
11/07/2025
ভিডিওতে দেখা যায়—রক্তাক্ত, প্রায় বিবস্ত্র সোহাগকে কয়েকজন দুষ্কৃতি টেনে-হিঁচড়ে এনে রাস্তার মাঝখানে ফেলে দেয়। এরপর ভারী ইট-পাথর দিয়ে একের পর এক আঘাত করে, তার মাথা ও শরীর থেঁতলে দেয়। সবকিছু ঘটে দিনের আলো ফুরানোর ঠিক আগ মুহূর্তে, ব্যস্ত জনপদের এক কোণে—যেখানে মানুষ ভয়ে তাকিয়ে ছিল, কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। ভয়ে, কেমন মিল পাচ্ছেন না?
বলা হচ্ছে, সোহাগ জীবিত ছিলেন অনেকক্ষণ—মাথায় গুরুতর আঘাতের পরও, হৃদয়বিদারক যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন। কিন্তু কেউ তাকে বাঁচাতে আসেনি। কেউ সাহস করেনি। কারণ এই হামলার মূল হোতা মঈন—যিনি স্থানীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী—ছিলেন একজন প্রভাবশালী চাঁদাবাজ। চাঁদাবাজরা চালাচ্ছে দেশ? নাকি বিএনপি?
নিহতের বন্ধু মামুন বলেন, “গত দুই-তিন মাস ধরে মঈন প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের চাঁদা চাইত। সোহাগ টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় প্রায় দুই মাস আগে দোকানের সামনে এসে বলে—তোকে দেখে নেব।”
এই হুমকিই শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর পরিণতিতে গড়াল।
বুধবার সন্ধ্যায় সুযোগ পেয়ে মঈন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে সোহাগকে আক্রমণ করে।
জানা গেছে, মঈনের বিরুদ্ধে হাসপাতালের ফুটপাত ও কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগেও সে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার দালালি করে। দল ১৫ বছর ক্ষমতার বাইরে, তারপরও।
বাংলাদেশ কবে বদলাবে?