09/06/2023
স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট
একটি ছোট গল্প। যমদূত এলো এক শহরে। এক লোক চিনে ফেলল। জানতে চাইলো, কেন এসেছ? যমদূত বলল, “পরশু দিন এই শহরের পঞ্চাশ জনের প্রাণ নেব। তাই দেখে গেলাম।” মহা টেনশনে পড়ে গেল লোকটি। পরবর্তী দুদিন পরিচিত সবাইকে খবরটি জানাল। অন্যরাও তাদের পরিচিতজনদের জানাল। পরের সপ্তাহে যমদূত আবার এলো। যথারীতি সেই লোকের সাথে দেখা। লোকটি রেগে গিয়ে বলল, “তুমি তো বলেছিলে পঞ্চাশ জন। মারা তো গেছে ৬০০ জন।” যমদূত বলল, “আমার লিস্টে পঞ্চাশ জনই ছিল। বাকিরা টেনশানে মারা গেছে।”
প্রতীকী গল্প। টেনশন, মানসিক চাপ কিংবা স্ট্রেস হচ্ছে দুনিয়ার নাম্বার ওয়ান নীরব ঘাতক। আপনি যতদিন বেঁচে আছেন ততদিনই কোন না কোন টেনশন কিংবা মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে আপনাকে যেতে হবে। সুতরাং এর হাত থেকে রক্ষা নেই জীবিতাবস্থায়। তবে কিছু কাজ করে আপনি মানসিক চাপকে অনেকাংশে কমিয়ে রাখতে পারেন। তার ভেতর অন্যতম হচ্ছে: প্রার্থনা করা এবং প্রতিমুহূর্তে কৃতজ্ঞ থাকা ও সরবে-নীরবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা; সৃষ্টিকর্তার প্রতি, আপনাকে ঘিরে রাখা মমতাময়ী মানুষগুলোর প্রতি। আর সবশেষে, নিজেকে অপরিহার্য না ভাবা। আপনি আগামিকাল না থাকলে দুনিয়ার, চারপাশের সমাজের কিচ্ছু যাবে আসবে না। কেউ মনেও রাখবে না। শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যরা কিছু দিন কান্নাকাটি করবে। 'পারছিনা! পারবো না! না পারলে কি হবে!' এইসব আশঙ্কায় নিজেকে স্ট্রেসের মধ্যে ফেলে পারফরম্যান্স লেভেল আরও খারাপ করে ফেলেন না। যতদিন বেঁচে আছেন প্রতি দমে কৃতজ্ঞতার সাথে বাঁচুন এবং নিজের সেরা কাজটি করে যাবার চেষ্টা করুন।
Collected from Zia Hasan Canada Bhai 💙