান করা।
ঐতিহাসিক ‘বদরযুদ্ধ’ মুসলমানদের জন্য প্রথম সশস্ত্র জিহাদ হলেও যুদ্ধক্ষেত্রে কীভাবে মানবাধিকার রক্ষা করতে হয় এবং যুদ্ধবন্দীদের সাথে কী ধরণের আচরণ করতে হয়Ñ তার শিক্ষাও আমরা ‘বদর যুদ্ধ’ থেকে পাই। সাহাবীরা পায়ে হেঁটে আর যুদ্ধবন্দীদের উঠের পিঠে চড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সাহাবীরা নিজেদের জামা খুলে দিয়ে যুদ্ধবন্দীদের পরিধান করিয়ে দেন। তারা নিজেরা উপোস থেকে যুদ্ধবন্দীদের পানাহার করান। যুদ্ধবন্দীদের ঘরে ঘুমাতে দিয়ে তারা বাইরে রাত কাটান। প্রিয় পাঠক/পাঠিকা! এটাই হলো- আমাদের নবীর (দ.) শিক্ষা। মানবতার ধর্ম ইসলামের যুদ্ধনীতি।
অথচ আজ দেখুন- সভ্যতার দাবিদারগণ যুদ্ধবন্দীদের সঙ্গে কী ব্যবহার করছে? নির্মমতা, অসভ্যতা আর নিষ্ঠুরতার দৃষ্টান্ত হয়ে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছে ‘আবু গারিব’ ও ‘গুয়ানতানামো বে’ কারাগার নামক হাবিয়া দোজখ। নিজ ভুখণ্ডে পরবাসী আজ ফিলিস্তিনী মুসলমান। সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়া, ইয়েমেন, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বার্মা সবখানেই মুসলিম নারী-শিশুদের কান্নায় খোদার আরশ কাঁপছে। অত্যাধুনিক মারণাস্ত্রের আঘাতে ঝাঁঝড়া হচ্ছে মুসলমানদের বুক। হানাদারদের কামানের আঘাতে ধুলোয় মিশে যাচ্ছে মুসলিম জনবসতি। মুসলিমদের খুনে লাল হয়ে গেছে পৃথিবীর নানা জনপদের সফেদ জমিনগুলো। ‘আইএসআইএস’ নামক ইহুদীদের হাতে গড়া সন্ত্রাসী সংগঠনটি আরব বিশ্বে ত্রাস হয়ে আছে। তারা মুসলমানদের আধ্যাত্ম চেতনার কেন্দ্র- মসজিদ ও মাজারগুলি মাইন ও বোমায় উড়িয়ে দিচ্ছে। হায় আফসোস! তারপরও মুসলিম বিশ্ব নীরব, নিথর।
প্রিয় পাঠক! ঠিক তেমনি আমাদের প্রিয় মাতৃভুমিতেও ’৭১ সালে হামলে পড়েছিল পাকি হানাদার। সাথে ছিল এদেশে জম্ম নেয়া কিছু কুলাঙ্গার। শস্য-শ্যমলা, সুজলা-সুফলা এদেশকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে আর আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা নির্বিচারে গণহত্যা করে বাঙালি জাতিকেও নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। কিন্তু রাখে আল্লাহ্ মারে কে? প্রিয় পাঠক! দেরিতে হলেও আমাদের দেশে ’৭১-এর মানবতাবিরোধী জালিম যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। এতে করে জাতি দীর্ঘদিনের কলঙ্ক থেকে মুক্তির দিশা পাচ্ছে। পরিতাপের বিষয়- অধিকাংশ যুদ্ধাপরাধী ইসলামের লেবাস নিয়ে সরল জনসাধারণকে ধোঁকায় রেখে গত চার দশক ধরে তাদের ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। কোনো দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধশক্তি স্বাধীনতা অর্জনের পরও সে দেশে চালকের আসনে বসতে পারে- ইতিহাসে এমন নজির পাওয়া মুশকিল। কিন্তু বাংলাদেশ বলে কথা! ‘এটা সব সম্ভবের দেশ’। ‘বদর যুদ্ধ’ আমাদের এ শিক্ষা দেয় যে- ‘যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা নেই’। তারা ক্ষমার অযোগ্য।
প্রিয়নবী (দ.) বদর যুদ্ধের শুরুতেই মুসলিম বাহিনীকে এ মর্মে সতর্ক করে দেন যে, কোনো বৃদ্ধ, নারী, শিশু, পুরোহিত, সদাচারী ও দানশীল ব্যক্তি, পশু-পাখি হত্যা করা যাবে না। ফলন্ত গাছপালাও কাটা যাবে না। আর ইসলামের ধ্বজাধারী ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীরা এদেশের লাখো মা-বোনের ইজ্জত কেড়ে নিয়েছিল। লাখো নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছিল বা হত্যায় সহায়তা করেছিল। তারা এমন নিষ্ঠুর ছিল যে, তাদের হাত থেকে এদেশের নির্যাতিত মানুষের কিছুই রেহাই পায়নি। পরিতাপের বিষয় যে, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতাবিরোধীচক্র এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করার জন্য এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার জন্য যে ‘কিলার বাহিনী’ গঠন করে- তার নাম দিয়েছিল ‘আল বদর’। এটি মানবতার ধর্ম ইসলামের সঙ্গে শুধু নির্মম রসিকতাই শুধু নয়; বরং ইসলাম সম্পর্কে মানুষের মনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করার জন্যও দায়ী। তাই যুদ্ধাপরাধের বিচারের সঙ্গে সঙ্গে এদের ‘ধর্ম অবমাননার’ বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোও জরুরি। তারা মুখে ইসলামের কথা বললেও তাদের কার্যকলাপের সঙ্গে ইসলামের নীতি-আদর্শের কোনো মিল নেই। তাই যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হওয়া ঈমানের দাবী।

05/07/2025

Address

Fulbaria

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when BIF World posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to BIF World:

Share