09/05/2025
স্ট্রিট ফুডের ব্যবসা শুরু করে লাভবান হওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করা দরকার। নিচে ধাপে ধাপে বর্ণনা দেওয়া হলো:
•
১. যেখানে মানুষের ভিড় বেশি হয় (স্কুল, কলেজ, অফিস এলাকা, বাজার, পার্ক ইত্যাদি), সেরকম জায়গায় আপনার ব্যবসার লোকেশন ঠিক করুন।
২. কাস্টমার টার্গেট করুন। তরুণ, কর্মজীবী বা পথচারী— কাদের জন্য খাবার বানাবেন তা ঠিক করুন।
৩. আশেপাশে কি ধরনের ফুড আইটেম বিক্রি হয় তা দেখে আপনি নতুন কিছু বা উন্নত মানের কিছু আনতে পারেন কিনা ভাবুন।
৪. এমন খাবার নির্বাচন করুন যা সহজে বানানো যায়, কম খরচে তৈরি হয় এবং লোকেরা পছন্দ করে (যেমন ফুচকা, চটপটি, রোল, চিকেন ফ্রাই, মোমো, নুডলস, ইত্যাদি)।
৫. একটি বা দুটি সিগনেচার আইটেম রাখুন, যাতে লোকেরা সেগুলোর জন্য বারবার আসে।
৬. স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ফুটপাতে ব্যবসা করার অনুমতি নিতে হতে পারে।
৭. স্বাস্থ্যসচেতনতা নিশ্চিত করতে খাদ্য নিরাপত্তা লাইসেন্স নেওয়া ভালো।
৮. ভ্যান/ঠেলা বা মোবাইল ফুড কার্ট তৈরি করুন।
৯. রান্নার উপকরণ, গ্যাস/চুলা, খাবার রাখার বক্স, প্লেট/প্যাকেট, স্যানিটারি গ্লাভস, ইত্যাদি কিনুন।
১০. খাবারে মান বজায় রাখুন— সতেজ উপকরণ ব্যবহার করুন।
হাইজিন ঠিক রাখলে ক্রেতাদের আস্থা বাড়ে এবং তারা পুনরায় আসে।
১১. প্রতিটি আইটেমে আপনার খরচ ও বিক্রয় মূল্য হিসাব করুন।
শুরুতে কম লাভ রেখে বিক্রি করলেও পরে মান ও জনপ্রিয়তা বাড়লে দাম বাড়াতে পারেন।
১২. মুখে মুখে প্রচার, সামাজিক মাধ্যমে ফেসবুক পেজ খুলে ছবি ও অফার দিন।
“আজ ১টা কিনলে ১টা ফ্রি” বা “ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ ছাড়” টাইপের অফার দিন।
১৩. নিয়মিত আপডেট ও গ্রাহকের মতামত নিন। ক্রেতাদের মতামত শুনে খাবারের স্বাদ, সার্ভিস বা মেনুতে পরিবর্তন আনুন।
সময়মতো নতুন আইটেম যোগ করুন।
১৪. প্রতিদিনের বিক্রয়, খরচ ও লাভ আলাদা খাতায় লিখে রাখুন।
কোথায় খরচ বেশি হচ্ছে বুঝে খরচ কমানোর ব্যবস্থা করুন।
•
পরামর্শ:
ছোট করে শুরু করুন, কিন্তু ধীরে ধীরে মান আর সেবার মাধ্যমে বিশ্বাস গড়ে তুলুন। নিয়মিত ক্রেতা পেলে আয় নিশ্চিত।
_________________