Mitu Akter

Mitu Akter Hai, Welcome to my page "Mitu Akter". It's just like a fun page, I mean people who are visiting my page they are gain fun activities from this page. Thanks.

07/11/2024

বাড়িওয়ালা যখন ছাদ ইউজ করতে দেয় না 😂

নুসরাত ফাতেহ আলী খান ১৯৮০ সালে প্রথম ভারত সফর করেন! মূলত সেটাই ছিল তার প্রথম বিদেশ সফর। রাজ কাপুর তার ছেলে ঋষি কাপুরের ব...
24/10/2024

নুসরাত ফাতেহ আলী খান ১৯৮০ সালে প্রথম ভারত সফর করেন! মূলত সেটাই ছিল তার প্রথম বিদেশ সফর। রাজ কাপুর তার ছেলে ঋষি কাপুরের বিয়েতে গান গাওয়ার জন্য খান সাহাবকে আমন্ত্রণ জানান! সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে বলিউডের সব বড়ো বড়ো গায়ক ও গায়িকারাও উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তি অনুযায়ী কথা ছিল, নুসরাত ফাতেহ আলী খান ৩০ মিনিট গান গাইবেন! কিন্তু নুসরাত যখন গান শুরু করলেন তখন রাজ কাপুর, ঋষি কাপুরসহ উপস্থিত সবাই মুগ্ধ হয়ে গেলেন! রাজ কাপুর এতোটাই মুগ্ধ হলেন যে, নুসরাত সাহাবকে অনুরোধ করে পুরো চার ঘন্টা গান শুনলেন!


দুই


নুসরাত ফাতেহ আলী খানের তখন বিশ্বজোড়া নাম। ফ্রান্সের একটি কালচারাল ক্লাব নুসরাত সাহাবকে সেখানে আমন্ত্রণ জানায়! নুসরাত সাহাব চিন্তা করলেন, ফ্রান্সের মানুষজন তো উর্দু বুঝবে না। তাই গানগুলো ইংরেজিতে অনুবাদ করে নিয়ে যান।

নুসরাত সাহাব যখন বললেন, তিনি ইংরেজিতে গান গাইবেন তখন উপস্থিত দর্শকরা আপত্তি জানালেন। তারা বললেন, আপনি আমাদের সাথে জুলুম করবেন না। আপনি উর্দু ভাষাতেই গান গাবেন! আমরা গানের সুরে গানের কথা বুঝে নিবো!


তিন


একবার এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ইমরান খান বলেছিলেন, '৯২ এ বিশ্বকাপ জেতার পেছনে নুসরাত ফাতেহ আলী খানেরও অবদান আছে। ৯২ বিশ্বকাপে পাকিস্তান প্রথম দিকের ম্যাচগুলোতে হারতে থাকে। দলের সবাই আপসেট, আমিও আপসেট! হোটেল রুমে নুসরাত সাহাবের গান শুনছিলাম। যখনই নুসরাত সাহাবের 'আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহ...' গান শুনলাম, আমার ভিতরে আত্মবিশ্বাস ফিরে আসতে লাগল। পরের ম্যাচে নামার আগে আমি দলের সবাইকে নিয়ে নুসরাত সাহাবের 'আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু' গান শুনলাম। তারপর লক্ষ্য করলাম সবাই উজ্জীবিত ও আত্নবিশ্বাসী হয়ে উঠছে। আমরা ফাইনালের দিনও গানটা শুনেই মাঠে নেমেছিলাম। '

তারপর ইমরান খান বলেন, 'নুসরাত সাহাবের গানে ও কণ্ঠে এমন কিছু একটা আছে, যা ব্যাখ্যাতীত! তার গান শুনে পাগল হবে না, এমন লোক দুনিয়ায় পাওয়া যাবে না!'


চার


১৯৯৩ সালের কথা! ভারতের রাজস্থান থেকে এক বয়স্ক লোক নুসরাত সাহাবের বাড়িতে আসলেন! নুসরাত সাহাবের সাথে দেখা করে বললেন, 'আমার মেয়ে বিয়েতে আমার থেকে কোনো উপহার নিতে চাচ্ছে না। তবে একটি আবদার করেছে। তার বিয়েতে আপনি গান গাইবেন-এই আবদারটুকু করেছে!'

পাশেই নুসরাত সাহেবের সেক্রেটারি বসা ছিল। সেক্রেটারি বয়স্ক লোকটার কাছে ১ লাখ টাকা চাইল। তাহলে নুসরাত সাহাব আপনার মেয়ের বিয়েতে গান গাইবে!

তখন নুসরাত সাহাব বললেন, 'না! একটাও দিতে হবে না। আমি বিনা পয়সাতেই আপনার মেয়ের বিয়েতে গান গাইতে যাবো!'

বিয়ের দিন নুসরাস সাহাব ঠিকই তার দলবল নিয়ে উপস্থিত হলেন। বিয়েতে গান গাইলেন! গানের আসর শেষে ফেরার পথে নুসরাত সাহাব সেই মেয়েকে বিয়ের উপহার হিসেবে ৫০ হাজার টাকা উপহার দিয়েছিলেন!

গান শুনলে কারোর কান্না আসে কিনা জানি না! তবে নুসরাত সাহাবের গান শুনলে চোখ দুটো ছলছল হয়ে যায়! নুসরাত সাহাবের গানে কী জাদু আছে, কেউ কি বলতে পারবে...!

©কালেক্টেড।

বয়সের ব্যবধান এক সেকেন্ড, যমজের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় নম্বরের ব্যবধানও ঠিক এক!বিশ্বভারতীর মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্...
24/10/2024

বয়সের ব্যবধান এক সেকেন্ড, যমজের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় নম্বরের ব্যবধানও ঠিক এক!

বিশ্বভারতীর মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে সোমবার। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাধ্যমিক স্তরে পঠন-পাঠন হয় পাঠভবন এবং শিক্ষাসত্র, এই দুই বিদ্যালয়ে। প্রথম এবং দ্বিতীয় হয়েছে যমজ দুই ভাই।

বিশ্বভারতীর মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানাধিকারী যমজ দুই ভাই— রোদ্দুর মম এবং দিগন্ত মম। —

তাদের বয়সের ব্যবধান মাত্র এক সেকেন্ড। মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের ফারাকও ওই এক— ঠিক এক নম্বরের। বিশ্বভারতীর মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানাধিকারী যমজ দুই ভাই। ৯৬.৬৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে রোদ্দুর মম। ৯০০ নম্বরের মধ্যে সে পেয়েছে ৮৭০। দ্বিতীয় স্থানাধিকারীর নাম দিগন্ত মম। সে পেয়েছে ৯৬.৫৬ শতাংশ নম্বর। তার প্রাপ্ত নম্বর ৮৬৯। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষাতেও দুই যমজ ভাইয়ের ফলাফলে খানিকটা অবাক হয়েছেন শিক্ষক এবং সহপাঠীরা।

বিশ্বভারতীর ‘স্কুল সার্টিফিকেট ২০২৩’ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে সোমবার। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাধ্যমিক স্তরে পঠন-পাঠন হয় পাঠভবন এবং শিক্ষাসত্র, এই দুই বিদ্যালয়ে। পরীক্ষায় প্রথম স্থানাধিকারী রোদ্দুর এবং দ্বিতীয় স্থানাধিকারী দিগন্ত একই পরিবারের সদস্য হওয়ায় বাড়িতে খুশির মেজাজও দ্বিগুণ হয়েছে। রোদ্দুরের কথায়, ‘‘আমি এই ভেবে অত্যন্ত উত্তেজিত যে, এ বছরের ‘আনন্দবাজার’ আনন্দমেলা উদ্বোধন করার সুযোগ পাব। আমি ছোট থেকেই এই স্বপ্ন দেখতাম। মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম হলেই আনন্দমেলা উদ্বোধনে ফিতে কাটার সুযোগ পাওয়া যায়। প্রতি বছর মহালয়ার দিন বিশ্বভারতীতে যে আনন্দমেলা উদ্‌যাপিত হয়, তার উদ্বোধন করার দায়িত্ব পায় সে।’’ আর দ্বিতীয় স্থানাধিকারী দিগন্ত বলে, ‘‘পড়াশোনার সময় এক জন অন্য জনকে দুর্বল বিষয়গুলোয় গাইড করতাম। এ ভাবেই আমাদের এসেছে সাফল্য এসেছে।’’

শ্রীনিকেতনে ‘শিক্ষাসত্র’তে পড়াশোনা করে যমজ ভাই। তা ছাড়া একজনের রবীন্দ্রসঙ্গীত অন্য জনের তবলায় সঙ্গত বেশ প্রশংসনীয় বলে জানাচ্ছেন শিক্ষকেরা। বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এ বছর ৯০০ নম্বরের মধ্যে ৮৭০ পেয়ে প্রথম হয়েছে রোদ্দুর মম। আর ৮৬৯ পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে দিগন্ত মম। ৯০০ নম্বরের মধ্যে ৮৬২ পেয়ে যুগ্মভাবে তৃতীয় হয়েছে শুভ্র মণ্ডল এবং শ্রীমন্তিকা সাহা।’’ তিনি সব সফল পরীক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

তথ্যসূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

একটি ছেলে তার সাইকেলটি একটি গাছের সাথে বেঁধে রেখেছিলো, তারপর আর ফিরে আসেনি, বড় হওয়ার সাথে সাথে গাছটির ভিতরে চলে যায় স...
23/10/2024

একটি ছেলে তার সাইকেলটি একটি গাছের সাথে বেঁধে রেখেছিলো, তারপর আর ফিরে আসেনি, বড় হওয়ার সাথে সাথে গাছটির ভিতরে চলে যায় সাইকেলটি, তারপর থেকে সাইকেলটিকে নিয়েই বেড়ে উঠছে গাছটি।

জীবন কারো জন্যই থেমে থাকেন।🙂

(Collected) (Repost)

মিথ্যা প্রতিশ্রুতির করুণ পরিণতি:কানাডার এক বরফ শীতল রাতে, এক কোটিপতি তার ঘরের সামনে এক দরিদ্র বৃদ্ধকে দেখতে পেলেন। তিনি ...
21/10/2024

মিথ্যা প্রতিশ্রুতির করুণ পরিণতি:

কানাডার এক বরফ শীতল রাতে, এক কোটিপতি তার ঘরের সামনে এক দরিদ্র বৃদ্ধকে দেখতে পেলেন। তিনি বৃদ্ধকে জিজ্ঞাসা করলেন, "এত ঠাণ্ডায় আপনি কীভাবে আছেন? আপনার গায়ে কোনো উষ্ণ কাপড় নেই!"

বৃদ্ধ উত্তর দিলেন, "আমার উষ্ণ কাপড় নেই, কিন্তু আমি মানিয়ে নিয়েছি।"

কোটিপতি উত্তর দিলেন, "আমার জন্য একটু অপেক্ষা করুন, আমি আপনার জন্য একটা উষ্ণ কাপড় নিয়ে আসবো।"

বৃদ্ধ খুশি হয়ে বললেন, "আমি অপেক্ষা করবো।"

কোটিপতি তার বাড়িতে ঢুকে নিজের কাজে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়লেন যে, বৃদ্ধের কথা ভুলে গেলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে বৃদ্ধের কথা মনে পড়তেই তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে এলেন। কিন্তু বৃদ্ধ তখন আর বেঁচে নেই। ঠান্ডায় জমে গিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

বৃদ্ধের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেলো, তাতে লেখা ছিলো:

"যখন আমার কোনো উষ্ণ কাপড় ছিল না, তখন আমি মানিয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু আপনি যখন আমাকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিলেন, তখন সেই আশায় অপেক্ষা করতে করতে আমি ঠান্ডার সাথে লড়াই করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেললাম।"

মিথ্যা প্রতিশ্রুতি মানুষকে ভেঙে ফেলে। তাই প্রতিশ্রুতি দেয়ার আগে ভালোভাবে চিন্তা করুন, এবং অপ্রয়োজনীয় মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়া থেকে বিরত থাকুন।

[এই গল্প থেকে আমরা সবাই শিক্ষা নিতে পারি যে, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়া একজন মানুষের উপর কতটা প্রভাব ফেলতে পারে।]

(সংগৃহীত)

একদিন এক বাবা দেখলেন তার ছোট্ট ছেলেটি একা একা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। বাবা ছেলের কাছে গিয়ে তার মাথায় হাত রেখে জিজ্ঞাসা ...
21/10/2024

একদিন এক বাবা দেখলেন তার ছোট্ট ছেলেটি একা একা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। বাবা ছেলের কাছে গিয়ে তার মাথায় হাত রেখে জিজ্ঞাসা করলেন, "কি হয়েছে সোনা? তুমি কাঁদছ কেন?"

ছেলেটা উত্তর দিল, "আমার বড়লোক বন্ধুরা কথায় কথায় আমাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করে। আমাকে মালীর ছেলে বলে গালি দেয়।"

বাবা এক মুহূর্ত চুপ থেকে বললেন, "আমার সাথে এসো, আজ আমরা দুটি ফুলগাছ লাগাব। এতে হয়ত তোমার মনের দুঃখ কিছুটা লাঘব হবে।

এরপর তিনি ছেলের হাত ধরে বাগানে নিয়ে গেলেন। বাবা বলে চললেন, আমরা আলাদাভাবে দুটো ফুলের গাছ লাগাব। আমি একটির যত্ন নেব, তুমি অন্যটির। গাছের গোড়ায় আমি পুকুরের নোংরা পানি দেব আর তুমি দেবে টিউবওয়েলের পরিষ্কার পানি।

এরপর এক সপ্তাহ কেটে গেল। ছেলেকে নিয়ে বাবা আবার বাগানে প্রবেশ করলেন। ছেলেটি অবাক হয়ে দেখল, তারটার চেয়ে বাবার ফুলগাছ অনেক বেশি সতেজ এবং স্বাস্থ্যকর। এটা কীভাবে সম্ভব?

বাবা মৃদু হেসে বললেন, নোংরা পানি একটি গাছের বেড়ে ওঠাকে বন্ধ করে না, বরং ওটার দ্রুত বৃদ্ধির জন্য সহায়ক জৈব সার হিসেবে কাজ করে। তাই আজ থেকে মানুষের উপহাস আর বাজে কথাকে পাত্তা না দিয়ে মনোযোগ সহকারে নিজের কাজ করবে। তাহলে আমার দারিদ্র্য,,,, পুকুরের ওই নোংরা পানির মতোই তোমার জীবন গঠনে সাহায্য করবে।

সংগৃহিত

17/10/2024

আপনার জীবনে এমন অনেক মানুষ আসবে, যারা অসভ্য, নির্লজ্জ এবং অনিরাপদ স্বভাবের হবে। তবে সবাইকে আপনার ব্যক্তিগত জীবনে প্রবেশাধিকার দেওয়া উচিত নয়। কিছু মানুষ শুধুমাত্র আপনার জীবনে মজা করার উদ্দেশ্যে আসবে, আপনার কথায় কান দেবে, কিন্তু সেটি সত্যিকারের সহানুভূতির জন্য নয়। তারা হয়তো শুধুই ভান করবে, মিথ্যা সহানুভূতি দেখাবে।

মানুষের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীলতা এবং অন্ধ ভরসা রাখা একেবারে ঠিক নয়। এই ধরনের মানুষরা আপনাকে বিপথে নিয়ে যেতে পারে। দিনের শেষে, নিজের মঙ্গল চিন্তা করে এই ধরনের মানুষের থেকে দূরে থাকা উত্তম। আপনি যদি অযাচিত ব্যক্তিদের জন্য আপনার মনোযোগ নষ্ট না করেন, তাহলে আপনার জীবন অনেক বেশি সহজ এবং সুখময় হবে।

তাই জীবনে কাকে প্রবেশাধিকার দেবেন, সেই সিদ্ধান্তটুকু খুবই সাবধানতার সাথে নিন।

ভারতের এক মৃত যুবকের শুক্রাণু তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দিতে দিল্লির একটি হাসপাতালকে নির্দেশ দিয়েছে সেখানকার আদালত। মৃত স...
14/10/2024

ভারতের এক মৃত যুবকের শুক্রাণু তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দিতে দিল্লির একটি হাসপাতালকে নির্দেশ দিয়েছে সেখানকার আদালত। মৃত সন্তানের শুক্রাণু ব্যবহার করে নাতি বা নাতনির জন্ম দেয়াতে চান ওই দম্পতি।

প্রায় চার বছর ধরে দিল্লির হাসপাতালটির সঙ্গে আইনি লড়াইয়ের পর জয় হয়েছে ওই দম্পতির।

মৃত যুবকের মা হসবির কউর বিবিসিকে বলেছেন, “আমাদের দুর্ভাগ্য যে ছেলেকে হারিয়েছি। তবে আদালত একটি বহুমূল্য উপহার দিলো। এখন আমরা সন্তানকে ফিরে পেতে পারব।”

মিসেস কউর ও তার স্বামী গুরভিন্দর সিংয়ের মৃত সন্তান প্রীত ইন্দর সিংয়ের যে শুক্রাণু গঙ্গারাম হাসপাতাল সংরক্ষণ করে রেখে দিয়েছিল, তারা সেটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে অস্বীকার করায় মামলা দায়ের করেছিলেন ওই দম্পতি। এই দম্পতির ৩০ বছর বয়সী পুত্রের এক ধরনের রক্তের ক্যান্সার ধরা পড়ে ২০২০ সালের জুন মাসে। ‘নন-হজকিংস লিম্ফোমা’ নামের ওই রক্তের ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য তাকে ভর্তি করা হয়েছিল গঙ্গারাম হাসপাতালে।

“কেমোথেরাপি শুরু করার আগে হাসপাতাল থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল যে একবার চিকিৎসা শুরু হলে তার শুক্রাণুর গুণমান খারাপ হয়ে যেতে পারে। সেজন্য শুক্রাণু জমিয়ে রাখার কথা বলা হয়েছিল,” বিবিসিকে বলছিলেন গুরুভিন্দর সিং।

অবিবাহিত প্রীত ইন্দর সিং হাসপাতালের পরামর্শ মেনে নেন এবং তার শুক্রাণু সংগ্রহ করে বরফের আকারে জমিয়ে রাখা হয় ২০২০ সালের ২৭শে জুন। সেপ্টেম্বরে মারা যান প্রীত ইন্দর সিং।

কয়েক মাস পরে তার বাবা-মা হাসপাতালের কাছে ফেরত চান পুত্রের শুক্রাণু। কিন্তু হাসপাতাল তাদের সেই আবেদনে সাড়া দেননি। তারপরেই দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানান ওই দম্পতি।

তারা আদালতে বলেছিলেন যে পুত্রের শুক্রাণু ব্যবহার করে যে নবজাতক আসবে, তাকে বড় করে তোলার দায়িত্ব নেবেন ওই দম্পতি। তারা মারা গেলে সেই নাতি বা নাতনির সব দায়িত্ব নেবেন বলে আদালতে লিখিত অঙ্গীকার জমা দেন দম্পতির দুই কন্যা। বিচারপতি প্রতিভা সিং তার নির্দেশে বলেছেন, “ভারতীয় আইন অনুযায়ী মৃত্যুর পরে সন্তান জন্মের ওপরে কোনও প্রতিবন্ধকতা নেই”, যদি যার শুক্রাণু, তিনি আগেই নিজের সম্মতি দিয়ে থাকেন।

আদালতে রায়ে আরও বলা হয়েছে যে স্ত্রী বা সন্তান না থাকলে ওই শুক্রাণু পাওয়ার অধিকার রয়েছে মৃত ব্যক্তির বাবা-মায়ের, কারণ হিন্দু উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী তারাই মৃত ব্যক্তির আইনি উত্তরাধিকারী।

ওই দম্পতি বলছেন তারা চেয়েছিলেন যে তাদের সন্তানের উত্তরাধিকার বজায় থাকুক। আদালতের এই নির্দেশে মৃত সন্তানের সঙ্গে একটা সংযোগ তারা রক্ষা করতে পারবেন, পারিবারিক নামটাও বহমান থাকবে।

“নিজের বোনেদের ও খুব ভালোবাসত। বন্ধুরাও ওর খুব কাছের ছিল। আমার ফোনে স্ক্রিনসেভারে ওরই ছবি রয়েছে। আমার দিনটা শুরুই হয় ওর মুখটা দেখে,” বলছিলেন মিসেস কউর।

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে তিনি ছেলের কোনও ছবি বিবিসিকে দিতে চাননি।

তিনি এও জানালেন যে ছেলের ওই শুক্রাণু ‘সারোগেসি’র মাধ্যমে গর্ভধারণ করানোর কথা ভাবছে তাদের পরিবার। ওই দম্পতির এক কন্যা, মৃত প্রীত ইন্দর সিংয়ের এক বোন ‘সারোগেসি’তে রাজি হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন মিসেস কউর।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে সারোগেসি কথাটার সহজ অর্থ করা যেতে পারে অন্য মায়ের গর্ভ ব্যবহার করে সন্তান জন্মদান।

তার কথায়, “আমার বিষয়টা পরিবারের মধ্যেই রাখতে চাই।"

বিচারপতি প্রতিভা সিং তার আদেশে একাধিক এমন ঘটনার উল্লেখ করেছেন যেখানে মৃত্যু-পরবর্তী প্রজননের উদাহরণ রয়েছে। ২০০২ সালে ১৯ বছর বয়সী এক ইসরায়েলি সেনাসদস্যর মৃত্যু হয়েছিল গাজায়। তার বাবা-মা আদালতের আদেশ নিয়ে সারোগেট মায়ের গর্ভে সন্তানের শুক্রাণু প্রতিস্থাপন করিয়ে একটি শিশুর জন্ম ঘটিয়েছিলেন।

বিচারপতি তার আদেশে উল্লেখ করেছেন যে এই বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে মতৈক্য নেই এখনও।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, চেক প্রজাতন্ত্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ লিখিত অনুমতির ভিত্তিতে মৃত্যু-পরবর্তী প্রজননের অনুমতি দেয়। অস্ট্রেলিয়াতে একটি বাড়তি শর্ত থাকে, যেখানে মৃত্যুর পরে পরিবারের আবেগ সামলানোর জন্য এক বছর সময় দেওয়া হয় মৃত্যু-পরবর্তী প্রজননের অনুমোদন দেওয়ার আগে।

তবে ইতালি, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, হাঙ্গেরি ও স্লোভেনিয়াতে এ ধরনের প্রজননের অনুমোদন দেওয়া হয় না। আর ভারতের প্রতিবেশীদের মধ্যে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশে এই বিষয়ে কোনও নীতিমালা নেই।

যেসব দেশে মৃত্যু-পরবর্তী প্রজননের আইনি স্বীকৃতি আছে, সেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত ব্যক্তির স্বামী বা স্ত্রীর কাছ থেকেই বরফাকারে জমিয়ে রাখা ডিম্ব বা শুক্রাণু ব্যবহার করে গর্ভধারণের আবেদন আসে।

ইসরায়েলে অবশ্য মৃত ব্যক্তির বাবা-মায়েরা তাদের পুত্র সন্তানের শুক্রাণু ব্যবহার করে প্রজনন ঘটাতে চাইছেন, এরকম ঘটনা বাড়ছে। অন্যদিকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের পর থেকে ইউক্রেনের সেনা সদস্যদের বিনা খরচে শুক্রাণু সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

ভারতে অবশ্য এভাবে প্রজননের ঘটনা বিরল।

(Collected) (Repost)

একটা হাতি আর একটা বিড়াল একই সময়ে প্রেগনেন্ট হলো।৩ মাস পরে, বিড়ালটি ৪টি বাচ্চা প্রসব করলো। ৬ মাস পর আবারও প্রেগনেন্ট হ...
12/10/2024

একটা হাতি আর একটা বিড়াল একই সময়ে প্রেগনেন্ট হলো।

৩ মাস পরে, বিড়ালটি ৪টি বাচ্চা প্রসব করলো। ৬ মাস পর আবারও প্রেগনেন্ট হলো এবং ৯ মাসের মাথায় এক ডজন বাচ্চা জন্ম দিলো। এভাবে বেশ কয়েকবার চলতেই থাকলো।

১৮তম মাসে, বিড়ালটি হাতিটিকে জিজ্ঞাসা করলো, “তুমি কি নিশ্চিত যে তুমি প্রেগনেন্ট? আমরা একসাথে প্রেগনেন্ট হয়েছিলাম, এর মধ্যে আমি তিনবারে ডজনখানেক বাচ্চা প্রসব করেছি, আর তারা এখন অনেক বড়োও হয়ে গেছে! কিন্তু তুমি এখনো প্রেগন্যান্ট আছো?"

মা হাতি শান্তভাবে উত্তর দিলো, "আমার পেটে বিড়ালছানা নয়, হাতি ছানা বড় হচ্ছে। আমি দুই বছর পর একটি বাচ্চা প্রসব করি। যখন আমার বাচ্চা পৃথিবীর আলো দেখে, সবাই মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে। যখন সে বড় হয়ে রাস্তায় হাঁটে, তখন মানুষ বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে। আমার সন্তানের জন্ম পৃথিবীর জন্য একটি বিশেষ মুহূর্ত হয়, সে সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে যায়।”

এই গল্পটি আমাদের শেখায়, যখন আশেপাশের মানুষের সাফল্য দেখে নিজেকে ছোট মনে হয় বা হতাশা আসে, তখন ধৈর্য ধরতে হবে। সৃষ্টিকর্তা আপনার জন্য সঠিক সময়ে সঠিক সাফল্য নির্ধারণ করে রেখেছেন। যখন সেই মুহূর্ত আসবে, তখন আপনার কাজও সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। তাই ধৈর্য ধরুন, পরিশ্রম চালিয়ে যান, এবং দোয়া করতে থাকুন।

(Collected)

আপনি কি মনে করেন, যদি কারো বন্ধুর সংখ্যা খুব কম হয়, সেটি তার স্মার্ট বা বুদ্ধিদীপ্ত হওয়ার পরিচায়ক? কেন এমনটা হতে পারে?ইত...
20/09/2024

আপনি কি মনে করেন, যদি কারো বন্ধুর সংখ্যা খুব কম হয়, সেটি তার স্মার্ট বা বুদ্ধিদীপ্ত হওয়ার পরিচায়ক? কেন এমনটা হতে পারে?

ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ গড় বুদ্ধিমত্তার নিচে অবস্থান করে। স্মার্ট বা জিনিয়াস মানুষদের সংখ্যা খুবই কম—মাত্র ১% এর আশেপাশে। কারণ, স্মার্ট হওয়ার জন্য যে প্রচেষ্টা, অধ্যবসায়, এবং গভীর মননশীলতা প্রয়োজন, তা খুব কম মানুষই অর্জন করতে পারে।

এখন যদি ইতিহাসের বিখ্যাত কিছু প্রতিভাবান ব্যক্তির দিকে তাকাই, যেমন নিকোলা টেসলা, আলবার্ট আইনস্টাইন, ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক, কিংবা জন ন্যাশ, আমরা দেখতে পাবো যে এরা প্রত্যেকে তাদের ক্ষেত্রে অনন্যসাধারণ অবদান রেখেছেন। কিন্তু পেশাগত জীবনে সফল হলেও, ব্যক্তিগত জীবনে তারা বেশিরভাগই একাকীত্বে ভুগেছেন। উদাহরণস্বরূপ, নোবেলজয়ী কেমিস্ট ফ্রিটজ হেবারের স্ত্রী, তার সাথে মানিয়ে চলতে না পেরে আত্মহত্যা করেছিলেন।

আমি অনেক দিন ধরে চিন্তা করেছি, কেন এমন অনেক জিনিয়াস ব্যক্তি সামাজিক জীবনে ব্যর্থ হন বা একাকী থাকেন। কিছু কারণ নিচে উল্লেখ করছি:

১. একাকীত্বের গুরুত্ব
নিকোলা টেসলা একবার বলেছিলেন, "একাকীত্ব আবিষ্কারের গোপন সূত্র, একা থাকাকালীনই মানুষ পৃথিবী বদলে দেওয়ার আইডিয়া পায়।"
আমি মনে করি, অনেক বুদ্ধিমান মানুষ তাদের সেরা আইডিয়াগুলো তখনই পেয়েছেন, যখন তারা একা ছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, স্যার আইজাক নিউটন একা বসে থাকাকালীন আপেল গাছের নিচে বসে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ধারণা পান। আর আর্কিমিডিস বাথটাবে স্নান করার সময় আর্কিমিডিসের সূত্রের আইডিয়া পান। এরকম অসংখ্য উদাহরণ ইতিহাসে পাওয়া যায়।

২. অন্যদের সাথে তাল মেলাতে অসুবিধা
বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা সাধারণত সাধারণ মানুষদের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারেন না। কারণ, তারা সাধারণ আলাপচারিতায় সময় নষ্ট করতে চান না, বরং জটিল সমস্যার সমাধান নিয়ে ভাবতে পছন্দ করেন। যখন বেশিরভাগ মানুষ পরনিন্দা করতে ব্যস্ত থাকে, তখন এ ধরনের মানুষরা হয়তো কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে ভাবছেন। স্বাভাবিকভাবেই, এরকম একজন মানুষের সাথে বেশিরভাগ মানুষ বন্ধুত্ব করতে আগ্রহী হয় না, কারণ তারা ওই ধরনের আলোচনায় আগ্রহী নয়।

উপসংহার
যারা মানুষের সাথে সহজে মিশতে পারেন, তাদেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক গুণ থাকে—যোগাযোগ দক্ষতা। সাধারণত এরা এক্সট্রোভার্ট হয়ে থাকেন, এবং মানুষকে সহজে আকৃষ্ট করতে পারেন। যদিও তারা হয়তো বিজ্ঞানী হবেন না, তবে তারা হতে পারেন রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, কিংবা সামরিক কর্মকর্তা। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, এরা স্মার্ট। তবে, বুদ্ধিমত্তার পিরামিডের চূড়ায় বিজ্ঞানী কিংবা গণিতবিদদের অবস্থান থাকে।

আমরা সবাই পাপী: নিজের ভুলে অন্ধ, অন্যের ভুলে কঠোরএক শহরে রফিক নামে একজন লোক থাকত, যার নিজের দোষ ঢাকতে এবং অন্যের দোষ বের...
16/09/2024

আমরা সবাই পাপী: নিজের ভুলে অন্ধ, অন্যের ভুলে কঠোর

এক শহরে রফিক নামে একজন লোক থাকত, যার নিজের দোষ ঢাকতে এবং অন্যের দোষ বের করতে অদ্ভুত দক্ষতা ছিল। তিনি নিজেকে ন্যায়পরায়ণ এবং অন্যদের তুলনায় সৎ মনে করতেন। তার মতে, তিনি সবসময় সঠিক এবং অন্যেরা সবসময় ভুল। এই আত্মম্ভরিতার জন্য, তার সামাজিক জীবন প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল, কারণ তিনি অন্যদের ভুল ধরতে ব্যস্ত থাকতেন।

একদিন, রফিকের বন্ধু কামাল তার কাছে এসে বলল, "রফিক ভাই, আমি কিছুদিন ধরে খুব সমস্যায় আছি। আমার ব্যবসায় বড় একটা ঝামেলা হয়েছে, তুমিই পারো আমাকে একটু পরামর্শ দিতে।"

রফিক তখন অহংকার ভরে বলল, "তোমার ব্যবসায় ঝামেলা হওয়ার কারণ তোমার অযোগ্যতা। তুমি সবসময় নিজের মতো চলতে চাও, অন্যের পরামর্শ নাও না, আর এখন দেখ কী অবস্থা!"

কামাল বিষণ্ণ মনে সরে গেল। এভাবে, রফিক অনেকের সাথে এমন আচরণ করত, তাদের ভুলের প্রতি কঠোর মন্তব্য করত এবং নিজের ভুল গুলোকে উপেক্ষা করত।

কিন্তু একদিন রফিকের নিজের জীবনে বড় একটা ধাক্কা এলো। তার ব্যবসায় বিশাল লোকসান হল, এবং তার সাথে তার একান্ত প্রিয়জনের সম্পর্কও খারাপ হয়ে গেল। যখন তিনি সাহায্য চাইতে নিজের বন্ধুদের কাছে গেলেন, তখন সবাই তাকে অবহেলা করল। কেউ তার সমস্যার গুরুত্ব বুঝল না। রফিক বুঝতে পারল, যেমনভাবে সে অন্যদের ভুল এবং দুর্বলতাকে তিরস্কার করেছে, তেমনভাবেই তাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে।

একদিন, তিনি গভীর চিন্তায় ডুবে গেলেন। নিজের কাজকর্মের দিকে তাকিয়ে তিনি উপলব্ধি করলেন যে, তিনি সবসময় অন্যদের দোষ খুঁজে বের করেছেন, কিন্তু নিজের দোষ কখনও চোখে পড়েনি। তিনি তার এই পাপের বাটখারায় অন্যদের মেপেছেন, কিন্তু নিজেকে দেখার চেষ্টা করেননি।

তিনি তখনই বুঝলেন, "আমরা সবাই পাপী। অন্যের পাপ নিয়ে বিচারে ব্যস্ত থাকার আগে, আমাদের উচিত নিজের পাপগুলো খুঁজে দেখা।"

এরপর থেকে রফিক তার জীবনকে নতুন করে সাজাতে শুরু করলেন। তিনি অন্যদের সাথে আরও নম্র ও সহানুভূতিশীল হয়ে ওঠেন। তার ভুল স্বীকার করতে শিখলেন, এবং অন্যদের ভুল ক্ষমা করতে শুরু করলেন। এই পরিবর্তনের পর, তার বন্ধুরাও আবার তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করল। তার ব্যবসায় ধীরে ধীরে উন্নতি হতে শুরু করল, এবং তিনি জীবনে শিখলেন যে, সবাই কিছু না কিছু ভুল করে—কেউই নিখুঁত নয়।

নীতিকথা:
"আমরা সবাই পাপী, কিন্তু নিজেদের ভুলগুলোকে অবহেলা করে আমরা অন্যের ভুল খুঁজে বেড়াই। আমাদের উচিত নিজের দোষ স্বীকার করা এবং অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া।"

শিক্ষামূলক ছোট একটি গল্প বিশাল এক পাহাড়ের উপরে এক ঈগল বাসা বানিয়েছিলো। ঈগলের বাসায় ছিলো তার চার চারটি ডিম। প্রতিদিন সকাল...
13/09/2024

শিক্ষামূলক ছোট একটি গল্প

বিশাল এক পাহাড়ের উপরে এক ঈগল বাসা বানিয়েছিলো। ঈগলের বাসায় ছিলো তার চার চারটি ডিম। প্রতিদিন সকালে সে এগুলো রেখে খাবারের খোঁজে উড়ে যেত।

একদিন ঈগল যখন বাসার বাইরে ছিলো তখন ভূমিকম্পে গোটা পাহাড় নড়ে উঠলো। এতে ঈগলের একটি ডিম বাসা থেকে ছিটকে পরে গেল। গড়াতে গড়াতে সেই ডিম এসে পড়লো পাহাড়ের নিচের এক মুরগীর বাসার উঠোনে ।

মুরগী সেই ডিমটিকে নিজের বাসায় নিয়ে এলো। অন্যান্য ডিমের সাথে রাখলো। যত্ন করে তা দিতে থাক...লো। একদিন সেই ডিম ফুটে ঈগলের একটি সুন্দর বাচ্চাও বের হলো। মুরগীর বাচ্চাদের সাথেই ঈগলের বাচ্চাটি বড় হয়ে উঠতে লাগলো।

কিন্তু সে ভেতর থেকে যে সবসময় অন্য কিছু অনুভব করতো। আকাশে একদিন ঈগলের একটা ঝাঁককে উড়ে বেড়াতে দেখে সে মুরগীকে বললো, ইস, যদি আমিও তাদের মত উড়ে বেড়াতে পারতাম। মুরগী হেসে উত্তর দিলো, তুমি কিভাবে উড়বে? তুমি তো মুরগী এবং মুরগী কখনো উড়ে না।

ঈগল মাঝে মাঝেই তার স্বগোত্রীয়দের উড়ে বেড়াতে দেখতো এবং স্বপ্ন দেখতো সেও তাদের মতই উড়ে বেড়াবে।

কিন্তু প্রতিবার সে তার স্বপ্নের কথা জানালে মুরগী বলতো যে এটা একেবারেই অসম্ভব। মুরগীর এই কথাটিই ঈগল বিশ্বাস করতে শিখলো এবং তার জীবনটা বাকী মুরগীদের মতই কাটিয়ে দিলো। অনেক দিন এভাবে কাটানোর পর একদিন সে মারাও গেল।

“আসলে আমাদের জীবনেও এটা চরমতম সত্য। তুমি যা বিশ্বাস করতে শেখো একদিন তুমি তাই হয়ে উঠবে। তাই তুমি যদি ঈগলের মত উড়ার স্বপ্ন দেখো, তবে সেই স্বপ্নকেই অনুসরন করো। মুরগীর কথায় কান দিতে যেও না.”

জীবনে যারা আপনাকে বলবে তুমি কিছু করতে পারবে না, তাদের কথায় বিশ্বাস না করে নিজের ক্ষমতায় বিশ্বাস করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা যা বিশ্বাস করি, তাই হয়ে উঠি।

(Collected) (Repost)

Address

Fulbaria

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mitu Akter posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share