Intifada Books

Intifada Books নতুন প্রজন্মের প্রকাশনা

যে প্রশ্নটি প্রায়ই আমাদের মন ও মস্তিষ্কে ঘুরপাক খায় : কেন এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপ মহাদেশে উপনিবেশগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল? ...
27/07/2025

যে প্রশ্নটি প্রায়ই আমাদের মন ও মস্তিষ্কে ঘুরপাক খায় : কেন এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপ মহাদেশে উপনিবেশগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল? এ প্রশ্নের উত্তর খ্রিষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষ দিকে এবং ষোড়শ শতাব্দীর শুরুর দিকে ইউরোপে সংঘটিত আধুনিক শিল্পবিপ্লবের হাত ধরে অস্তিত্বে আসা বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ বিপ্লব ইউরোপকে জ্ঞানগত পশ্চাদ্‌মুখিতা, বুদ্ধিবৃত্তিক স্থবিরতা ও গির্জার প্রভাব থেকে বের করে আনে। রাজনৈতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, বৈজ্ঞানিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় অঙ্গনসহ ইউরোপীয় জীবনধারার সব ক’টি ক্ষেত্রেই একসময় স্থবিরতা বিরাজ করছিল। এর ফলে ইউরোপীয় সমাজও ক্যাথলিক মতাদর্শের পোপ-পাদরিদের চিন্তাধারার কাছে বন্দী ছিল। সমগ্র ইউরোপ ও খ্রিষ্টান বিশ্বে তখন ক্যাথলিক গির্জার একচ্ছত্র আধিপত্য চলছিল। এ স্থবিরতা তৈরির পেছনে খ্রিষ্টান ধর্মগুরুদের উদ্দেশ্য ছিল—তাদের প্রতারণা ও অপকর্ম সম্পর্কে জনগণকে বেখবর রাখা। গির্জার কর্ণধাররা তখন অনেক অর্থ-সম্পদের মালিক হয়ে গিয়েছিল। তারা এমন অনৈতিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিল, গির্জার পোপ-পাদরি কিংবা কোনো ধর্মগুরুর সঙ্গে যা একেবারেই মানানসই নয়। এমনিভাবে কোনো ধর্মের পবিত্র ধর্মীয় পেশাগুলোর সঙ্গেও যা কোনোভাবেই সংগতিপূর্ণ হয় না। [২৩]
ইউরোপীয় বিপ্লব তাদের সমাজকে মূর্খতার অন্ধকার, পশ্চাদ্‌মুখিতা ও স্থবিরতা থেকে বের করে বুদ্ধিবৃত্তি, ব্যক্তি, চিন্তা-দর্শন ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের স্বাধীনতা এনে দেয়। একই সঙ্গে গ্রিক ও ল্যাটিনদের জ্ঞান ও দর্শন চর্চার স্বাধীনতাও তারা এই বিপ্লবের কল্যাণেই লাভ করে। এ সময়ে ইউরোপে প্রতিষ্ঠিত হয় অনেকগুলো ঐক্যবদ্ধ জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্র। অস্তিত্বে আসে আধুনিক জাতীয় ভাষা। আর আবিষ্কৃত হয় ভয়ংকর বিধ্বংসী ক্ষমতাসম্পন্ন গোলাবারুদ ও অস্ত্র; যা ইউরোপজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও সমর বিপ্লব ঘটায়। এ সমর বিপ্লব ইউরোপীয়দের ঔপনিবেশিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে আরও বেশি মদদ যোগায়। ছাপাখানার আবিষ্কারের ফলে সমগ্র ইউরোপে অত্যধিক দ্রুততার সঙ্গে বিভিন্ন শাস্ত্র, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও মুক্তচিন্তার বিকাশ ঘটে। এ বিপ্লব ইউরোপে কৃষক ও দাস শ্রেণির বিলুপ্তি এবং সামন্তবাদেরও সমাপ্তি ঘটায়। এর পাশাপাশি তৎকালীন ইউরোপীয় সমাজে প্রচলিত শ্রেণিপ্রথা ও সামাজিক বৈষম্য বিলুপ্ত করে দেয়। সমগ্র ইউরোপজুড়ে এই বিপ্লব নতুন অনেক রাজনৈতিক চিন্তাধারার বিকাশ ঘটায়। ফলে ইউরোপীয় দেশগুলোতে দ্রুততার সঙ্গে গণতান্ত্রিক মতাদর্শ ছড়িয়ে পড়ে। গণতান্ত্রিক মতাদর্শ বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে পশ্চিম-ইউরোপের দেশগুলো ছিল সবচেয়ে এগিয়ে। [২৪]
এ সবগুলো উপাদানই মূল ইউরোপের সামনে—বিশেষ করে পশ্চিম-ইউরোপের সামনে এশিয়া ও আফ্রিকার অনুন্নত দেশগুলোর কাঁচামাল ও সম্পদ জবরদখল করে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার সুবর্ণ সুযোগ এনে দেয়।
খ্রিষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দী থেকেই ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রগুলো এশিয়া ও আফ্রিকায় তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত করে নেয়। এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশে প্রাকৃতিক সম্পদ ও বিভিন্ন কাঁচামালের এমন সমাহার ছিল, ইউরোপ বহুকাল পর্যন্ত যার নামও জানত না ঠিকমতো। ফলে এ দেশগুলোর দুর্বলতা ও পশ্চাদ্‌মুখিতার সুযোগ নিয়ে ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রগুলো এসব দেশের সম্পদ কুক্ষিগত করে নেয় এবং নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে থাকে। আর বাস্তবতা তো এটাই যে, ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোর উন্নতির নেশা ও শিল্পে বিপ্লব ঘটানোর এই আশাই এশিয়া ও আফ্রিকায় তাদের ঔপনিবেশিক অভিযানকে আরও ত্বরান্বিত করে।
তথ্যসূত্র :
[২৩] ড. আবদুল আজিজ আশ-শানাবি, উরুব্বা ফি মাতলায়িল কারনিল হাদিসা : ৭৮।
[২৪] ড. আবদুল বাসিত হাসান আবদুল আজিজ, তারিখু উরুব্বা আল-হাদিস : ৭৮।
প্রকাশিতব্য বই : এশিয়া ও আফ্রিকায় ইউরোপের উপনিবেশ
ইন্তিফাদা বুকস
নতুন প্রজন্মের প্রকাশনা

একবার পুলিশের ধাওয়া খেয়ে আমি যাত্রাবাড়ী কাঁচামালের আড়তের দিকে দৌঁড় দিলাম। আমি খেয়াল করিনি রাস্তার মাঝখানে কোনো একটা আঠাল...
27/07/2025

একবার পুলিশের ধাওয়া খেয়ে আমি যাত্রাবাড়ী কাঁচামালের আড়তের দিকে দৌঁড় দিলাম। আমি খেয়াল করিনি রাস্তার মাঝখানে কোনো একটা আঠালো পদার্থ পড়ে ছিল। তো দৌঁড় দিতে গিয়ে পিছলে গেলাম। তারপর কোনোরকম উঠে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু ততক্ষণে আমার উভয় পা এবং জুতায় ওই পদার্থ লেগে একদম জমে যাওয়ার পরিস্থিতি। সম্ভবত রং টাইপ কিছু ছিল। একে তো হাঁটতে পারছিলাম না, জুতাভর্তি হয়ে আছে আঠালো পদার্থ দিয়ে, আবার জুতা ধোয়ার জন্য পানিও পাচ্ছি না। এমন সময় এদিক-ওদিক তাকিয়ে আমি পানি খুঁজছি, ঠিক তখনই পায়ে কারো হাতের স্পর্শ পাই। নিচের দিকে তাকাতেই দেখি আমার বাবার বয়সী এক ভদ্র লোক তার গলার গামছা দিয়ে আমার জুতা পরিষ্কার করছেন বসে বসে। আমি তাকে দুই হাত দিয়ে বাঁধা দেওয়ার ট্রাই করি, কিন্তু সে আমার কথা তো শুনেই না উল্টো আমাকে বলে, বাবা শুনো! তোমরা আমার দেশকে সংস্কারের জন্য লড়ছ, আমি কি তোমার জন্য এতটুকু করব না? মুরুব্বীর এই কথা শুনে ইনস্ট্যান্ট আমার চোখে পানি চলে আসে।
বই : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে কওমী মাদ্রাসা ও আলেম সমাজ
ইন্তিফাদা বুকস
নতুন প্রজন্মের প্রকাশনা

এই মুহূর্তে, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গোরস্তানের নাম ‘সিরিয়া’। এক দশকের গৃহযুদ্ধে এখানে প্রাণ হারিয়েছে দশ লাখেরও বেশি মানুষ। ১ ...
27/07/2025

এই মুহূর্তে, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গোরস্তানের নাম ‘সিরিয়া’। এক দশকের গৃহযুদ্ধে এখানে প্রাণ হারিয়েছে দশ লাখেরও বেশি মানুষ। ১ কোটি ৮০ লাখ জনসংখ্যার এই দেশে প্রায় সোয়া এক কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত! ৭০ লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। যে দেশের শিশুরা পালাতে গিয়ে দূর-দেশের সমুদ্র সৈকতে বালিতে মুখগুঁজে পড়ে থাকে, সেই দেশটির নাম সিরিয়া। আমরা বলি, পবিত্র ভূমি। সাহাবা ও উম্মতের শ্রেষ্ঠ প্রজন্মের পদচারণায় সমৃদ্ধ এই দেশটি আজ রক্তাক্ত ও ক্ষত-বিক্ষত। কিন্তু কেন এমন হলো? কার অভিশাপের আগুনে পুড়ে ছাই হলো হাশরের ময়দান!
বিস্তারিত জানতে পড়ুন—
সিরিয়া: বিপ্লবী জিহাদের আদ্যোপান্ত (প্রকাশিতব্য)
ইন্তিফাদা বুকস
নতুন প্রজন্মের প্রকাশনা

৫ তারিখে লংমার্চ টু ঢাকার জন্য ঢাকার দক্ষিণ প্রবেশদ্বার দিয়ে যারা আসছিল তারা সব সাইনবোর্ডের ওদিকে আটকা ছিল। পুলিশ কাজলা ...
26/07/2025

৫ তারিখে লংমার্চ টু ঢাকার জন্য ঢাকার দক্ষিণ প্রবেশদ্বার দিয়ে যারা আসছিল তারা সব সাইনবোর্ডের ওদিকে আটকা ছিল। পুলিশ কাজলা পর্যন্ত বেরিক্যাট কাটাতার দিয়ে রেখেছিল। আন্দোলনকারীরা কিছুতেই ঢুকতে পারছিল না। এদিকে ৪ তারিখ রাতে প্রচণ্ড গোলাগুলি করে পুলিশ। ফলে সকাল থেকেই বেশ আতঙ্কে ছিল সবাই। এমন সময় ৩টা গুলির আওয়াজ আসে। এই গুলিতে ২জন ভাই শহীদ হয়। হঠাৎ মাদ্রাসার একটা ছেলে আসে। পুরো শরীর রক্তে রঞ্জিত। মাকসুদ নাম তার। সবাই মনে করে কিছুক্ষণ আগে ছোঁড়া গুলিতে সে আহত হয়েছে। মূলত, গুলিতে দুজন শহীদ হন তাদের একজনের পাশে মাকসুদ ছিল। সেখান থেকেই তার পুরো শরীর রক্তে মেখে যায়। এটা মোটামোটি ১২টার আশেপাশের ঘটনা। নামাজের সময় হয়ে আসে। এসময় রকিব মুহাম্মদ ভাই যিনি সাধারণ আলেম সমাজের সদস্য সচিব। সাধারণ আলেম সমাজের কথা সামনে আসবে। তিনি একটা হ্যান্ড মাইক নিয়ে উপস্থিত ছাত্র জনতা ও পুলিশদের উদ্দেশ্যে একটা বক্তব্য দেন। পুলিশদের ডিরেক্ট বলেন, ১০ মিনিটের মধ্যে রাস্তা ফাঁকা না করলে কুতুবখালিতে থাকা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসে সামনে অগ্রসর হবে। যাত্রাবাড়ি থানার অধিকাংশ পুলিশ সদস্যের পরিবার কুতুবখালি এলাকাতেই থাকত। ছাত্রবা তাদের ডিটেইলস খোঁজ নিয়ে রেখেছে। তো সত্যি সত্যি পুলিশ সদস্যরা ১০ মিনিটের মধ্যে রাস্তা থেকে সরে যায়।
এরপর জোহর নামাজ শেষ করে সকল ছাত্র একসাথে বের হয়ে যায়। রক্ত মাখা মাকসুদ গেটে দাঁড়িয়ে থাকায় ছাত্রদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এরপর ছাত্ররা সকলে বের হয়ে স্টিলভবনের কাছে জমা হয়। সেখানে প্রখ্যাত বক্তা হাবিবুর রহমান মিসবাহও ছিলেন। তিনিও তার ছাত্র মুহিব্বিনদের নিয়ে আন্দোলনে মাঠে ছিলেন। সবাই যখন একসাথে এগিয়ে যেতে লাগে তখন আশেপাশে গুলি এসে লাগতে থাকে।
আমি এই ঘটনাগুলো মাওলানা ইউসুফ আহমাদ ভাইয়ের থেকে শুনে লিখছি। তিনি যাত্রাবড়িতে সম্মুখসারীর যোদ্ধা ছিলেন। তিনি বলেন যখন গুলি আসতে শুরু করে তখন আমরা সকলে কালিমা পড়ে নিয়েছি। কার গায়ে কখন গুলি এসে লাগে বলাতো যায় না। এভাবে থানার কাছাকাছি আসতে পুলিশ সব ভেতরে ঢুকে যায়। সেনাবাহিনী রাস্তা ফাঁকা করে দেয়।
এই মিছিলের অগ্রভাগ সায়দাবাদ পৌঁছ প্রায় ৩টা বেজে গেছিল তখন। হাসিনা অলরেডি পালিয়েছে। মিছিলের লাইন বিশাল লম্বা। ছাত্র জনতা আসছে লাখে লাখে। সে সময় যাত্রাবাড়ি থানার সামনে পুলিশ অতর্কিতভাবে গ্রেনেড ছুড়ে। ফলে মুহূর্তেই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এই ভিডিওটা অলরেডি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সব যখন ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় তখন পুলিশ বের হয়ে সরাসরি গুলি ছুঁড়ে। সেদিন শুধু যাত্রাবাড়ি বড় মাদ্রাসার দাওরা হাদিসের ২১৩ জন আহত হয়, মেশকাতে ২৪ জন, অন্যান্য জামাতে ২৪ জন আহত হয়। এছাড়া আশেপাশের কয়েক মাদ্রাসার ছাত্র আহত নিহত হয়। জামিয়াতু ইব্রাহিমের ছাত্র শহীদ খুবাইব রহ.। সেদিন পুলিশের নির্মমতায় শাহাদত বরণ করেন তার আলোচনা সামনে আসবে।
শেখ হাসিনা তো পালিয়ে গেল সেদিনই। কিন্তু যাওয়ার আগে কতগুলো প্রাণ নিয়ে তারপর গেল। যাত্রাবাড়ি বড় মাদ্রাসার প্রায় অর্ধশত ছাত্র এখনো সস্তির সাথে ক্লাসে ফিরতে পারেনি। কতজন এখনো হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে দৌড়াচ্ছে। আল্লাহ আমাদের ভাইদের শাহাদাত কবুল করুন। আহত ভাইদের দ্রুত সুস্থ করে দিন।
বই : জুলাই গণঅভ্যুত্থান কওমী মাদ্রাসা ও আলেম সমাজ
ইন্তিফাদা বুকস
নতুন প্রজন্মের প্রকাশনা

আদিকাল থেকে পৃথিবীর প্রায় সব সংঘাতের কেন্দ্রে রয়েছে মাটি। মানুষ শুধু বেঁচে থাকার জন্য নয়, পরিচয়, নিরাপত্তা ও ক্ষমতার জন্...
26/07/2025

আদিকাল থেকে পৃথিবীর প্রায় সব সংঘাতের কেন্দ্রে রয়েছে মাটি। মানুষ শুধু বেঁচে থাকার জন্য নয়, পরিচয়, নিরাপত্তা ও ক্ষমতার জন্যও মাটির দখলে লড়েছে। রাজতন্ত্র থেকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, সাম্রাজ্যবাদ থেকে স্নায়ুযুদ্ধ—সবকিছুই ভূমির মালিকানা, সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ ও সম্পদের দখলকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে।
এই অমিত শক্তির নামই ভূরাজনীতি। শক্তিধর কে, দুর্বল কে—তা নির্ধারণ করেছে ভূগোল ও সম্পদের কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ। বিশ্বজুড়ে সংঘাত-সমঝোতা, শত্রুতা-মৈত্রী, যুদ্ধ-শান্তি—সবই ভূরাজনীতির দাবার বোর্ডে একেকটি চাল মাত্র। এই খেলা যে ভালো বোঝে, সে-ই রাজনীতির ঝানু খেলোয়াড়। ভূরাজনীতির বোদ্ধা পাঠক সহজেই ধরতে পাবেন, কোন ঘটনা কেন ঘটেছে এবং আগামীতে কী ঘটতে পারে। তাই, রাজনৈতিক অস্থিরতার এই যুগে ভূরাজনীতি বোঝা শুধু নীতিনির্ধারকদের জন্য নয়, বরং প্রতিটি সচেতন নাগরিকের জন্য অপরিহার্য।
ভূরাজনীতি কত প্রকার ও কী কী? কীভাবে এটি আমাদের ভবিষ্যৎকে পরিবর্তন করে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত? উদাহরণসহ উঠে এসেছে এই বইয়ে।
বই : বর্ডার ওয়ার'স
ইন্তিফাদা বুকস
নতুন প্রজন্মের প্রকাশনা

মুসলিমদেরকে যারা বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে দমন করতে চায়, তারা অনেকদিন থেকেই মুসলিম নারীদের অবস্থাকে তাদের প্রধান হাতিয়ার বানিয়েছ...
26/07/2025

মুসলিমদেরকে যারা বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে দমন করতে চায়, তারা অনেকদিন থেকেই মুসলিম নারীদের অবস্থাকে তাদের প্রধান হাতিয়ার বানিয়েছে, বিশেষত হিজাব। ঔপনিবেশিক সময়কালে মিশরে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক কর্মকর্তারা তাদের উপনিবেশবাদ বৈধ করার জন্য মুসলিম নারীদের পর্দা এবং ইসলামে নারীদের অধিকারের কথা বলতেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বুশ প্রশাসন ইরাক যুদ্ধ শুরু করার মূল কারণ হিসেবে নারী মুক্তির কথা বলেছে। উপনিবেশবাদ-বিরোধী দার্শনিক এবং বিপ্লবী ফ্রাঞ্জ ফ্যাননের মতে, ঔপনিবেশিক আমলে আলজেরিয়ায় ফরাসি রাজনৈতিক নীতি ছিল—‘আলজেরিয়ায় সামাজিক কাঠামো ধ্বংস করতে এবং তাদের প্রতিরোধ-ব্যবস্থাকে নিষ্ক্রিয় করতে হলে প্রথমেই নারীদের দিকে নজর দিতে হবে। নারীদের অবশ্যই পর্দার আড়াল থেকে বের করে আনতে হবে, যেখানে তারা নিজেদের লুকিয়ে রাখে।’[৭]
ঔপনিবেশিক সময় থেকে শুরু করে বর্তমান উদার পাশ্চাত্যেও একইভাবে বিভিন্ন সময় মুসলিম নারীর নিকাবকে নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে অন্যদের মধ্যে মুসলিমদের প্রতি ভয় এবং তাদের সাথে দূরত্ব তৈরি করা হয়েছে। গত বছর যুক্তরাজ্যে এমপি স্যারাহ ওলাস্টন (Sarah Wollaston) প্রকাশ্যে স্কুলগুলোতে নিকাব নিষিদ্ধের আহ্বান জানান। যার কারণে দেশব্যাপী নিকাবের বিষয়টি নতুনভাবে আলোচনায় আসে। সে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়নি কিন্তু সামাজিকভাবে নিকাব যে নিষিদ্ধ করা উচিত এমন ধারণার বীজ জনমানসে বুনে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে জাতীয় বিতর্কের নামে এবং সংবাদপত্রে ‘সভ্য সমাজের কি নিকাবের বিষয়টি কঠোরভাবে নেওয়া উচিত না?’ এমন শিরোনাম প্রকাশের মাধ্যমে সেই বীজের পরিচর্যা করে চলছে। বিভিন্ন কারণ ও অজুহাত দেখিয়ে এ জাতীয় নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিকতা নিয়ে মানুষের মনে ধারণা আরও বদ্ধমূল করা হয়েছে। মানুষকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে—নিষিদ্ধ না করলেও অন্ততপক্ষে নিকাবকে দৃঢ়ভাবে নিরুৎসাহিত করা উচিত।
নিকাব-বিরোধীরা নিকাবকে নারীর সুরক্ষা এবং ব্যক্তিগত পরিচয়ের পথে বাধা হিসেবে দেখে। নিপীড়িত হওয়া, কাজে বাধাগ্রস্ত হওয়া এবং এমনকি নিকাবের উপস্থিতিতে আশেপাশের লোকজনের অস্বস্তিবোধ-সহ নিকাবের বিপক্ষে যুক্তি হিসাবে এমন হাজারো অজুহাত দেখায় তারা।
গত সপ্তাহে লন্ডনে উদার দৃষ্টিভঙ্গি পোষণের জন্য বিখ্যাত এমন একটি স্কুলে একজন শিক্ষার্থীর নিকাবকে নিষিদ্ধ করা হয়। কর্তৃপক্ষ দাবি করে যে ছাত্র-শিক্ষকের খোলামেলা আলোচনায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় এমন যেকোনো পোশাকের বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা নেবে। সেই সাথে অস্ট্রেলিয়াতেও ‘নিরাপত্তার’ উদ্দেশ্যে সংসদে নিকাব পরিহিতা নারীদের আলাদা করা হয়েছে। শর্তে বলা হয়েছে যে যদি কোনো মুসলিম নারী ক্যানবেরায় সংসদীয় কার্যক্রম দেখতে চায়, তবে তাকে আলাদাভাবে কাচের রুমে বসে দেখতে হবে। শুধু তাই নয়, নিকাব পরিহিতা নারীকে সব ধরনের চেক করা হলেও তাকে সেই কাচের রুমের মধ্যে অবস্থান করতে হবে। অথচ এসব কাচের রুমে বাচ্চারাও থাকে। মূলত স্কুলের বাচ্চাদের জন্য এ রুম নির্ধারিত। যদি এই নারীরা আসলেই নিরাপত্তা ঝুঁকি হয়ে থাকে, স্কুলের বাচ্চাদের সাথে একই রুমে কেন তাদেরকে রাখা হয়? আসলে এটি একান্তই নিকাব ও শারিআহর প্রতি ঘৃণা থেকে করা হয়।
To cover up, or to cover-up?
উদারপন্থী দেশগুলো পর্দার ওপর নিষেধাজ্ঞার পক্ষে জনসাধারণের সমর্থন পাওয়ার জন্য অনেক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে আসছে। এসব পরিকল্পনাসমূহ তাদের নীতির সাথেই সাংঘর্ষিক। নিকাব পরিহিতা নারীদেরকে তারা বিভ্রান্তকারীদের শিকার কিংবা ভুক্তভোগী হিসেবে আলাদা শ্রেণিভুক্ত করে এবং তাদেরকে উদ্ধারের স্লোগান দেয়। এটা স্পষ্ট যে তাদের এমন দাবির মূলে অন্য কোনো গোপন উদ্দেশ্য আছে।

নিকাবের বিরুদ্ধে স্ব-বিরোধী যুক্তিগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরছি—

• ‘নিকাবের মাধ্যমে পুরুষকে ‘যৌন উত্তেজক’ হিসেবে ছোট করা হয়, আবার পুরুষরাই নিকাব পরতে নারীদেরকে বাধ্য করে’, তার মানে কি তাহলে পুরুষরা নিজেদের ছোট করার জন্য নারীদের ওপর নিকাব আরোপ করেছে?
• ‘নিকাব নারীদের নিজ পরিচয়ে পরিচিত হতে না দিয়ে অন্তরালে পাঠিয়ে দেয়’, কিন্তু ওই একই লোকেরা আবার দাবি করে যে নিকাব পরিহিতা নারীদের দিকে সকলের নজর যাচ্ছে এবং নিকাব পরিহিতা নারীদের দেখে ‘জনগণ ভীত’।
• ‘নিকাব নারীদের ওপর তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়’, এ কারণে কি যেসব নারী নিকাব পরতে চায় তাদেরকেও জোর করে নিকাব থেকে বের করে আনতে হবে?
• ‘নিকাব নারীদের ব্যক্তিজীবনের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বাধা’, কাজেই একজন নারী যদি নিকাব পরতে চায় তবে তার সে পছন্দকেও অস্বীকার করা উচিত?
• ‘নিকাব নারীকে যৌন বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করে’, তাই মুসলিম নারীদের আরও খোলামেলা পোশাক পরতে এবং তাদের নগ্নতাকে প্রকাশ করতে বাধ্য করা উচিত? সে ক্ষেত্রে নারী যৌন বস্তু হবে না?
• ‘নিকাব একজন নারীকে অসামাজিক করে তোলে’, কাজেই নিকাবকে হয় নিষিদ্ধ করতে হবে অথবা তাদেরকে বাড়িতে আবদ্ধ করতে হবে?
• ‘নিকাব নারীর যোগাযোগকে বাধাগ্রস্ত করে’, বিশেষত যখন কোনো নিকাব পরিহিতা নারী আমাদের সাথে অন্য কোনো উপায়ে যোগাযোগ করতে চায়। মুখ খুলে না আসলে কথা বলতে না পারাটা কীসের ইঙ্গিত দেয়?
• ‘নিকাব পরিহিতা একজন নারী নিপীড়িত এবং তাঁর কোনো মূল্য থাকে না’, কিন্তু তারাই বলেন নিকাব পরিহিতা নারীরা নাকি ‘বিপজ্জনক এবং প্রতারক’।
• ‘নিকাবের ফলে নারীদের স্বাভাবিক যৌন চাহিদাকে বিপজ্জনক মনে হয়’। যারা নিপীড়িত তারাই আবার বিপজ্জনক?
• ‘নিকাবকে নারীর যৌনতা নিয়ন্ত্রণের জন্য উদ্ভাবন করা হয়েছে’, পাশাপাশি তারা নিকাবকে পুরুষের যৌনতা নিয়ন্ত্রণের বিকল্প হিসেবেও দেখে।
• ‘নিকাব পুরুষের জন্য চরম অবমাননাকর। কেননা নিকাব প্রমাণ করে যে পুরুষেরা নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষম নয়’—হ্যাঁ, একই কারণে একটি দরজার তালা যেকোনো অপরিচিত ব্যক্তির জন্য অবমাননাকর।
• ‘নিকাব নারীর দেহ নিয়ে সামাজিক উদ্‌বেগের প্রতীক’, কাজেই চলুন নারীদের দেহ নিয়ে জাতীয় বিতর্কের আয়োজন করি।(!)

টেলিগ্রাফে যখন ‘সভ্য সমাজের কি উচিত না নিকাবের বিষয়টি কঠোরভাবে নেওয়া?’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলো তখন তারা কি ভেবেছিল ‘অসভ্য’ মুসলিমরা নিজেদের ঈমানের সাথে আপস করে যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়াই শুধু তারা বলেছে বলে মেনে নেবে? তাদের নিজেদের দাবিই প্রমাণ করে যে নিকাবের বিরুদ্ধে দ্বন্দ্ব আসলে নিকাবকে নিয়ে নয়। যেমনটা ভিক্টর হুগো লিখেছিলেন, ‘পুণ্যের একটি পর্দা থাকে আর বিদ্বেষের থাকে মুখোশ’। আর আমরাও সামনে দেখতে পাব যে পর্দার বিরুদ্ধে অভিযানের মুখোশের আড়ালে এক নোংরা বিদ্বেষ লুকিয়ে আছে। কেবল নিকাব পরিহিতা নারীর আশপাশের কয়েকজন অস্বস্তি বোধ করে বলে তারা নিকাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়নি। পর্দার বিরুদ্ধে এটি কোনো যৌক্তিক কারণ হতে পারে না। বরং লিবারেলিজম আসলে তার সাথে মৌলিকভাবে সাংঘর্ষিক আদর্শ ইসলামের প্রতিই বিদ্বেষ লালন করে। ইসলাম হলো আল্লাহর দাসত্ব, তাকেই সর্বেসর্বা বলে মানা। আর লিবারেলিজমে ব্যক্তিই সব, সর্বেসবা। (Individualism)
তথ্যসূত্র :
[৭] Fanon, Frantz, “Algeria Unveiled”, in Dying Colonialism (New York: Grove Press, 1965), pp37-38
বই : বিহাইন্ড ফেমিনিজম
Intifada Books
নতুন প্রজন্মের প্রকাশনা

হাদিদ বিন হাবিব ভাইয়ের সংগ্রহে থাকা ইন্তিফাদা বুকসের বইগুলোর ছবি। বারাকাল্লাহু ফিক। আপনার সংগ্রহে আমাদের প্রকাশনীর কয়টি...
25/07/2025

হাদিদ বিন হাবিব ভাইয়ের সংগ্রহে থাকা ইন্তিফাদা বুকসের বইগুলোর ছবি। বারাকাল্লাহু ফিক।
আপনার সংগ্রহে আমাদের প্রকাশনীর কয়টি বই আছে?
ইন্তিফাদা বুকস
নতুন প্রজন্মের প্রকাশনা

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর...
25/07/2025

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমু’আহর দিনই হচ্ছে সর্বোত্তম। আদম (আ)-কে এদিনেই সৃষ্টি করা হয়েছিলো। এদিনই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিলো। এদিনই তাঁর তওবা কবুল হয়েছিলো। এদিনই তিনি ইন্তিকাল করেছিলেন এবং এদিনই ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) সংঘটিত হবে। জিন ও মানুষ ছাড়া প্রতিটি প্রাণী শুক্রবার দিন ভোর হতে সূর্যোদয় পর্যন্ত কিয়ামতের ভয়ে ভীত থাকে। এদিন এমন একটি বিশেষ সময় রয়েছে, সালাতরত অবস্থায় কোন মুসলিম বান্দা মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে কোন অভাব পূরণের জন্য দু’আ করলে মহান আল্লাহ তাকে তা দান করেন। কা’ব বললেন, এ সময়টি প্রতি এক বছরে একটি জুমু’আহর দিনে থাকে। আমি (আবূ হুরাইরাহ) বললাম, না, বরং প্রতি জামু’আহর দিনেই থাকে। অতঃপর কা’ব (এর প্রমাণে) তাওরাত পাঠ করে বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্যই বলেছেন।

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন, অতঃপর আমি ’আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি অবহিত করি। সেখানে কা’ব (রাঃ)-ও উপস্থিত ছিলেন। ’আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) বললেন, আমি দু’আ কবুলের বিশেষ সময়টি সম্পর্ক জানি। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, আমাকে তা অবহিত করুন। তিনি বলেন, সেটি হলো জুমু’আহর দিনের সর্বশেষ সময়। আমি (আবূ হুরাইরাহ) বললাম, জুমু’আহর দিনের সর্বশেষ সময় কেমন করে হবে? অথচ রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’’যে কোন মুসলিম বান্দা সালাতরত অবস্থায় ঐ সময়টি পাবে...।’’ কিন্তু আপনার বর্ণনাকৃত সময়ে তো সালাত আদায় করা যায় না। ’আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বলেননি, যে ব্যক্তি সালাতের জন্য বসে অপেক্ষা করবে সে সালাত আদায় না করা পর্যন্ত সালাতরত বলে গণ্য হবে। আবূ হুরাইরাহ বলেন, আমি বললাম, হ্যাঁ। ’আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) বললেন, তা এরূপই।

সুনান আবু দাউদ : হাদিস নং ১০৪৬।

আমরা যখন পোস্তগোলা ব্রিজে আসি তখন পুরো জুরাইন বাজারে খবর যায় যে, ফরিদাবাদের ছাত্ররা মাঠে নেমেছে। মূলত, আন্দোলনের সময়ে জু...
24/07/2025

আমরা যখন পোস্তগোলা ব্রিজে আসি তখন পুরো জুরাইন বাজারে খবর যায় যে, ফরিদাবাদের ছাত্ররা মাঠে নেমেছে। মূলত, আন্দোলনের সময়ে জুরাইনের ব্যবসায়ীরা চাইলেও পুরোপুরি মাঠে নামতে পারেনি। আশেপাশে তেমন কোনো ইউনিভার্সিটি না থাকায় একসাথে অধিক জনবল তাদের জড়ো করা কঠিন ছিল। কিন্তু মাদ্রাসার ছাত্ররা যখন বের হয়ে আসল তখন তাদের জন্য এটা বিশেষ সুযোগ হয়ে দাঁড়ায়।
আমরা পোস্তগোলা ব্রিজ আসতে আমার বন্ধু কিফায়েতুল্লাহ বিন সাইফের স্যান্ডেল ছিঁড়ে গেল। আমি আর সে জুরাইন বাজার গেছিলাম জুতা কিনতে। তখন দেখি সব দোকানদার দোকান লাগাচ্ছে। সবাই বলছিল, মাদ্রাসার হুজুররা আসছে, চল সবাই হুজুরদের সাথ দিই। আমাদেরকে কয়েকজন দোকান মালিক খুব বাহবাহ দিলো। বলল, হুজুর আমরা আসতেছি। অবাক করা ঘটনা হচ্ছে, কিফায়েতের জুতা যে দোকান থেকে নিছিলাম, হাজার বারোশ টাকার জুতা। সে মাত্র ৫শ টাকায় আমাদের দিয়ে দিয়েছিল। এই ঘটনা বললাম জাস্ট সেসময়ে জুরাইনের ব্যবসায়ীদের অবস্থা বোঝানোর জন্য।
বই : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে কওমী মাদ্রাসা ও আলেম সমাজ
Intifada Books
নতুন প্রজন্মের প্রকাশনা

24/07/2025

সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টি (টিআইপি)-এর একটি অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র ডিপোতে ড্রোন হামলা/এয়ারস্ট্রাইকের পরবর্তী চিত্র। প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, ইসরায়েল এই হামলা চালিয়েছে।

প্রশ্ন হতে পারে, ইদলিবে চীনের শিনচিয়াং/ইস্ট তুর্কিস্তান এর “উই°ঘুর” সশস্ত্র গোষ্ঠী টিআইপি ইদলিবে কীভাবে গেল আর কেনই বা গেল?

জানতে হলে পড়তে হবে Intifada Books এর ❝দ্য ওয়ার অন দি উইঘুরস❞

লেখক : শন রবার্টস
অনুবাদক : আশফাক রেশাদ
সম্পাদক: মোস্তফা আল হোসাইন আকিল
পৃষ্ঠা : 182
কভার : হার্ড কভার

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনে হামাসই একমাত্র নাম নয়, বরং এর আগে এর চেয়ে ক্যারিশমেটিক অনেক দলের উপস্থিতি ছিল; কিন্তু সেই স...
24/07/2025

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনে হামাসই একমাত্র নাম নয়, বরং এর আগে এর চেয়ে ক্যারিশমেটিক অনেক দলের উপস্থিতি ছিল; কিন্তু সেই সব নাম এখন কেবল ইতিহাসের পাতায় খুঁজে পাওয়া যাবে। পৃথিবীর মানুষ তো বটেই, খুব সম্ভবত ফিলিস্তিনের নতুন প্রজন্মও তাদের মনে রাখেনি। কিন্তু সেই জায়গায় হামাস এত বেশি ব্যতিক্রম ও স্বতন্ত্র যে, খুব কাছাকাছি সময়ে তাদের হারিয়ে যাবার আশঙ্কা তো নেই-ই, এমনকি হারিয়ে গেলেও পৃথিবীর মানুষ শীঘ্রই তাদের ভুলবে না। কিন্তু কী এমন জাদু আছে হামাসের মধ্যে?
দায়িত্ব নিয়েই বলছি যে, ছোট্ট এই বইটি থেকে আগ্রহী পাঠক হামাসের এই বিপুল শক্তির উৎস এবং ক্যারিশমেটিক সাফল্যের রহস্য সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবেন। পাশাপাশি হামাসের আদর্শিক জায়গা, ভেতর ও বাইরের কৌশলগত অবস্থান, বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ কাঠামো, সামাজিক রাজনৈতিক ও সামরিক কর্মপন্থা, আন্তর্দলীয় ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, নেতৃত্বের স্তর, মানদণ্ড ও উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের সংক্ষিপ্ত কর্মজীবনী-সহ হামাসের সকল দিক ও সকল কলকব্জার এমন সংক্ষিপ্ত ও সমৃদ্ধ বিবরণ এই বইয়ে উঠে এসেছে যে, পাঠ শেষে একজন পাঠকের এক মুহূর্তের জন্য মনে হতে পারে—এখন চাইলে আমিও হামাসের মতো একটা কিছু দাঁড় করিয়ে ফেলতে পারব!
Intifada Books
নতুন প্রজন্মের প্রকাশনা

প্রতি রাতেই ক্রন্দনরত মেয়েরা আমার বিছানার পাশে জড়ো হতো। তাদের ঘনকালো চোখগুলো ছিল চওড়া। তাদের চুল ছেঁটে দেওয়া হয়েছিল। তার...
24/07/2025

প্রতি রাতেই ক্রন্দনরত মেয়েরা আমার বিছানার পাশে জড়ো হতো। তাদের ঘনকালো চোখগুলো ছিল চওড়া। তাদের চুল ছেঁটে দেওয়া হয়েছিল। তারা কেঁদে কেঁদে অনুনয় করে বলত, 'বাঁচান, প্লিজ, বাঁচান আমাদের!'
স্বৈরাচারী শাসনের সবচেয়ে মারাত্মক ভুক্তভোগী হয় নারী। অসহায়ত্ব ও লজ্জা নামক পিশাচের ভয় দেখিয়ে তারা আমাদের দমন করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। তারা আমাদের ওপর যে ক্ষতের সৃষ্টি করেছে, সেজন্য আমাদের লজ্জিত হওয়া উচিত নয়। আমার দায়িত্ব এখন সেই সত্যকে উন্মোচন করা। তাই আমি নিজের পায়ে শক্ত হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। কিন্তু আমি আজ নিথর, লাশের মতো প্রাণহীন।
বন্দিশিবিরের সেই জীবনের পর আমি মাঝে মাঝেই বিছানা থেকে উঠতে পারি না। সেখানে বরফশীতল কংক্রিটের মেঝেতে বহুদিন আমাকে ঘুমোতে হয়েছে।
হাত-পা আর গিরার সেই অসহ্য যন্ত্রণা আমাকে আজও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। একসময়কার প্রাণবন্ত এক যুবতী এখন ৪৩ বছরের এক অসুস্থ, রুগ্ন মহিলা। কিছু সময়ের জন্য অস্বস্তিকর ঘুমে ডুব দিলেও দুঃস্বপ্ন এখনো আমাকে জাগিয়ে তোলে।
সেই উঁচু কাঁটাতারের বেড়ার পেছনে থাকা নারী, শিশু, পুরুষ, বৃদ্ধ—তাদের একমাত্র অপরাধ ছিল কাজাখ, উইঘুর বা পূর্ব-তুর্কিস্তানে মুসলিম হয়ে জন্মগ্রহণ করা। ফাতিমা, হুসাইনের মতো মুসলিম নাম থাকাই তাদের জন্য কাল হয়েছে।

বই : দ্য চিফ উইটনেস
Intifada Books
নতুন প্রজন্মের প্রকাশনা

Address

Fulbaria

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Intifada Books posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Intifada Books:

Share

Category