সাম্পান

সাম্পান জীবনের চলার পথে অনেক কিছুই এড়িয়ে চলতে হয়, ঠিক তেমনি আবেগ কেও এড়িয়ে চলা দরকার। ক বি তা সং ক ল ন

24/06/2025

অতিরিক্ত সরলতা আর মিশুক স্বভাব কখনো কখনো মানুষের কাছে ছোট করে তোলে! সরল আর মিশুক স্বভাবের মানুষকে সচরাচর সম্মান করে না কেউ। বরং তাদের অপমান–অপদস্ত আর ব্যবহারই বেশি করা হয়!

আপনি যখন মিশুক মনোভাব নিয়ে কারো সাথে মিশতে যাবেন, তখন মানুষ আপনাকে একদম সস্তা আর সহজলভ্য মনে করবে। আপনার ভেতরে যে সরলতা আপনি আজীবন লালন করে এসেছেন, এই সরলতাকে ব্যবহার করেই আপনাকে আঘাত দিবে! এমনকি আপনার কাছের মানুষগুলোও এ সুযোগ হাতছাড়া করবে না।

নিজের ইগোকে তুচ্ছ করে যারা মানুষকে ভালোবাসতে জানে, সম্মান দিতে জানে, মানুষকে আপন করে নেয়, পৃথিবীতে তারা মানুষের কাছ থেকে কষ্ট আর যন্ত্রণা ছাড়া কিচ্ছু পায়না! অতিরিক্ত সরলতা আর মিশুক মনোভাব নিয়ে মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায় না আজকাল। যা পাওয়া যায়, তা হচ্ছে; অপমান, অবহেলা–অবজ্ঞা আর একটি হতাশাগ্রস্ত জীবন!

21/06/2025

পুরুষ মাত্রই এক যোদ্ধা। প্রতিদিন কর্মক্ষেত্র, পরিবার, সমাজ সব কিছুর চাপ তার কাঁধে। এই চাপে সে ক্লান্ত হয়, ভেঙে পড়ে, কখনো বা মুখে হাসি নিয়ে বুকের গভীরে জমিয়ে রাখে হাজারটা না বলা দুঃখ। কিন্তু এই পুরুষটির যদি একটি "শখের নারী" থাকে যে নারী শুধু তার ভালোবাসার নয়, তার আশ্রয়ের ঠিকানাও, তবে সেই নারীই হয়ে ওঠে তার মানসিক শান্তির সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উৎস।

শখের নারী মানে শুধু প্রেমিকা বা স্ত্রী নয় তার মানে এমন একজন, যাকে নিয়ে সে ভাবতে ভালোবাসে, যার উপস্থিতিতে তার সমস্ত বিশৃঙ্খলা থেমে যায়। সে নারী হয়তো খুব সাধারণ, হয়তো খুব সহজ। কিন্তু তার চাহনি, তার কথার গভীরতা, তার সঙ্গ এসবই পুরুষের ভেতরের যুদ্ধে একটা নরম আশ্রয়। পৃথিবীর কোলাহল থেকে ফিরে সে যখন সেই নারীর চোখে শান্তির দৃষ্টি খোঁজে, তখন সে বুঝে যায় জীবনে এই একজন থাকলেই বাকিদের অভাব অনুভব হয় না।

এই নারী পুরুষকে প্রশ্ন করে না, অভিযোগ করে না, বরং শুনে, বোঝে, অনুভব করে। সে জানে, একটি শান্ত মুখ আর কিছু নিরবতাও কখনো কখনো সারা দিনের শ্রান্তির শ্রেষ্ঠ ওষুধ হতে পারে। এই নারীর ছায়া পেলে পুরুষ সাহস পায় হার না মানার, সাহস পায় আবার পরদিন যুদ্ধ করতে।

তাই তো, পুরুষকে সবচেয়ে বেশি মানসিক শান্তি দিতে পারে তার শখের নারী—যে নারী তার ভালোবাসার পাশাপাশি তার নীরবতারও নিরাপদ ঘর।

19/06/2025

পৃথিবীতে সবচে বড় জিনিস "সময়"। একজন আমাকে ছেড়ে চলে গেছিলো৷ সে পেছনে ফেরার কোন রাস্তা রাখেনাই। এরপর ১ বছর পরে হঠাৎ সে ফিরত আসলো৷ আমিও খুশি, সেতো ফিরত আসছে। এরপর একদিন দেখা করতে গেলাম, রিক্সায় বসে আমার হাত ধরার সাথে সাথে আমি ফিল করলাম আমি আর এখানে নাই, এই মানুষের প্রতি আমার কিছুই আর আগের মত নাই৷ যার জন্য এত আল্লাহকে বলসি, তার সাথে আর আগের মতোন লাগতেসেনা৷ by then, the spark was gone. ও'কে অনেক প্রশ্ন করার ছিলো, কিন্তু কোনোটাই করিনাই৷ ও আমাকে বললো, তুমি এমন করতেসো কেন? আমি বললাম, " তুমি এতো দেরী করে কেনো আসলা বলোতো?" বলার সাথে সাথে আমার চোখ দিয়ে ঝরঝর করে পানি পড়তে লাগলো৷ কারন আমি বুঝতেসিলাম এখানে আর কিছুনাই, কিন্তু কতোকিছু হইতে পারতো৷ ও আমার জন্য তখন যেকোনোকিছু করতে রাজি ছিলো কিন্তু আমার মন মানেনাই৷ ও হয়তো আমাকে একটা ভাসা ভাসা উত্তর দিসিলো যে সেইটা সঠিক সময় ছিলোনা।

আরে বোকা, ভালোবাসার আবার সঠিক সময় হয় নাকি?জীবনে যত স্ট্রাগল সবকিছুতে হাত ধরতে পারাটাই তো ভালোবাসা। কারন কফি হাতে নিয়ে সেল্ফির পোজ দেয়ার সময় কাউকে ভালোবাসা সহজ, চোখের নিচে কালি পড়া দিনে কাউকে ভালোবাসাতো সোজা না৷ এবং সেইসময় ভালোবেসেই প্রমান করতে হয় ভালোবাসার ক্ষমতা। বুদ্ধ বলেছিলেন, যাতনা হলো আমরা ভাবি আমাদের সময় আছে৷ আসলে আমাদের সময়নাই, সঠিক সময়ও নাই৷ ভালোবাসায় "দেরী" শব্দটা বড় ভয়ানক৷ সময় চলে গেলে শুধু আফসোস থাকে, "আগে কেনো বুঝলানা"? কিন্তু স্পার্ক হারায় যায়। মানুষ হারায় যায়৷

03/06/2025

সিঙ্গাপুর এয়ারপোর্টে অর্থনীতি বিভাগের
সাবেক চেয়ারম্যান কে দেখেই-
আকাশঃ স্যার, আসসালামু আলাইকুম।
আমাকে চিনতে পেরেছেন স্যার?
শিক্ষকঃ আকাশ,ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট,ফার্স্ট ক্লাস
সেকেন্ড। আর তোমার স্ত্রী স্মৃতি,ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট।
আকাশঃজ্বী স্যার। Vacation- এ এসেছিলেন?
শিক্ষকঃ না, সিডনি থেকে কানেক্টিং ফ্লাইট।
আমার মেয়ের নবাগত সন্তান দেখতে এসেছিলাম।
তুমি একা কেন? তোমার সন্তান কয়জন?
আকাশঃঅফিসের কাজে এসেছিলাম স্যার।
আমার এক ছেলে এক মেয়ে স্যার।
শিক্ষকঃ মাশআল্লাহ।ওরা কেমন আছে?
আকাশঃস্যার ওরা ভালো আছে। আমি ভালো নেই।
মুচকী হেসে শিক্ষক বললেন কেন?
পরকীয়া করছো নাকি?
আকাশঃজ্বী স্যার।
শিক্ষকঃ মহিলা দেখতে কেমন? বয়স কত হবে?
আকাশঃস্যার, আমার সেক্রেটারী। বয়স২৫ বছর হবে হয়তো। দেখতে খুব সুন্দরী এবং স্মার্ট।
শিক্ষকঃ চলো,বোর্ডিং পাস নিয়ে পাশাপাশি বসে গল্প করতে করতে ঢাকায় পৌঁছে যাবো ইনশাআল্লাহ।
বোর্ডিং পাস নিয়ে শিক্ষক বললেনঃস্মৃতি তোমাকে নিশ্চয়ই আগের মত সময় দেয় না!
আকাশঃ জ্বী স্যার। অফিস থেকে এসেই- সারাক্ষন সন্তানদেরকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আর ওদের লেখা পড়া নিয়ে মেতে থাকে।
শিক্ষকঃ তোমার প্রতি তাঁর কোনো খেয়াল নেই।
আকাশঃ ঠিক বলেছেন স্যার। একেবারে অশান্তি করে রেখেছে সংসারে।
শিক্ষকঃ আমাদের দেশের মেয়েদের এই একটা বড় সমস্যা।বড্ড Emotional.
তবে আমি তোমাকে পুরো সমর্থন করি।
হাজারো হলে আমরা অর্থনীতি নিয়েই ছিলাম-তাই ডিমান্ড এন্ড সাপ্লাই আমরা খুব ভালো বুঝি।
চালিয়ে যাও। বিয়ে করছো?
By the by স্মৃতি কি জানে কিছু?
আকাশঃ না স্যার ও এখনো কিছু বুঝতে পারেনি।
আমি ঢাকায় গিয়েই আইনজীবির সাথে আলাপ করে ডিভোর্স ফাইল করবো। আমার ফেন্সিও ডিভোর্স ফাইল করবে।
বেচারীর স্বামীটা খুব খারাপ। ওকে খুব মেন্টালি এমনকি ফিজিক্যালিও টর্চার করে।
শিক্ষকঃ Oh!very sad.
মহিলা কি তোমাকে ভালোবাসে?
আকাশঃজ্বী স্যার। ভীষন ভীষন ভালোবাসে।আমাকে ছাড়া ও বাঁচবেই না।
শুধু তাই না স্যার-আজীবন ভালোবেসে যাবে।
শিক্ষকঃ Great lady, you are lucky guy, enjoy the life.
বিমানবালা স্ন্যাক্স নিয়ে এলে শিক্ষকঃ ম্যাম, প্লিজ ব্ল্যাক কফি।
আকাশের দিকে তাকিয়ে শিক্ষকঃ তুমি কি খাবে?
আকাশঃআমিও ব্ল্যাক কফি স্যার।
শিক্ষকঃ বিয়ে করতে যাচ্ছ-You need more sugar, Man.
তোমাকে কিছু প্রশ্ন করতে পারি?
আকাশঃঅবশ্যই স্যার।
শিক্ষকঃ ধরো,তোমার কোম্পানী অফার দিলো Right now-তিন কোটি টাকা Reward অথবা পাঁচ বছর পর পাঁচ কোটি। তুমি কোন অফার Accept করবে?
আকাশঃঅবশ্যই Right now অফার।
শিক্ষকঃ আমি একমত হলাম না। আমি পাঁচ বছর অপেক্ষা করতাম।
পাঁচ কোটি বলে কথা।
আকাশঃস্যার পাঁচ বছর পর্যন্ত কোম্পানী বা আমার চাকরী থাকবে কিনা,কি গ্যারান্টি।
শিক্ষকঃ ব্রিলিয়ান্ট Answer, Next question, তুমি যেনো কোন কোম্পানীতে আছো?
আকাশঃস্যার, Google এর South East Zone এর Vice President.
শিক্ষকঃ OMG, ধরো Bankrupted এক কোম্পানী তোমাকে বর্তমান বেতনের ডাবল অফার দিলে তুমি কি করবে?
আকাশঃআমি জয়েন্ট করবো না।
শিক্ষকঃ ডাবল বেতন। সাথে বিদেশ ট্যুর। চিন্তা করে বলো।
আকাশঃস্যার, এগুলোতো হায় হায় কোম্পানী। আজ আছে কাল নেই।
শিক্ষকঃ তোমার দুটো উত্তর থেকেই বলছি-
বর্তমানে তোমার স্ত্রী তোমাদের সন্তান অর্থাৎ হৃদয়ের টুকরো দুটোকে ভালোবাসা দিচ্ছে এবং পরোক্ষভাবে সেই ভালোবাসা তুমি পাচ্ছ।
তোমার ফেন্সিও তোমাকে পরবর্তীতে কতটুকু ভালোবাসা দেবে তুমি জানো না।
সেই বর্তমান আর পাঁচ বছরের Rewardএর মত।
Next উত্তরটি হতে বলছি- স্ত্রী হলো তোমার Google এর মত স্থায়িত্ব। আর Rewardable
সেই মহিলাটি তার পূর্বের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে তোমার কাছে আসা মানে তোমার সেই Bankrupted কোম্পানীর মত। হায় হায় কোম্পানী।
বাকীটা তোমার জীবন-তোমার সিদ্ধান্ত। কথা বলতে বলতে ঢাকায় চলে এলাম।
চোখের পানি মুছতে মুছতে আকাশ বললো-স্যার এভাবে আমি ভাবিনি।
আমি সব ছেড়ে দিয়ে শুধু আমার সন্তান আর স্ত্রীর দিকে মনোযোগ দেব।
আপনি আমার চোখ খুলে দিয়েছেন।
শিক্ষক হ্যান্ড ব্যাগ থেকে দুটো বড় ক্যান্ডির প্যাকেট আর একখানা ডায়মন্ডের রিং আকাশের হাতে দিয়ে বললো -আমি জানি তুমি স্মৃতির জন্য নিশ্চয়ই কোনো গিফট কিননি।
প্রতিটা স্ত্রীর প্রিয় জিনিস হলো স্বামীর হাতে করে আনা উপহারটুকু। সেটা যে কোন মূল্যের হোক। এই আংটিটা ওকে দিয়ে বলবে-তুমি সিঙ্গাপুর থেকে ওর জন্য পছন্দ করে কিনেছো। দেখবে মেয়েটি আমার-খুব খুশি হবে। আমি তোমার ম্যাডামের জন্য কিনেছিলাম। এখন না হয় আমার মেয়েকে দিলাম।
ভালো থেকো বাবা। যোগাযোগ করো।

শিক্ষনীয় বিষয়
"জীবনের চলার পথে এমন কিছু মহান ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে পুরো জীবনটা বদলে যায়। "
তাঁরা শুধু মানুষের কল্যাণ কামনা করে প্রশান্তি পেয়ে থাকে।
সংগৃহীত পোস্ট

03/06/2025

জীবনের পথে হাঁটতে হাঁটতে আমরা কতজনের ভালোবাসা চাই, স্বীকৃতি চাই, আর চাই এমন একজন মানুষ- যে বলবে, “তুমি যথেষ্ট।” কিন্তু বারবার, আমরা নিজের মধ্যেই সন্দেহ করি। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভাবি, “আমি কি সত্যিই কারও ভালোবাসার যোগ্য?” সমাজ, সম্পর্ক, প্রত্যাখ্যান, সব মিলে এমন এক ক্লান্তি এসে ভর করে, যেখানে নিজেকে ছোট মনে হয়, অপূর্ণ মনে হয়।

এই অপূর্ণতার অনুভব থেকেই জন্ম নেয় একধরনের খোঁজ। এমন কারও খোঁজ, যে আমাদের বলবে না শুধুমাত্র "ভালোবাসি", বরং বুঝিয়ে দেবে ভালোবাসা পাওয়ার জন্য নিজেকে বদলাতে হয় না। যে আমাদের দাগগুলো দেখে ভয় পাবে না, ভুলগুলো শুনে মুখ ফিরিয়ে নেবে না, বরং বলবে, “এই তুমিটাই আমার প্রিয়।”

এমন কাউকে পাওয়ার জন্য হয়তো অনেক সময় লাগে, অনেক পথ হাঁটতে হয়, অনেক ভুল সম্পর্ক পার করতে হয়। কিন্তু একদিন, হ্যাঁ, একদিন ঠিকই কেউ এসে প্রমাণ করে দেবে যে, এই তুমি, একদম এই যেমন আছো, তাতেই তুমি যথেষ্ট।

সে হয়তো তোমার চোখের গভীরতা দেখে চুপ হয়ে যাবে, হয়তো তোমার কণ্ঠে থাকা কম্পন থেকে বুঝে নেবে কষ্ট, অথবা শুধু এক কাপ চায়ের পাশে বসে থেকে তোমায় বোঝাতে চাইবে, তুমি আর তোমার অস্তিত্ব, একে অস্বীকার করার কিছু নেই। তুমি আমার সুখ, তুমিই প্রশান্তি।

তাই নিজেকে কখনও অপ্রয়োজনীয় ভেবো না। হয়তো এখনই না, কিন্তু একদিন কেউ তোমার জীবনে আসবে, যাকে পেয়ে তুমি বুঝবে, এতদিন যা ভেবেছো ভুল ছিলো না, তুমি সত্যি ই ভালোবাসার যোগ্য।

"One day, you'll meet someone who will prove to you that you're enough."

12/05/2025

একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী কিভাবে বুঝে ফেলেন যে, পুরুষটি তাকে পছন্দ করে-

মানুষের অনুভূতি কখনোই পুরোপুরি লুকিয়ে রাখা যায় না। বিশেষ করে, যখন কেউ কাউকে পছন্দ করে বা ভালোবাসার অনুভূতি মনে রাখে, তখন তার চোখ-মুখ, আচরণ, কথা বলার ভঙ্গি সব কিছুতেই সেটা ধরা পড়ে।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী, যিনি জীবনের কিছুটা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, তিনি পুরুষের এই অজান্তেই ফাঁস হয়ে যাওয়া সংকেতগুলো খুব দ্রুত ধরতে পারেন।

তার কাছে পুরুষের ‘শরীরী ভাষা’ বা Body Language পড়ে ফেলা নতুন কিছু নয়।
চলো দেখি, কিভাবে নারী বুঝতে পারে —

১. দৃষ্টিতে বিশেষ মনোযোগ

প্রেম বা আকর্ষণের প্রথম ভাষা হলো চোখের ভাষা।
একজন পুরুষ যদি মেয়েটির প্রতি আন্তরিক অনুভূতি পোষণ করে, তার দৃষ্টি হবে কোমল, মায়াভরা, এবং গভীর।
সে তাকাবে এমনভাবে, যেন মেয়েটিকে মনের গভীর থেকে উপলব্ধি করতে চাইছে।
আবার কখনো কখনো লাজুকভাবে চোখ সরিয়ে নেবে — এটাও আকর্ষণের চিহ্ন।

কিন্তু যদি তার দৃষ্টি হয় মাত্রাতিরিক্ত অনুসন্ধানী বা শরীরের নির্দিষ্ট অংশের প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগী, তখন নারী বুঝে ফেলে — এই পুরুষের উদ্দেশ্য পুরোপুরি সুস্থ নয়।

নারী চোখ দেখে বুঝে — সে ভালোবাসা খুঁজছে, নাকি শুধু ক্ষণিকের মোহ।

২. কথাবার্তায় আন্তরিকতা

একজন পুরুষ যদি সত্যিকারের আগ্রহী হয়, সে মেয়েটির কথা মন দিয়ে শুনবে।
তার কথার প্রতি সম্মান দেখাবে, হাসবে মেয়েটির খুশিতে, দুঃখ পেলে চোখে আঘাত ফুটে উঠবে।
তুচ্ছ কোনো বিষয়েও যখন পুরুষ মনোযোগ দিয়ে কথা শোনে বা উৎসাহ দেয় — নারী বুঝে নেয়, এখানে একটা গভীর ভালোবাসার স্পর্শ আছে।

অন্যদিকে, যদি কথাবার্তা হয় শুধুই বাহ্যিক সৌন্দর্য বা শরীরকেন্দ্রিক মন্তব্যে সীমাবদ্ধ, নারী সঙ্গে সঙ্গে বুঝে নেয় — এই আগ্রহটা সাময়িক।

৩. আচরণে অতিরিক্ত সতর্কতা বা নার্ভাসনেস

অনেক পুরুষ যখন কাউকে সত্যিকারে পছন্দ করে, তখন সে নিজেও অজান্তে নার্ভাস হয়ে পড়ে।
হাতের নড়াচড়া বেড়ে যায়, কথা বলতে গিয়ে গলাও কাঁপতে পারে, ছোট ছোট অদ্ভুত হাসি চলে আসে।
প্রাপ্তবয়স্ক নারী খুব সহজে এই স্বভাবগত পরিবর্তন লক্ষ করে ফেলে — এটা হলো সত্যিকারের অনুভূতির একটা নির্দোষ ইঙ্গিত।

৪. সামান্য ছুতোয় সাহায্য করতে চাওয়া

যদি পুরুষটি মেয়েটিকে পছন্দ করে, তাহলে সে বিনা কারণেও মেয়েটির সাহায্যে এগিয়ে আসবে।
একটা বই ধরতে হবে, কোনো দরকারি জিনিস এনে দিতে হবে, কোথাও যেতেই সহযোগিতা — এইসব ছোট ছোট কাজে পুরুষ তার উপস্থিতি জানান দেয়।

নারী এটাও বুঝে নেয়, যখন একজন পুরুষ বিনা স্বার্থে পাশে দাঁড়ায় — তখন তার মনের ভেতর একটা বিশেষ অনুভূতি আছে।

৫. শরীরী ভাষায় (Body Language) সহজ স্বাচ্ছন্দ্য

যখন পুরুষটি মেয়েটির কাছে থাকতে চায়, তখন তার শরীরের ভাষা অনেক বেশি স্বাভাবিক হয়।
সে সামনে এসে বসবে, শরীর তার দিকে হেলে থাকবে, কথা বলার সময় অন্যমনস্ক হবে না।
অনেক সময় নীরবে মেয়েটির কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করবে, অথচ কোনো অস্বস্তি তৈরি করবে না।

নারীর সূক্ষ্ম চোখে এগুলো সব ধরা পড়ে — যে পুরুষ তাকে সত্যি ভালোবাসে, সে কোনো ইচ্ছাকৃত অশালীনতা করে না।

সবশেষে — নারীর অনুভূতি কখনো ভুল করে না

নারী শুধু চোখ দিয়ে দেখে না, সে অনুভব করে — হৃদয়ের গভীর দিয়ে অনুভব করে।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী, জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝে গেছে — কার চোখে আছে সম্মান, কার চোখে আছে বাসনা।
কার কথা সত্যিকারের, কার কথা শুধু সময় কাটানোর।

নারী তখন নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নেয় — সে যদি চায়, তাহলে সেই ভালোবাসার ডাকে সাড়া দেয়। আর যদি অনুভব করে, তার সম্মান বা আবেগের সঙ্গে খেলা করা হচ্ছে — চুপচাপ সরে আসে।

কারণ একজন পরিপক্ব নারী জানে — তার ভালোবাসা, তার আত্মসম্মান সবার আগে।

Collected.

10/04/2025

এরকম তো অনেক হয়েছে। দু'চার দিন কথা না বলে থাকা। ছোটখাটো বিষয়ে ঝগড়া করে ব্লক করে দেওয়া। তারপর আবার সব ঠিক হয়ে যাওয়া।

আমি ভেবেছিলাম এইতো ক'দিন... তারপর আবার সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ওইদিনের পর আর কোনোদিন আমাদের কথা হলো না। কি আশ্চর্য ব্যাপার ভাবা যায়?

স্বভাব গত মাঝেমাঝে মোবাইল হাতে নিলেই নিজের অজান্তে ইনবক্সে চলে যাই তোমার মেসেজের রিপ্লাই দিতে। পরক্ষণেই মনে পড়ে আমাদের কথা হয়না লক্ষ-কোটি বছর।

ভাবি, এই তো… আর ক’টা দিন; সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সেই ‘ক’টা দিন’ যে কেমন করে এতগুলো বছরে গড়িয়ে গেলো; আর কতবার যে ক্যালেন্ডার বদলেছে, আমার জানা নেই। আমি হিসেব মেলাতে পারি না।

মাঝেমাঝে নিজের উপর হাসি পায়; ভাবি তোমাকে ভোলা কতই না সহজ ভেবেছিলাম আমি।

01/01/2025

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মূল ভিত্তি ভালোবাসা, সম্মান ও বোঝাপড়া। স্ত্রীকে ভালো ব্যবহার, নম্র ভাষা এবং সম্মানের মাধ্যমে মুগ্ধ করা সম্ভব। এমন স্ত্রী স্বামীর ভীষণ অনুরাগী হয়।

স্ত্রীর মতামত ও আবেগকে গুরুত্ব দিন। তাকে অবজ্ঞা করবেন না।

কঠোর ভাষা বা রুক্ষ আচরণ পরিত্যাগ করুন। মধুর ভাষায় কথা বলুন।

তার অনুভূতিগুলো বোঝার চেষ্টা করুন এবং তাকে সহায়তা করুন।

তার সৌন্দর্য, কাজ এবং গুণাবলী নিয়ে প্রশংসা করুন।

একসাথে বেশি বেশি সময় কাটান এবং তার প্রয়োজনগুলো বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

যদি এই ছোট ছোট বিষয়গুলো পালন করেন, তাহলে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে এবং আপনার স্ত্রী সত্যিই আপনাকে গভীরভাবে ভালোবাসবেন।

30/12/2024

"প্রথমবার হেরে যাওয়ার পর ভেবেছিলাম মানুষটাই বোধহয় ভুল মানুষ ছিলো। দ্বিতীয়বার হেরে গিয়ে নিজেকে সান্ত্বনা দিয়েছিলাম, বোধহয় ভুল সময়ে আমাদের দেখা হয়েছিলো। তৃতীয়বার হেরে যাওয়ার পর সমস্ত দোষ দিয়ে দিলাম ভাগ্যকে।

বারবার ধাক্কা খেয়েও ফিরে আসতাম বোধহয় আরেকবার হেরে যাওয়ার জন্যই। বারবার শীতল হয়ে যাওয়ার পরেও আবার ফিরতাম, রূপকথার মতো জীবন বদলে যাওয়ার আশায়!

মানুষ মাত্রই বেহায়া। প্রতিবার পাথর হয়ে যাওয়ার পণ করে সে সামান্য মায়ার কাছে আত্মসমর্পণ করে ফেলে শতবার, সহস্রবার।"

26/12/2024

ওজির: এক শক্তিশালী ছোটগল্প

একটি কোম্পানির ইন্টারভিউ চলছিল। বস সামনের টেবিলে বসা মহিলার সিভি দেখে জিজ্ঞাসা করলেন,
“এই চাকরির জন্য আপনি কত বেতন আশা করছেন?”

মহিলা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বললেন,
“অন্তত ৯০,০০০ টাকা।”

বস তার দিকে তাকিয়ে বললেন,
“আপনার কি কোনো খেলার প্রতি আগ্রহ আছে?”

মহিলা উত্তর দিলেন,
“জি হ্যাঁ, আমি দাবা খেলতে খুব ভালোবাসি।”

বস হাসিমুখে বললেন,
“দাবা তো খুব মজার খেলা। বলুন তো, দাবার কোন গুটিটি আপনার সবচেয়ে প্রিয়?”

মহিলা হাসি দিয়ে বললেন,
“ওজির।”

বস বললেন,
“কেন? আমার তো মনে হয় ঘোড়ার চাল সবচেয়ে অনন্য।”

মহিলা গম্ভীরভাবে বললেন,
“হ্যাঁ, ঘোড়ার চাল আকর্ষণীয়, কিন্তু ওজিরের মধ্যে সব গুণ রয়েছে। সে তির্যক চলতে পারে, সরাসরি এগোতে পারে এবং প্রয়োজনে রাজার ঢাল হয়ে যায়।”

বস মুগ্ধ হয়ে আবার জিজ্ঞাসা করলেন,
“তাহলে রাজাকে আপনি কেমন দেখেন?”

মহিলা বললেন,
“দাবার খেলায় আমি রাজাকে সবচেয়ে দুর্বল মনে করি। সে নিজেকে রক্ষা করার জন্য মাত্র একটি পদক্ষেপ নিতে পারে, যখন ওজির তার চারপাশে সবদিক থেকে রক্ষা করে।”

বস তার উত্তরে মুগ্ধ হয়ে আরও জানতে চাইলেন,
“তাহলে আপনি নিজেকে দাবার কোন গুটির সঙ্গে তুলনা করবেন?”

মহিলা নির্দ্বিধায় বললেন,
“রাজা।”

বস কিছুটা অবাক হয়ে বললেন,
“কিন্তু আপনি তো রাজাকে দুর্বল বলেছিলেন। তাহলে নিজেকে কেন রাজা বলছেন?”

মহিলা হালকা হাসি দিয়ে বললেন,
“কারণ আমি একজন রাজা, আর আমার ওজির ছিল আমার স্বামী। তিনি আমাকে সবসময় রক্ষা করতেন। কিন্তু এখন তিনি আর আমাদের মাঝে নেই।”

বস স্তব্ধ হয়ে গেলেন। তিনি ধীরে ধীরে জিজ্ঞাসা করলেন,
“তাহলে আপনি এই চাকরি কেন করতে চান?”

মহিলা চোখের কোণে জল নিয়ে বললেন,
“কারণ আমার ওজির চলে যাওয়ার পর, এখন আমাকে নিজেই ওজির হয়ে আমার সন্তানদের ও পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে।”

ঘরের মধ্যে গভীর নীরবতা নেমে এল। বস হাততালি দিয়ে বললেন,
“আপনি এক সাহসী নারী। শুভকামনা আপনার জন্য।”

এই গল্পটি সমস্ত নারীদের জন্য এক অনুপ্রেরণা।

জীবনের প্রতিকূল সময়ে যদি দৃঢ়তা, শিক্ষা ও আত্মবিশ্বাস থাকে, তবে যেকোনো সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব। নারীদের ভালো শিক্ষা ও সঠিক মূল্যায়ন দেওয়া খুবই জরুরি, যেন তারা প্রয়োজনে নিজেদের পরিবারকে রক্ষা করার শক্তি অর্জন করতে পারে।

আপনার মতামত কী?

গল্পটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন।

26/12/2024

মানুষ কখনও এক থাকে না প্রিয়। মানুষ বদলায়। প্রাকৃতিক নিয়মেই বদলায়। কারণে বদলায়, অকারণে বদলায়। এটাই মানুষের বৈশিষ্ট। একটা মানুষ কে জীবনে রাখতে হলে তার সব গুলো দিক , সব গুলো অনুভূতি নিয়েই তাকে গ্রহণ করতে হবে। নিখুঁত কখনও মানুষ হয় না। মানুষ ভুল করে - স্বভাবতই ভুল করে। মানুষ ভুল করবেই - এটাই স্বাভাবিক। আর একটা ভুল ঢাকতে একটার পর একটা আরো শ' খানেক ভুল করে ফেলে কখনও কখনও। তুমি তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারো। তবে জীবনে রাখতে হলে কখনও ছাড় দিয়ে - কখনও শুধরে দিয়ে আবার কখনও মাফ করে তবেই জীবনে রাখতে হয়। সে আর কখনও ভুল করবে না এটা ভাবা বোকামি। ভুল মানুষ মরার আগে অব্দি করে - না চাইতেও করে ফেলে। ক্ষমার অযোগ্য ভুলকেও কখনও কখনও মাফ করতে হয়। তবেই জীবনে রাখা যায়।

মানুষ জীবন থেকে ঝেড়ে ফেলা খুব সহজ - যেমন গাছ থেকে ঝরে যায় শুকনো পাতা। কিন্তু মেনে নিয়ে আর মানিয়ে নিয়ে সে মানুষটাকেই জীবনে যত্ন করে আগলে রাখা ভীষণ কঠিন। যেমন কঠিন শুকনো ডালে সবুজ পাতা গজানো। ঝেড়ে ফেলতে তো যে কেউ পারে - ধরে রাখতে পারলে তবেই সে প্রিয় হবার যোগ্যতা রাখে।

আমরা কখনও কখনও কষ্ট দিয়ে ফেলি মানুষকে - না চাইতেও দিয়ে ফেলি। মাফ চেয়ে বলি - কষ্ট দিতে চাই নী। বার বার কষ্ট দেই - বার বার মাফ চাই। মাফ চেয়ে হাসতে হাসতে মানুষটার ভেতর লাখ খানেক ক্ষত তৈরি করে ফেলি। আর দাবি করি মানুষটাকে ভীষণ ভালবাসি। সেটা কি ভুল নয়? একটা সরি বলে - আমরা সেটাকে আর ভুল মনে করি না। অথচ বিপরীত মানুষটার ভুল গুলো ক্ষমা করতে পারি না। সম্পর্কে ভালোবাসার অভাব, বোঝার অভাব ভীষণ ভয়ংকর। জীবনে রাখতে হলে তার ভুল গুলো নয় - যত্ন গুলো মনে রাখতে হয়। নিখুঁত কখনও ভালোবাসা হয় না - নিখুঁত হয় বিচ্ছেদ। যেখানে বোঝাপড়া থাকে - সেখানে ভুল ও থাকবে , এটাই স্বাভাবিক। বিচ্ছেদে কোনো ভুল থাকে না - কারণ সেখানে মানুষটাকে বোঝার দরকার হয় না। ছেড়ে দিলেই সব মিটে যায়। সহজ পথ চাইলে ভালবাসতে এসো না। কঠিন পথ পাড়ি দেবার সাহস থাকলে, আগলে রাখতে পারলে, মাফ করে , মেনে আর মানিয়ে নিতে পারলে তবেই ভালোবেসো ।

25/12/2024

আপনি কোনো পুরুষকে বদলাতে পারবেন না। কারণ তারা জেদী, একরোখা এবং নিজের বিশ্বাসে অটল।

কিন্তু আপনি তাকে ভালোবাসলে, সে নিজ থেকেই বদলে যাবে। তার আচরণ, কথার টোন অটোম্যাটিক পরিবর্তন হবে।

নারী শক্তিশালী কেউ না, সে শক্ত হতে গেলে ভেঙে যাবে। প্যাচাতে গেলে কেটে যাবে। সে মূলত কোমল, পানির মতো তরল। এতটাই কোমল যে, তার পরশে পৃথিবীর সবচে শক্ত পুরুষও গলে যেতে বাধ্য।

কখনো সংসারে অমিল দেখা দিলে একবার নিজেকে যাচাই করুন। দেখুন, আপনার আচরণ নারীসুলভ আছে কি না। আপনি কারো শখের নারী হওয়ার আগে ভাবুন, কারো শখের হওয়ার মতো করে তাকে ভালোবাসতে পারছেন কি না। তালাক হয়ে যাবে; সবাই উপস্থিত, সালিশ চলছে। তখনও কোনো স্ত্রী ‘নারী’ হয়ে উঠলে, কোমল স্বরে একবার পুরুষকে চাইলে, স্বামীর পাহাড়সম রাগ নিমিষেই বরফশীতল পানি হয়ে যায়। এটাই দাম্পত্যের রসায়ন। স্বামী-স্ত্রী ছাড়া পৃথিবীর কেউ এর মূল কারণ বোঝে না।

সেজন্য বলি, সমস্যা হলেই মায়ের কাছে ফোন নয়। আপনার পুরুষকে বুঝুন। সে বাহিরে থাকে, টাকা ইনকাম করে। বহুরকম লোকজনের সাথে তার উঠাবসা, লেনদেন। কোনো কারণে তার মেজাজ বিক্ষিপ্ত হতে পারে। নারীর কাজ যত কঠিনই হোক, সে সমাজ ফেস করে না। ফলে নিজেকে সংযত ও নিয়ন্ত্রিত রাখা তার পক্ষে সম্ভব। তাই, আপনার পুরুষ বাইরে থেকে এলে তার যত্ন নিন। চেহারা ফ্যাকাশে দেখলে তখনই কী হয়েছে জিজ্ঞেস না করে তাকে পানি দিন। বলুন একটু গোসল করে আসেন খাবার দিই। পরে ঠান্ডা মাথায় জিজ্ঞেস করুন কী হলো।

পুরুষ কখনো জেতে কখনো ঠকে। তার জেতাটা যেমন ইনজয় করেন, ঠকাটাও মেনে নিন। সে কোথাও লস করেছে মানেই তাকে বকাঝকা করবেন, এমন নয়। হেরে যাওয়ার অনুভব তারও আছে। বরং সাপোর্ট দিন। সহজ করুন। সময় বুঝে পরামর্শ দিন। এই যে ম্যানেজ করার ব্যাপার, এটা নারীদের আছে। আম্মাজান খাদিজার কথা ভাবুন। কীভাবে নবুওয়াতের প্রথম আগমন তিনি সামাল দিয়েছেন। নবিজির কথাটা মনে করুন, খাদিজা! আমি বোধহয় মারা যাব, কে আমাকে বিশ্বাস করবে? খাদিজা শান্ত গলায় নবিজির বুকের বোঝা নামিয়ে দিলেন। তাঁর প্রশংসা করলেন। ব্যক্তিগত আমল উল্লেখ করলেন। কেন খাদিজা সর্বশ্রেষ্ঠ, এই এক ঘটনা তার উপযুক্ত প্রমাণ।

ঠিক এজন্যই নারী সুকুন, নারী শান্তি, নারী পুরুষের মোহ। যে নারীর কণ্ঠ পুরুষের চেয়ে উঁচু, চলাফেরা অতি-আধুনিক, পুরুষোচিত, সে নারী ময়ূর থেকে কাক হতে চায়। নিজের মোহনীয় সৌন্দর্য ছেড়ে বিদঘুটে হতে চায়। এমন নারী যত সুন্দরীই হোক, তার সংসার হয় না। হলেও মরচে ধরে যায়। বাচ্চাকাচ্চা বা সামাজিকতার জন্য কোনরকম টিকে থাকে। একে জীবন বলে না, বলে ঘানি টেনে যাওয়া। সুতরাং নারী, আপনি বরং নারীই হোন। কোমল হোন, শান্ত হোন। নরম হোন, সুকুন হোন। দেখবেন পাথরের মতো পুরুষও, আপনার ফোঁটা ফোঁটা ভালোবাসার সামনে নিজেকে বিলিয়ে দিতে বাধ্য হবে।

সংগৃহীত

Address

Fulbaria

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সাম্পান posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category