06/08/2024
তোমার আমার দেশ
স্বাধীন দেশ বাংলাদেশ
শত তাজা রক্তের বিনিময় এনেছি এই দেশ
চলো গড়ি একটা সুস্থ সমাজ
বদলে দেয় সবার ভাবমূর্তি
আমরা থাকলেই দেশ
আমরা ভাঙলেই সব শেষ
News Source: https://www.youtube.com/watch?v=85stgGqIyPU
Source: এবার আসি কাজের কথায়।
জাতীয় সংসদে আমি আজকে ঢুকেছিলাম। পুরো সংসদ যেভাবে তছনছ করে রেখে গেসে সেটা অকল্পনীয়। অনেকেই বলবে ছাত্ররা লুট করেছে। আমি স্ট্রংলি তাদের ডিফেন্ড করবো। কয়েকটা পয়েন্ট তুলে ধরি কারো অযৌক্তিক মনে হলে জানাবেন। আমিও নতুন করে ভেবে দেখবো। আমি গণভবনে যাইনি তাই আমি শুধু জাতীয় সংসদের কথা বলবো।
১. আমি যে সময়ে সংসদ ভবনে গেসি তখন মাত্র ছেলেপেলে ঢোকা শুরু করসে। বেশ কিছু ছেলেপেলে তখন ঢুকে পড়সে মূলভবনের পাশের লাল বিল্ডিংয়ে। লাল বিল্ডিংয়ে আমিও প্রথমে ঢুকি। অনেকেই দেখলাম এটা সেটা নিচ্ছে কিন্তু পয়েন্ট টুবি নোটেড আমি কাউকে কিছু ভাংতে দেখি নাই। যে যা পারছে নেবার চেষ্টা করছে কিন্তু মার্ক মাই ওয়ার্ড কেউ তেমন কোনো ভাংচুর করেনি। (পরে অবশ্য বেশ কিছু ছাত্র গেটে প্রতিরোধ করায় অনেকেই আর কিছুই বের করতে পারেনি।)
২. মূল সংসদ ভবনে ঢুকেই দেখি প্রত্যেকটা রুম তছনছ। আমি মুটামুটি ৫০+ রুম চেক করসি প্রত্যেকটা রুমের অবস্থা সেইম। এবং প্রতিটা রুমের কাঁচের যা যা ছিলো সেগুলা ভাঙা হয়েছে। ছাত্ররা যদি ভাঙে তাহলে তারা লুট করবে কখন? আর যদি ভেঙেও থাকে তাহলে এত সুন্দর করে কাজটা করলো কখন?আর লুট করেও বেশীরভাগ জিনিসই এক্সিট গেটে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কাছে দিয়ে আসতে হয়েছে। আমি রাত দশটাতেও দেখে আসলাম প্রতিটা এক্সিটে ছেলেপেলে পাহাড়া বসিয়েছে। একটা বইও আনতে দিচ্ছেনা।
৩. যে সব টেবিল বা কাঁচের জিনিসপত্র ভাঙা হয়েছে সেগুলো সাধারণ বাঁশ বা লাঠি দিয়ে ভাঙা হয়েছে বলে আমার মনে হয়নি। মনে হয়েছে ভারী কিছু দিয়েই আঘাত করা হয়েছে। এবং ভেতরে আমি কারো হাতে লাঠি পর্যন্ত দেখিনি। আর কাঁচের টেবিলের প্রতি ছেলেপেলের ক্ষোভ আছে এ আমার মনে হয়না। এই ভারী যন্ত্র কেউ আলাদিনের চেরাগ ঘষে বের করলে হিসাব ঠিক আছে।
৪. একজন সংসদ সদস্য, একজন মন্ত্রী, বা একজন সচিবের টেবিলের ড্রয়ার অবশ্যই নান গুরুত্বপূর্ণ কাগজ থাকবে। এবং সেটার চাবি অবশ্যই ড্রয়ারের সাথে ঝুলবে না। আমি এমন একটা ড্রয়ার পাইনি যেটা আটকানো ছিলো। সবগুলো খোলা এবং প্রায় ফাঁকা ছিলো। একজন মন্ত্রীর টেবিলের চাবি অবশ্যই ছেলের হাতের মোয়া না। সেখানে প্রতেকটা ড্রয়ার খোলা পেয়েছি। আবারো বলছি প্রত্যেকটা।
৫. শুধু টেবিলনা প্রতেকটা রুমের আলমারি, লকার সব খোলা ছিলো। সব লুট করা ছিলো। এসব আলমারিতে চাবি দেয় না কেনো? আমার মা তো আলমারি ভর্তী লেপ-কাঁথা রেখেও আলমারিতে তালা দিয়ে সেই চাবি বালিশের নিচে নিয়ে ঘুমায়। কিজানি আমাদের এমপি,মন্ত্রীরা হয়তো এসবে উদাসীন ছিলো।
৬. আমি মুটামুটি ৩০+ সিপিইউ পাইসি কম্পিউটারের যেগুলোর একটাতেও র্যাম,হার্ড্ডিস্ক আর প্রসেসর ছিলোনা। এবং সেগুলো এলোপাতাড়ি ছড়ানো ছিলো এখানে সেখানে। আমি প্রথম কয়েকটা চেক করার পর আমার খটকা লাগে এবং আমার সাথের একজনকে নিয়ে পাগলের মতো খুঁজতে থাকি বিশ্বাস করেন আমি একটা পিসিতেও র্যাম,হার্ডডিস্ক বা প্রসেসর পাইনি।
৭. সংসদ ভবন বিল্ডিংটা এতো বড় আর গোলকধাঁধার মতো যে আপনি একই রুমে সেচ্ছায় দুইবার যেতে পারবেন না। আমি প্রথমে ছাদে গিয়ে আর ছাদে যাবার রাস্তা পাইনি। এমনকি মূল অধিবেশন যেখানে হয় সেটা অনেক উপর থেকে দেখেছি কিন্তু নিজে যেতে পারিনি। আর সেখানে নতুন একটা বিল্ডিংয়ের সব রুম এভাবে আউটসাইডাররা তছনছ করে ফেললো ব্যাপারটা বুঝতে ফেলুদা হওয়া লাগেনা।
৮. প্রতিটা রুমের আলমারি বা শোকেস ফ্লোরে ফেলে রাখা ছিলো। আলমারির দরজা খোলা, শোকেসের দরজা খোলা। পুরো রুমে কাগজের ছড়াছড়ি। অথচ গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাগজই দেখলাম না। সবই খুবই নর্মাল কাগজ,খাম আর নিজেরদের কিছু বই। আর হ্যা প্রচুর এ ফোর পেপার।
এখন আমি ভুল হতেই পারি। কিন্তু মাত্র দুই-তিন ঘণ্টায় পুরো সংসদ ভবন ভাংচুর করে একাকার করে দেওয়া ছাত্রদের পক্ষে কতটুকু সম্ভব সেটা বুঝতে মনে হচ্ছে আমার রকেট সাইন্স জানার দরকার নাই।
একদল জানোয়ার এসব এতোদিন ভোগ করেছে এবং পালানোর আগে সব মাটিতে মিশিয়ে দিয়ে গেছে যাতে চাইলেও খুব অল্পদিনে এই সংস্কার করা না যায়। এতো গেলো সংসদ ভবনের কথা।
দেশটার কি করে রেখে গেছে সেটা হয়তো আমাদের সময়ই বলে দিবে।
পুনশ্চ : আমরা যে দুজন পুরো সময়টা একসাথে ছিলাম সেই ভাই পাঠশালার ফটোগ্রাফার। ভাই অনেক ছবি তুলে রাখছে। সেসব এভিডেন্স হিসেবে দিবো। ছবিগুলো হাতে পাওয়া মাত্রই।
(Collected)
Our YouTube Channel: https://www.youtube.com/**gBhootcast