30/05/2025
২০ টাকার নোটে আসছে কান্তজিউ মন্দিরের ছবি।
কান্তজিউ শব্দটি এসেছে কান্ত + জিউ থেকে।
কান্ত মানে কৃষ্ণ, আর জিউ মানে বেচে থাকো, চিরজীবি হও।
কান্তজিউ মানে- কৃষ্ণ চিরজীবি হও।
২০ টাকা নোটে কান্তজিউ মন্দিরের ছবি দিলে,
ইচ্ছায় হোক, আর অনিচ্ছায় হোক, মুসলমানরা ‘কান্তজিউ’ শব্দ বার বার উচ্চারণ করবে।
মানে কৃষ্ণকে চিরজীবি হওয়ার জন্য প্রার্থনা করবে।
বিষয়টি ইসলাম ধর্ম অনুসারে কতটুকু শুদ্ধ হবে,
সেটা নিয়ে ভাববার দরকার আছে।
কান্ত মন্দিরটি ভারতীয় আগ্রাসনের একটি বড় প্রতীক।
আওয়ামীলীগের আমলে মন্দিরটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদশের পাসপোর্টে এই মন্দির ছবি জলছাপ হিসেবে দিলে,
মুসলমানরা ব্যাপক প্রতিবাদ করে।
আসলে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুরে এই মন্দিরটি হাইলাইট করা,
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র’ এর একটি বড় প্রজেক্ট।
তারা চায়, এই মন্দিরটি বাংলাদেশের জাতীয় স্থাপনা হিসেবে স্থান পাক,
যার অংশ হিসেবে মন্দিরের ছবি টাকা বা পাসপোর্টে দেয়া হচ্ছে।
আপনাদের মনে থাকার কথা, ২০২৪ সালের মার্চ মাসে এই মন্দিরের পাশে নিজস্ব যায়গায় মুসলমানরা ৭৫ বছরের পুরাতন একটি মসজিদ পাকা করতে গেলে হি ন্দুরা বাধা দেয়। সেই সময় কালবেলা পত্রিকার র’য়ের এজেন্ট সন্তোষ শর্মা ভুয়া সংবাদ ছাপায় প্রশাসনকে উত্তেজিত করে বলে- মসজিদের যায়গায় মন্দির হচ্ছে। (সূত্র:১) অথচ স্থানীয়রা জানায়- মন্দিরের যায়গা নয়, বরং কান্তনগর মসজিদটি ৭৫ বছরের পুরাতন। সেটি পাকা করতে গেলেই বাধা দেয় হিন্দুরা। মানে মন্দিরের আশেপাশেও তারা কোন মুসলিম স্থাপনা মেনে নিবে না (সূত্র:২)
সেই সময় সন্তোষ শর্মার ডাকে মন্দিরের পক্ষে এবং মসজিদের বিপক্ষে ঝাপিয়ে বাংলাদেশে র’ এর এজেন্ট শাহবাগীরা। (সূত্র:৩)। পরবর্তীতে প্রশাসন মসজিদ নির্মাণ বন্ধ করে দিলে ভারতীয় মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। তারা বিষয়টিকে ‘হি ন্দুদের বড় জয়’ হিসেবে মিডিয়ায় শিরোনাম করে (সূত্র:৪)
মূলত এই মন্দিরটিকে ভারতীয় হাইকমিশন থেকে নিয়মিত তদারকি করা হয়। (সূত্র:৫, সূত্র:৬)
আসলে এই মন্দিরটিকে কেন্দ্র করে ভারতপন্থী হিন্দুদের একটা বড় পরিকল্পনা আছে।
কারণ এই মন্দির কেন্দ্র করে মাসব্যাপী রাসমেলার আয়োজন হয়,
এতে ভারত থেকে লক্ষ লক্ষ হিন্দু বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
এতে ভারতীয় ও বাংলাদেশী উগ্রহিন্দুদের মিলন মেলা ঘটে,
এবং তারা একত্র হয়ে যুদ্ধজ্ঞান গীতা পাঠ করে (সূত্র:৭)।
এর মাধ্যমে বাংলাদেশের হিন্দুরা যুদ্ধ করে মুসলমানদের পরাজিত করে
অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠায় দিক্ষীত হয়।
বিশেষ করে কৃষ্ণ ভক্ত ইসকন সদস্যরা সেখানে বেশি জড়ো হয়।
আমার কথা হচ্ছে,
দিনাজপুরের কান্ত মন্দিরকে কেন জাতীয় স্থাপনা হিসেবে প্রচার করতে হবে ?
এটা তো ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র’য়ের এজেন্ডা।
আওয়ামী সরকার সেটা করেছে, কিন্তু বর্তমান ইউনুস সরকারও কেন র’ এর এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে, সেটাই আমার প্রশ্ন।
আর দিনাজপুরে জাতীয় স্থাপনার তো অভাব নেই, কান্তমন্দিরের ছবি দিতে হবে কেন?
দিনাজপুরে চেহেলগাজি বলে একটা স্থান আছে।
চেহেল মানে ৪০। আর গাজী মানে জয়ী যোদ্ধা ।
অনেক আগে ৪০ জন ধর্ম প্রচারক দিনাজপুরে এসেছিলেন।
তাদেরকে ধর্ম প্রচার করতে বাধা দিয়েছিলো স্থানীয় হি ন্দু রাজা।
পরে সেই ৪০ জন ইসলাম ধর্ম প্রচারক হি ন্দু রাজার সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হয়েছিলেন।
এজন্য তাদের গাজী বলা হয়।
পরবর্তীতে কোন এক বিশ্রাম নেয়ার সময় সেই ৪০ ধর্ম প্রচারককে অতর্কিত হামলা করে বসে হি ন্দু রাজার বাহিনী। ঐ সময় তারা ৪০ জন শহীদ হোন।
তাদের শরীরের এত টুকরা হয়, যে নির্দ্দিষ্ট কবরে তাদের দাফন করা যায়নি
বরং একটি লম্বা স্থানে তাদের দেহ পুতে রাখা হয়।
আমার মনে হয়, চেহেলগাজীদের স্থাপনার ছবি ২০ টাকার নোটে দিতে পারলে ভালো হবে।
এতে আমাদের নতুন প্রজন্ম কিছু শিখবে। ভারত বিরোধী চেতনা জাগ্রহ হবে।
কিন্তু সেটা না করে র’য়ের এজেন্ডা বাস্তবায়নে যদি ইউনুস সরকার কান্ত মন্দিরের ছবি দেয়,
তবে সেটা আমাদের নতুন প্রজন্মকে ভালো কোন ধারণা দিবে না,
বরং সেই ভারতীয় আগ্রাসনেই আমদের আটকে রাখবে।
কপি পোস্ট