Bhoot FM.Com-ভুতএফএম.কম

Bhoot FM.Com-ভুতএফএম.কম Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Bhoot FM.Com-ভুতএফএম.কম, Digital creator, Fulbaria.

"ভয়ের রাত, অদ্ভুত ঘটনা আর অজানা আতঙ্কে আপনাকে স্বাগতম! এখানে পাবেন বাংলাদেশের নানা ভৌতিক ইতিহাস, অদ্ভুত কাহিনি, আর রহস্যময় স্থানের ভিডিও ও ছবি।
সত্যি না কল্পনা? তা ঠিক করবেন আপনি!
সাহস থাকলে পেজে যুক্ত হন আর মিশে যান অন্ধকারে..."

Good Night🖤
27/05/2025

Good Night🖤

গল্প: ঘড়ির কাঁটার নিচে“সময় শুধু বয়ে চলে না... কখনও কখনও থেমে যায়—আর তখনই কিছু এসে যায় তোমার পিছনে।”---রাত ২টা ৪৫ মিনিট।ঢ...
25/05/2025

গল্প: ঘড়ির কাঁটার নিচে

“সময় শুধু বয়ে চলে না... কখনও কখনও থেমে যায়—আর তখনই কিছু এসে যায় তোমার পিছনে।”

---

রাত ২টা ৪৫ মিনিট।

ঢাকার পুরান পল্টনের একটা একতলা ভবনের ভেতরে তখন নিস্তব্ধতা জমে আছে।
ভবনটা একসময় ছিল প্রাইভেট লাইব্রেরি, এখন সেটাকে আর্কাইভ হিসেবে ব্যবহার করা হয় পুরনো ডকুমেন্ট, বই, ও অদ্ভুত ফাইলপত্র রাখার জন্য।

মুনতাসির, একজন গবেষক, নিয়োগ পেয়েছিল এখানে পুরনো টাইম-রিলেটেড ঘটনাগুলোর ওপর ভিত্তি করে একটা থিসিস তৈরির জন্য।
আর্কাইভে একটা ঘড়ি ছিল, যেটা প্রায় একশো বছরের পুরনো।
ঘড়ির কাঠামো ধবধবে কালো কাঠ, মাঝখানে একটুকরো রূপার পাত বসানো, আর সেই রূপার ওপর লেখা কিছু… আরবিতে।
তার অর্থ ছিল:
"যার সময় চলে গেছে, তারে ডাকিস না।"

প্রথম রাতেই মুনতাসির খেয়াল করে—ঘড়ির কাঁটা মাঝে মাঝে উল্টো দিকে ঘুরে।
কখনো থেমে থাকে ৩টার কাছাকাছি এসে।

তৃতীয় রাতে, সে এক অদ্ভুত বই পায়—“আয়ুমারা” নামে।
বইটি সম্পূর্ণ হাতে লেখা, আর কোথাও কোনও লেখকের নাম নেই।
প্রথম পাতায় একটা বাক্য—
"যে সময়ের নিয়ম ভাঙে, তার সময় শেষ হয় না… শুরু হয় আবার… কিন্তু অন্য কোথাও।"

---

রাত ২টা ৫৮ মিনিট।

ঘড়ির কাঁটা এবার আস্তে আস্তে পেছনে যেতে শুরু করল।
ঘড়ির কাচে মুনতাসির নিজের প্রতিবিম্ব দেখছিল।
হঠাৎ সে দেখল, তার প্রতিচ্ছবির পেছনে কেউ দাঁড়িয়ে।

সে ঘুরে তাকায়…
কেউ নেই।
আবার আয়নায় তাকাতেই দেখে—ছায়ামূর্তি এখন এক পা সামনে এসেছে।
তার হাতের আঙুলগুলো বেশি লম্বা… যেন ঘড়ির কাঁটার মতো বাঁকানো।

একটা ঠান্ডা বাতাস কানে ফিসফিস করে বলে—
“তুমি পড়েছো আমার সময়… এখন তুমি আমার ঘড়িতেই থাকবে।”

রাত ৩টা বাজতেই, ঘড়ির নিচে থাকা কাঠের অংশটা খুলে গেল একটানা “টিক টিক” শব্দে।
সেখান থেকে বেরিয়ে এল এক গলিত হাত…
হাতটি খালি নয়—তাতে ধরা মুনতাসিরের নাম লেখা একটি কাগজ, যা তার নিজের হস্তাক্ষরে লেখা।

মুনতাসির ছুটে পালাতে চায়, কিন্তু পা নড়ছে না।

তার সামনে হঠাৎ ভেসে উঠল পুরনো কাগজপত্র—যার মধ্যে তার ছবি, তার মৃত্যুসনদ, এবং লেখা:
“সময়: রাত ৩:০৩ মিনিট।
কারণ: নিজেকে হারিয়ে ফেলা।”

---

সেই রাতেই, লাইব্রেরি থেকে এক অদ্ভুত গন্ধ বের হতে থাকে।
পরদিন দারোয়ান এসে দেখে—ঘড়ির কাঁটা থেমে আছে ঠিক ৩:০৩-এ।
ঘড়ির নিচে মেঝেতে পড়ে আছে একটা বই, পেছনে লেখা—
“পরবর্তী কার সময় শেষ?”

ঘরের মাঝখানে টেবিল, আর তার সামনে খালি চেয়ার।
কেউ বসে নেই,
তবু কাঁচের ঘড়িতে প্রতিফলিত হয়…
একজন ছায়ামানব, তার আঙুল দিয়ে সময় ঘোরাচ্ছে।

---

শেষ নোট

সব ঘড়ি সময় দেখায় না… কিছু ঘড়ি ভবিষ্যৎ শোষে।
আর সেই ঘড়িগুলো মাঝে মাঝে খুঁজে নেয় একেকটা প্রাণ,
যারা সময় বুঝতে চায়—
কিন্তু ভুলে যায়, সময় নিজেই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জিনিস।

---

তুমি এখন ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছো তো?

গল্প:  নির্বাক হাসির মুখোশ“সবাই অভিনয় করে, কেউ মুখোশ পরে… আর কেউ মুখোশেই রূপান্তরিত হয়।”-রূপা ছিল এক উঠতি থিয়েটার আর্টিস...
24/05/2025

গল্প: নির্বাক হাসির মুখোশ

“সবাই অভিনয় করে, কেউ মুখোশ পরে… আর কেউ মুখোশেই রূপান্তরিত হয়।”
-

রূপা ছিল এক উঠতি থিয়েটার আর্টিস্ট। একদিন সে ডাক পেল "রজনীর মুখোশ" নামের এক পুরাতন থিয়েটারে রিহার্সেলের জন্য।
এই থিয়েটারটি বহু বছর বন্ধ ছিল।
লোকমুখে শোনা যেত, এখানে এক অভিনেত্রী মঞ্চেই মারা গিয়েছিল—হাসতে হাসতেই, আর কখনো থামেনি সেই হাসি।

প্রথম দিনেই, রূপা থিয়েটারের স্টোর রুমে একটা মুখোশ খুঁজে পেল—
সাদা, চোখে গর্ত, ঠোঁটে হালকা বাঁকানো এক হাসি… যেন একটা ঠাণ্ডা ব্যঙ্গ।

মুখোশটা হাতে নিতেই হঠাৎ ঘরের বাতি জ্বলে-নিভে ওঠে।
এক কোণ থেকে মৃদু গলায় কেউ ফিসফিস করে বলে ওঠে—
"তুমি আমায় খুঁজে পেয়েছো… এবার আমি তোমাকে খুঁজবো।"

রূপা ভাবল, হয়তো কল্পনা।

পরদিন রিহার্সেলে মুখোশটা পরেই মঞ্চে উঠল রূপা।
কিন্তু মুখোশ পরার পর থেকেই কিছু একটা যেন ভিতরে ঢুকে পড়ে তার শরীরে।
সে সংলাপ ভুলে যায়।
চোখে কুয়াশা জমে।
তবু সে হাসে…
হাসতেই থাকে… এমনভাবে, যেন কেউ তাকে হাসাচ্ছে, জোর করে… ভেতর থেকে…

পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা সহ-অভিনেতারা দেখতে পায়—
রূপার মুখোশের ভেতর দিয়ে রক্ত গড়িয়ে নামছে… কিন্তু মুখোশ খুলছে না।

মুখোশটা যেন ওর মুখের চামড়ার মতো লেগে গেছে।

এক রাতে রূপা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখল—
সে মুখোশ ছাড়াও হাসছে একইভাবে।
আর আয়নার ভেতর দাঁড়িয়ে থাকা “তারই মতো” ছায়াটা হাসছে… তবে একটু বেশি… একটু বেশি বড় করে, চোখে খিদে নিয়ে।

রূপা চিৎকার করে ওঠে।
তখন আয়নায় লেখা ওঠে রক্ত দিয়ে—
"তুমি তো আমাকেই পরেছো, রূপা। এখন আমি তোমার মুখ।"

রূপা থিয়েটার ছাড়তে চায়।
কিন্তু সে যেখানে যায়, আয়নায় সেই মুখোশ দেখা যায়।
দরজার নিচ দিয়ে সাদা কাগজ গলে আসে, লেখা থাকে—
"হাসো… না হলে কাঁদাবে আমি।"

একদিন সবাই শুনল, থিয়েটারের মঞ্চে রূপা হঠাৎ হাসতে হাসতে পড়ে গেল।
চোখ ফেটে রক্ত বেরোচ্ছে, মুখ থেমে নেই।
মুখে তখনো সেই মুখোশ…
মৃতদেহটা হাসছে, ঠোঁট নড়ছে না, তবু হাসির শব্দ আসছে…

শেষে মুখোশটা কেউ খুলতে পারেনি।
ওটা যেন এক হয়ে গেছে রূপার হাড়ের সঙ্গে।

---

শেষ নোট:

সেই থিয়েটার এখনো খোলা হয় না।
তবে মাঝে মাঝে, কেউ যদি দরজায় কান পাতে…
সে শোনে—একটা মুখোশ হাসছে।
আর একটা গলা বলছে—
“আরও একজন লাগবে আমাকে… এবার কি তুমি?”

---

তোমার আয়নার মুখ কি আজ একটু বেশি হাসছে?
না হয়তো… কিন্তু পরের বার আয়নায় তাকালে খেয়াল করো…
তুমি হাসছো তো ঠিকঠাক? নাকি কেউ তোমার হয়ে হাসছে?

"ভয় পেও না… আমরা আবার ফিরে আসছি !গত কয়েকটা দিন ধরে আমরা কোনও লং ভিডিও দিতে পারিনি — কিছু কারণবশত বিরতি নিতে হয়েছে।তবে...
22/05/2025

"ভয় পেও না… আমরা আবার ফিরে আসছি !

গত কয়েকটা দিন ধরে আমরা কোনও লং ভিডিও দিতে পারিনি — কিছু কারণবশত বিরতি নিতে হয়েছে।
তবে আমরা জানি, আপনারা অপেক্ষা করছিলে নতুন ভৌতিক গল্পের জন্য — আর আমরা সেই অপেক্ষার মর্যাদা রাখতে ফিরেআসছি আরও রোমাঞ্চকর কনটেন্ট নিয়ে!

আবার শুরু হবে ভয়ের রাত, রহস্যের গল্প, আর অজানা অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়ার এক ভয়াল অভিজ্ঞতা।

তাই চোখ রাখো, কান খোলা রাখো — কারণ ভূতের গল্প আবার শুরু হচ্ছে!

– আমাদের " ভূত এফ এম. কম"

গল্প: "ছাদের মেয়েটি"এটা এমন এক গল্প, যেখানে ভয় ছাদের উপর পা ফেলেই শুরু হয়। যেখানে প্রতিটি কদমে যেন শোনা যায় মৃত কারো হাঁ...
22/05/2025

গল্প: "ছাদের মেয়েটি"

এটা এমন এক গল্প, যেখানে ভয় ছাদের উপর পা ফেলেই শুরু হয়। যেখানে প্রতিটি কদমে যেন শোনা যায় মৃত কারো হাঁটার শব্দ।
এই গল্প পাঠককে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাবে, যেখান থেকে ফিরে আসা... সব সময় সম্ভব হয় না।

---

ঢাকার পুরান অংশে একটা চারতলা বাড়ি ছিল, নাম রহমান ম্যানশন। অনেক পুরনো, ব্রিটিশ আমলের তৈরি। বাড়ির তৃতীয় তলায় নতুন ভাড়াটে আসে—সোহেল, সদ্য চাকরিতে যোগ দেওয়া এক ব্যাংক কর্মচারী।

বাড়ির সব ঠিকঠাক। কিন্তু একটা জিনিস তাকে প্রথম দিন থেকেই অস্বস্তি দেয়—ছাদের দরজা সারাক্ষণ বন্ধ থাকে।
তবে রাতে, সে শুনত—উপরে যেন কেউ হাঁটছে।
কখনও ছুটে বেড়াচ্ছে… কখনও খিলখিল করে হাসছে…
ছোট ছোট পায়ের আওয়াজ, আর মাঝে মাঝে কারো কান্নার ফিসফিস।

এক রাতে, সাহস করে সে মালিককে জিজ্ঞেস করে,
“ছাদে কি কেউ থাকে?”
মালিক থমকে যায়। চোখ সরু করে তাকিয়ে বলে,
“না, ছাদ তো বন্ধই থাকে।”
সোহেল বলে,
“তাহলে ওই রাতে হাঁটার শব্দ?”
মালিক মুখ নিচু করে শুধু একটুকু বলে,
“শব্দ শুনলেও ছাদে যেও না।”

কিন্তু মানুষ যত বেশি নিষেধ পায়, কৌতূহল ততই বেড়ে যায়।
তাই এক রাতে, আনুমানিক ২:৩০-এ, শব্দ শুনে সোহেল দরজা খুলে ছাদে ওঠে।
দেখে, কুয়াশায় ভরা ছাদ। আর তার এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে একটা মেয়ে—ছোট, ১৬-১৭ বছর বয়স, পরনে ময়লা সাদা জামা, চুল ঢেকে রেখেছে মুখটা।

সে পেছন ফিরে তাকায় না। শুধু এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ধীরে ধীরে মাথা দোলায়।
সোহেল ডাক দেয়,
“কে তুমি?”
মেয়েটি বলে না কিছুই, শুধু হাতে একটা কাঁচের পুতুল ধরে আছে। হঠাৎ সেটা ছুড়ে মারে ছাদের কিনারে, আর বলেই ওঠে—

“তুমি নেমে এসো না… এবার আমি নামবো…”

তারপর সে ধীরে ধীরে ছাদের রেলিং-এর দিকে এগিয়ে যায়।
সোহেল দৌড়ে কাছে যায়, মেয়েটিকে টেনে ধরতে—
কিন্তু যেই মুহূর্তে তার কাঁধে হাত রাখে,
মেয়েটি মুখ ঘুরিয়ে তাকায়—

সেই মুখ মানুষের নয়।
চোখ নেই, শুধু গহ্বর।
মুখে ঠোঁট ছিঁড়ে গিয়ে গাল অবধি উঠে গেছে।
কান্না আর হাসি একসাথে জেগে আছে।
তার মুখের নিচ থেকে পুতুলের মাথার মতো শব্দ করে রক্ত চুইয়ে পড়ছে।

সোহেল পেছনে হটে যায়, পা পিছলে পড়ে যায় ছাদে।

যখন সে আবার চোখ খোলে, তখন নিজেকে পায় নিজের ঘরে। দরজার নিচ দিয়ে সাদা কাগজ গলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তাতে লেখা—
“আমার পুতুল হারিয়ে গেছে। তুমি কি আমাকে নতুন একটা এনে দেবে, সোহেল ভাই?”

কিন্তু সে তো নাম বলেনি মেয়েটিকে!

পরদিন সে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে চায়। মালিক বাধা দেয় না। কেবল একটা কথা বলে,
“তুমি ভাগ্যবান… সে শুধু দেখিয়েছে নিজেকে। অনেকেই তো নামিয়ে নিয়ে গেছে।”

কিন্তু সমস্যা এখানেই শেষ হয়নি।

সোহেল যে নতুন বাসায় উঠেছে, সেখানেও রাত হলেই ছাদের জানালা দিয়ে কারো পায়ের ছায়া দেখা যায়।
তার দরজার নিচ দিয়ে মাঝে মাঝেই সাদা কাগজ ঢুকে আসে, আর সেখানে লেখা থাকে-
“তোমার ছাদে উঠতে পারি? নাকি তুমি নিচে নামবে?”

---

শেষের নোট:

"ছাদের মেয়েটি" কেউ দেখলে সে আর শান্তি পায় না। সে রয়ে যায়… অর্ধেক ওপরে, অর্ধেক নিচে।
কারণ, সেই মেয়ে এখন আর ছাদেই থাকে না।
সে থাকে… তোমার দৃষ্টি এড়িয়ে, তোমার মাথার উপর।

ভয়ংকর গল্প "কালো পাতার বই”এটা এমন এক বইয়ের গল্প—যা একবার খুললে, তার প্রতিটি পাতা খুলে দেয় একটি অভিশপ্ত দ্বার… আর শেষ পাত...
21/05/2025

ভয়ংকর গল্প
"কালো পাতার বই”

এটা এমন এক বইয়ের গল্প—যা একবার খুললে, তার প্রতিটি পাতা খুলে দেয় একটি অভিশপ্ত দ্বার… আর শেষ পাতা খোলার আগেই মানুষ হারিয়ে যায় নিজেকে।

---

তুহিন একজন গ্রন্থ সংগ্রাহক। পুরনো, হারিয়ে যাওয়া, রহস্যময় বই খুঁজে বেড়ানোই তার নেশা।
ঢাকার সদরঘাটের এক পুরনো বইয়ের দোকান থেকে সে এক অদ্ভুত বই কিনে আনে—বইটির কোনো নাম নেই, লেখক নেই, প্রচ্ছদও নেই।
বইটা পুরোটা ছিল কুচকুচে কালো, আর তার পাতা গুলো ছিল যেন পুরনো চামড়ায় মোড়া—মাটি আর রক্তের গন্ধ মেশানো।

দোকানদার শুধু বলেছিল,
“যদি পড়তেই চাও, আলো নিভিয়ে পড়ো… কারণ এই বইটা আলো সহ্য করতে পারে না।”

তুহিন সেটাকে ঠাট্টা ভাবল।

সেই রাতে, বইটা বিছানায় নিয়ে পড়া শুরু করল।
প্রথম পাতায় লেখা—

> “এই বই শুধু তারাই খোলে, যাদের মধ্যে অন্ধকার বাস করে।”

দ্বিতীয় পাতায়—

> “তুমি যদি আরেক পাতা পড়ো, তবে তোমার চোখ যা দেখবে, সেটা আর কখনও আগের মতো থাকবে না।”

তুহিন একের পর এক পাতা উল্টাতে থাকে, যেন বইটাই তার মনকে টেনে নিচ্ছে।
প্রতিটি পৃষ্ঠায় ছিল অদ্ভুত ছায়াচিত্র—একজন শিশুর কান্না, একজন নারীর ঝুলন্ত দেহ, এক ঝলকায় কাটা মুখের রক্তাক্ত ছাপ…
আর মাঝেমাঝে, পেছনের ঘর থেকে আসতে থাকে ফিসফিসানি…
“আরেকটা পাতা… আরেকটা…”

তুহিন প্রতিদিন রাত ৩টায় বইটা পড়তে বসে। প্রতিটি রাতের পর তার মুখে ক্লান্তি জমে, চোখের নিচে গাঢ় কালি পড়ে।
তবে তার মাঝেই সে এক ধরনের আনন্দ খুঁজে পায়—একটা অজানা শক্তি, যেটা তাকে স্বপ্নে বলে—

“তুমি শেষ পাতা না পড়া পর্যন্ত মুক্তি পাবে না…”

এক রাতে সে দেখে, বইয়ের ভেতরের পৃষ্ঠাগুলোতে তার নিজের ছবি… প্রথমে তাকে দাঁড়িয়ে, পরে বসে, তারপর ঘুমন্ত অবস্থায়, এবং শেষে—একটা পৃষ্ঠা যেখানে সে ঝুলছে সিলিং ফ্যান থেকে।
তুহিন ভয় পেয়ে বইটা ছুঁড়ে ফেলে দেয়।
কিন্তু সকালে উঠে দেখে—বইটা আবার টেবিলের ওপর।

সে সেটা পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু আগুনে ছুঁলেও বইটা কালোই থাকে, পোড়ে না, বরং তার গায়ে পুড়ে যায় তুহিনের আঙুল।

তখন থেকেই শুরু হয় বিভীষিকা।

ঘরে আয়নাতে কেউ একজন তাকিয়ে থাকে, অথচ সে ঘরে একা। বাথরুমে ঢুকলে দরজা বন্ধ হয়ে যায়, আয়নার ওপর লেখা ওঠে রক্ত দিয়ে—

“তুমি শেষ পাতা না খুলে পার পাবে না…”

এক রাতে, বইয়ের এক পৃষ্ঠা নিজে থেকেই খুলে যায়।
তাতে লেখা—

> “তুমি যা করো, আমি দেখি। তুমি যা ভাবো, আমি জানি। তুমি যেখানে থাকো, আমি সেখানে।
আমি এখন তোমার ছায়া নই… আমি তোমার আত্মা।”

তুহিন পালানোর চেষ্টা করে, কিন্তু তার বাড়ির দরজা-জানালা আর খোলে না।
সে থানা যায়, মন্দিরে যায়, ওঝা ডাকে। কিন্তু কেউ কিছু করতে পারে না।

অবশেষে, এক অচেনা বৃদ্ধ তার কাছে এসে বলে—
“এই বই মানব লেখা নয়। এটা লেখা হয়েছিল সেই রাতে, যেদিন পৃথিবীতে প্রথম পাপ হয়েছিল।
যারা শেষ পাতা পড়েছে, তারা আর মানুষ থাকেনি।”

তুহিন জানতে চায়—শেষ পাতায় কি আছে?

বৃদ্ধ শুধু বলে—
“শেষ পাতায় রয়েছে নিজের আত্মার দরজা… যেটা একবার খোলা মানে, আর ফেরা যায় না।”

তুহিন নিজেকে আর ধরে রাখতে পারে না।
এক রাতে, ঘরে আলো নিভিয়ে, সে শেষ পৃষ্ঠা খুলে ফেলে…

পড়ে না।
সে শুধু চিৎকার করে উঠে—
“এটা তো আমার নাম… আমার মৃত্যু… আমার কবর…!”

আর তারপর?

তুহিনকে আর পাওয়া যায়নি। ঘরে পাওয়া গেছে খোলা অবস্থায় সেই বইটা, যার সব পৃষ্ঠা খালি, শুধু একটা লাইন—

“তুহিন এখানেই আছে।
এই বইয়ে… এই কালো পাতায়।”

আজও কেউ বইটা ছুঁতে চায় না।
কিন্তু যদি তুমি এখনো এই লেখা পড়ছো… তবে সাবধান।
এই গল্পটারও শেষ পৃষ্ঠা বাকি…💀👽

“অলৌকিক বউ”এটা এমন এক গল্প, যেখানে ভালোবাসা, মায়া আর ভয় মিলেমিশে তৈরি হয় এক ভয়াল অভিশাপ… পড়লে শরীর শীতল হয়ে যাবে।-রিফাত ...
18/05/2025

“অলৌকিক বউ”

এটা এমন এক গল্প, যেখানে ভালোবাসা, মায়া আর ভয় মিলেমিশে তৈরি হয় এক ভয়াল অভিশাপ… পড়লে শরীর শীতল হয়ে যাবে।

-রিফাত ছিল একদম সাধারণ ছেলে—গ্রামের স্কুলের শিক্ষক, সরল-স্বাভাবিক জীবন যাপন করত। পরিবার অনেক বছর আগে মারা গেছে, সে একাই থাকত তার বাবার পুরনো বাড়িতে।
৩২ বছর বয়সে রিফাত যখনও বিয়ে করেনি, তখন গ্রামের লোকজন চাপ দিতে শুরু করে।

একদিন সন্ধ্যায় বাজার থেকে ফেরার সময় পথের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা এক অচেনা মেয়েকে দেখতে পায় রিফাত। মেয়েটির পরনে সাদা শাড়ি, চোখে গাঢ় কাজল, ঠোঁটে এক চিলতে লালসা মেশানো হাসি।
সে বলল—
“তুমি আমার স্বামী না?”
রিফাত ঘাবড়ে গেল।
“কি বলছো তুমি?”
মেয়েটি বলল,
“আমি তোমার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম… বহুদিন ধরে…”

রিফাত কিছু বলতে যাচ্ছিল, তখনই ঝড় শুরু হয়। কুয়াশা ঘিরে ফেলে চারদিক। তার পরে আর কিছু মনে নেই তার।

পরদিন সকালে নিজেকে পায় নিজের ঘরে, পাশে বসে সেই মেয়েটি। গ্রামের লোকজন বলল—রাতের আঁধারে নাকি বিয়ের অনুষ্ঠানের মতো আলো দেখা গিয়েছিল, আর সে নিজেই নাকি তার বউকে বাড়ি এনেছে।
রিফাত কিছুই মনে করতে পারল না, তবে মেয়েটি তাকে অপার্থিব শান্তি এনে দেয়। নাম বলল—সোহা।

সোহা রিফাতের ঘরে থাকা শুরু করে, ঘর ঝাঁট দেয়, রান্না করে, রাতের বেলা পাশে ঘুমায়… কিন্তু একটা ব্যাপার অদ্ভুত ছিল—
সে আয়না দেখত না।
সূর্য উঠলে ঘরের পর্দা টেনে দিত।
আর সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার—রিফাত ঘুমিয়ে গেলে মাঝরাতে সোহা বাইরে যেত… ফিরত ভেজা পায়ের ছাপ ফেলে।

একদিন রিফাত জিজ্ঞেস করে—
“তুমি কোথায় যাও?”
সোহা শুধু হেসে বলল,
“তুমি ঘুমাও, স্বামী… আমি তো কারও ক্ষতি করি না… যারা আমায় কাঁদিয়েছে, শুধু তাদের খুঁজে যাই…”

কয়েকদিনের মধ্যেই গ্রামের আশপাশে খুন হওয়া শুরু হয়—কুকুরের মতো ক্ষতবিক্ষত লাশ, চোখ উপড়ে ফেলা, মুখে তীব্র আতঙ্ক।
রিফাত বুঝতে পারে, কিছু একটা ভয়াবহ ভুল করেছে।

এক রাতে সে জেগে দেখে সোহা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে। আয়নায় তার প্রতিবিম্ব নেই। তার চোখ লাল হয়ে উঠেছে। সে ফিসফিস করে বলছে—
“তুমি তো আমায় স্বীকার করো না… তুমি কি আমাকে ছেড়ে যাবে?”

রিফাত আতঙ্কিত হয়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু দরজা বন্ধ। দেয়ালে রক্ত দিয়ে লেখা—

“বিয়ের রাতে তুমি আমায় রেখে পালিয়েছিলে… আমি কবর থেকে ফিরেছি… এবার তুমি আমার হবেই।”

রিফাত জ্ঞান হারায়।

পরদিন সকালে তার ঘর ফাঁকা, জানালার পাশে কেবল রক্তমাখা একটা সাদা শাড়ি, আর মেঝেতে পড়ে থাকা তার নখহীন হাতের ছাপ।
লোকেরা বলে, রিফাত আর স্বাভাবিক মানুষ ছিল না। তাকে রাতে দেখা যায় শ্মশানে ঘুরতে, ফিসফিস করে বলে—

“আমার বউ এসে যাবে… আমি তাকে ফেলতে পারি না…”

আর কুয়াশা নামলে কেউ একজন ধীরে ধীরে বলে উঠে—
“একবার আমি কাঁদছিলাম… এখন তুমি কাঁদো”

গল্প: লাল ঘর______________গ্রামের নাম ছিল রায়পুর। শহর থেকে দূরে, চারপাশে পাথুরে টিলা আর গভীর বন। সেখানে একটা বাড়ি ছিল যে...
17/05/2025

গল্প: লাল ঘর
______________

গ্রামের নাম ছিল রায়পুর। শহর থেকে দূরে, চারপাশে পাথুরে টিলা আর গভীর বন। সেখানে একটা বাড়ি ছিল যেটা সবাই “লাল ঘর” নামে চিনত।
বাড়িটার একটাই ঘর—রক্তমাখা ইট দিয়ে তৈরি, ছাদ পর্যন্ত লাল, জানালার কাচ পর্যন্ত গাঢ় রক্তের মতো লালচে।
লোকমুখে শোনা যেত, বহু বছর আগে এক জমিদারের স্ত্রীকে এই ঘরে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছিল—তার অপরাধ ছিল ভালোবাসা। জমিদার বলেছিল, “যে ভালোবাসা আমার নয়, তা কারও নয়।”
সেই থেকে লাল ঘরে কেউ থাকেনি। দিনের বেলা ঝাঁকে ঝাঁকে কাক বসে ছাদে, আর রাত হলেই ভেতর থেকে কান্না শোনা যায়। কেউ গিয়েও আর ফেরে না।

কিন্তু মিশুক নামের এক যুবক বিশ্বাস করত না এসব কুসংস্কারে। শহরের ছেলে, ফটোগ্রাফার। তার লক্ষ্য ছিল গ্রাম বাংলার রহস্যময় জায়গাগুলোতে গিয়ে ডকুমেন্টারি বানানো। সে রায়পুরে গিয়ে ওঠে এক বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে, যারা তাকে লাল ঘর নিয়ে সাবধান করে।

“ওখানে কেউ রাত কাটিয়ে ফিরে আসে না বাবা,”—বুড়োটা বলেছিল।

“আর যারা আসে, তারা আর মানুষ থাকে না,”—যোগ করে বৃদ্ধা।

মিশুক হেসে বলে, “আমার ক্যামেরাই বলে দেবে ভূতের গল্প সত্যি না বানানো।”

পরদিন বিকেলে সে লাল ঘরের সামনে দাঁড়ায়। গা ছমছমে হাওয়া বইছিল। ঘরের দরজা খোলা, ভিতরে কেমন একটা গন্ধ—পঁচা রক্ত, ধুলো আর পচা গোলাপের মতো। ঘরে ঢুকে সে ক্যামেরা অন করে।

ভেতরটা ফাঁকা, শুধু মাঝখানে একটা পুরনো আয়না। মেঝেতে ধূলিমাখা লাল শাড়ি। দেয়ালে আঁচড়ের দাগ। মিশুক হঠাৎ বুঝতে পারে, ঘরের ভেতর ঢোকার পর থেকে বাইরের শব্দ নেই—না পাখির ডাক, না বাতাসের শোঁ শোঁ।

ক্যামেরা দিয়ে সে চারপাশ স্ক্যান করে। তখন আয়নায় দেখতে পায়, পিছনে একটা ছায়া দাঁড়িয়ে আছে—এক নারী, লাল শাড়ি, কাটা গলা, গলায় সোনার হার ঝুলে আছে, যার নিচ থেকে গড়িয়ে পড়ছে গাঢ় লাল কিছু।

সে পিছনে ঘুরে তাকায়—কেউ নেই। আবার আয়নার দিকে তাকায়—নারীটা কাছে চলে এসেছে। মুখে বিকৃত হাসি। চোখে শুধুই ঘৃণা।

“তুমি ভালোবাসা বোঝো না… আমিও… আর চাই না…”

হঠাৎ ঘরের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। অন্ধকার নেমে আসে। চারদিকে সেই নারীকণ্ঠ, যেন শত নারী একসাথে কাঁদছে, ফিসফিস করছে। মিশুকের মাথা ঘুরতে থাকে। ক্যামেরা নিচে পড়ে যায়।

সেই রাতে কেউ জানে না কী ঘটে। পরদিন ভোরে গ্রামের লোকজন গিয়ে দেখে—ঘরের মাঝখানে পড়ে আছে একটা ক্যামেরা। আর আয়নার ভেতরে স্পষ্ট দেখা যায় মিশুক—সে দাঁড়িয়ে আছে, হাত তুলে সাহায্য চাইছে। চিৎকার করছে, কিন্তু শব্দ নেই।

তারপর থেকে প্রতি পূর্ণিমায়, আয়নাটার সামনে গেলে দেখা যায়, কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছে ভেতরে। তার চোখ ফুঁটে বেরিয়ে এসেছে, গলা থেঁতলানো, আর ঠোঁটে… সেই লাল শাড়ির নারীর হাসি।

গ্রামের লোকজন এখন লাল ঘরের সামনে গেলে শুধু ফিসফিস করে বলে—
"ভালোবাসা যেখানে প্রতিশোধ হয়, সেখানে ঘর হয় লাল…"❤️

Good Night🤫
09/05/2025

Good Night🤫

Address

Fulbaria

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bhoot FM.Com-ভুতএফএম.কম posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Bhoot FM.Com-ভুতএফএম.কম:

Share