09/07/2025
#ইসলামী_বিশ্বের_উপর_বুদ্ধি_বৃত্তিক_আ_ক্র_মণ।৭
আদর্শিক যু/দ্ধের তৃতীয় লক্ষ্য:
সত্য ও প্রকৃত ইসলামকে পশ্চিমা সমাজে পৌঁছাতে বাধা দেওয়া।
পশ্চিমা সরকার এবং খ্রি/স্টান চার্চগুলো ভালোভাবে জানে যে ইসলাম মানব প্রকৃতি এবং সুস্থ যুক্তির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়ায় বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চল ও জাতির কাছে জনপ্রিয় হতে পারে, যদি ইসলাম তাদের কাছে তার পূর্ণাঙ্গ ও প্রকৃত রূপে পৌঁছায়। ভারত, বাংলাদেশ, বার্মা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ব্রুনাই এবং মধ্য আফ্রিকার অনেক দেশের মতো বিশ্বের অনেক দেশে মানুষ দাওয়াতের মাধ্যমে ইসলাম গ্রহণ করেছে। এই দেশগুলোতে কোনো বি/জয়ী সেনা/বাহিনী যায়নি যারা সা/মরিক বিজয়ের মাধ্যমে ইসলাম ছড়িয়েছে, বরং মানুষ ইসলামের সত্যতা, উপযোগিতা এবং সুস্থ যুক্তির দাবি অনুযায়ী স্বেচ্ছায় তা গ্রহণ করেছে।
পশ্চিমা খ্রিস্টান বিশ্বে এখনও এই ভয় বিদ্যমান যে, যদি ইসলাম তার সত্য ও প্রকৃত রূপে প/শ্চিমা সমাজে পৌঁছে যায়, যে সমাজ খ্রি/স্টান ধর্মের জু/লুম এবং এর অযৌক্তিকতায় অতিষ্ঠ, তাহলে ইউরোপের বুদ্ধিমান ও শিক্ষিত মানুষ যারা সত্যের সন্ধানে রয়েছে, তারা সহজেই ইসলামকে গ্রহণ করে নেবে এবং খ্রিস্টান ধর্ম ও বস্তুবাদকে সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করবে। এমন পরিস্থিতিতে এই বিশাল ঢেউকে থামানো তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়বে। এখনও ই'উরোপের অনেক মানুষ ইসলাম নিয়ে গবে/ষণা ও অধ্যয়ন করছে এবং প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ মুস/লমান হচ্ছে। তাই মানুষের কাছে সত্য ও পূর্ণাঙ্গ ইসলাম পৌঁছানো রোধ করার জন্য ইউরোপ ও আমেরিকা নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নিয়েছে:
ক: বি/কৃত ইসলাম উপস্থাপন করা
পশ্চিমা সরকার এবং চার্চগুলো পশ্চিমা সমাজের সামনে ইসলামকে বি/কৃত ও পরিবর্তিত রূপে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে। তাদের সামনে ইসলামকে প্রাচীন যুগের এমন একটি ধর্ম হিসেবে পরিচিত করানো হচ্ছে যা কেবল তলো/য়ার, হ/ত্যা, যু'দ্ধ, হাত-পা কা'টা এবং মানুষের উপর ধর্মীয় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা ছাড়া আর কিছু জানে না। এতে মানব জীবন–যাপনের জন্য কোনো ব্যবস্থা বা কর্মপন্থা নেই, না আছে উন্নতির ধারণা। ইসলাম শান্তি'ভিত্তিক জীবন চায় না, এতে সভ্যতা নেই এবং মানব সহানুভূতির ধারণাও নেই। উপরন্তু, ইসলাম মানব জীবনের প্রাকৃতিক চাহিদার সম্পূর্ণ বিরোধী। একটি ধর্ম, যা সমাজে পরিবর্তন আনতে বুদ্ধি, জ্ঞান, চরিত্র এবং ধর্মীয় প্রশান্তির প্রাকৃতিক উপায়গুলো ব্যবহার করে না, বরং এর জন্য তলো/য়ার, ব/ন্দুক এবং লাঠির জো'র ব্যবহার করে।
পশ্চিমা মিডিয়া এবং তাদের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্ব ইসলামের বি'রুদ্ধে এমন বিষা/ক্ত প্রচারণার এক অন্তহীন ধারা বজায় রেখেছে। এবং এর জন্য প্রতি বছর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়। যাতে পশ্চিমা সমাজকে ইসলাম থেকে বিমুখ করে ইসলাম গ্রহণ করা থেকে বিরত রাখা যায়।
খ: ইসলামী শিক্ষা ও প্রচার সী/মিত করা।
ইউরোপের রাজনৈতিক, আদর্শিক এবং ধর্মীয় নেতৃত্ব তাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামরিক এবং আন্তর্জাতিক প্রভাব ব্যবহার করে ইস/লামী দেশগুলোর সরকারগুলোকে বা/ধ্য করার চেষ্টা করছে যাতে তারা তাদের দেশে এমন শিক্ষাব্যবস্থা চালু করে যেখানে ইস'লাম তার প্রকৃত রূপে বিদ্যমান না থাকে। আলেম, প্রচারক, ধর্মীয় মাদ্রাসা, ধর্মীয় দল, প্রেস এবং অনুরূপ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যারা ইসলামী প্রচার ও প্রকাশনার কাজে নিয়োজিত, তাদের উপর তী/ব্র চাপ সৃষ্টি করা হয় এবং তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো ব'ন্ধ করা হয়।
ব্যক্তিক্তদের হ/ত্যা করা হয় এবং তাদের এত দুর্বল ও নিজেদের কাজে ব্যস্ত রাখা হয় যাতে তারা প'শ্চিমে সঠিক ইসলাম পৌঁছাতে অ'ক্ষম হয়ে পড়ে। তাদের আর্থিক সম্পদ, বস্তুগত ও আধ্যাত্মিক উৎস বিভিন্ন শিরোনাম ও অজুহাতে ছি'নিয়ে নেওয়া হয় এবং শেষ পর্যন্ত তাদের নিজেদের দেশেই দারিদ্র্য, লাঞ্ছনা ও কষ্টের সাথে জীবনযাপন করতে বা'ধ্য করা হয়। ইসলামী সংগঠনগুলোর উপর নানা ধরনের নিষে'ধা'জ্ঞা আরোপ করে তাদের অকার্যকর করা হয়। এই সমস্ত প্রচেষ্টা ততক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকে যতক্ষণ না ইসলাম প্রচারকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণরূপে অসহায় হয়ে পড়ে। এর বিপরীতে সাধারণ মানুষের সামনে ইস'লামকে এমন একটি ধর্ম হিসেবে পরিচিত করানো হয় যা হয় সম্পূর্ণ ইসলামই নয় অথবা ইসলামের একটি বি'কৃত রূপ যা সুস্থ প্রকৃতি ঘৃণা করে।
গ: বি'কৃত ইসলাম প্রচারকারী দলগুলোকে সমর্থন করা।
পশ্চিম একদিকে পশ্চিমা সমাজে সত্য ও প্রকৃত ইসলাম পৌঁছানো রো'ধ করে, অন্যদিকে কেবল সেইসব দল, সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইউরোপে কার্যকরভাবে কাজ করার অনুমতি দেয় যারা বি'কৃত রূপে ইসলামের প্রচার ও প্রকাশনা করে। এবং যারা ইসলামী সমাজে মুরতাদ ও কাফের দল হিসেবে পরিচিত। যেমন কাদিয়ানী সম্প্রদায়, বাহাই জামাত এবং মুশরিক ভুয়া সুফীরা, ইত্যাদি। অথবা সেই দলগুলোকে অনুমতি দেয় যারা প্রকৃত ইসলামকে মানুষের সামনে অসম্পূর্ণ ও অপূর্ণাঙ্গ রূপে উপ'স্থাপন করে। যারা তাদের দাওয়াতের পাঠ্যক্রম থেকে ইসলাম ও এর অগ্রাধিকার, ফরজ–ওয়াজিব, জিহাদ, আল্লাহর জন্য বন্ধুত্ব এবং আল্লাহর জন্যই শত্রু/তার আকীদা, ইসলামী শাস/নব্যবয়স্থা, ইসলামের সার্বভৌমত্ব, ফিতনা ও ফাসাদের মোকাবিলা, প্রয়োজন অনুযায়ী শরীয়াহ জ্ঞান, জি/হাদী দলগুলোর প্রতি সহানুভূতি এবং তাদের সাথে আর্থিক সহযোগিতা, এমনকি তাদের জন্য দোয়া করা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো শুধু এই কারণে বা'দ দিয়েছে যে, কা/ফেররা তাদের উপর অস'ন্তুষ্ট হতে পারে এবং তাদের নিজ দেশে ভ্রমণের জন্য ভিসা থেকে বঞ্চিত করতে পারে। যদি এই লোকেরা তাদের এই সং'গ্রাম নিয়ে মুজা/হিদদের পাশাপাশি দাঁড়ায় এবং ইসলামের মুজা/হিদদের শক্তি'শালী করে, তাহলে নিশ্চিতভাবে তারা মাত্র দশ বছরের মধ্যে ইসলামী দাওয়াত ছড়ানোর জন্য এমন কিছু করতে পারে যা এই দলগুলো এক শতাব্দীতেও করতে পারবে না। ইউরোপ তাই এমন দলগুলোর কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে না, কারণ তাদের দাওয়াত পশ্চিমা ব্যবস্থা, আধিপত্য বিস্তারের পরিকল্পনা, কু'ফরি সভ্যতা এবং বৈশ্বিক মর্যাদার কোনো ক্ষ'তি করে না। উপরন্তু, পশ্চিমারা পুতুল মুসলিম শা'সকদের কাছ থেকে ইসলামী দেশগুলোতে খ্রি'স্টান ধর্ম প্রচারের অনুমতিও দাবি করে। এবং এই আশঙ্কা বিদ্যমান যে, পশ্চিম এই ধরনের সরলমনা দলগুলোকে জি/হাদ ও মুজা/হিদদের বিরু/দ্ধেও ব্যবহার করে।
উপরিউক্ত সমস্ত পদ্ধতি সম্মিলিতভাবে আদর্শিক যু'দ্ধের উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
চলবে-------
সঠিক ইসলামী ইতি'হাস জানতে পেজ ফলো করে আমাদের সাথে থাকুন 👍