Beautiful Bangla

Beautiful Bangla Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Beautiful Bangla, Digital creator, Fulbaria.

24/02/2025

বিবৃতিতে ক্যান্টিনটির প্রতিষ্ঠাতা স্বত্বাধিকারী মধুসূদন দে’র হত্যাকাণ্ডের নৈতিক দায় ছাত্রশিবিরের নিতে হবে বল...

24/02/2025

জেনেভা ক্যাম্পে বেড়ে ওঠা শত-শত বিহারি শিশুর জন্য উর্দু শেখার একটি মানসম্পন্ন একাডেমি বা স্কুল গড়ে তোলা প্রয়োজন ব.....

24/02/2025

জুলাই ষড়যন্ত্রের ক্রেডিট ভাগাভাগি

ড. ইউনূসের দ্বিতীয় মারাত্মক ভুল ছিলো রিসেট বাটনের গোমর ফাঁস করে দেয়া। তবে জুলাই ষড়যন্ত্রের বিষয়ে তার সবচেয়ে বড়ো ভুল খুশিতে, ঠেলায় মুখ ফস্কে "মেটিকুলাস ডিজাইন"-এর কথা প্রকাশ্যে বলা। এটা জানাই ছিলো বছরের পর বছর ধরে সে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তবে নিজের মুখে এই স্বীকারোক্তি তার মতো ধূর্ত, কপট লোকের জন্য একটি অসাধারণ ঘটনা।

কিছুদিন যাবত ইউনূসের "ছাত্ররা" নোতুন রাজনৈতিক দল গঠন ও সেখানে নেতৃত্বের কামড়া-কামড়িকে কেন্দ্র করে ঘরের অনেক কথা ফেসবুকে প্রকাশ করে দিচ্ছে। তার মধ্যে একটি ঘটনা হলো, কে ইউনূসের সাথে আগে কন্টাক্ট করেছে, সেটি ফলাও করে প্রচার করে ক্রেডিট নিয়ে দলে দলে নেতা হতে চাইছে। কেউ বলছে সে ১৯শে জুলাই ইউনূসকে ফোন করেছে, কেউ বলছে ১লা আগস্ট, কেউ ৩রা আগস্ট। কাউকে নাকি ইউনূস নিজেই ফোন করেছে, এরকম দাবীও আছে। কেউ আবার বলছে ৫ই আগস্ট রাতেই সিদ্ধান্ত হয় ইউনূস হবে তাদের জ'ঙ্গী সরকার প্রধান, ইউনূসকে জানানো হয়েছে ৬ই আগস্ট। ইউনূস নিজে অবশ্য এসব কিছুর সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেছে, ৫ই আগস্টের পর ছাত্ররা তাকে বারবার অনুরোধ করে এই পদে বসায়। সে নিজে দেশ পরিচালনার কিছু জানে না, এসব ক্ষমতা-টমতা তার ভালো লাগে না। তবুও নিতান্ত অনিচ্ছায়ই দেশকে উদ্ধার করার জন্য সে সংবিধান হাতে অসাংবিধানিকভাবে কবুল বলেছে। অবশ্যই ইউনূসের সবচেয়ে বড়ো কোয়ালিটি মিথ্যা বলা। গরীব মানুষকে ঠকিয়ে ব্যবসা করার জন্য শান্তিতে আধা নোবেল পাওয়াটা সঠিক না হলেও মিথ্যায় নোবেল থাকলে সেটি সে অনায়াসেই পেতো।

জাতিসংঘ মানবাধিকারের অর্ডারি রিপোর্টে জুলাই ষড়যন্ত্রকে যেভাবে হঠাৎ করে কো-অর্ডিনেশন ছাড়া একটি অভ্যুত্থান হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, তার বিপরীতে সত্য হলো ইউনূসের ওই মুখ ফস্কে বলে ফেলা মেটিকুলাস ডিজাইনের তথ্য। আমরা এই লেখায় জুলাই ষড়যন্ত্রের স্টেকহোল্ডারদের কার "সম্ভাব্য" ভূমিকা কেমন সে বিষয়ে আলোচনা করবো।

আমেরিকা:
----------------
যে সব ভূরাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আমেরিকার মাথাব্যথার কারণ, সে আলোচনায় যাবো না। তবে বটমলাইন হলো, আওয়ামী লীগ বা বিএনপি যারাই ক্ষমতায় থাক, আমেরিকার স্বার্থ পুরোপুরি রক্ষা করার জন্য তাদের ওপর আমেরিকা ভরসা করতে পারে না। আওয়ামী লীগ বা বিএনপি দুই দলেরই নেতারা জনগণের অনেক স্বার্থ রক্ষা করে না, দুর্নীতি করে, চুরিচামারি করে। কিন্তু, তারপরও জনগণের কাছে জবাবদিহিতা এড়ানোর কোনো উপায় তাদের নেই। ভোটের জন্য আজ হোক, কাল হোক, তাদেরকে পাবলিকের কাছে ফিরে যেতে হবে। আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা করলে গণপ্রতিবাদ হবে। সুতরাং, আমেরিকার স্বার্থ পুরোপুরি রক্ষা করতে পারে একমাত্র জবাবদিহিতাহীন সরকার। এটি কখনো সামরিক সরকার দিয়ে তারা অ্যাচিভ করে, কখনো গণতন্ত্রের নামে তাদের পুতুল কাউকে বসায়। বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সামরিক সরকার একটি ফেইলড কেস। জিয়া, এরশাদের মতো সামরিক লোকজনও ক্ষমতা দখলের পর গণতান্ত্রিক দল গঠন করতে বাধ্য হয়েছে। সুতরাং, আমেরিকার হাতে থাকে দ্বিতীয় বিকল্প।

ইউনূস:
----------
ড. ইউনূস হলো এই দ্বিতীয় বিকল্পের পুতুল। তাকে দশকের পর দশক ধরে বাংলাদেশের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। সমাজের জন্য ইউনূসের আসল কন্ট্রিবিউশনের সাথে তার হাজার হাজার মেডেলের অসামঞ্জস্যতা হিসেবে নিলেই বিষয়টা পরিষ্কার হবে। ইউনূস অন্তত ২০০৬ সাল থেকেই উন্মুক্ত। প্রায় ৭৫% জনসমর্থনপুষ্ট ২ দল লীগ-বিএনপিকে মাইনাস করে ক্ষমতা দখলের নির্লজ্জ প্রচেষ্টা চালিয়েছিলো। তখন প্ল্যান ছিলো চাপে ফেলে এবং বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে দুই দল থেকেই নেতা ভাগিয়ে এনে নাগরিক শক্তি বানিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা। জামায়াত থাকবে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল। তখন সে পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে ইউনূস আপাতত পশ্চাদপসরণ করলেও মূল পরিকল্পনা থেকে সরে আসেনি। পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে জ'ঙ্গী উত্থানের সাথে সাথে অন্য দল থেকে নেতা ভাগানোর পরিবর্তে সে মন দেয় জ'ঙ্গীদেরকে ফোরফ্রন্টে রেখে ক্ষমতা দখলের। জ'ঙ্গীদের বিরুদ্ধে সরকার হার্ডলাইনে যাওয়ার কারণেই ১৫ বছর টিকতে পেরেছে।

যেটা বলতে চাইছিলাম, ইউনূস এই জুলাই ষড়যন্ত্রের সাথে ৬ই আগস্ট থেকে জড়িত নয়, সে অন্তত ২০০৬ সাল বা তারও আগে থেকেই জড়িত।

জামায়াত:
--------------
জামায়াত যতোটা না রাজনৈতিক সংগঠন, তার চেয়ে বেশি হলো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধারায়ই ধর্ম ব্যবসা চলমান, জামায়াত এরকম একটি ধারা মাত্র। তাদের ব্যবসায়ের জন্যই ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা দরকার। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ও তারা পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিলো ব্যবসায়িক লাভক্ষতির হিসাব থেকে, কোনো আদর্শ থেকে নয়। তারা পাকিস্তানের প্রতিও লয়াল ছিলো না। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির সময়ও তারা পাকিস্তানের বিরোধিতা করেছিলো। ১৯৭১ সালে প্রশিক্ষিত পাকিস্তানী সৈন্য বনাম অস্ত্রবিহীন বাঙালি - ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে কোন পক্ষকে শক্তিশালী মনে হবে, সেটি সহজেই অনুমেয়। ব্যবসায়ের জন্য রাজনৈতিক নিমকহারামি করা তাদের মজ্জাগত। এজন্য পাকিস্তানেও তারা নিগৃহিত হয়েছে, বাংলাদেশেও এখনো জামায়াত মানে রাজাকার, আল-বদর, জামায়াত মানে একটি বিশালসংখ্যক জনগোষ্ঠীর কাছে ঘৃণার পাত্র। তারাও এটি জানে। এজন্য এমনকি এই জুলাই ষড়যন্ত্রের সময়েও নিজেদের পরিচয়ে মাঠে নামতে পারে নি। জামায়াত জড়িত আছে শুনলে সাধারণ লোকজন রাস্তায় নামতো না।

জুলাই ষড়যন্ত্রে জামায়াতই মূল অর্থ যোগানদাতা। আমেরিকার ডিপস্টেট যে ২৯ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে ব্যয় করেছে বলে ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সেটি আমেরিকার নিজস্ব অর্থ হওয়ার সম্ভাবনা শূন্য। এটি জামায়াতেরই টাকা। জামায়াত হয়তো ২০০ মিলিয়ন দিয়েছে, ডিপস্টেট সেখান থেকে ২৯ মিলিয়ন এই খাতে খরচ করেছে। জামায়াত যেহেতু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সেহেতু এই টাকার মূল উৎস বাংলাদেশ। ডিপস্টেটও লাভ দেখবে, জামায়াতও লাভ দেখবে। ৫ই আগস্টের পর থেকে যতো সিস্টেমেটিক লুটপাট হচ্ছে, যার ৯৯% তথ্যই এখনো বাইরে আসছে না, সে লুটপাটের মাধ্যমে জামায়াত এবং অবশ্যই ইউনূস তাদের ইনভেস্টমেন্টের তুলনায় যে কতো গুণ টাকা লুটে নিয়েছে, সে পরিসংখ্যান যদি কোনোদিন সামনে আসে, লোকজন ভিরমী খেয়ে যাবে।

তবে জুলাই ষড়যন্ত্রে জামায়াতের মূল মোটিভেশন টাকাপয়সা নয়। যুদ্ধাপরাধীর বিচারই তাদের অন্তর্দাহের মূল কারণ। দেশেবিদেশে কোটি কোটি টাকা খরচ করেও তারা এই বিচার থামাতে পারেনি। যুদ্ধাপরাধীদের কারো ফাঁসি হয়েছে, কারো যাবজ্জীবন। এজন্য তাদের অর্থনৈতিক ও সাংগঠনিক শক্তির পুরোটা দিয়েই তারা জুলাই ষড়যন্ত্রকে লিড দিয়েছে। জুলাই ষড়যন্ত্রের তারাই নেতা। ইউনূস-আমেরিকা সাইডকিক।

৫ই আগস্টের পর দ্রুততম সময়ে তারা যুদ্ধাপরাধী বিচারের প্রতিশোধ নিয়েছে। ৭১-এর সাথে জড়িত স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এই সংশ্লিষ্ট মানুষদেরকে হত্যা করেছে, তাদের বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। তাদের একমাত্র ব্যর্থতা শেখ হাসিনাকে খুন করতে না পারা। এর বাইরে তারা তাদের প্রতিশোধ পুরোপুরি বাস্তবায়ন করে ফেলেছে।

এবার সাধারণ পারসেপশনের সাথে কনফ্লিক্টিং একটি স্টেটমেন্ট দেই। বাংলাদেশের সংবিধান পরিবর্তন, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন ইত্যাদিতে আসলে তাদের তেমন আগ্রহ নাই। তারা পাকিস্তানের আদর্শেও বিশ্বাসী না। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত রবীন্দ্রনাথ লিখলেও যা, নজরুল লিখলেও তাই। জামায়াতের উদ্দেশ্যের সাথে এগুলোর কোনো সম্পর্ক নেই। এই কার্ডগুলো তারা খেলে আবাল "তৌহিদী জনতা"কে ফুয়েল দিতে; কিন্তু তারা এসব বিষয়ে সিরিয়াস নয়।

হিজবুত তাহরীর ও অন্যান্য জঙ্গীগোষ্ঠী:
----------------------------------------------
এরা মূলত জামায়াতের সাইডকিক। এমনিতে উপমহাদেশের জ'ঙ্গীদের একটা বিরাট মনোবাসনা আছে মিডলইস্ট, পাকিস্তান, ইন্ডিয়া, আফগানিস্তান, বাংলাদেশসহ বিশাল এলাকা নিয়ে খেলাফত গঠন। এদের এই পরিকল্পনা নিজেরা বাস্তবায়ন করার সামর্থ্য না থাকলেও বিভিন্ন সময়ে আমেরিকা-রাশিয়ার প্রক্সি ওয়ারের ক্ষেত্র হিসেবে এদেরকে ব্যবহার করা হয়েছে। জুলাই ষড়যন্ত্রেও এদেরকে খেলাফতের মুলা ঝুলিয়ে, অস্ত্র দিয়ে জামায়াত ও আমেরিকা নিয়োগ দিয়েছে।

হেফাজত, হিজবুতী, চরমোনাইসহ এসব গোষ্ঠীগুলো ইতোমধ্যেই বুঝে ফেলেছে, তাদের খেলাফত কায়েম আপাতত হচ্ছে না।

সেনাবাহিনী:
--------------
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে যতো নোংরামি হয়েছে, নিঃসন্দেহে তার ৮০% এর জন্য দায়ী সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীতে অবশ্যই দেশপ্রেমিক আছেন, তবে সমষ্টিগতভাবে বাংলাদেশের রাজনীতির গোঁয়া মারতে তারাই বারবার এগিয়ে এসেছে, তাদের পাকিপনার কারণে বাংলাদেশের গণতন্ত্র বারবার হোঁচট খেয়ে পড়েছে, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনককে হত্যা পর্যন্ত করেছে।

জুলাই ষড়যন্ত্রেও জড়িত ছিলো বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর একটা বিরাট অংশ। ৪ঠা আগস্ট সরকারকে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫ই আগস্ট বেঈমানী করে। ওয়াকারউজ্জামান দেশবাসীকে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবাধে জামায়াতকে ভাঙচুর, আগুন সন্ত্রাস করতে দেয়।

সেনাবাহিনী ছিলো জুলাই ষড়যন্ত্রের স্ট্রাইকিং ফোর্স। তারা নিজেরা অনেক সময় পুলিশকে গুলি করেছে, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে লুটপাট করেছে, অনেক সময় ধ্বংসযজ্ঞে দাঁড়িয়ে থেকে সহায়তা করেছে। সেনাবাহিনীর মূল স্বার্থ আর্থিক এবং ক্ষমতার। গণতান্ত্রিক সরকার থাকলে ক্যান্টনমেন্টে বাইরে আসার সুযোগ কম থাকে, ক্ষমতা দেখানোর সুযোগও সীমিত। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধ করতে হয় না। সুতরাং, তাদের মনযোগ কীভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়।

জামায়াত টাকার মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে প্রথমত তাদের লোকজনকে ঢুকিয়েছে, দ্বিতীয়ত জুলাই ষড়যন্ত্রের সময়ও টাকা ঢেলেছে। সাথে আমেরিকার মাধ্যমেও নেগোসিয়েশন হয়েছে। জুলাই ষড়যন্ত্রে সেনাবাহিনীর মূল ভূমিকা ছিলো পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করা। ৩৪০০ পুলিশকে সম্ভাব্য হত্যা, তাদেরকে ৫ই আগস্ট রাস্তা থেকে পুলিশ ফাঁড়িয়ে আবদ্ধ করা (যাতে আক্রমণ করার জন্য একসাথে পাওয়া যায়), এই কাজগুলো করে দিয়েছে সেনাবাহিনী।

বিএনপি:
------------------
১৫ বছরের ঘটনা আমলে নিলে বিএনপি অবশ্যই এই মেটিকুলাস ডিজাইনের একটি অংশ ছিলো। কিন্তু জুলাই ষড়যন্ত্রের শেষপ্রান্তে এসে বিএনপিকে কোর গ্রুপ থেকে বাদ দেয়া দেয়া। বিএনপির কাছ থেকে দরকার ছিলো রাস্তায় জনগণ সরবরাহ করা। কিন্তু যেহেতু এটা মাইনাস টুর ষড়যন্ত্র, সেহেতু বিএনপিকে শেষমেশ রাজনৈতিক সুবিধা দেয়া যাবে না - সেই পরিকল্পনাই এখন বাস্তবায়িত হয়েছে।

হিঁজড়া, নিপুন, মোশাররক করিম, বাধন ইত্যাদি:
------------------------------------------------------------
এসব "শিল্পী" ছিলো মূলত ওয়ানটাইম ইউজ করা পণ্য। আমেরিকার ডিপস্টেটের যে পরিকল্পনা ফাঁস হয়েছে, সেখানেই দেখানো হয়েছে, এদেরকে কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এরা টাকা পেয়েছে, মাঠে নেমেছে। এদের যেহেতু হিট আছে, লোকজন চিনেশুনে, সেহেতু এদেরকে বেছে নেয়া হয়েছে। এসব "শিল্পী" যে কোনো বিবেকের তাড়না থেকে মাঠে নেমেছিলো বা রাজনৈতিক কোনো সচেতনতা থাকে, তা অবশ্যই নয়। মাকসুদের মতো যে দুয়েকজন বিবেকের তাড়নায় রাজনৈতিক সমীকরণ না বুঝে মাঠে নেমেছিলো, তারা ইতোমধ্যেই ভুল বুঝে গেছে। কিন্তু মোশাররফ করিমরা চুপচাপ। আপনি এখন যদি তাদেরকে পর্যাপ্ত টাকা এবং নিরাপত্তা দেন, তাহলেই তারা ইউনূসের ধ্বংসযজ্ঞের বিপরীতে বক্তব্য দিবে।

কিশোর গ্যাং:
-------------------
জুলাই ষড়যন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে কিশোর গ্যাং। মূলত টাকা পয়সা এবং নেশাদ্রব্য সরবরাহ করে এদেরকে দিয়ে স্থাপনা ভাঙচুর ও অরাজকতা সৃষ্টির কাজটি করা হয়েছে।

সাধারণ ছাত্রছাত্রী:
-------------------------
ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে রাস্তায় নেমেছে। এদের কাজ ছিলো মূলত ষড়যন্ত্রকে নিরপেক্ষ রূপ দিতে সাহায্য করা। শিবির/সমন্বয়করা এদেরকে গাইড করেছে। ষড়যন্ত্র জমাতে যে লাশের দরকার ছিলো, এরা অনেকেই সেই লাশের সাপ্লাই দিয়েছে। জুলাই ষড়যন্ত্রে সামনের সারির কোনো সমন্বয়কের গায়ে আঁচড় লাগেনি; কিন্তু এসব ছাত্রছাত্রী খুন করেছে, আহত হয়েছে। বর্তমানে এদেরকে ইউনূস বা জামায়াত কেউই আর পুছে না।

বাম:
-----------
বামকে তালিকার একেবারে শেষের দিকে রাখলাম। এই জনসমর্থনহীন, চাপাসর্বস্ব গোষ্ঠীর একমাত্র কাজ হলো টাকার বিনিময়ে ভাড়া খাটা। এরা কখনোই ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে যাবে না। কিন্তু চাপার জোরে মিডিয়া, টকশো কাঁপিয়ে দিবে। জুলাই ষড়যন্ত্রে এদের কাজ ছিলো যে কোনো পরিস্থিতিতে মিডিয়া কন্ট্রোল করা। এরা সেই কাজে ভালো সার্ভিস দিয়েছে। ষড়যন্ত্র সফল হওয়ার পর তারা এখানে সেখানে ক্যামেরায় মুখ দেখানোর চেষ্টা করলেও পর্দায় তাদের উপস্থিতি এই ৬ মাসের মধ্যেই প্রায় নাই হয়ে গিয়েছে।

আওয়ামী লীগ:
---------------------
আওয়ামী লীগকে এই তালিকায় না রাখলে আবার কথা উঠতে পারে। প্রশ্ন হলো, আওয়ামী লীগের কোনো নেতা কি এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত? এককথায় উত্তর হলো, না। ২০০৭-এর অভিজ্ঞতায় ইউনূস আর আওয়ামী লীগ নেতাদেরকে বিশ্বাস করতে পারেনি, তাদেরকে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় লাইনবিচ্যুত করার ঝুঁকিতে যেতে চায়নি। সেই চেষ্টা করলে বরং ইউনূসের পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি ছিলো। আপনার নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে, তাজউদ্দিন আহমদের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছেলেটাও কি একই কেস? হ্যাঁ। ব্যক্তিগত ইগো থেকে সে আওয়ামী লীগের ওপর ক্ষিপ্ত থাকলেও এই ষড়যন্ত্রের অংশ ছিলো না। জামায়াত এবং ইউনূসও জানে যে সে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী।

তবে টাকার বিনিময়ে পদ দখল করে আওয়ামী লীগে ইনফিলট্রেট করার ঘটনা ঘটেছে ব্যাপক মাত্রায়। তাছাড়া এই যে নুরুল হক নুর, সার্জিস, হাসনাতের মতো এক্স-ছাত্রলীগার দেখছেন, এদেরকে বাছাই করা হয়েছে ডিপস্টেটের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে। এরা খুব চমৎকার কথা বলতে পারে। চমৎকার বলতে রাজনৈতিক গলাবাজির জন্য যা দরকার, সেটি এদের আছে।

------
প্রথমেই যেটি বললাম, এটি একটি "সম্ভাব্য" চিত্র। ভবিষ্যতে অবশ্যই যখন পর্যাপ্ত তথ্য আমরা পাবো, বিশেষ করে ইউনূসের বিদায়ের পর, তখন অনেক সমীকরণই আরো ভালোভাবে মিলিয়ে নেয়া যাবে।

20250259

দুর্নীতি করে পালিয়ে থাকা ব্যক্তিও বাংলাদেশের ইউনুস জমানার বিচারপতি হতে পারলেন! দেশের নতুন ২৩ বিচারপতির একজন মুবিনা আসাফ...
16/10/2024

দুর্নীতি করে পালিয়ে থাকা ব্যক্তিও বাংলাদেশের ইউনুস জমানার বিচারপতি হতে পারলেন! দেশের নতুন ২৩ বিচারপতির একজন মুবিনা আসাফ। কিছুদিন আগেও ছিলেন বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির কর্পোরেট লিগ্যাল বিভাগের কর্মী। ২০০ কোটি টাকার সিএসআর ফান্ড জালিয়াতির অভিযোগে তার চাকরি যায়। বৃটেন থেকে অডিট টিম এসে সত্যতা পায় জালিয়াতির। চাকরি যায় মুবিনার। পালিয়ে যান কানাডায়! এবার সরাসরি বিচারপতি!...(ইনবক্স থেকে)

Address

Fulbaria

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Beautiful Bangla posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share