হাট-বাজার

হাট-বাজার Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from হাট-বাজার, Digital creator, Fulbaria.

"হাট-বাজার" মানুষের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে কথা বলে এবং সাফল্যের কথা বলে। আপনি যদি একজন সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন এবং অর্থনীতির বিকাশ ঘটাতে চান কিংবা আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর সূচনা করতে চান তবে আমাদের সাথে থাকতে পারেন।

প্রত্যন্ত গ্রামের একজন অক্ষরজ্ঞানহীন দরিদ্র কৃষক কি কখনো কৃষি বিজ্ঞানী হতে পারেন? হতে পারেন উদ্ভাবক? যার ঘর ভাঙাচোরা, বর...
11/07/2025

প্রত্যন্ত গ্রামের একজন অক্ষরজ্ঞানহীন দরিদ্র কৃষক কি কখনো কৃষি বিজ্ঞানী হতে পারেন? হতে পারেন উদ্ভাবক? যার ঘর ভাঙাচোরা, বর্ষায় যার ঘরের চাল চুয়ে জল পড়ে। খরা কিংবা বন্যায় ধানের আবাদ নষ্ট হলে সারাবছর চলতে হতো ভীষণ অভাবে।
ভোরের আলো ফোটার আগেই যাকে তীব্র শীতে কিংবা অঝোর বৃষ্টিতে হাজির হতে হয় নিজের কর্মক্ষেত্র ফসলের মাঠে, যাকে জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে মাথাল মাথায় ছুটতে হয় ক্ষণিক বিশ্রামের আশায় কোনো এক বৃক্ষের তলে। যার কপালে নেই কোনো গবেষকের ডক্টরেট ডিগ্রি, যার আধুনিক গবেষণা সরঞ্জামাদি ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ল্যাবরেটরি নেই, যার ল্যাবরেটরি ফসলের মাঠ।
অথচ সেই কৃষকই যে একটি জনপদের ধান উৎপাদনের চিত্র পাল্টে দিতে পারেন। অবিশ্বাস্য মনে হলেও বাস্তবে তাই ঘটেছে।
একদিন সকালে নিজের ইরি ধান খেতে একটি ব্যতিক্রমধর্মী ধান গাছের শীষ দেখতে পেলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার অক্ষরজ্ঞানহীন দরিদ্র কৃষক হরিপদ কাপালী। সেই ধানগাছের ছড়াতে ধানের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল এবং ধান গাছটিও ধানে ভারী পুষ্ট। অথচ আর কোনো ধান নেই সেটি ছাড়া। তো এই ভিন্ন ধরনের ধান গাছ দেখে হরিপদ কাপালী সে ধানটিকে আলাদা করে রাখলেন। এরপর বীজ সংগ্রহ করলেন যখন ধানগাছ পরিপক্ব হলো। সেই একটি ছড়ারই বীজ নিলেন তিনি।
এর পরের বছর ওই গোছার বীজ নিয়ে নিজের আঙ্গিনায় মোটামুটি পরিসরে বীজের জন্য আবাদ করলেন তিনি। এবারও বেশ ধান হলো। তিন বছর ধরে অনেকটা ধান নিজে চাষ করলেন। তার পরের বছর ৯০ ভাগই উপহার দিলেন নিজের চারপাশের কৃষকদের। বললেন, এই ধানের ফলন অন্য ধানের তুলনায় বেশি। অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য লাগলো। কারণ তারা তখনকার সময়ের সবচেয়ে উচ্চ ফলনশীল বিআর-১১ ও স্বর্ণা ধান চাষ করেন। এর ফলন সেগুলোর থেকেও বেশি হবে, কারও বিশ্বাস হচ্ছে না। এই ধান এলো কোথা থেকে!
প্রায় সবাই নিজেদের খেতে বিআর-১১ ও স্বর্ণার পাশাপাশি হরিপদের দেওয়া নতুন ধানও লাগালেন। মৌসুম শেষে কাটতে গিয়ে কৃষকের চোখে-মুখে আশ্চর্যের ছোঁয়া। দেখা গেল, বিআর-১১ কিংবা স্বর্ণার চেয়ে উচ্চফলনশীল ধান এটি। তখন বিঘাপ্রতি বিআর-১১ ধানের সর্বোচ্চ ফলন ছিল ১৮ মণ আর হরিধানের ফলন হলো বিঘাপ্রতি ২২ মণের মতো। বিআর-১১ জাতের ধান ২০০৪ সালে ফলন হতো ৯-১০ মণের মতো, অথচ হরিধান হয় ১৮-২০ মণের মতো।
সে বছর ঝিনাইদহ জেলার বহু জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল হরিধানের কথা। অনেকেই হরিপদ কাপালীর কাছ থেকে বীজ নিয়ে চাষ করলেন নিজের জমিতে। মজার বিষয় হলো, এই ধানের উৎপাদন খরচ অন্য ধানের তুলনায় অনেক কম। যেখানে অন্য যেকোনো জাতের ধান তখন চাষ করতে খরচ হতো পনেরশ টাকা, সেখানে হরিধান চাষ করতে খরচ পড়তো ৮০০ টাকারও কম। আবার খেতে ধান উৎপাদনে সার এবং ওষুধও লাগতো তিন ভাগের এক ভাগ। স্বর্ণা ও বিআর-১১ জাতের ধানে দুই থেকে তিনবার ইউরিয়া সার দিতে হয়। হরিধানের ক্ষেত্রে একবার সার দিলেই চলে। অন্যদিকে, এই ধানগাছ বেশ মোটা হয়। ধানের কাণ্ড শক্ত ও মোটা হওয়ায় পোকা আক্রমণ করতে পারে না সহজে। হরিধান তুলনামূলক অন্য ধানের চেয়ে লম্বা হওয়ায় এই ধানের খড়ের চাহিদাও বেশী। সেসময় হাজার আঁটি খড় বিক্রি হতো পাঁচশো টাকা দরে। যেখানে অন্য খড় ছিল ৩২০ টাকা।
১৯৯৪ সালের দিকে ঝিনাইদহসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে নাম পরিচয়বিহীন এই জাতের ধানের আবাদ ছড়িয়ে পড়ল ব্যাপকভাবে। অথচ তখনো কোনো মিডিয়া কাভারেজ পায়নি, টেলিভিশনের বালাই ছিল না। দরিদ্র সব কৃষক, যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় দশা।
ফলনের কারণে এই ধানের বীজ নিয়ে চাষিদের মধ্যে কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে গেল। এমন অনেকেই বীজ না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে গেলেন। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, দরিদ্র কৃষক হরিপদ কাপালীর একবারের জন্যও কখনো মনেই হয়নি, এই ধানের বীজ দিয়ে ব্যবসা করা যায়। তিনি পরম মমতায় কৃষকদের হাতে তুলে দিলেন নতুন এই ধানের বীজ। সঙ্গে তার কাতর অনুরোধ, ভালো লাগলে অন্যকেও দেবেন।
তার অবস্থান হয়তো দরিদ্র, কিন্তু মন ছিল আকাশের মতো।
ঝিনাইদহ ছাড়িয়ে গোটা দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ল এই ধান। হরিপদ কাপালীর নামেই স্থানীয়রা এই ধানের নাম দিয়েছিলেন হরিধান।
১৯৯৫ সালে প্রথম পত্রিকার নজরে এলো এই ধানের তথ্য। সে বছর যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার ঝিনাইদহ প্রতিবেদক আসিফ কাজল হরিধান ও হরিপদ কাপালীর ওপর একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। ততদিনে দক্ষিণাঞ্চলে ভেতরে ভেতরে এক বৈপ্লবিক জোয়ার ঘটে গেল ফলনের।
তখন এটি স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নজরে আসে। অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা হরিপদের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করার জন্য গাজীপুর ব্রি (BRRI) এবং চুয়াডাঙ্গা বীজ গবেষণা কেন্দ্রে পাঠালেন। কিছু প্রদর্শনীতে চাষাবাদও শুরু করেন। একইসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা গবেষণা কেন্দ্রের নিজস্ব জমিতে চাষাবাদ শুরু হয় এই ধানের। যদিও, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট তখন বলল, ‘হরিধান আসলেই বিআর-১১ বা স্বর্ণা ধানের জাতের সামান্য হেরফের। এটা কোনোক্রমেই নতুন জাত না।’ হতাশ হয়ে পড়লেন অনেকে।
এমন সময় ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের নজরে এলো হরিধানের বিষয়টি। তিনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে পদক্ষেপ নিলেন। তার অনুরোধে গবেষণায় রাজি হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেবা ইসলাম সেরাজ। ১০ কেজি স্বর্ণা আর ১০ কেজি হরিধান জোগাড় করে আনা হলো। রাউজান-১ আর রাউজান-২ কোড নাম দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে পাঠানো হলো। সেখানে রোকাইয়া বেগম ও তার গবেষণা দলের গবেষকরা গবেষণা করে জানালেন, ‘হরিধান আসলেই একটি নতুন জাতের ধান। মোটেই বিআর-১১ নয়।’ হইচই পড়ে গেল বহু জায়গায়। সেই গবেষণা প্রতিবেদন ছাপা হলো বিশ্বখ্যাত এক আন্তর্জাতিক জার্নালে।
একজন কৃষক কতটা স্বপ্নবান আর নির্লোভ হলে হয়ে উঠেন এক কিংবদন্তির রূপে? হরিপদ কাপালী আমাদের বার বার মনে করিয়ে দেন এই বিশ্বের সবচেয়ে বড় গবেষকের নাম কৃষক। এই বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিল্পীর নাম কৃষক।
হরিপদ কাপালী জন্মেছিলেন ১৯২২ সালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আসাননগর গ্রামে। বাবা কুঞ্জলাল কাপালীও ছিলেন কৃষক। প্রচণ্ড অভাব আর পারিবারিক আর্থিক অনটনের কারণে প্রথম শ্রেণীর বেশি পড়তে পারেননি হরিপদ কাপালী। মাত্র নয় বছর বয়সেই বাবাকে মাঠে সাহায্য করতেন তিনি। ১৩ বছর বয়সে বাবাকে হারানোর পর পারিবারিক ভরণপোষণের দায়িত্ব তার কাঁধে চাপে। নিজেদের মাত্র দুই বিঘা জমিতে চাষবাস শুরু করেন তিনি। ১৭ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন একই গ্রামের সুনীতি রাণীকে। নিঃসন্তান ছিলেন হরিপদ কাপালী, যদিও পরিবর্তিতে রূপকুমার নামের এক ছেলেকে দত্তক নিয়ে লালনপালন করেছিলেন। তবে, তার সন্তান ছিল ফসলের মাঠ ও মাটি।
আজ বাংলাদেশ যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান হরিপদ কাপালীর মতো অসামান্য কৃষকদের। তারা দিনের পর দিন এ দেশের খাদ্যের জোগান দিয়ে গেছেন, তাদের প্রচেষ্টায় একসময়ের দুর্ভিক্ষ আর মঙ্গাপীড়িত অঞ্চল আজ হয়ে গেছে ফসলের ভূস্বর্গ।
আজ এই মহান কিংবদন্তি হরিপদ কাপালীর চলে যাওয়ার আট বছর হলো। ২০১৭ সালের ৬ জুলাই আমরা হারিয়েছিলাম এই কিংবদন্তি কৃষক ও উদ্ভাবককে। হরিপদ কাপালীর প্রয়াণ দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধায় নতচিত্তে স্মরণ করি তাঁকে। 🙏💞

কার্টেসি: আহমাদ ইশতিয়াক/ বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র

#হরিপদকপালী #হরিধান #বাংলাদেশের_দুষ্প্রাপ্য_ছবি_সমগ্র #ইতিহাসেরখোঁজেগিরিধর

বিড়াল জন্মগতভাবে শিকারী প্রাণী। তাদের দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি এবং চুপিসারে হাঁটার ক্ষমতা এদের দক্ষ শিকারী করে তোলে। ইঁদু...
18/06/2025

বিড়াল জন্মগতভাবে শিকারী প্রাণী। তাদের দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি এবং চুপিসারে হাঁটার ক্ষমতা এদের দক্ষ শিকারী করে তোলে। ইঁদুর ছোট, দৌড়ায়, এবং ঘন ঘন নড়ে — যা বিড়ালের নজরে পড়ে এবং শিকারের ইচ্ছা জাগায়।

কখনো কখনো বিড়াল ইঁদুর ধরে মারে না, শুধু খেলে। এটাও তাদের শিকারের অনুশীলনের মতো। ছোট বয়সে মা বিড়াল ছানাদের ইঁদুর ধরতে শেখায়, এটা তাদের বেঁচে থাকার শিক্ষা।

কেউ কেউ বিড়ালের এই গুণকে পছন্দ করেন, কারণ এটি বাড়ির ইঁদুর থেকে রক্ষা করে।

আবার কেউ কেউ একে অপছন্দ করেন, কারণ মৃত বা অর্ধমৃত ইঁদুর নিয়ে ঘরে আসা অনাকাঙ্ক্ষিত।

15/06/2025

🌧️ পহেলা আষাঢ় – বর্ষার প্রথম ভালবাসা 🌿

আকাশ আজ একটু বেশি আবেগী...
মেঘেরা দল বেঁধে এসেছে নতুন গল্প শোনাতে,
প্রথম ফোঁটা বৃষ্টির গন্ধে ভিজে গেছে মন,
এ যেন হৃদয়ে লেখা প্রেমপত্রের প্রথম ছত্র।

পহেলা আষাঢ় মানেই পুরনো দিনগুলোর কথা মনে পড়া,
ছাদে উঠে ভিজে যাওয়ার দুষ্টুমি,
চায়ের কাপ আর ভাঁপ ওঠা খিচুড়ির গন্ধ,
আর জানালার কাঁচে টুপটাপ বৃষ্টির কবিতা।

আজ থেকে শুরু হলো বর্ষার নতুন অধ্যায়,
ভিজে যাক মন, ধুয়ে যাক ক্লান্তি,
এসো, প্রকৃতির এই প্রেমে একসাথে ডুবে যাই।

শুভ পহেলা আষাঢ় 🌧️
#পহেলা_আষাঢ় #বর্ষারশুভেচ্ছা #বাংলারঋতু #বৃষ্টিরপ্রেম

“বাবা — যিনি নিজের স্বপ্নকে ত্যাগ করে আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেন, কাঁধে তুলে নেন জীবনের সমস্ত ভার, অথচ মুখে সবসময় একটা হাসি...
15/06/2025

“বাবা — যিনি নিজের স্বপ্নকে ত্যাগ করে আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেন, কাঁধে তুলে নেন জীবনের সমস্ত ভার, অথচ মুখে সবসময় একটা হাসি রাখেন। শুভ বিশ্ব বাবা দিবস, সেই নীরব ত্যাগীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে।”

নদীর ধারে একটা একমাত্র বটগাছ, তার ডালে যেন সময়ের হাতছানি। নীরব নদীর ধার ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা সেই বিশাল বটগাছটা ছায়া দিয়ে ঢ...
11/06/2025

নদীর ধারে একটা একমাত্র বটগাছ, তার ডালে যেন সময়ের হাতছানি। নীরব নদীর ধার ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা সেই বিশাল বটগাছটা ছায়া দিয়ে ঢেকে রেখেছে ছোট্ট একটা চায়ের দোকান—টিনের চালা, বাঁশের বেঞ্চ, আর সেই পুরনো দিনের কাঠের কাউন্টার। সকাল হোক বা সন্ধ্যা, জায়গাটায় যেন এক অদ্ভুত মায়া লেগে থাকে।

সেই চায়ের দোকানের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কাঁচা রাস্তা ধরে একদিন বন্ধুদের নিয়ে বাইকে চেপে ছুটে চলব আমরা। বাতাসে তখন থাকবে বাইকের শব্দ আর আমাদের উচ্ছ্বাসে ভরা হাসি। চারপাশে ধানক্ষেতের সবুজ আর নদের পাড়ের নির্জনতা মিলে এক অপার্থিব পরিবেশ তৈরি করবে।

বটগাছের নিচে এসে থামবে বাইকগুলো। কেউ নেমে দাঁড়াবে গাছের গোড়ায়, কেউ বা দোকানের বেঞ্চে বসে পড়বে। গরম ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপ হাতে নিয়ে চলবে গল্প, হাসি আর পুরোনো স্মৃতির ঝলক। কারো হাতে থাকবে তাস, কেউ হয়তো মাটিতে পা ছড়িয়ে বসে দেখবে নদীর দিকে তাকিয়ে। সময় যেন এখানে থেমে যায়।

এই নদীর ধারের বটগাছ আর চায়ের দোকানটা হয়ে উঠবে আমাদের বন্ধুত্বের নিরব সাক্ষী। এখানে আমরা ফিরে ফিরে আসব, ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে একটু প্রশান্তির খোঁজে, এক কাপ চায়ের উষ্ণতায় আবারও জেগে উঠবে বন্ধুত্বের সেই পুরনো গান।

লিওনার্দো দা ভিঞ্চি একবার লিখেছিলেন, "হাতি ন্যায়বিচার, বিচক্ষণতা এবং ভারসাম্যের প্রতিনিধিত্ব করে।"যখন একটি হাতিকে এক মহ...
11/06/2025

লিওনার্দো দা ভিঞ্চি একবার লিখেছিলেন, "হাতি ন্যায়বিচার, বিচক্ষণতা এবং ভারসাম্যের প্রতিনিধিত্ব করে।"

যখন একটি হাতিকে এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে বিমানে ভ্রমণ করতে হয়—উদাহরণস্বরূপ, ভারত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তখন তার খাঁচা শিকল বা শক্তিশালী দণ্ড দিয়ে বাঁধা থাকে না। হাতির চারিপাশে ছোট ছোট ছানা দিয়ে ভরা থাকে🐣

এটি শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও বাস্তবে এটাই সত্যি। প্রকৃতির এই দৈত্য ছোট প্রাণীটির ক্ষতি করতে ভয় পায়। এবং এটি কোনও ছোটখাটো ভয় নয়। এটি তার মতোই বড়। পুরো ভ্রমণ জুড়ে, সে স্থির থাকে, যাতে তার চারপাশে থাকা ক্ষুদ্র প্রাণীদের মধ্যে একটিকেও আঘাত না করে। এভাবে, অজান্তেই হাতি বিমানের স্থিতিশীলতা বজায় রাখে এবং আমাদের তার মহৎ চরিত্রের প্রথম স্বাদ দেয়🐘✨
এই মনোভাব দেখে আগ্রহী হয়ে, বিজ্ঞানীরা আরও গভীরভাবে দেখার সিদ্ধান্ত নেন। তারা তাদের মস্তিষ্ক বিশ্লেষণ করে কিছু আশ্চর্যজনক জিনিস আবিষ্কার করেছেন। ফিউসিফর্ম নিউরন নামে একপ্রকার কোষ যা খুব কম প্রাণীরই থাকে। হাতির মধ্যে এই কোষ রয়েছে যার কারণে তারা সহানুভূতি, আত্ম-সচেতনতা এবং সামাজিক বোধগম্যতার সাথে সম্পর্কিত।

অথচ এই একই কোষ মানুষের মধ্যেও রয়েছে। কিন্তু আজকাল মানুষ জানেই না সহানুভূতি, আত্ম-সচেতনতা এবং সামাজিক বোধগম্যতা কি জিনিস🥹💔

ডেলিভারিতে কেন পুরুষ ডাঃ????!আপনার আমার মা বোন স্ত্রী কন্যাদের দিকে কেউ তাকালে তার চোখ উপড়ে ফেলার অবস্থা হয়। কিন্তু এক...
04/06/2025

ডেলিভারিতে কেন পুরুষ ডাঃ????!
আপনার আমার মা বোন স্ত্রী কন্যাদের দিকে কেউ তাকালে তার চোখ উপড়ে ফেলার অবস্থা হয়। কিন্তু একজন পুরুষ ডাক্তার ই সি জি করার সময় নারীর বুকে হাত দিচ্ছে, আল্তাতে হাত দিচ্ছে,তলপেটে হাত দিচ্ছে, এমন কি ডেলিভারি করার সময় লজ্জা স্থানে হাত দিচ্ছে। কিন্তু কেন এর কি কোন প্রতিকার নেই? হাসপাতালের দিকে তাকালে দেখা যায় মহিলা রোগী সবচেয়ে বেশি।চিকিৎসার খাতিরে আমাদের মা বোন নিজের চিকিৎসার জন্য নিজের ইজ্জত আবরু খুলে দেখাতে হচ্ছে একজন পুরুষ ডাক্তারকে, তাই মা বোনদের ইজ্জত রক্ষা করতে মহিলা রোগীদের সকল চেকআপ মহিলা ডাক্তার দিয়েই করাতে হবে বাধ্যতামূলক সকল হাসপাতালে। বাংলাদেশের সর্বসাধারণ জনগণের এই ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা অতিব জরুরি।

02/06/2025

#ভাইরালভিডিওシ,

নীরব ঘাতক লিচু: মধু মাসের অন্যতম আকর্ষণ লিচু। আপনি জানলে অবাক হবেন লিচু শিশুদের জন্য একটি নীরব ঘাতক। লিচুতে থাকে Methyle...
23/05/2025

নীরব ঘাতক লিচু:

মধু মাসের অন্যতম আকর্ষণ লিচু। আপনি জানলে অবাক হবেন লিচু শিশুদের জন্য একটি নীরব ঘাতক। লিচুতে থাকে Methylene Cyclopropyl-glycine নামক এক ধরনের টক্সিন। এই টক্সিন শিশুদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। প্রতিবছর ভারত, বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কয়েক শত শিশুর মৃত্যু ঘটে লিচু খাওয়ার কারণে। ২০১৯ সালে ভারতের উত্তরাঞ্চলে লিচু খেয়ে অন্তত ১০৩ জন শিশুর মৃত্যু হয়। ২০১২ ও ২০১৫ সালে বাংলাদেশে লিচু খেয়ে মোট ২৫ জন শিশুর মৃত্যু ঘটে। তাই শিশুদের লিচু খাওয়ানো থেকে সতর্ক হোন। দেড় বছরের নিচের শিশুদের লিচু খাওয়ানো থেকে পরিপূর্ণ ভাবে বিরত থাকুন এবং ১০ বছরের নিচের শিশুদের অল্প পরিমাণে লিচু খাওয়ান এবং অবশ্যই ভরা পেটে। লিচু খাওয়ানোর পর শিশু যদি বমি করে অবশ্যই দ্রুত নিকটস্থ ডাক্তারকে দেখান।

14/05/2025
খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ (রহঃ) ছিলেন উনিশ ও বিশ শতকের একজন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক, আধ্যাত্মিক সাধক ও মানবসেবক।...
12/05/2025

খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ (রহঃ) ছিলেন উনিশ ও বিশ শতকের একজন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক, আধ্যাত্মিক সাধক ও মানবসেবক। তিনি ১৮৭৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৬৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি সেখানেই ইন্তেকাল করেন।

📚 শিক্ষা ও পেশাগত জীবন
আহসানউল্লাহ কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে দর্শনে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রথম মুসলিম প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলিম হিসেবে ব্রিটিশ সরকারের শিক্ষা বিভাগে যোগদান করেন এবং সহকারী পরিচালক পদ পর্যন্ত উন্নীত হন।
তিনি মুসলিম শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় প্রবেশের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পরীক্ষার খাতায় নামের পরিবর্তে রোল নম্বর ব্যবহারের প্রথা চালু করেন, যা পরীক্ষায় পক্ষপাতিত্ব কমাতে সহায়ক হয়।

🕌 আধ্যাত্মিকতা ও মানবসেবা
আহসানউল্লাহ একজন উচ্চ স্তরের আউলিয়া ও সুফি সাধক ছিলেন। তিনি ১৯৩৫ সালে নলতা শরীফে 'নলতা সেন্ট্রাল আহছানিয়া মিশন' প্রতিষ্ঠা করেন, যার মূলমন্ত্র ছিল “স্রষ্টার ইবাদত ও সৃষ্টির সেবা”।
এই মিশনের মাধ্যমে তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। পরে ১৯৫৮ সালে ঢাকায় 'ঢাকা আহছানিয়া মিশন' প্রতিষ্ঠা করেন, যা আজও বাংলাদেশে বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।

🕋 নলতা শরীফ
নলতা শরীফ সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা গ্রামে অবস্থিত। এখানে খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ (রহঃ) এর মাজার ও নলতা সেন্ট্রাল আহছানিয়া মিশন অবস্থিত। এটি একটি পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত, যেখানে দেশ-বিদেশ থেকে ভক্তরা আসেন।

✍️ সাহিত্যকর্ম
আহসানউল্লাহ প্রায় ১০০টি গ্রন্থ রচনা করেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:
বাংলাভাষা ও মুসলমান সাহিত্য (১৯১৮)
ইসলাম ও আদর্শ মহাপুরুষ (১৯২৬)
হিজাজ ভ্রমণ (১৯২৯)
আমার জীবনধারা (১৯৪৬)
সুফি (১৯৪৭)

#খানবাহাদুর #নলতা #ইতিহাস

11/05/2025

লাউ আমাদের দেশে একটি অন্যতম সুস্বাদু সবজি। লাউ শীতকালীন ফসল হলেও বর্তমানে আধুনিক জাতের বীজ রোপন করে কৃষিকরা প্রায় সারা বছরই লাউ উৎপাদন করে অনেক লাভবান হচ্ছে। যশোর জেলার যশোর উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের কৃষক মোঃ শফিকুল আলম মাচা পদ্ধতিতে ১.৫ বিঘা জমিতে লাউ চাষ করে অধিক লাভবান হচ্ছেন। শফিকুল আলম চাচা বলেন ৩৩ শতক এক বিঘা জমিতে হাইব্রিড লাউ চাষ করতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। সকল খরচ করছে বাদ দিয়ে ২থেকে ৩ মাসে ৪০০০০ থেকে ৫০০০০ টাকা লাভ করা সম্ভব।

লাউ চাষ সঠিক পরিকল্পনা এবং পরিচর্যা করতে পারলে এটি একটি কম খরচে অধিক লাভজনক ব্যবসা। লাউ প্রায় সব ধরনের মাটিতে জন্মে। তবে প্রধানত দো-আঁশ থেকে এঁটেল দো-আঁশ মাটি লাউ চাষের জন্য উত্তম। পানি জমে না এমন উঁচু বা মাঝারি উঁচু জমি শিম চাষের জন্য বেছে নেয়া ভালো। লাউ চাষ জমি ছাড়াও রাস্তার ধারে, ঘরের চালে, বাড়ির আঙ্গিনায় ও করা যায়।
লাউ এর অনেক পুষ্টিগুনও আছে। লাউ গাছের সুধু কচি ফলই নয়, কচি ডগাও শাক হিসেবে খাওয়া হয়। লাউ এ ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস থাকায় দাত ও হাড়ের গঠন মজবুত রাখে। ক্যালোরির পরিমান কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এছাড়াও পেটের বহু পীড়া উপসম করে।

বিজনেস আইডিয়া আধুনিক পদ্ধতিতে লাউ চাষ। লাভজনক ব্যবসা লাউ চাষ করে ৩৩ শতক জমিতে বছরে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। বাংলাদেশের কৃষি দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে নুতন ভাবে আধুনিক চাষে। আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি কাজ করে সফল হচ্ছে অনেক কৃষক এবং তরুণ উদ্যোক্তা। নতুন ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে হাজির হচ্ছে এই সকল কৃষক ও তরুণ উদ্যোক্তারা। টাকা আয় এর পাশাপাশি অনেক লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে এই সফল উদ্যোক্তারা বা কৃষকেরা। আধুনিক কৃষি নিয়ে কাজ শুরু করছে অনেক কৃষক। কৃষি খামার বা কৃষি কাজ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে অনেক বেকার যুবক যবুতি।

নতুন প্রতিবেদন পেতে:
YouTube Channel: http://www.youtube.com/c/কৃষিকথা
page: https://www.facebook.com/HatBazarEcommerce

আমাদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম:
Email: [email protected]
Mobile: 01799909122 (বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০ টা)

উদ্যোক্তার সাথে যোগাযোগের ঠিকানা:-
উদ্যোক্তার নাম: মোঃ শফিকুল আলম।
গ্রাম: শাহবাজপুর, উপজেলা: যশোর, জেলা: যশোর

সতর্কতাঃ
শুধুমাত্র YouTube এ প্রতিবেদন দেখে লাউ চাষ ব্যবসা শুরু না করে কয়েকটি প্রকল্প ভিজিট করে অথবা কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে শুরু করা উচিত।

#লাউচাষ
#ব্যবসারআইডিয়া

#সবজিচাষ
#চাষপদ্ধতি
#লাভজনকব্যবসা
#আধুনিকপদ্ধতিতে
#ভাইরালভিডিওシ
#কৃষিকথা
#আধুনিককৃষি





Address

Fulbaria

Telephone

+8801781770990

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when হাট-বাজার posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to হাট-বাজার:

Share