08/01/2024
💡একদিকে আছে ১২তম ফেল, এক অসম্ভব সাফল্যের গল্প। অন্যদিকে আছে বিসিএস, বাংলাদেশের সবচেয়ে কঠিন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। কিন্তু, এই দুটো প্রেক্ষাপটের মধ্যে কি আছে মিল? উত্তর হলো, অনেক কিছুই!💡
👉🏻যেখানে মিল:
🔸পরীক্ষার চাপ: দুটো ক্ষেত্রেই দেখা যায় পরীক্ষার সাফল্যকে সফলতার একমাত্র চূড়া বলে মনে করা হয়। এই অতিমাত্রা গুরুত্ব দিলে ক্ষতি হতে পারে:
🔸সরু পথ: দক্ষতা আর প্রতিভা না দেখে শুধু একটা পরীক্ষায় পাস করার দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়।
🔸মানসিক চাপ: এত চাপের কারণে উদ্বিগ্নতা, হতাশা, এমনকি বার্ন আউটও হতে পারে।
🔸অসমতা: ভালো শিক্ষা আর রিসোর্স পাওয়ার সুযোগ যাদের বেশি, তাদের পক্ষে এই পরীক্ষা আরও সহজ হয়।
🔸সংগ্রাম আর সাফল্য: ১২তম ফেলের নায়ক আর বিসিএস পরীক্ষার্থীরা দুজনেই সাফল্যের পথে অনেক বাঁধা পেরিয়ে আসেন। এই মনোযোগ আর চেষ্টা দুটো ক্ষেত্রেই অনুসরণীয়।
👉🏻বিসিএস পরীক্ষার সমালোচনা:
🔹সীমিত সুযোগ: সরকারি চাকরির লোভনীয়তা থাকলেও, বিসিএস পরীক্ষা গ্র্যাজুয়েটদের বৈচিত্র্যময় দক্ষতা আর আগ্রহের ক্ষেত্রগুলোকে উপেক্ষা করে। এতে অন্যান্য খাতে দক্ষতা কাজে লাগানোর সুযোগ কমে।
🔹রট লার্নিং আর মুখস্থ: নির্দিষ্ট বিষয় আর তথ্য মুখস্থ করার উপর জোর দেওয়ার ফলে সমালোচনা আছে যে এই পরীক্ষা সমালোচনামূলক চিন্তা আর সমস্যা সমাধানের দক্ষতা উন্নয়নে ভূমিকা রাখে না।
🔹অনিয়মের অভিযোগ: বিশেষ করে ভাইবা ভাইসে পক্ষপাতিত্ব আর দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, যা পরীক্ষার মূল্যবোধকে নষ্ট করে।
👉🏻এবার আসি সমালোচনার দিকে:
▫️কিছু দৃশ্য হয়তো অতি বেশি নাটকীয় মনে হতে পারে, যা বাস্তবিকতার সাথে মিল খায় না।
▫️কিছু চরিত্র বা পরিস্থিতি হয়তো অতি সাধারণ বা "দেখা-হয়ে-গেছে" মনে হতে পারে।
▫️গল্পে জটিল সমস্যাগুলো হয়তো খুব সহজেই সমাধান করা হয়েছে, যা বাস্তবের সাথে মিলে না।
👉🏻কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
▪️সব বিসিএস পরীক্ষার্থীর গল্প এক নয়: ১২তম ফেলের গল্প নির্দিষ্ট এক ধরনের সংগ্রাম দেখায়, কিন্তু বিসিএস পরীক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা তাদের পটভূমি, রিসোর্স, আর পড়ার পদ্ধতির উপর নির্ভর করে।
▪️পরীক্ষা সংস্কারের চেষ্টা: জনপ্রশাসন কমিশন পরীক্ষার পদ্ধতির বৈচিত্র্য বাড়ানো আর দক্ষতা ভিত্তিক মূল্যায়ন করার মতো উদ্যোগ নিয়েছে।