Love City

Love City ☬●▬▬๑♦️๑▬▬●☬
━━❖❖❖❖━━

তোগো GF/BF এর কসম
follow না'দিয়ে যাইস না
☬●▬▬๑♦️๑▬▬●☬

– শুনছো? বাবুটা খুব কাঁদছে।– ঠিক করে খাওয়াও, ঘুমিয়ে পড়বে।– আমি সারাদিন একটু বিশ্রাম পাই না আর রাতে এভাবে কাঁদে। তুমি ...
20/06/2025

– শুনছো? বাবুটা খুব কাঁদছে।
– ঠিক করে খাওয়াও, ঘুমিয়ে পড়বে।
– আমি সারাদিন একটু বিশ্রাম পাই না আর রাতে এভাবে কাঁদে।
তুমি তো একটু…
– তোমার কী মনে হয়? আমি অফিসে সারাদিন বিশ্রাম করি? তুমি জানোনা কতটা খাটতে হয় আমাকে সারাদিন! তবুও এসে যতটুকু পারি করি, কিন্তু রাতে আমার একটু ঘুম দরকার। তুমি যদি ওকে ঘুম পাড়াতে পারো তো ভালো, না হলে ওকে নিয়ে বাইরে যাও।
– তোমার ছেলে, আর সব দায়িত্ব আমার?
– টাকাপয়সার দিক দিয়ে তো কিছুই ভাবতে দিই না, বাকি দিকগুলো না হয় একটু বেশি ভাবো। লাইট'টা অফ করে দিও।

আর কোনো কথা বলল না ঐশী। সেই ঘুরেফিরে বিষয়টা টাকায় এসেই ঠেকল, আর বরাবরের মতো ওকেই চুপ করে যেতে হলো। যাবে নাই বা কেন? এ যুগে দাঁড়িয়ে সংসারে একটা পয়সাও দিতে না পারাটা কি কোনো অপরাধের চেয়ে কম? ঋকের সংসার সামলানোর জন্যই ও চাকরি ছেড়েছিল আর আজ ওর সেই ত্যাগের কোনো দাম নেই ঋকের কাছেই।

– বউমা… এত রাতে বারান্দায়?
– মা… আসলে…
– একি! দাদুভাই এখনও ঘুমায়নি?
– না মানে… জানেনই তো রাতে ঘুমাতে চায় না, আপনার ছেলের ঘুমে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে তাই আরকি...
– ঘুমে ব্যাঘাত? বাবা হিসেবে নিজের কর্তব্য পালন করতে গেলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটবে?
– ……
– বুঝলাম, ও এখনো পুরোপুরি বাবা হয়ে উঠতে পারেনি। বউমা, তুমি সকাল হলে দাদুভাইকে রেখে তোমার বাপের বাড়ি চলে যেও তারপর আমি দেখছি।
– কী!! মা,এতটুকু বাচ্চাকে রেখে…
– ভরসা রাখো আমার উপর।

পরেরদিনের সকালটা আর রোজকার মতো সহজ হলনা ঋকের কাছে..

– ঐশীইই… এই ঐশী… আজ আমায় ডাকোনি কেন? কত দেরি হয়ে গেল উঠতে!
- ষাঁড়ের মত চেঁচাচ্ছিস কেন সকাল সকাল?
- মা..তোমার বউমা কোথায়? আজকে ডাকল না আমায় সকালে!
– কেন? দুধের শিশু তুই যে ডেকে তুলতে হবে?
– না মানে, অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে।
– বউমার বাপের বাড়িতে জরুরি কিছু কাজ ছিল, সকাল সকাল বেরিয়ে গেছে। তোর আজ অফিসে যাওয়া হবে না, ও দাদুভাইকে রেখে গেছে আর আমার যা হাঁটু-ব্যথা, সব কিছু একা সামলাতে পারব না।
– ও এতটুকু বাচ্চাকে একা রেখে চলে গেল? কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন!
– একা কোথায় রেখে গেছে? ওর বাবার ভরসায় রেখে গেছে। ব্রাশ কর আর কাজে লেগে পড়।



– চুপ কর না রে.. আর কত আদর করবো তোকে!!
– ও কি আদর খেতে চায় বলে কাঁদছে?
– বলতে তো পারে না কিছু, কী করে বুঝব কেন কাঁদছে?
– খিদে পেয়েছে, যা দুধ গরম করে নিয়ে আয়।
– আমি?
- তো কে আমি?
- যাচ্ছি যাচ্ছি।

– উফ! দুধটা কোথায় গেল!! কোথায় যে কী রাখে ঐশী… এটা বোধহয়… এই তো।

– এই নাও মা, নিয়ে এসেছি, খাইয়ে দাও।
– আমি? ও আমার কাছে খায়না। তোর ছেলে, তুই খাওয়া।
– মা, আমি এসব কোনোদিন করিনি।
– বউমাও করেনি, তাও শিখে গেছে। তুই কোথাকার কোন হরিদাস পাল?
– ………..



– এই বাবু..রান্না বসা, বেলা হচ্ছে তো।
– যাচ্ছি যাচ্ছি… তোমার নাতি চুপ'ই করছে না।
– তাই বলে রান্না করবিনা? দুপুরে খাবো কী?
- কিন্তু ওকে ফেলে...
- ফেলে কেন? কোলে নিয়ে রান্না কর।
– কী!! কোলে নিয়ে?
– হ্যাঁ, বউমা তো রোজ তাই-ই করে।
– মা, আমার সাথে তোমার বউমার তুলনা করোনা।
– কেন? ওর দুটো বাড়তি হাত আছে না পা আছে?
– না আসলে...যাচ্ছি।



– চুপ কর না রে… এত ছিঁচকাঁদুনে হয়েছিস কেন? তোর মা কী করে যে সামলায় তোকে!.. এত খাটাখাটনির পর এখন আবার তোকে ঘুম পাড়াতে হচ্ছে… ঘুমিয়ে পড় না বাবা।
– ওই ভাবে বললে ঘুমাবে? বাচ্চারা এত কথা বোঝে? দোল দে।
– সেটা কীভাবে দেয়?
– হায় ভগবান!! এক কাজ কর, এঁটো বাসন পরে আছে, মেজে দে গিয়ে। আমি ওকে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছি।
– আবার বাসন!!



– উফ! Finally রাজ্যের কাজ শেষ হলো, একদিনেই এই অবস্থা!! আমার অফিসের কাজ এর চেয়ে অনেক শান্তির। না না, আর একটা দিনও এত দায়িত্ব সামলানো যাবে না। ঐশীকে কালই গিয়ে নিয়ে আসব।
– বাবু রে… দেখলি সব কাজ কী সুন্দর করে ফেললি? কী বা এমন কাজ!! বউমা এমন একটা ভাব দেখায় যেন ও ছাড়া কেউ পারবে না এসব করতে… কিন্তু ও তো জানেনা আমার ছেলে কী!! যে বাইরের জগৎ সামলাচ্ছে ঘরের এই কটা মাত্র কাজ তার কাছে জলভাত। ও তো তাও পারেনা ঠিক মতো।
– না মা, ঐশীকে এভাবে বলো না। আমি যা করেছি অন্যায় করেছি। একদিনেই আমার এই হাল..আর ও তো রোজ করে। যেই কাজের কোনো ছুটি নেই, আয় নেই, এমনকি কদরও নেই সেই কাজ ও করে কোনো অভিযোগ না করেই আর আমি এতদিন তার কোনো মূল্যই দিইনি।
– ওর কাজ মূল্য পাওয়ার দাবি রাখে বলছিস?
- আলবৎ রাখে।
- বেশ। ওই দেখ, তোর ছেলে আবার কাঁদছে...
– আবার উঠে পড়েছে? ছোট বাচ্চাদের চোখে ভগবান কি ঘুম দেন না?



– উঠে পড়েছিস বাবু… ঐশী তুমি…
– বাচ্চাকে কোনায় বালিশ না দিয়ে কেউ একা রেখে যায়? এক্ষুনি পড়ে যেত...
– সরি, এত সব মাথায় রাখতে পারিনি।
– স্বাভাবিক। আহা রে! আমার বরটার কী হাল হয়েছে!! খুব ক্লান্ত হয়ে গেছো বলো?
– সে আর বলতে! আর একটা দিনও যদি এসব একা হাতে করতে হতো, আমি তো শেষ।
– হাহা!! আমি তা হতে দিতাম? নাও নাও এবার এসে শুয়ে পড়ো, আমি দুটো ছেলেকে একসাথে ঘুম পাড়িয়ে দিই।
– ঐশী, কাল থেকে ওকে সামলানোর দায়িত্বটা আমরা ভাগ করে নেবো। ভোর অবধি আমি দেখব, তারপর তো তুমি উঠেই পড়ো।
– পাগল নাকি? সারাদিন খেটে…
– তোমার তুলনায় আমি কিছুই খাটিনা। এইটুকু যদি করতে পারি তাও বুঝব কিছু করেছি অন্তত।
– বাব্বাহ! একদিনেই আমার বরটা কী ভীষণ কর্তব্যপরায়ণ হয়ে গেছে!
– এবার একটু ঘুম পাড়িয়ে দাও, আর তোমার ছেলেকে বলো একটু ঘুমানো প্র্যাকটিস করতে… বাবা কিন্তু অত আদর করে সারারাত দোল দিতে পারবে না।
– না পারলে মা তো আছেই। এটুকুই তো চেয়েছিলাম আমি তোমার কাছ থেকে। ভাগ্যিস মা…
– মা! মা কী করলেন আবার?
– ইয়ে মানে… ভাগ্যিস মা ছিলেন, সবটা সামলাতে তোমায় একটু সাহায্য করলেন।
– তাই বলো।

দরজার আড়াল থেকে চুপ করিয়ে দিলেন ঐশীর শাশুড়িমা তাকে। শাশুড়ি–বউমার এসব ব্যক্তিগত আলোচনার কথা কি আর সবাইকে বলা যায়? একটা প্রাইভেসি আছে না!

-মৌজানি
ছবি সংগৃহিত

অনেক নারীকেই বলতে শুনি—"পুরুষ মানুষ শুধু মেয়েদের শরীর বোঝে, মন বোঝে না।"এই কথা শুনে কখনও কখনও ভাবি—আপনার সেই সঙ্গী যদি আ...
20/06/2025

অনেক নারীকেই বলতে শুনি—
"পুরুষ মানুষ শুধু মেয়েদের শরীর বোঝে, মন বোঝে না।"

এই কথা শুনে কখনও কখনও ভাবি—
আপনার সেই সঙ্গী যদি আপনার ভালোবাসা, যত্নের মাঝেও তার শারীরিক চাহিদা পূরণ না করতে পারে,
তখন সে যদি অন্য কারো দিকে তাকায়, তখন আপনি কী বলবেন?

অভিযোগটা সবার আগে আপনি করবেন, তাই না?

আমি একমত—
যে পুরুষ শুধু শরীর বোঝে, মন ছুঁতে চায় না, সে কারো জীবনসঙ্গী হওয়ার যোগ্য নয়।

তবে তাই বলে পুরুষের শারীরিক চাহিদাকে অস্বীকার করবেন?

একজন খাঁটি পুরুষ খুব বেশি কিছু চায় না—
একটু যত্ন, একটু অনুপ্রেরণা, আর একজন নারীর কাছে মানসিক শান্তি।
আর এই মানসিক শান্তির সঙ্গেই কিন্তু শারীরিক চাওয়াগুলো ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

পুরুষ যদি নারীর শরীরের প্রতি আকর্ষণ অনুভব না করতো,
তবে কেনই বা সে একজন নারীর প্রেমে পড়বে?
নারীর শরীর আর মনের আলাদা কোনো ঠিকানা নেই—একটাকে বুঝলে, অন্যটাও অনুভব করতে হয়।

যে পুরুষ তার সঙ্গীর থেকে সবটা পেয়েও অন্য নারীকে খোঁজে,
সে নিঃসন্দেহে চরিত্রহীন।

কিন্তু যে পুরুষ তার চাওয়াগুলো নিজের সঙ্গীর কাছেই রাখতে চায়,
আর সেই চাওয়াগুলো অপূর্ণ থেকে যায়—তাকে আপনি কী বলবেন?

নারীর মন বোঝা সহজ নয়,
তবে মন বোঝার পরেও যদি সেই নারী শুধু পুরুষদের দোষ দিয়েই যায়,
তবে প্রশ্ন আসে—সে নিজে তার সঙ্গীর মনের ভাষা বুঝলো কবে?

সব পুরুষ যদি কেবল শরীরের প্রতি লোভী হতো,
তবে মা-বোনেরা কি নিরাপদে ঘরে থাকতে পারতেন?

না, পারতেন না।

আজও পৃথিবীতে অনেক পুরুষ আছেন—
যারা প্রেমিক, স্বামী, ভাই কিংবা বাবা হয়ে নারীর জন্য ছায়ার মতো দাঁড়িয়ে থাকেন।
তারা কেবল শরীর বোঝেন না, বোঝেন দায়িত্ব, বোঝেন ভালোবাসা।

সব পুরুষ এক নয়।
সব নারীও এক নয়।

সংসার বা সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতে চাইলে,
মন আর শরীর—দুটোকেই গুরুত্ব দিতে হয়।
দুটি দিকেই বোঝাপড়া তৈরি হলেই শান্তি আসে।
না হলে শুধু দোষারোপ চলতেই থাকে, সম্পর্ক দাঁড়ায় না।

মনে আছে, ছোটবেলায় মা কিংবা বোন দু' হাঁটু ভাঁজ করে তার ওপর আপনাকে বসিয়ে অদ্ভুত একটা ছড়া পড়তে পড়তে দোল দিতেন?সে ছড়ায় থাকতো...
20/06/2025

মনে আছে, ছোটবেলায় মা কিংবা বোন দু' হাঁটু ভাঁজ করে তার ওপর আপনাকে বসিয়ে অদ্ভুত একটা ছড়া পড়তে পড়তে দোল দিতেন?

সে ছড়ায় থাকতো বেশ কিছু প্রশ্ন, আবার সে সকল প্রশ্নের উত্তর। ছড়ার শেষে আবার হুড়মুড় কিছু ভেঙে যাওয়ার কথা বলে শিশুকে আলতো করে একদিকে ফেলে দেওয়া হতো। এই যেমন—

ঘুঘু সই
পুতুল কই?
হাটে গেছে
কী আনতে?
মাছ আনতে
মাছ কোথায়?
চিলে নিছে
চিল কোথায়?
ডালে বইছে
ডাল কোথায়?
ধুপ ধুপ ধাপ ধাপ করে পড়ে গেছে।

ড. ওয়াকিল আহমদ বাংলার প্রচলিত ছড়ার কাঠামোকে ১২ ভাগে ভাগ করেছেন। তার মাঝে একটি হলো— প্রশ্নোত্তর ভঙ্গি। প্রশ্নোত্তর ভঙ্গির ছড়ার সাধারণত কোনো নিগূঢ় অর্থ বা বিশেষ উদ্দেশ্য থাকে না। কেবল শিশুকে নিছক আনন্দ দেওয়ার জন্যই যুগ যুগ ধরে বাংলার নারীদের দ্বারা রচিত হয়েছে এই বিশেষ ছড়া।

'ঘুঘু সই' এই ধারার প্রধানতম ছড়া। তবে বুড়ি লো বুড়ি, বাড়ুই বাড়ুই চৈতা, উট্টা গুট্টা, ঘুঙ্গিরে ঘুঙ্গি এমন আরও হয়তো কয়েক শ প্রকারের প্রশ্নোত্তর ছড়া প্রচলিত আছে এই বঙ্গে। এই ছড়াগুলো আবার অঞ্চলভেদে রূপ বদলায়। যেমনটা রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন- 'আমি ছড়াকে মেঘের সহিত তুলনা করিয়াছি। উভয় পরিবর্তনশীল, বিবিধ বর্ণে রঞ্জিত, বায়ু স্রোতে-যদৃচ্ছা ভাসমান।'

আমরা ফোকলোর এক্সপেডিশন বাংলাদেশ, আমাদের নিয়মিত পাঠকদের মাধ্যমে বাংলাদেশের আটটি বিভাগের ৪৫টি জেলা এবং পশ্চিমবঙ্গের ২টি জেলা থেকে মোট ১২৬টি প্রশ্নোত্তর ছড়া সংগ্রহ করেছি।

সেই সংগ্রহের ১০টি ছড়া স্থান পেয়েছে আমাদের ম্যাগাজিন তালপত্রের প্রথম সংখ্যায়। আর তাই এই সংখ্যাটির নাম "ঘুঘু সই"! ম্যাগাজিনটি সংগ্রহ করার সম্পূর্ণ পদ্ধতি দেওয়া আছে কমেন্ট সেকশনে।

পরিশিষ্ট—
আপনার শৈশবে আপনি কোন প্রশ্নোত্তর ছড়াটি শুনেছিলেন তা আমরা জানতে আগ্রহী। সেই ছড়াটি কেমন ছিল এবং আপনি কোন জেলা থেকে বলছেন, তা কমেন্ট করে জানিয়ে দিন!

ঘোরের মধ্যেও বুঝতে পারা যাচ্ছে, দুজন মানুষ সঙ্গমে লিপ্ত। তাদের শীৎকার কানে আসছে উর্মির। বারবার বোঝার চেষ্টা করছে, সে যা ...
20/06/2025

ঘোরের মধ্যেও বুঝতে পারা যাচ্ছে, দুজন মানুষ সঙ্গমে লিপ্ত। তাদের শীৎকার কানে আসছে উর্মির। বারবার বোঝার চেষ্টা করছে, সে যা শুনছে তা মনের ভুল নয়তো? এই বাড়িতে উর্মি আর সানি ছাড়া কেউই থাকে না। সানি এখন ওর পাশেই শুয়ে আছে, তাহলে কারা এখন সঙ্গমে লিপ্ত?....

একমাস হলো বিয়ে হয়েছে উর্মি আর সানির। আর এই একমাসেই উর্মির জীবন কেমন যেন ওলট-পালট হয়ে গেছে। বিয়ের পর থেকেই সে মানসিক রোগে ভুগছে, অসময়ে ঘুমিয়ে যাচ্ছে, সারাদিন ক্লান্তি ভাব, কোনো কিছুই তার ভালো লাগে না, কেমন যেন একটা ঘোরের মধ্যে থাকে। এই একমাসে একবারও সানির সাথে কোনোরকম শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়নি তার। তবে সানি উর্মিকে ভীষণ আগলে রাখে, ভালোবাসে। বারবার বুঝিয়ে বলে, উর্মি সুস্থ হয়ে যাবে। সময়মতো ওষুধ খাইয়ে দেয় সে। উর্মির যত্নের কোনো ত্রুটি রাখতে চায় না সানি।

অনেকদিন পর অফিসে যায় উর্মি। অবশ্য সানি বারবার বারণ করেছিল। শেষে উর্মির জেদের কাছে হার মেনে সানি নিজেই তাকে অফিসে পৌঁছে দেয়। উর্মি অফিসে ঢোকার আগে সানি হঠাৎ তাকে জড়িয়ে ধরে। কতক্ষণ ধরে জড়িয়ে ছিল তা উর্মি জানে না, শুধু বুঝতে পারছিল, সানির মতো কেউ তাকে আজ পর্যন্ত ভালোবাসেনি, তাকে যেভাবেই হোক সুস্থ হতে হবে।
এইসবটাই ব্যালকনি থেকে দেখছিল ঋষি। রা গে অভিমানে তার চোখ দিয়ে জল ঝরতে লাগলো। নিজের কেবিনে গিয়ে খানিকটা সামলে নিয়ে, উর্মির সামনে গিয়ে, কিছুটা রাগান্বিত গলায় বললো, এটা অফিস নাকি আড্ডার জায়গা? যখন খুশি আসবেন, না বলে ছুটি নেবেন.....
ঋষির কাছে এইরকম ব্যবহার কোনোদিন আশা করিনি উর্মি, তবে সবচেয়ে অবাকের বিষয়, ঋষি তাকে 'আপনি' দিয়ে কথা বলছে। উর্মির শরীর ভীষণ দুর্বল এই মুহুর্তে, কোনো কিছু বলার মতো অবস্থায় সে নেই, তাই অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকলো সে ঋষির দিকে।
ঋষি এর আগে কোনোদিনও এইরকম অবস্থায় দেখেনি, বড্ড ক্লান্ত লাগছে মেয়েটাকে, বোধহয় শরীর ভালো নেই, তবে বেশিক্ষণ ওর দিকে তাকিয়ে থাকা যাবে না, আবার হয়তো মায়ায় জড়িয়ে যাবে। তাকে যে অনেক কঠোর হতে হবে।

উর্মি সব থেকে বেশি ভালোবাসে তার সৎ বোন সৌমিকে। উর্মির মায়ের মৃত্যুর পর তার বাবা যখন আবার বিয়ে করেন, তা কিছুতেই উর্মি মানতে পারেনি, তবে একবছর পর বোনকে পেয়ে তার কিছুটা হলেও ক ষ্ট লাঘব হয়েছিল। সৎ মাকে কোনোদিনও মা বলে ডাকেনি উর্মি, সে ভাবে কথাও হয়নি আজ পর্যন্ত। তবে তার সৎ মা মালিনী দেবী যতটা সম্ভব উর্মিকে কাছে টানার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু কোনোদিনই মনের দূরত্ব ঘুচেনি। তবে সৌমির প্রতি উর্মির এই ভালোবাসা দেখে মালিনী দেবী খুব খুশিই হয়েছিলেন।
সানির সাথে হঠাৎই বন্ধুত্ব হয়েছিল উর্মির, সে কথা শুধু জানতো সৌমি। তারপর মালিনী দেবী জানতে পারায়, একটু বাধা দিয়েছিলেন উর্মিকে। আর সেই জেদেই উর্মি সানিকে বিয়ে করার সিন্ধান্ত নেয়।
বিয়েটা এইরকম তাড়াতাড়ি হয়ে যাওয়াতে সব থেকে ক ষ্ট পেয়েছিল উর্মির অফিসের বস ঋষি।
ঋষি যে তার মনের কথাগুলো কোনোদিনই বলতে পারলো না উর্মিকে। আর উর্মিও কোনোদিন ঋষির না বলা কথাগুলো বুঝতে পারলো না। সবকিছুই যেন একটা ঝড় এসে লণ্ডভণ্ড করে দিল।

আজও হঠাৎ মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেল উর্মির। আজ অবশ্য সে কোনো সঙ্গমের শীৎকার শুনতে পায়নি, তবে নীচের রুম থেকে তার একটা প্রিয় গান শুনতে পাচ্ছে। পাশেই সানি শুয়ে আছে, তাহলে নীচে কে গান শুনছে? তবে উর্মি সানিকে বির'ক্ত করতে চায়না। সে নিজেই বেড থেকে নামলো, আজও সে একটা ঘোরের মধ্যে, বোধহয় ওষুধের জন্য। ডাক্তার যে তাকে বারবার রেস্টে থাকার কথা বলেছেন। কোনোরকমে দেওয়াল ধরে ধরে সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামতে লাগলো, হঠাৎ একটা মিষ্টি গন্ধ পেয়ে পিছন ফিরে তাকাতেই পর্দার মতো কি যেন একটা এসে তাকে ঠে'লে দিল, আর উর্মিও গড়িয়ে পড়ে গেল সিঁড়ি থেকে।

উর্মির যখন বাবা মা'রা যান, তখন উর্মির ১৫ বছর বয়স। সৎ মায়ের কাছে বাধ্য হয়ে থাকতে হতো তাকে। এত বড় বাড়িতে ভীষণ একলা লাগতো তার। প্রিয় মানুষ বলতে, সৎ বোন সৌমিই ছিল একমাত্র।
সৌমিরও তার দিদির প্রতি ভালোবাসা ছিল অগাধ। হয়তো আজও আছে, তাই উর্মির এই অবস্থার কথা শুনে মেঘালয় থেকে ছুটে এসেছে কাজ ফেলে। উর্মির বিয়ের পর দিনই তাকে যেতে হয়েছিল মেঘালয়।

তখনও উর্মির জ্ঞান ফেরেনি, সৌমি তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে, আর অবাধ্য চোখের জল গড়িয়ে আসছে চোখ থেকে। উর্মির আর এক পাশে বসে আছে সানি, ঋষি কিছুটা দূরে আর উর্মির সৎ মা দেয়ালে ঠেস দিয়ে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে আছে। এই প্রতিটা মানুষ এই সময় কি ভাবছে তা শুধু নিজেরাই জানেন। ঋষি অবাক হয়ে উর্মির মুখের দিকে চেয়ে আছে, কিছুতেই বুঝতে পারছে না, উর্মির এইরকম অবস্থার কারণ। বেশ একটা রহস্য আছে এর মধ্যে।
সৌমি জানিয়ে দেয়, সে উর্মির ঠিক না হওয়া পর্যন্ত এখানেই থাকবে। এই বাড়িতে কি হচ্ছে, তা তাকে জানতেই হবে। কথাটা বলে একটু সন্দেহের নজরে তাকালো সানির দিকে। সানি অবশ্য উর্মির হাতটা ধরে আনমনে কিছু ভাবছিল। আর এইদিকে উর্মির সৎ মা মালিনী দেবী এখানে থাকার কথা বলতে গেলে, সৌমি বাধা দেয়। সে একাই উর্মির কাছে থেকে তাকে সুস্থ করবে।
এইসবটাই বাইরে থেকে দাঁড়িয়ে শুনছিল এই বাড়ির পরিচারিকা রমা।
ঋষির চোখ তার দিকেই যায়, দুজনে চোখাচোখি হতেই রমা কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে যায়, তারপর সেখান থেকে চলে যায়। ঋষি রমাকে দেখে একটু অবাক হয়, আর যায় হোক তাকে দেখে বাড়ির পরিচারিকা বলে মনে হচ্ছে না।

কিছু একটা রহস্য আছে এই বাড়িতে। ঋষি আপাতত উর্মির উপর সমস্ত রা গ অভিমান বিসর্জন দিয়ে রহস্য উদঘাটনের কাজে লেগে পড়ে। তার আগে উর্মিকে একটু ঠিক হতে হবে। কিছুক্ষণ পরেই উর্মির জ্ঞান ফেরে। সবাইকে দেখে তার ভালো লাগে শুধুমাত্র সৎ মা মালিনী দেবীকে ছাড়া। মাথায়, হাতে, পায়ে বেশ ভালোই চো ট পেয়েছে উর্মি। ঋষির দিকে তাকিয়ে, একটু অভিমানের সুরেই সে বলে, স্যার আর কয়েকদিন অফিস থেকে ছুটি পাওয়া যাবে? দরকার হলে এইমাসের স্যালারি অর্ধেক দিতে পারেন।
কথাটা ঋষির বুকে বেশ জোরেই আঘা'ত করলো, তবুও মুখে একটু হাসি টেনে বললো, রেস্ট নাও, তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাও। সৌমি এখানে থাকায় ঋষি একটু চিন্তা মুক্ত। পুরো বাড়িটা ভালো করে ঘুরে দেখে নিল। সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় একটা ওষুধের প্যাকেট পেল ঋষি, সেটা পকেটে রেখে দিল।

সৌমির যত্নে উর্মি সাতদিনেই বেশ ভালো হয়ে উঠেছে। এখন অবশ্য তার মাঝরাতে ঘুম ভা'ঙেনা। সারারাত সে ঘুমায়। তবে সারাদিন আগের মতো ক্লান্তি ভাব এখনও আছে। সৌমি এখানে আছে বলে উর্মির মনও বেশ ভালো আছে। রমাও ঠিক সময় মতো খাবার দিয়ে যায় উর্মিকে।

সবকিছুই ঠিকঠাক, শুধু উর্মি সুস্থ হলেই আবার আগের মতো সাজানো গোছানো জীবন হয়ে যাবে। তবে রাতের বিষয়গুলো কারোর সাথে আলোচনা করে নি উর্মি। সঙ্গমের শীৎকারটা হয়তো তার মনের ভুল। কিন্তু সেই রাতে গান শুনে নীচে নামার সময় কীভাবে সিঁড়ি দিয়ে পড়ে গেল সেটাই ভাবার চেষ্টা করছে উর্মি। মাথায় জো র দিতেই তার মনে পড়লো পড়ার সময় পর্দার পাশে একটা চুড়ি পরা হাত দেখেছিল। কিন্তু সেই রাতে সানি আর উর্মি ছাড়া কেউই এই বাড়িতে ছিল না। রমাও কাজ সেরে চলে গিয়েছিল।

সৌমি আজ রাতে এখানে নেই, মায়ের শরীরটা ভালো নেই তাই তাকে যেতে হয়েছে। এইসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ তার ফোনটা বেজে উঠলো, ফোনের ওপাশে এক পুরুষ বললেন, আজ রাতে আপনি খু*ন হতে পারেন, তাই যা বলছি মন দিয়ে শুনুন, আপনার বাড়ির পরিচারিকা রমা যদি রাতের খাবার দেয়, সেটা খাবেন না, সবার চোখ এড়িয়ে ফেলে দেবেন, আর ঘুমোনোর ভান করে থাকবেন।
উর্মি কিছু বলতে যাওয়ার আগেই ফোনটা কে*টে গেল। কণ্ঠস্বরটা চেনা লাগলো উর্মির, কিন্তু কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছে না সে......

উর্মি রাতের খাবারটা সবার চোখ এড়িয়ে ফেলে দিল। সৌমিকে জানানোটা এখন ঠিক হবে না, হয়তো এইসব শুনে চলে আসবে সে, কিন্তু উর্মি এখন তাকে বির'ক্ত করতে চায় না। সানির উপর একটা সন্দেহ শুরু হয়েছে উর্মির। সানির ফিরতে একটু দেরি হবে, তাই ফোনটা নিয়ে যে নাম্বার থেকে ফোন এসেছিল, সেটা কল ব্যাক করতে গিয়ে দেখে সুইচ অফ। ওই পুরুষের কণ্ঠটা সে আগেও শুনেছে, কিন্তু মনে করতে পারছে না। কিছুক্ষণ ফেসবুকে স্ক্রল করতে করতে মেসেঞ্জারে একটা মেসেজ ঢুকলো। মেসেজটা ছিল সৌমির বান্ধবী রিনির। মেসেজটা দেখে উর্মি অবাক হলো, তাতে লেখা ছিল, উর্মি দি কেমন আছো? তোমার বোন সৌমি তো কারোর ফোনই ধরছে না, আমাদের সাথে মেঘালয়ও গেল না, কী চলছে ওর মনে বলো তো?
উর্মি কোনো রিপ্লাই দিল না, সৌমি মেঘালয় যায়নি তো কোথায় ছিল? রাত হয়েছে, এইসময় সৌমিকে ফোন করলো না, সকালের জন্য অপেক্ষা করতে থাকলো। একটা অস্বস্তি বেড়ে চলেছে উর্মির মধ্যে। সবাই যেন একটা মুখোশ পরে আছে। বিশ্বাস - অবিশ্বাসের মধ্যে হাঁপিয়ে উঠেছে সে।

দরজা খোলার আওয়াজ পেয়ে উর্মি ফোন রেখে ঘুমোনোর ভান করে পড়ে থাকলো। সানি রুমে ঢুকে, উর্মির কাছে ফিসফিস করে বললো, ঘুমাও ডার্লিং ঘুমাও.…..
কিন্তু আজ আর উর্মির চোখে ঘুম নেই। রাত্রি প্রায় ১টার কাছাকাছি। সানির ফোন বেজে উঠলো, সানি ফোন রেখে নীচে নামলো। উর্মি দরজা খোলার আওয়াজ পেল, নিশ্চয় কেউ এসেছে। কিন্তু কে?
আরও ১০ মিনিট সে চুপচাপ থাকলো। তারপর নীচে নামতে লাগলো। না, আজ আর কোনো ঘোর নেই, শরীরেও ক্লান্তি নেই। তবে হার্টবিট খুব ফাস্ট চলছে, ধীরে ধীরে নীচে নামার পর দরজাটা আস্তে করে খুলে রাখলো। তারপরেই তার চোখ গেল নীচের ঘরের কোণের দিকে রুমে। সম্ভবত রুমটা ভেতর থেকে বন্ধ। দুজনের কথা বলার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। দরজার কাছে গিয়ে শুনতেই উর্মি চমকে উঠলো, রুমের ভেতর এই মুহুর্তে তার স্বামী সানি আর বোন সৌমি আছে।

কি শুনছে সে, নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না উর্মি। তাকে পাগল বানানোর জন্য, এই রকম একটা নোংরা খেলা খেললো সানি আর তার আদরের ছোট বোন মিলে। যে বোনকে এত ভালোবেসেছিল, এত বিশ্বাস করে ছিল, সে কিনা....
কিছু প্রশ্নের উত্তর এখনও জানার বাকি আছে উর্মির, তাই জো'রে দরজা ধাক্কা দিতে লাগলো। রুম থেকে দুজনে বেরিয়ে আসে, সানি ফুলদানি দিয়ে জো'র করে মাথায় আঘা'ত করলো উর্মির। সবটা অন্ধকার হওয়ার আগে শুধু দেখতে পেল দরজা দিয়ে ঢুকছে তার সৎ মা মালিনী দেবী, ঋষি আর কিছু পুলিশ.........

এতদিন একটা নাটক চলছিল। সৌমি যেদিন জানতে পেরেছিল সম্পত্তির বেশিরভাগ তার দিদি উর্মির নামে আছে, সেদিন থেকেই সবকিছু প্ল্যানমাফিক চলছে। সৌমি অবশ্য এইসব কাজের জন্য সাথে পেয়েছিল তার প্রেমিক সানিকে। বিয়েটাও সৌমির প্ল্যানের একটা পার্ট। বাড়ির পরিচারিকা রমাও এদের সাথেই ছিল। যদিও সে কোনো পরিচারিকা নয়, সানির পরিচিত, টাকার জন্য রাজী হয়েছিল এইসব কাজ করতে। সৌমি মেঘালয় যায়নি, এই শহরেই ছিল। রোজ রাতে উর্মি যখন ওষুধের ঘোরে থাকতো, সৌমি আসতো রাতে। সেদিন সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া মানুষদুটো সানি আর সৌমি ছিল।

বাড়িতে ওষুধের প্যাকেট টা দেখেই সন্দেহ হয়েছিল ঋষির। তারপর ডক্টরকে ওষুধটা দেখাতেই তিনি বলেন, এই খুব মা'রাত্মক ওষুধ, একজন স্বাভাবিক মানুষ ধীরে ধীরে পাগল হয়ে যেতে পারে। আসলে সৌমি আর সানির উদ্দেশ্য তাই ছিল। মালিনী দেবী পুরো ব্যাপারটা জেনে যাওয়ার পর অনেকবার উর্মির সাথে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু উর্মি ছোট থেকেই তার সৎ মাকে পছন্দ করতো না, তাই কোনোভাবেই এইকথা বিশ্বাসও করতো না। তাই বাধ্য হয়ে শেষে মালিনীদেবী ঋষির সাথে কথা বলে, আর ঋষিই রাতে ফোন করে উর্মিকে সাবধান করেছিল। হাতেনাতে ধরবে বলেই, তারা অপেক্ষা করছিল।

মাথাটা বেশ ভারী লাগছে, চোখ খুলে তাকাতেও ইচ্ছে করছে না উর্মির। আজ অবশ্য ক্লান্তি নেই, শুধু আছে ক ষ্ট, মানুষ চিনতে না পারার। পাশেই বসে আছেন মালিনী দেবী। আজ এই মহিলাকে অসহ্য লাগছে না। যিনি নিজের পেটের মেয়েকে জেলে ঢুকিয়ে সৎ মেয়েকে বাঁ'চাতে পারেন, তিনি অনেক বড় মনের মানুষ। চোখ খুলে ধীরে ধীরে উর্মি মা বলে ডাকলো। মালিনী দেবী এই ডাকের জন্য কতদিন অপেক্ষা করেছিলেন। তিনি শুধু হাসি মুখে বললেন, এবার বাড়ি চল, মাতৃত্বের বন্ধনে বেঁধে রাখবো।
উর্মির এত কিছুর পরেও আজ একটু হালকা লাগছে, খুব দূরে ঋষি কথা বলছে ডক্টরের সাথে। হয়তো কোনো একদিন উর্মিও বুঝতে পারবে ঋষির মনের কথা।

সমাপ্ত...

#পর্দা
#রিপোস্ট
#মৌসুমী_হাজরা

একটি মেয়ের ভালো থাকা, খারাপ থাকা—সবকিছুই অনেকটা নির্ভর করে একজন পুরুষের আচরণের ওপর…একটা মেয়ে যখন কাউকে ভালোবাসে, তখন সে ...
20/06/2025

একটি মেয়ের ভালো থাকা, খারাপ থাকা—সবকিছুই অনেকটা নির্ভর করে একজন পুরুষের আচরণের ওপর…

একটা মেয়ে যখন কাউকে ভালোবাসে, তখন সে তার বুকের ভেতর লুকানো পৃথিবীটা খুলে দেয়। মনের সবটুকু বিশ্বাস, স্বপ্ন, হাসি-কান্না—সবটা সঁপে দেয় সেই একজন পুরুষের হাতে। আর সেই পুরুষেরই হাতে থাকে তার প্রতিদিনের সুখ কিংবা কান্নার চাবিকাঠি।

একজন পুরুষ চাইলে তার প্রেমিকাকে রানি করে রাখতে পারে—ভালোবাসায়, সম্মানে, যত্নে। চাইলেই সে মেয়েটির চোখে আলো এনে দিতে পারে, যার আলোয় সে নিজেই দীপ্ত হয়ে ওঠে। শুধু একটু "কেমন আছো?" বললেই মেয়েটার ভেতরে ঝলমলে একটা দিন শুরু হয়। তার ছোট ছোট আবদারগুলো গুরুত্ব পেলেই সে হয় সবচেয়ে সুখী নারী।

কিন্তু সেই একই পুরুষ চাইলে সেই মেয়েটিকে মুহূর্তেই ভেঙে ফেলতেও পারে। অবহেলার একটা কথায়, উপেক্ষার একটা দৃষ্টিতে, বারবার কথা না রাখার অভ্যাসে—সে মেয়েটির প্রাণখোলা হাসিটা ম্লান করে দিতে পারে।

একটা মেয়ে বাইরে থেকে যতই দৃঢ় হোক, তার ভেতরের আবেগটা খুব কোমল। সে সব কিছু সহ্য করতে পারে—জীবনের চাপ, পরিবারের দুঃখ, সমাজের অন্যায়—কিন্তু যে ছেলেটিকে সে ভালোবাসে, তার অবহেলা সে নিতে পারে না। সেই ছেলেটার একটা ভুল শব্দ, একটা উপেক্ষা—তার হৃদয়ে ছুরি চালানোর মতো লাগে।

যদি ছেলেটি সময় দেয়, বুঝতে চায়, পাশে থাকে—তবে মেয়েটি হয়ে ওঠে সবচেয়ে হাসিখুশি, প্রাণবন্ত মানুষ। আবার সেই ছেলেটিই যদি অবহেলা করে, খোঁজ না নেয়, অন্য নারীর দিকে তাকায়—তবে সে মেয়েটি নিঃশেষ হয়ে যায় ভেতরে ভেতরে।

তাই বলা হয়, একজন পুরুষ চাইলে তার ভালোবাসার নারীকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মেয়ে বানাতে পারে। আবার অবহেলা করে, বুঝতে না পেরে, তার জীবনটাকে করে তুলতে পারে বিষের মতো তিক্ত।

একটা মেয়ের হাসি বা কান্নার পেছনে অনেক সময় থাকে একটি মাত্র ছেলের হাত। সেই হাতটি যদি ভালোবাসায় ছুঁয়ে দেয়, তবে মেয়েটি বিকশিত হয় ফুলের মতো। আর যদি সেই হাতটি ঠেলে দেয় উপেক্ষার দিকে—তবে মেয়েটির জীবন শুকিয়ে যেতে থাকে নিঃশব্দে। 😊

আমি বাকি সবার মতো মুখে মুখে ভালোবাসি বলায় বিশ্বাসী নই। আমার কাছে ভালোবাসা মানে যত্ন। আমার ছোট থেকে ছোট বিষয়গুলোর প্রতি ত...
18/02/2025

আমি বাকি সবার মতো মুখে মুখে ভালোবাসি বলায় বিশ্বাসী নই। আমার কাছে ভালোবাসা মানে যত্ন। আমার ছোট থেকে ছোট বিষয়গুলোর প্রতি তার তুখোড় নজর থাকা চাই, আমার অণু পরিমাণ কষ্টে তার কপালে দুশ্চিন্তার ছাপ দেখা চাই, আমার চোখের দিকে তাকিয়ে মনের ভাষা বুঝার ক্ষমতা থাকা চাই। আমার হাসি সুখের না বিষাদ, সেটা সে বুঝুক। আমার রাগ ভাঙানোর ক্ষমতা থাকা চাই, আমার অতিরিক্ত রাগ সামলানোর ধৈর্য্য চাই।
আমি খুব বেশি রেগে গেলে আমাকে উল্টো রাগ না দেখিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরবে।

চুলের বেনি করা কিংবা শাড়ির কুচি ঠিক করে দেওয়ার মতো মানসিকতা চাই। খেতে না চাইলে নিজ হাতে খাইয়ে দিক, আমার হাত ধরে সযত্নে রাস্তা পার করে দিক। তেমনি রাস্তার ধারে কোনো ফুল দেখলে তা আমার কানে গুজে দিয়ে, আমার পছন্দকে মনে রাখুক। কেউ আমাকে কষ্ট দিলে, তার প্রতিক্রিয়া দেখতে চাই।

আমার সাথে একান্ত কিছু সময় কাটাক, যেটা তার এবং আমার সুন্দর মুহূর্তের স্মৃতি বহন করবে। আমাকে নিজ ইচ্ছেতেই ঘুরতে নিয়ে যাক। তার পছন্দ মতো মাঝে মাঝে উপহার দিক, হোক সেটা দশ টাকার একটি গোলাপ, কিংবা পাঁচ টাকার চকলেট। কোন এক স্পেশাল দিনে, আমার জন্য হাতে করে একটি শাড়ি নিয়ে এসে, তা নিজ হাতে পড়িয়ে দিক, হোক তা পাঁচশ টাকার বা তার থেকেও কম। মাঝে মাঝে বাসায় ফিরার পথে, আমার জন্য একটি কাঁচা ফুলের গাজরা এনে সযত্নে চুলে লাগিয়ে দিক।
আমার জ্বর হলে কপালে একটু জলপট্টি দিক। তীব্র মাথা ব্যথায় চুলে তেল দিয়ে বিলি কেটে দিক।
পিরিয়ডের পেইন হলে একটু গরম পানি করে দিবে।

কোন এক সকালে, এক বেলার নাস্তা নিজ হাতে করে খাওয়াবে, হোক তা পোড়া রুটি বা সামান্য ডিম সিদ্ধ। কোন এক বিকেলে, নিজ হাতে এক কাপ চা বানিয়ে, আমার সামনে ধরুক, হোক তা পানসে বা অতিরিক্ত মিষ্টি। কোন এক শিশির ভেজা ভোরে, আমায় নিয়ে হাঁটতে যাক, সেই সকালটা একান্তই তার এবং আমার হোক।

দুপুরে গরমের মাঝে রান্না করতে গিয়ে যখন ক্লান্ত অনুভব হয়, তখন এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত হাতে তুলে দিক। হটাৎ চুলের খোঁপা এলোমেলো হয়ে গে সেটা সে নিজের হাতে যত্ন নিয়ে ক্লিপ আটকে দিক।

সে আমার মুড সুইং বুঝুক।

কোন এক রাতে, হুট করেই ক্যান্ডেলাইট ডিনারে নিয়ে যাক, হোক সেটা তার হাতে জালানো মোমবাতি, একটি সাদা কাপড়ে কয়েকটা ছড়ানো গোলাপের পাপরি, সাতে একটু ঝালমুড়ি। আর কি চাই সুখে থাকতে?

আমি চাই না সে শুধু কথায় ভালোবাসা প্রকাশ করুক, আমি চাই তার ভালোবাসার ছোঁয়া আমার প্রতিটা অনুভূতিতে স্পষ্ট হয়ে উঠুক।

সে আমার মনের অব্যক্ত কথা বুঝুক, আমার চোখের ভাষা পড়তে জানুক। যখন আমি বিষণ্ণ থাকবো, সে একবারও প্রশ্ন না করেই আমার পাশে বসে থাকুক, তার উপস্থিতিটাই যেন আমার সবচেয়ে বড় আশ্রয় হয়।

আমি চাই, ঝড়-বৃষ্টির রাতে যখন বিদ্যুৎ থাকবে না, তখন সে হাতে একটা মোমবাতি জ্বালিয়ে আমার পাশে বসে থাকুক, যেন অন্ধকারের মাঝেও তার ভালোবাসার আলোয় আমি পথ খুঁজে পাই।

আমি চাই, সে আমার খেয়াল রাখুক একদম আপন করে—রাস্তায় হাঁটার সময় কাঁধে হাত রাখুক, হুট করেই আমার হাত শক্ত করে ধরে ফেলুক, যেন আমার নিরাপত্তার জন্য সে সবসময় প্রস্তুত।

কখনো যদি ঠান্ডায় আমার হাত জমে যায়, সে নিঃশব্দে আমার হাত ধরে নিজের উষ্ণতায় গরম করে দিক। কিংবা যখন আমি ক্লান্ত হয়ে পড়বো, সে আমার মাথাটা নিজের কাঁধে টেনে নিক, যেন আমি একটু প্রশান্তি পাই।

আমি চাই, সে আমার নামটা এমনভাবে ডাকুক, যেন আমার নামের মাঝেই তার সব ভালোবাসা লুকিয়ে থাকে। আমার চুলে বিলি কেটে দিক, ক্লান্ত হলে কপালে ঠান্ডা পানির ছোঁয়া দিক।

সে যেন আমার জীবনের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় হয়। ভালোবাসা শুধু রোমান্স নয়, এটা একে অপরের প্রতি এক অটুট বন্ধন, যেখানে নির্ভরতা, যত্ন, আর ছোট ছোট মুহূর্তগুলোর এক অপূর্ব মেলবন্ধন থাকে।

আমার সুখ তার কাছে হোক সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। আর তার ভালোবাসা হোক আমার জীবনের সবচেয়ে স্নিগ্ধ অনুভূতি।।☺️🌸

Self Confidence

স্বামীর হার্টের সমস্যা,শব্দে ঘুমাতে পারেনা।অন্যদিকে আমার হাঁপানি,ঘুমালে ফুস ফুস শব্দ হয়।স্বামী প্রায় রাতে জেগে থাকে।এই ন...
18/02/2025

স্বামীর হার্টের সমস্যা,শব্দে ঘুমাতে পারেনা।অন্যদিকে আমার হাঁপানি,ঘুমালে ফুস ফুস শব্দ হয়।স্বামী প্রায় রাতে জেগে থাকে।

এই নিয়ে মনে তীব্র বেদনাবোধ হয়।আমার হাঁপানির জন্য স্বামী ঠিকমতো ঘুমাতে পারে না।অনেক চেষ্টা করেও ঘুমের মধ্যে বু"কের টান টা সামলাতে পারিনা।তার যে সামান্য শব্দেও ঘুম হয় না!

স্বামীর ঘুমের অসুবিধা হবে ভেবে সিদ্ধান্ত নিলাম অন্য ঘরে ঘুমাবো।যথারীতি রাতে অন্য ঘরে যেতেই স্বামী নিরীহ মুখ করে বললো

" কোথায় যাচ্ছো? "

" আমার হাঁপানির শব্দে তোমায় ঘুমের কষ্ট হয়,অন্য ঘরে যাচ্ছি "

" আমার তো কোনো সমস্যা হয় না,তুমি সাথেই থাকবে "

" সংসার জীবনের ৩০ বছরে কোনো সমস্যার কথাই তো মুখ ফুটে বলতে পারোনি।বুড়ো বয়সে এসে আর কি বলবে? "

" এই শেষ বয়সে এসে আলাদা থাকবো? "

" রাত টুকুই তো ব্যাপার,ঘুমাও তো।অনেক রাত হইছে "

এভাবেই আমাদের আলাদা ঘরে থাকা শুরু হলো।রাতে কিছুক্ষণ পরপরই ওনাকে দেখতে যাই।বু'কে কাঁথা জ"ড়িয়ে দেই,চোখে কোনে জমে থাকা জল আঁচলে মুছে দিই।একরাতে স্বামীর কাছে আসতেই বললো

" সেকি! একটু আগেই তো গিয়ে দেখে আসলাম তুমি বেঘোরে ঘুমাচ্ছো "

হকচকিয়ে বললাম " তুমি ঘুম ভেঙ্গে আমায় দেখতে যাও? "

" তুমি আসতে পারো,আমি পারিনা? "

৩০ বছরের দম্পতি।ভালোবাসা এখনো ফুলসজ্জা রাতের মতোই আবেগপ্রবণ।কি জানি, সঠিক মানুষকে পেলে হয়তো ভালোবাসা কখনো শেষ হয় না।

গল্প #খেয়াল
লেখক-জয়ন্ত_কুমার_জয়

স্বামী স্ত্রী'র মনোমালিন্য। একে অপরকে বুঝতে পারে না, কুচকাওয়াজ লেগেই থাকে। সিদ্ধান্ত নিলো ডিভোর্স দিবে।স্ত্রী বললো-- মেয়...
18/02/2025

স্বামী স্ত্রী'র মনোমালিন্য। একে অপরকে বুঝতে পারে না, কুচকাওয়াজ লেগেই থাকে। সিদ্ধান্ত নিলো ডিভোর্স দিবে।

স্ত্রী বললো-- মেয়েকে সাথে রাখতে চাইলে রাখতে পারো।

--ও তো ছোট। কাজ সামলিয়ে ওকে দেখাশোনা করা মুশকিল হয়ে যাবে।

ঠিকই তো। ভুলেই গেছিলাম। বউ বাচ্চাকে দেওয়ার মতো সময়, যোগ্যতা কোনোটাই তোমার নাই।

--বিদায় মুহুর্তে চাই না ঝামেলা হোক। চোখের সামনে থেকে বিদেয় হও। বাইরে গাড়ি রাখা আছে পৌঁছে দেবে।

লাগবে না।নিজে ব্যবস্থা করে নিতে পারবো।

--তোমার জন্য না। মেয়ের বাতাস লাগবে, তার জন্য ব্যবস্থা করেছি।

দু'জন আলাদা হলো। সপ্তাহে দু তিনবার স্বামী শ্বশুরবাড়ি যায়। মেয়ের সাথে কিছুক্ষন আদর সোহাগ করে, তারপর চলে আসে। এভাবেই দিন যায়। বাড়িটা বড্ডো ফাঁকা লাগে। স্বামীর মনে একটাই দুঃখ, স্ত্রী কেন একবার সব অভিমান ভেঙে তার কাছে চলে আসে না। এতো জেদ কিসের!!

এভাবেই দিন যায়। মাস দুয়েক পর স্বামীর মানসিক অবস্থা ভীষণ অসহায়। সবসময় একাকিত্ব অনুভব করে। অভিমান ভেঙে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে সংসার করতে ইচ্ছে করে। কিন্তু কারো পক্ষ থেকে অভিমান আর যায় না।

একদিন এক বৃষ্টির রাতে স্বামী শ্বশুর বাড়িতে উপস্থিত।মেয়ের সাথে অনেকক্ষণ ভূতের গল্প করলো। শ্বশুরের সাথে একসাথে বসে রাতের খাবার খেলো। মেয়েটা ভুতের গল্প শোনার পর থেকে বাবাকে জড়িয়ে ধরে আছে। জেদ ধরেছে, বাবার সাথে ঘুমাবে।

শ্বশুর বললো-- বৃষ্টি হচ্ছে, আজকের রাতটা থেকে যাও।

সে থেকে গেলো। মেয়ে ঘুমিয়েছে। বারান্দায় স্ত্রী দাঁড়িয়ে। স্বামী গিয়ে তার পেছনে দাঁড়ালো।

অভিমান ভেঙে বললো-- সব ঠিক করে নেওয়া যায় না?

স্ত্রী কিছু বললো না।

স্বামী : এখন থেকে নিজেকে সামলাবো। তোমায় বুঝবো, অকারণে রাগ করবো না। অনেক তো হলো, এই কষ্ট আর সহ্য হচ্ছে না। চলো না সব ঠিকঠাক করে নিই।

কথাটা বলে স্ত্রীকে নিজের দিক করে নিতেই দেখলো তার চোখ ভর্তি জল। চোখে চোখ পড়তেই হাউমাউ করে কেঁদে স্ত্রী বললো-- এইটুকু বলতে এতো দেরি করলে? আর কয়দিন এভাবে থাকলে আমি পাগল হয়ে যেতাম।

স্বামী জড়িয়ে ধরে-- তুমিও তো পারতে সব ভুলে হাতটা ধরতে।

--তুমি তো জানোই আমার জেদ বেশি। জেদি বউকে সামলাতে হবে।

বৃষ্টির জল তাদের মান অভিমান ধুয়েমুছে নিয়ে গেলো।রেখে গেলো ভেজা অনুভূতি।

-- স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা টা এমন হওয়া উচিত 🥰🥀 জীবন সুন্দর যদি মানুষ টা সঠিক হয়।
🤍

পুরুষের শারীরিক চাহিদা পূরণ হলেই তার মানসিক শান্তি ফিরে আসে। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন। একজন নারী মা...
18/02/2025

পুরুষের শারীরিক চাহিদা পূরণ হলেই তার মানসিক শান্তি ফিরে আসে। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন। একজন নারী মানসিক শান্তি পেলে তবেই শারীরিক চাহিদার কথা ভাবে। নারী ও পুরুষের চাহিদার এই ভিন্নতার কারণেই তাদের সম্পর্ক আরও জটিল এবং গভীর।

পুরুষের সমস্ত ডিপ্রেশন এবং ক্লান্তি দূর হয় সঙ্গীর সাথে শারীরিক সংযোগে। যদি আপনি আপনার পুরুষ সঙ্গীকে খুশি করতে চান, তবে তার সাথে অবশ্যই শারীরিক Attachment থাকা প্রয়োজন, এবং তা মন থেকে হতে হবে।

নারীরা, বিপরীতে, মানসিক Attachment-এ বেশি গুরুত্ব দেয়। যদি তার মন ভালো থাকে, তাহলে সে স্বাভাবিকভাবেই শারীরিক সংযোগে আগ্রহী হয়। কিন্তু যদি তার মানসিক অবস্থা ভালো না থাকে, তাহলে সে কোনো কিছুতেই সাড়া দেয় না। নারীর মনই তার আসল শক্তি।

একজন নারী চাইলে একজন পুরুষের জীবনকে নতুন করে সাজাতে পারে। আবার সেই নারী চাইলে একজন পুরুষের জীবনকে পুরোপুরি নষ্টও করে দিতে পারে।
একজন নারী চাইলেই একজন পুরুষকে সম্মানের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দিতে পারে। আবার চাইলে তাকে অসম্মানের তলানিতে নামিয়ে আনতে পারে।
নারী চাইলে একজন পুরুষকে আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ করতে পারে। আবার চাইলে তাকে নিঃস্ব করে দিতে পারে।
নারী চাইলে একটি সুন্দর পরিবার এবং সুখী সংসার গড়ে তুলতে পারে। আবার চাইলে সেই সংসারকে ধ্বংস করে দিতে পারে।
নারী একজন পুরুষকে পরিবার, সমাজ, এবং নিজের প্রতি আবদ্ধ রাখতে পারে। আবার চাইলে সে পুরুষকে একা করে, পরিবারহীন করে ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারে।
নারী তার শিক্ষা, শক্তি, মায়া, ভালোবাসা এবং মমতার মাধ্যমে পুরো পৃথিবীকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
নারী চাইলে একজন পুরুষকে শত খারাপ অভ্যাস থেকে মুক্ত করে ভালো মানুষে পরিণত করতে পারে। আবার ভালো মানুষকে নষ্ট করতেও সক্ষম।

নারী, তোমার প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাস।
তুমি তোমার সৌন্দর্য, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার শক্তি দিয়ে তোমার সংসার, পরিবার এবং সমাজকে সুন্দর করে তুলবে।
তোমার প্রেম হোক তোমার সংসার,
তোমার ভালোবাসা হোক তোমার স্বামী,
আর তোমার মায়ার বাঁধন হোক তোমার সন্তান।

নারী, তুমি চাইলেই অনেক কিছু করতে পারো। তুমি পারো, পুরো পৃথিবী বদলে দিতে।

Address

Fulbaria

Telephone

+8801775706704

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Love City posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share