Kishoreganj District কিশোরগঞ্জ জেলা

Kishoreganj District কিশোরগঞ্জ জেলা আপনারা দেখতে পারবেন পুরোনো সব ঐতিহ্য ?
(1)

ঐতিহাসিক বাড়িটি দেখার জন্য গিয়েছিলাম সময় করে আপনারাও দেখে আসতে পারেন সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক বাড়িটি।কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপ...
10/07/2025

ঐতিহাসিক বাড়িটি দেখার জন্য গিয়েছিলাম সময় করে আপনারাও দেখে আসতে পারেন সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক বাড়িটি।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ছোট্ট একটি গ্রাম মসূয়া। বিশ্বনন্দিত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক ও শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায়ের ঐতিহাসিক বাড়ি এই গ্রামে। এ বাড়ির পূর্বে রয়েছে পুকুর ও শান বাঁধানো ঘাট। পশ্চিমে কয়েক একর জায়গাজুড়ে বাড়ি। পূর্বে প্রাচীর ও সিংহ দরজা ছিল যা এখন নেই। পশ্চিমে জরাজীর্ণ ভবন, এখন যেটি ভূমি অফিস। তার একটু পশ্চিমে গেলেই ডাকঘর। বাড়ির ভিতরে রয়েছে কারুকার্যখচিত প্রাচীন দালান, বাগানবাড়ি, হাতির পুকুর, খেলার মাঠ ইত্যাদি। যে বাড়ির এত ঐতিহ্য, সেই বাড়িটি এখন ধ্বংসের পথে। দেখার যেন কেউ নেই।

সত্যজিৎ রায়ের পিতামহের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি এখন সরকারের রাজস্ব বিভাগের তত্ত্বাবধানে আছে। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের উদ্যোগে ২০১২ সালে ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি রেস্ট হাউজসহ বাড়ির সীমানা প্রাচীর ও রাস্তাঘাট সংস্কার করা হয়।

এই বাড়িতে ১৮৬০ সালের ১২ মে জন্মগ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়ের পিতামহ প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী। তিনি ছিলেন বিখ্যাত শিশুকিশোর পত্রিকা ‘সন্দেশ’র (১৯১৩) প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। তার বাবার নাম ছিল কালীনাথ রায়। পাঁচ বছর বয়সে নিঃসন্তান চাচা হরিকিশোর রায় চৌধুরী তাকে দত্তক পুত্র হিসেবে গ্রহণ করেন।

পিতার দেওয়া কামদারঞ্জন রায় নাম বদলিয়ে রাখেন উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী। কিন্তু দত্তক পুত্র গ্রহণের বেশ কয়েকবছর পর হরিকিশোর রায় চৌধুরী ওরফে নরেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী জন্মগ্রহণ করায় দত্তক পুত্র উপেন্দ্র কিশোরের গুরুত্ব কমতে থাকে। হরিকিশোর রায় চৌধুরী ছিলেন জমিদার। তার স্নেহে লালিত উপেন্দ্রকিশোর ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৮৮০ সালে প্রবেশিকা এবং কলকাতা মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউট থেকে বিএ পাস করেন।

এদিকে, হরিকিশোর রায় চৌধুরী ভবিষ্যতে সম্পদের উত্তরাধীকার নিয়ে ঔরসজাত পুত্র ও দত্তক পুত্রের মাঝে যাতে কোনো সংঘাত না বাধে সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এ জন্য বাড়ির চার দেয়ালের বাইরে নকশা করে লোহার খুঁটি দিয়ে দত্তক পুত্রের জন্য সম্পূর্ণ আলাদা বাড়ির সীমানা নির্ধারণ করে দেন। লোহার খুঁটিগুলো আজও রয়েছে।

সীমানা নির্ধারিত বাড়িতে উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর ঔরসে ১৮৮৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন জ্যেষ্ঠ পুত্র সত্যজিৎ রায়ের পিতা শিশুসাহিত্যিক সুকুমার রায়। জন্মের পরই সুকুমার রায়সহ উপেন্দ্রকিশোর চলে যান কলকাতায়। মাঝে মাঝে নিজ বাড়িতে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বেড়াতে আসতেন তিনি। তার মেজো মেয়ে পুণ্যলতার অনেক সাহিত্যকর্মের মধ্যে ছেলেবেলার দিনগুলোতে সেকালের মসুয়ার বর্ণাঢ্য রায় চৌধুরী পরিবারের বিবরণী রয়েছে। হরিকিশোর রায় চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার পুত্র নরেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী মসুয়ায় জমিদারী লাভ করেন। উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী হয়ে পড়েন কলকাতাকেন্দ্রিক। নাতি সত্যজিৎ রায়ের জন্ম কলকাতাতেই এবং বেড়ে ওঠাও কলকাতাতেই।

মসুয়া গ্রামের সত্যজিৎ রায়ের সেই ঐতিহাসিক পৈতৃক ভিটেমাটি ও স্মৃতিচিহ্ন এখন বিলুপ্তির পথে। ভাঙাচোরা এই বাড়িটি দিন দিন ধ্বংস হচ্ছে। বাড়িটি রাজস্ব বিভাগের দখলে থাকলেও বহু জায়গা বেদখল হয়ে গেছে।

অস্কার বিজয়ী বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের ঐতিহাসিক পৈতৃক বাড়িকে একসময় বলা হতো ‘পূর্ব বাংলার জোড়াসাঁকো’। প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শেষ বুধবার এ ঐতিহাসিক বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয় বৈশাখী মেলা। মসুয়া গ্রামে সত্যজিৎ রায়ের পরিবারের স্মৃতি চিহ্নটুকু ধরে রাখার জন্য গঠিত হয়েছে সত্যজিৎ রায় স্মৃতি সংসদ। প্রতি বছর ৫ মে পালন করা হয় সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিবস। প্রতিদিন বহু দর্শনার্থী সাহিত্যিক-কবি বাড়িটি পরিদর্শনে আসেন।

৪ জুলাই ২০২৫ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্স-এর ওয়েবসাইট এবং অনলাইন ডোনেশন সিস্টেমের শুভ উদ্বোধন করেন মসজিদ পরিচ...
04/07/2025

৪ জুলাই ২০২৫
ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্স-এর ওয়েবসাইট এবং অনলাইন ডোনেশন সিস্টেমের শুভ উদ্বোধন করেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি, কিশোরগঞ্জ জেলার মান্যবর জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্মসচিব) জনাব ফৌজিয়া খান।

এখন থেকে দেশ-বিদেশের যেকোনো স্থান থেকে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সহজেই মসজিদের জন্য দান করা যাবে।

ওয়েবসাইট লিংক: https://paglamosque.org/

তথ্য সূত্র ও ছবি: DC Kishoreganj

কিশোরগঞ্জ জেলা kishoreganj District

কিশোরগঞ্জ জেলা kishoreganj District জমিদার মানব বাবু সাথে আমাদের কিছু স্বরনীয় মুহুর্ত গাঙ্গাটিয়া জমিদার বাড়ি কিশোরগঞ্জের...
04/07/2025

কিশোরগঞ্জ জেলা kishoreganj District
জমিদার মানব বাবু সাথে আমাদের কিছু স্বরনীয় মুহুর্ত
গাঙ্গাটিয়া জমিদার বাড়ি কিশোরগঞ্জের একটি বিখ্যাত জমিদার বাড়ি । সময় করে দেখে আসতে পারেন জমিদার সহ জমিদার বাড়ি।

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় অবস্থিত। স্থানীয় লোকজনের কাছে এটি মানববাবুর বাড়ি নামেও পরিচিত। যতদূর জানা যায় এই জমিদার বাড়ির গোড়াপত্তন হয় ১৮শ শতকের শেষ দিকে দীননাথ চক্রবর্তীর হাত ধরে, যিনি ইংরেজদের কাছ থেকে ‘পত্তনি’ নিয়ে এই অঞ্চলে জমিদারি শুরু করেন। তবে এই বংশের পূর্বপুরুষগণ ১৬ শতকের দিক থেকেই এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছিলেন। সুউচ্চ প্রাচীরে ঘেরা এই বাড়ির অসাধারণ নির্মাণশৈলীর সদর দরজা পার হলেই কাচারিঘর, খাজাঞ্জিখানা, মহাফেজখানা এবং নহবতখানাসহ বিভিন্ন স্থাপনা চোখে পড়ে। তবে বর্তমানে কাছারিঘরটি ছাড়া বাকি স্থাপনাগুলোর বয়স প্রায় ৪০০ বছর বেশ করুণ অবস্থা নতুন বিল্ডিং গুলো বয়স ১০০ বছরে উপরে। এই বাড়িতে এখনো জমিদার বংশের উত্তরাধিকারীগণ বসবাস করে আসছেন, তাদেরই একজন মানবেন্দ্র চক্রবর্তী চৌধুরী, উনার বয়স ৮০ বছর কথা বলার মাঝে তারুণ্যসুলভ আচারন লক্ষ করা যায় কথা বলার মাঝে মাঝে ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করেন উনার বেশ কয়েকটি বিশাল পুকুর রয়েছে ওখানে তিনি মাছের চাষ করেন বাংলাদেশে তেলাপিয়া মাছের চাষ তিনি প্রথম শুরু করেন জমিদার মানববাবু নামে এই বাড়ি এখন বেশি পরিচিত তিনিই প্রথম গাঙ্গাটিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান এবং গাঙ্গাটিয়া বাজারে প্রতিষ্ঠাতা প্রতি বুধবার ওখানে বাজার জমে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা তেকে মানুষ আসে ঐ বাজারে।

এছাড়াও জমিদার বাড়ির বাইরে রয়েছে একটি বিশাল দিঘি, দিঘির এক পাড়ে প্রাচীন একটি শিব মন্দির, যা বট-পাকুড়ে জড়িয়ে এখনো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

পুকুর সংলগ্ন শিব মন্দির

কিভাবে যাবেনঃ ঢাকার মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে সড়কপথে
অন্যান্য পরিবহন, অন্যান্য ক্লাসিক, জলসিঁড়ি সহ বিভিন্ন বাস ছেড়ে যায়। এছাড়া কমলাপুর রেল স্টেশন থেকেও সকাল ৮:১০ মিনিটে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এগারসিন্ধুর প্রভাতী ট্রেনটি।

কিশোরগঞ্জ শহরের বটতলা মোড় থেকে সিএনজি অটোরিকশায় সরাসরি গাঙ্গাটিয়া জমিদারবাড়ি আসা যায়।

কি খাবেনঃ জমিদারবাড়ির পাশেই কয়েকটি সাধারণ মানের রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এ ছাড়াও কিশোরগঞ্জ শহরে ভালো রেস্টুরেন্ট পেয়ে যাবেন।

কোথায় থাকবেনঃ কিশোরগঞ্জ ঘুরতে এলে শুধু গাঙ্গাটিয়া জমিদারবাড়িই নয় আরও বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। যে কারণে আপনাকে এখানে থাকতে হতে পারে। জেলা সদরের সরকারি ডাক-বাংলোতে অনুমতি সাপেক্ষে থাকতে পারবেন। এছাড়াও হোটেল নিরালা, হোটেল রিভার ভিউ, হোটেল গাংচিল সহ বেশ কিছু ভালো মানের কিছু হোটেল রয়েছে। সেগুলোতে থাকতে পারেন।

আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমতে আজকের জন্য বেঁচে গেলাম। পাকুন্দিয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম বাসে করে। রাজেন্দ্...
01/07/2025

আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমতে আজকের জন্য বেঁচে গেলাম। পাকুন্দিয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম বাসে করে। রাজেন্দ্রপুর আসতে উল্টা দিকে একটা গাড়ি আসছে, এই গাড়ি ট্যাকেল করতে গিয়ে আমাদের বাসটা এখন উল্টে যাওয়ার পথে ছিল। ড্রাইভার টা খুবই দক্ষ ছিল বিদায় যাত্রীর কোন সমস্যা হয় নাই আলহামদুলিল্লাহ সবাই সুস্থ আছে।
📍রাজেন্দ্রপুর,ঢাকা

পাকুন্দিয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া এক যাত্রী বাহি বাস রাজেন্দ্রপুর আসতে উল্টা দিকে একটা গাড়ি আসছে, এই গাড়ি ট্যাকেল করতে গিয়ে বাসটা এখন উল্টে যাওয়ার পথে🥺 ছিল। ড্রাইভার টা খুবই দক্ষ ছিল বিদায় যাত্রীর কোন সমস্যা হয় নাই আলহামদুলিল্লাহ সবাই সুস্থ আছে।
📍রাজেন্দ্রপুর,ঢাকা
Photo Collection from
MD AmanUllah AL Safe

কিছুদিন আগে ঘুরে দেখলাম জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। অপরূপ সুন্দর কলেজ ক্যাম্পাসটি। সত্যিই দারুণ, দেখার মতো জায়...
29/06/2025

কিছুদিন আগে ঘুরে দেখলাম জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। অপরূপ সুন্দর কলেজ ক্যাম্পাসটি। সত্যিই দারুণ, দেখার মতো জায়গা। হাসপাতালটি বাজিতপুর উপজেলার ভাগলপুর গ্রামে শিল্পপতি ও প্রখ্যাত সমাজসেবক মরহুম জহুরুল ইসলাম তাঁর নিজ গ্রামে ১৯৮৯ সালে ৩৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি আধুনিক হাসপাতাল ও নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট সহ ১৯৯২ সালে দেশের সর্ববৃহৎ ও ২য় বেসরকারি মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলেন। বাংলাদেশটি ছোট হলেও এই দেশটি জনবহুল একটি দেশ। আর প্রয়োজনের তাগিদে এই ছোট্ট রাষ্ট্রটি ৫৪ টি বেসরকারি মেডিকেলের জন্ম দিয়েছে এটা সত্যিই গর্বের বিষয়। বিশেষ করে ঢাকা থেকে ১১০ কিমি. উত্তর পশ্চিমে কিশোরগঞ্জ জেলায় ১২০০ শয্যা সম্বলিত একটি আধুনিক হাসপাতাল এবং ৩০০ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য সম্পূর্ণ আবাসিক কলেজ হওয়ার কারণে কিশোরগঞ্জবাসীরা গর্বিত ও আনন্দিত।

এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিশাল আয়তন, পরিকল্পিত স্থাপত্য ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাসের সুন্দর্য সকলকে আকর্ষণ ও মুগ্ধ করে। 2014 সালে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিও মজীনা। এ সময় তিনি ছোট বক্তৃতায় বলেছিলেন, আমি শুধু এসেছি মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য্য দেখতে। আমি দেখতে এসেছি সুন্দর ও রূপসী বাংলাদেশকে। আমি ঘুরে ঘুরে দেখেছি টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া। বাংলাদেশ একটি সুন্দর দেশ। ঐখানে উপস্থিত মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন, তোমরা সুন্দর বাংলাদেশ গড়বে, তোমরাই পারবে সোনার বাংলা গড়তে, এটা আমার বিশ্বাস।

ইংরেজি ১৯৯২ সালের আগষ্ট থেকে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছিল ৪০ জন ছাত্রকে নিয়ে। এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত একুশটি ব্যাচ তাদের এমবিবিএস সম্পূর্ণ করেছে। কঠোর নিয়ম কানুন, এবং রাজনীতি মুক্ত এবং শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ থাকায় প্রফেশনাল পরীক্ষা গুলোতে বরাবরই ভাল ফলাফল করে আসছে স্টুডেন্টসরা। পাশ করা স্টুডেন্টদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের হার ও চোখে পড়ার মতো সম্পূর্ণ আবাসিক এই কলেজটির ২২ টি অনুষদের প্রত্যেকটিতে পর্যাপ্ত পরিমাহনে আছে অবিজ্ঞ শিক্ষক এবং এর শতকরা ৯০ শতাংশই আবাসিক শিক্ষক যার ফলে স্টুডেন্ট শিক্ষকরা এখানে একটি পরিবার হিসেবে কাজ করছে। শিক্ষকরা তাদের সুচিকিৎসক বানানোর কারিগর হিসেবে ভূমিকা রেখে চলেছে। এই হাসপাতালটি দিন দিন আরো উন্নতি করুক এই কামনা করি সেই সাথে যাঁরা এখনো এর সুন্দর্য দেখেননি তাদের দেখার আমন্ত্রণ জানিয়ে শেষ করছি।
কিশোরগঞ্জ জেলা kishoreganj District

কিশোরগঞ্জ জেলা kishoreganj District কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার শেষদিকে অবস্থিত হিজলজানি হাওর।  ইটনা উপজেলা এবং তাড়াইল উপ...
28/06/2025

কিশোরগঞ্জ জেলা kishoreganj District
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার শেষদিকে অবস্থিত হিজলজানি হাওর। ইটনা উপজেলা এবং তাড়াইল উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত মিনি কক্সবাজার
এখন স্বচ্ছ পানিতে ভরে গেছে হাওর ভ্রমণপিয়াসীদের এই পছন্দের জায়গাটি। অসাধারণ একটি মনোমুগ্ধকর জায়গা।

কি ভাবে যাবেনঃ-প্রথমে উকিলপাড়া বা বটতলা সি.এন.জি স্ট্যান্ড/শহীদি মসজিদের সামনের অটো স্ট্যান্ড থেকে তাড়াইল।
আর তাড়াইল থেকে সরাসরি হিজলজানি হাওরে।
খুব বেশী খরচ লাগবে না এই জায়গাটি উপভোগ করার জন্যে।
১। কিশোরগঞ্জ-তাড়াইল ৫০ টাকা (সি.এন.জি)
২। তাড়াইল থেকে হিজলজানি ২০/২৫ (সি.এন.জি) তবে অটো হলে ২০টাকা হতে পারে।
আর আপনার যদি রিজার্ভ করে বা নিজেদের গাড়ি করে যান তাহলে তো ভিন্ন কথা।

আর খাওয়ার জন্যে ওইখানে বা এর আশেপাশে কিছু টং এর দোকান (চা, বিস্কুট, কলা এই জাতীয়) এ ছাড়া অন্য কিছু নাই।
তবে দুপুরের খাবার খেতে চাইলে তা তাড়াইল সেরে নিতে হবে।
খাওয়ার ব্যাপারে আপনারা কি খাবেন সেটার উপর খরচ নির্ভর করবে। আসার সময় খরচ একই পড়বে৷ আপনারা চাইলে ট্রলার ভাড়া করে নিয়ে মিশে যেতে পারেন স্বচ্ছ জলের ধারায়।

ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেলের পিছনের দিকের রাস্তার, দুপাশের কৃষ্ণচুড়া গাছগুলো দেখলে মনে হবে, এই রাস্তা যদি কখনো শেষ না ...
27/06/2025

ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেলের পিছনের দিকের রাস্তার, দুপাশের কৃষ্ণচুড়া গাছগুলো দেখলে মনে হবে, এই রাস্তা যদি কখনো শেষ না হতো.......
কৃষ্ণচূড়া ফুলের প্রকৃতিতে বিরাজ করে বলেই এত সুন্দর, ভাগলপুর, বাজিতপুর, কিশোরগঞ্জ।

কিশোরগঞ্জ জেলা kishoreganj District

এক দিনেই কিশোরগঞ্জ ও নিকলি হাওর ভ্রমন!“কিশোরগঞ্জ” বাংলাদেশের একটি জেলা যা ঢাকা বিভাগ এর অন্তর্গত।  এই জেলার উত্তরে নেত্র...
26/06/2025

এক দিনেই কিশোরগঞ্জ ও নিকলি হাওর ভ্রমন!

“কিশোরগঞ্জ” বাংলাদেশের একটি জেলা যা ঢাকা বিভাগ এর অন্তর্গত। এই জেলার উত্তরে নেত্রকোনা জেলা ও ময়মনসিংহ জেলা, দক্ষিণে নরসিংদী জেলা ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা, পূর্বে সুনামগঞ্জ জেলা ও হবিগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে ময়মনসিংহ জেলা ও গাজীপুর জেলা।
কিশোরগঞ্জে রয়েছে অনেক সুন্দর সুন্দর দর্শনীয় স্থান, যা আপনাকে দিতে পারে এক অন্য রকম অনুভূতি। সবসময়ের ব্যস্ততা ও ঢাকা শহরের যানজটের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে একদিনের জন্য ঘুরে আসতে আসতে পারেন ঢাকার পাশেই কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে।
সেখানে রয়েছে নামকরা প্রসিদ্ধ নিকলি হাওর, যেখানে পাবেন দ্বিগন্ত বিস্তৃত জলরাশির বুকে নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর এক অন্য রকম আনন্দ। পানিতে দ্বীপের মত ভেসে থাকা ছোট ছোট গ্রাম, স্বচ্ছ জলের খেলা, মাছ ধরতে জেলেদের ব্যস্ততা, রাতারগুলের মত ছোট জলাবন ও খাওয়ার জন্যে হাওরের তরতাজা নানা মাছ। এই সব কিছুর অভিজ্ঞতা আর নিকলীর অপরূপ হাওর ভ্রমণ আপনার জীবনে মনে রাখার মত একটি ভ্রমণ হিসেবে গেঁথে থাকবে।
নিকলী হাওর কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলায় অবস্থিত। কিশোরগঞ্জ সদর থেকে নিকলি উপজেলার দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। আর ঢাকা থেকে একদিনেই ঘুরে আসা সম্ভব নিকলী হাওর থেকে।

কিশোরগঞ্জে যা যা দেখবেনঃ-
১। নিকলি হাওর
২। গুরই শাহী জামে মসজিদ
৩। নিকলী বেড়ি বাঁধ
৪। পাহাড় খাঁর মাজার
৫। গুরই প্রাচীনতম আখড়া
৬। কিশোরগঞ্জ শহর

যেভাবে যাবেনঃ- ঢাকা থেকে দুই ভাবে কিশোরগঞ্জ যাওয়া যায়। ট্রেনে বা বাসে
১। ট্রেনে যেতে হলে কমলাপুর থেকে দুটো ট্রেন আছে যাবার। এগারোসিন্ধুর ট্রেন সকাল ৭:১৫, সন্ধা ৬:৪৫ এবং কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস সকাল ১০:৩০ কমলাপুর থেকে কিশোরগঞ্জ এর উদ্দেশ্যে ছাড়ে। টিকেট শোভন চেয়ার ১৬০টাকা, শোভন ১৩৫ টাকা, প্রথম শ্রেনী ২৫০ টাকা।
২। বাসে যেতে হলে মহাখালী/বনানী/এয়ারপোর্ট বাসস্ট্যান্ড হতে অনন্যা পরিবহনে চার ঘন্টায় চলে যেতে পারবেন।

যেভাবে ঘুরবেনঃ-
ট্রেনে আসলে গচিহাটা বা মানিকখালি স্টেশনে নেমে গেলে এবং বাসে আসলে কটিয়াদি নেমে গেলে কম সময় নিকলী যেতে পারবেন। নিকলী তে যেখানে নামবেন সেখানেই মোটামুটি মানের কয়েকটি খাবার হোটেল আছে। তার মধ্যে হোটেল সেতু, ক্যাফে ঢেউ উল্লেখযোগ্য। হাওরের তাজা মাছের নানা পদ দিয়ে ১০০ থেকে ২০০ টাকায় ভরপেট খেয়ে নিতে পারবেন।
খাওয়া দাওয়া ও প্রয়োজনীয় কাজ সেরে ইজিবাইকে বেড়ি বাঁধের শেষ প্রান্তে চলে আসুন। সেখানে দরদাম করে ঘন্টা প্রতি নৌকা ঠিক করে নিবেন হাওর ঘুরে দেখার জন্যে। ছোট নৌকা ভাড়া করতে ঘন্টা প্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা এবং একটু বড় নৌকা ভাড়া করতে ঘন্টা প্রতি
৭০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ হবে। আর বেশি সময়ের জন্যে ভাড়া করলে খরচ কিছুটা কম হবে। এক নৌকায় অনায়াসে ১০-৩০ জন পর্যন্ত উঠতে পারবেন। আপনার হাতে কত সময় আছে সেই হিসেবেই নৌকা ভাড়া করুন। চেষ্টা করুন অন্তত ৩ ঘন্টা যেন হাতে থাকে নৌকা দিয়ে ঘুরার জন্যে। নৌকা দিয়ে হাওরে ভাসতে ভাসতে চারপাশের মোহনীয় রূপ দেখতে প্রথমেই চলে যেতে পারেন ছাতিরচর গ্রামে। সিলেটের রাতারগুলের মত জলাবনের মুগ্ধতা দেখতে দেখতে দু’চোখ জুড়িয়ে নেয়ার পাশাপাশি শীতল জলে গা ঢুবিয়ে শরীর শান্ত করার কাজটা এখানেই সেরে ফেলতে পারেন। তবে ভরা বর্ষায় পানি অনেক বেশি থাকে। তাই গোসল করতে চাইলে সাথে করে লাইফ জ্যাকেট নিয়ে যাওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। জলাবনের সৌন্দর্য দেখে তারপর আবার নৌকা নিয়ে চলে যান চর মনপুরায়। পানি বেশি হলে যদিও ডুবে যায় তবে কম থাকলে আধো ভাসমান এই চরে ঘুরে বেড়াতে পারেন কিছুটা সময়। তারপর উন্মুক্ত হাওরে শেষ বিকেলের সূর্য্য দেখতে দেখতে পূনরায় নিকলী বেড়ি বাঁধে এসে বাড়ি ফেরার পথ ধরতে হবে।

যেভাবে ফিরবেনঃ- ফিরতে চাইলে আপনাকে বাসেই ফিরতে হবে। এই জন্যে নিকলী উপজেলা মোড়ে এসে সিএনজি ঠিক করে চলে যান কটিয়াদিতে। কটিয়াদি বাস স্ট্যান্ড থেকে ঢাকা যাবার শেষ বাস ছেড়ে যায় সন্ধ্যা ৭টায়। তাই সময়ে দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।

বিঃদ্রঃ আমরা যেখানেই ভ্রমণ করি না কেন, সব সময় নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলবো। ভ্রমণে গিয়ে ময়লা আবর্জনা ফেলিয়ে ওই জায়গাটা নষ্ট করে আসবো না।
মনে রাখবেন, আপনি যেমন কোথাও ঘুরতে গিয়ে একটি সুন্দর ও পরিষ্কার স্থানের আশা করেন, ঠিক অন্যরাও এমনি একটি পরিষ্কার স্থানের আশা করে।

কিশোরগঞ্জ জেলা kishoreganj District কিশোরগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে প্রায় সাড়ে চারশত বছরের পুরনো দি...
24/06/2025

কিশোরগঞ্জ জেলা kishoreganj District কিশোরগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে প্রায় সাড়ে চারশত বছরের পুরনো দিল্লির আখড়া (Dhillir Akhra) অন্যতম। কিশোরগঞ্জের মনোরম একটি হাওরাঞ্চল মিঠামইন উপজেলার কাটখাল ইউনিয়নে দিল্লির আখড়ার অবস্থান। নাম দিল্লির আখড়া হলেও বাস্তবে ভারতে দিল্লির সাথে এই আখড়ার আলাদা কোন সম্পর্ক নেই।
কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত মিঠামইন উপজেলার শেষ প্রান্তে এর অবস্থান । দিল্লির সম্রাট জাহাঙ্গীরের স্মৃতিবিজড়িত এই দিল্লির আখড়াকে কেন্দ্র করে রয়েছে বিশাল খোলা জায়গা। আখড়ার চারদিকে এই বিশাল জায়গায় রয়েছে প্রায় তিন হাজার হিজল গাছ। প্রাচীন এই আখড়া আর হিজল গাছগুলো হাওরের এক অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি- যা সকলকেই হাতছানি দিয়ে ডাকে।দিল্লির আখড়ার প্রতিষ্ঠাকাল সম্পর্কে জানা যায়, দিল্লির সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময়ে সাধক নারায়ন গোস্বামী এই আখড়া প্রতিষ্ঠা করেন। আখড়ার সেবায়েত বৈষ্ণবদের মতে দিল্লি আখড়ার বর্তমান বয়স প্রায় সাড়ে ৪০০ বছর।
পরিচিতি ও কিংবদন্তি: কিশোরগঞ্জের ইতিহাস গ্রন্থে’ উল্লেখ আছে, বিধঙ্গলের ‘রামকৃষ্ণ গোসাই’র মতাবলম্বী বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের আখড়ার মধ্যে মিঠামইনের দিল্লির আখড়াটি বিখ্যাত। হাওর এলাকার অন্যতম সেরা আকর্ষন এই আখড়া। নদী তীরে হিজল গাছের সারি, প্রাচীন দেয়াল ও অট্টালিকা, ভিতরে অপূর্ব সুন্দর পরিবেশে যেকোন আগন্তুককে কাছে টানবে। আখড়ার ভেতরে রয়েছে আধ্যাত্মিক সাধক নারায়ন গোস্বামী ও তার শিষ্য গঙ্গারাম গোস্বামীর সমাধি। আরো রয়েছে ধর্মশালা, নাটমন্দির, অতিথিশালা, পাকশালা ও বৈষ্ণবদেব থাকার ঘর। আখড়ার দুদিকে রয়েছে দুটি পুকুর। আর আখড়ার চারপাশে বিশাল এলাকাজুড়ে মৃত্তিকা বিদীর্ণ করে দাড়িয়ে রয়েছে আখড়ার সময়কালের প্রায় তিন হাজার হিজল গাছ।
দিল্লির আখড়া ও হিজল গাছগুলোকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলে প্রচলিত আছে কিংবদন্তি। গা ছমছম করা সে কাহিনী প্রায় সাড়ে ৪০০ বছর আগের কথা, দিল্লির আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা আধ্যাত্মিক সাধু নারায়ন গোস্বামী ছিলেন পার্শ্ববর্তী বিতলঙ্গের আখড়ার আধ্যাত্মিক সাধক রামকৃষ্ণ গোস্বামীর শিষ্য। সে সময় এলাকাটি ঝোপ জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল, কোন হিজল গাছ ছিল না। এলাকাটির চতুর্দিকে ছিল নদী বেষ্টিত। ফলে আখড়ার এলাকটিকে মনে হতো দ্বীপের মত। এ নদীপথে কোন নৌচলাচল করতে পারতো না। রহস্যজনক কারণে এ নদীপথে চলাচলকারী নৌকা ডুবে যেতো বা অন্যকোন দুর্ঘটনায় পতিত হতো, একদিন এ নদীপথে দিল্লির সম্রাট প্রেরিত একটি কোষা নৌকা মালামালসহ ডুবে যায়।

আরোহীরা অনেক চেষ্টার পরও কোষাটি উঠাতে গিয়ে ব্যর্থ হন এবং তাদের একজন সর্পদংশনে মারা যান। বিতলঙ্গের সাধক রামকৃষ্ণ এ খবর পেয়ে শিষ্য নারায়ন গোস্বামীকে এখানে আসার নির্দেশ দেন। গুরুদেবের নির্দেশ মোতাবেক সাধক নারায়ন গোস্বামী এখানে এসে নদীর তীরে বসে তপস্যায়রত হলেন। হঠাৎ অলৌকিক ক্ষমতা বলে কে যেন তাকে হাত পা বেধে নদীতে ফেলে দেয়। ঐশী মতাবলে তিনি তীরে উঠে আসেন। এভাবে প্রায় ৭ দিন একই ঘটনা ঘটান। একদিন দৈব বাণীর মত কে যেন বলল, আপনি এখানে থাকতে পারবেন না, এখান থেকে চলে যান। উত্তরে সাধক বললেন, তোমরা কারা ? উত্তর আসলো আমরা এখানকার বাসিন্দা। পূর্ব পুরুষ ধরে এখানে আছি। আপনার কারণে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। সাধক বললেন, তোমরা স্পষ্ট হও, অর্থাৎ রূপ ধারণ করো। সঙ্গে সঙ্গে তারা একেকটা বিকট দানব মূর্তি ধারণ করলো।

নারায়ন গোস্বামী দেখলেন তার চারপাশে হাজার হাজার বিশালাকার দানব মূর্তি। যা দেখলে সাধারণত গা শিউরে উঠবে। এখন তাদের সঙ্গে
সাধক নারায়ন গোস্বামীর অনেক কথাবার্তা হয়। সিদ্ধান্ত হয় তিনিও থাকবেন, তারাও থাকবে। তবে তারা কারো কোন তি করতে পারবেনা এবং নারায়ন গোস্বামীর নির্দেশ পালন করবে। সাধক নারায়ন গোস্বামী তাদেরকে আদেশ করলেন, তোমরা আমার চর্তুদিকে সকলেই হিজল গাছের রূপ ধারণ কর। তখন দানবদের প্রধান সাধুকে অনুরোধ জানিয়ে বললো, সে যে হিজল গাছের মূর্তি ধারণ করবে, সেই গাছের নিচে বসে তপস্যা করতে। সাধু সে অনুরোধ মেনে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেকটি দানব একেকটি হিজল গাছের মূর্তি ধারণ করলো।
সেই থেকে নারায়ন গোস্বামী প্রধান দানবের হিজলরূপী বৃরে নিচে বসে সাধন ভজন করতেন। ফলে এর নাম দেওয়া হয় ‘সাধনবৃ’ আখড়ার অদূরে এখনো রয়েছে সেই বৃটি। এর চারপাশে বর্তমানে পাকা বেষ্টনী করে রাখা হয়েছে। প্রতি অমাবশ্যা-পূর্ণিমার রাতে এখানে ভোগ দেওয়া হয়। আখড়ার ৩৭২ একর জমিতে এখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অদ্ভুত আকৃতির কয়েক হাজার হিজল গাছ। যা দূর দূরান্তের আগন্তুককে হাতছানি দিয়ে কাছে ডাকে। এদিকে সাধক নারায়ন গোস্বামীর ঐশী মতা বলে সেই ডুবে যাওয়া কোষাটি মালামালসহ উঠিয়ে দেয় এবং সর্প দংশনে মৃত ব্যক্তিটিকেও বাঁচিয়ে তুলেন। পরে দিল্লির সম্রাট জাহাঙ্গীরের কাছে এ খবর পৌছানোর পর তিনি এখানে এসে সাধক নারায়ন গোস্বামীর নামে বিশাল এলাকা লাখেরাজ দিয়ে একটি আখড়া প্রতিষ্ঠা করে দেন। সে থেকে আখড়াটিকে ‘দিল্লির আখড়া’ নামে পরিচিতি হয়ে আসছে।
সম্রাট জাহাঙ্গীর ১২১২ সালে আখড়ার নামে একটি তামার পাত্রে উক্ত জমি লিখে দেন। কিন্তু ১৩৭০ সালে ডাকাতরা এই পাত্রটি নিয়ে যায় বলে আখড়ার সেবায়তরা জানান। দিল্লির আখড়ায় প্রতি বছর ৮ চৈত্র মেলা বসে আর এ মেলাকে কেন্দ্র করে এখানকার মানুষ মেতে উঠেন উৎসবে।

বাংলা সাহিত্যের প্রথম নারী কবি চন্দ্রাবতীর বাড়িতে একদিনবাংলা সাহিত্যের প্রথম নারী কবি চন্দ্রাবতী। কিশোরগঞ্জ জেলার এক অজপ...
23/06/2025

বাংলা সাহিত্যের প্রথম নারী কবি চন্দ্রাবতীর বাড়িতে একদিন
বাংলা সাহিত্যের প্রথম নারী কবি চন্দ্রাবতী। কিশোরগঞ্জ জেলার এক অজপাড়াগাঁয়ে আজও কালের সাক্ষী হয়ে টিকে আছে তাঁর বাড়ির ধ্বংসাবশেষ ও শিবমন্দির।

কিশোরগঞ্জ শহীদি মসজিদের সামনে থেকে অটোরিকশা যায়, তার নাম নীলগঞ্জ। নীলগঞ্জের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে নরসুন্দা নদী। গন্তব্য চন্দ্রাবতীর বাড়ি। চন্দ্রাবতী বাংলা সাহিত্যের আদিকবিদের একজন। আরও জোরালো শব্দে লিখতে গেলে ব্যাপারটি দাঁড়ায়, চন্দ্রাবতী ছিলেন মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের প্রথম নারী কবি। জন্মেছিলেন আনুমানিক ১৫৫০ খ্রিষ্টাব্দে। তিনি সীতার চোখে রামায়ণের কাহিনি দেখেছিলেন। এ যুক্তিতে নারীবাদের জননী বোধ হয় তাঁকে বলাই যায়। প্রভু রামকে নয়, দেবী সীতাকে প্রধান চরিত্র বানিয়ে নারীপ্রধান ন্যারেটিভে রামায়ণ লিখেছিলেন! তবে লেখা শেষ করতে পারেননি। থেকে যায় অসমাপ্ত। এ ছাড়া তিনি লিখেছেন ‘মলুয়া’ ও ‘দস্যু কেনারামের পালা’। চন্দ্রাবতীর মায়ের নাম সুলোচনা। আর এ কাজে তাঁকে আগ্রহ জুগিয়েছিলেন বাবা বংশীদাস ভট্টাচার্য্য। দ্বিজ বংশীদাস ভট্টাচার্য্য নিজেও বড় মাপের কবি ছিলেন। লিখেছিলেন ‘মনসামঙ্গল’।

চন্দ্রাবতীর বাড়ির ধংসাবশেষ
আগে বেশ কয়েকবার কিশোরগঞ্জে ঢুঁ মারা হলেও চন্দ্রাবতীর বাড়ির দোর অবধি পৌঁছাতে পারিনি। তাই এবার শুধু চন্দ্রাবতীর বাড়ি দেখতেই বেরিয়ে পড়লাম। সঙ্গে আছে এক বন্ধু। সে স্থানীয়। তাই তার কাঁধে গুরুদায়িত্ব পড়েছে আমাকে চন্দ্রাবতীর বাড়ি ঘুরিয়ে দেখানোর। একটু আবদার করতেই সে রাজি হয়ে যায়। যদিও তার সাহিত্য বা পুরোনো বাড়িঘর কোনোটাতেই বিশেষ আগ্রহ নেই!

কিশোরগঞ্জ সদর থেকে অটোরিকশায় নীলগঞ্জ। নীলগঞ্জে একবার অটোরিকশা বদল করে এরপর পৌঁছে যাই চন্দ্রাবতীর বাড়িতে। রাস্তায় বেশ কিছু তথ্য পেলাম। গোটা রাস্তার পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে নরসুন্দা নদী। নরসুন্দার আগের জৌলুশ আজ আর নেই। একে ‘মরা নদী’ বলেই এখন লোকে ভালো চেনে। শুনলাম, ভালোবাসার মানুষকে না পেয়ে এই নদীতেই নাকি ডুবে আত্মহত্যা করেছিলেন চন্দ্রাবতী।

শিবমন্দিরের সামনে লেখক
মাইজখাপন ইউনিয়নের কাচারিপাড়ায় চন্দ্রাবতীর বাড়ি ও শিবমন্দির। অটোরিকশা থেকে নেমে প্রথমেই চোখে পড়ে দুটি শিবমন্দির। প্রথমটি খানিকটা নিচু। কিছুটা দূরেই মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে আরেকটি শিবমন্দির। এটি বেশ উঁচু। লোকমুখে প্রচলিত আছে, চন্দ্রাবতীর সঙ্গে শৈশব থেকেই প্রেম ছিল জয়ানন্দ বা জয়চন্দ্র চক্রবর্তীর। শৈশবকাল পেরিয়ে যৌবনে উত্তীর্ণ হলে বিয়ে ঠিক হয় তাঁদের। কিন্তু সে প্রেম পরিণতি পায়নি। জয়ানন্দ প্রেমে পড়ে যান এক মুসলমান মেয়ের। সেই যুবতীর নাম আসমানী।

জয়ানন্দের প্রেম এতই গভীর ছিল যে তিনি আসমানীকে বিয়ে করতে ধর্মান্তরিত হওয়ারও সিদ্ধান্ত নেন। ধর্মান্তরিত হয়ে তাঁর নাম হয় জয়নাল। জয়নাল ও আসমানীর বিয়ের দিন ধার্য হয় সেই দিন, যেদিন জয়ানন্দ আর চন্দ্রাবতীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। প্রিয়তমের ধর্মান্তরিত হওয়া ও বিয়ের খবরে শোকবিহ্বল চন্দ্রাবতী সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি শিবসাধিকা হবেন। বিয়ে করবেন না আর কোনো দিন। বাবাকে তিনি তাঁর সিদ্ধান্তের কথা জানান। একমাত্র কন্যার ইচ্ছেপূরণে দ্বিজ বংশীদাস নির্মাণ করে দেন শিবমন্দিরটি। এটি আনুমানিক ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত। মন্দিরটির গায়ের পোড়ামাটির নকশা একে করে তুলেছে আরও আকর্ষণীয়।

ছোট শিবমন্দির
মন্দির বলতে এখানে বড় আকৃতির মন্দিরটির কথাই বলছি। ভেতরে ঢোকার জন্য আছে ছোট একটি কাঠের দরজা; এটা এখন তালাবদ্ধ। চন্দ্রাবতী নাকি এই মন্দিরেই নিজেকে তালাবদ্ধ করে সাধনায় নিমজ্জিত হয়েছিলেন। এরপর জয়ানন্দ একদিন তাঁর ভুল বুঝতে পেরে চন্দ্রাবতীর কাছে ফিরে এলেও শিবসাধনায় নিমগ্ন চন্দ্রাবতীর সাড়া না পেয়ে পাশেই বয়ে চলা ফুলেশ্বরী নদীতে ডুবে প্রাণ দেন। প্রিয়তমের মৃতদেহ নদীর জলে ভাসতে দেখে চন্দ্রাবতীও এ নদীর জলে ডুবেই আত্মহত্যা করেন বলে দাবি করেন অনেকে। তবে ফুলেশ্বরী এখন মৃত নদী। তার খোঁজ কেউ দিতে পারে না। হয়তো নরসুন্দার সঙ্গেই মিলে এক হয়ে গেছে সে।

শিবমন্দির থেকে খানিক দূরেই চন্দ্রাবতীর বাড়ি। বাড়িটি এখন ধ্বংসপ্রায়। দোতলা বাড়ির নড়বড়ে দরজা খুলে পড়ছে। বাড়িটির সামনে টিনের ঘর তুলে বসবাস করছে দুটি পরিবার। চন্দ্রাবতী সম্পর্কে জানতে চাইলে মধ্যবয়সী এক নারী খানিক বিরক্ত হয়েই জানান, এ ব্যাপারে কিছু জানেন না তিনি। শিবমন্দিরকে দাবি করেন ‘মঠ’ হিসেবে। শিবমন্দিরের সামনে বাংলাদেশ পুরাকীর্তি বিভাগের সাইনবোর্ড ঝোলানো থাকলেও কালের নীরব সাক্ষী এই পুরাকীর্তি যে ঠিকঠাক সংরক্ষিত হচ্ছে না, তা বেশ বোঝা গেল।

শিবমন্দিরের ঠিক সামনে দাঁড়িয়ে আছে লালরঙা দালানের চন্দ্রাবতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৭৬ সাল। বিদ্যালয়ের সামনের একচিলতে আঙিনায় কচি–কাঁচারা গোলাপি ইউনিফর্ম পরে জাতীয় সংগীত গাইছিল। কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে থেকে আমি রওনা দিই বাড়ির উদ্দেশে।

কিভাবে আসবেন
চন্দ্রাবতীর বাড়ির পথে ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে এগারোসিন্দুর প্রভাতী, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসে, এগারোসিন্দুর গুধুলী, ট্রেনে আসতে পারবেন। স্টেশনে নেমে চল্লিশ টাকা রিকশা ভাড়ায় কিশোরগঞ্জ সদরে যাবেন। এরপর সেখান থেকেই দুবার অটো বদলে শেষমেশ যাওয়া হয় চন্দ্রাবতীর বাড়িতে। এতকাল আগের অজপাড়াগাঁয়ের এক রমণী হয়েও চন্দ্রাবতী কবি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন ভেবে বেশ গর্ব হলো। ফেরার পথে শিবমন্দিরের পোড়ামাটির নকশার দিকে তাকিয়ে ভাবলাম, ‘চন্দ্রাবতীর মায়া পৃথিবী যায়নি আজও ভুলে…’

কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে পরিবহন ব্যবস্থা চালু কলেজ কর্তৃপক্ষ। পাকুন্দিয়া, কটিয়...
22/06/2025

কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে পরিবহন ব্যবস্থা চালু কলেজ কর্তৃপক্ষ। পাকুন্দিয়া, কটিয়াদী, নান্দাইল, তাড়াইল, নিকলী এলাকায় বাস সার্ভিস চালু করেছে।

কিশোরগঞ্জ জেলা kishoreganj District

নরসুন্দার ভরপুর পানিতে নৌকা  চলাচল,লোকেশন:- গুজাদিয়া বাজার, করিমগঞ্জকিশোরগঞ্জ।
21/06/2025

নরসুন্দার ভরপুর পানিতে নৌকা চলাচল,

লোকেশন:- গুজাদিয়া বাজার, করিমগঞ্জ
কিশোরগঞ্জ।

Address

Fulbaria

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Kishoreganj District কিশোরগঞ্জ জেলা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Kishoreganj District কিশোরগঞ্জ জেলা:

Share

Category