
22/06/2025
ঢাকা থেকে তিথি এসেছে বড়ো ভাইয়ের বিয়েতে। শীতকাল, গ্রাম ঘেরা কুয়াশা আর মিষ্টি আলোর মাঝে বাড়ি যেন একটা মেলোডি হয়ে উঠেছে। চায়ের কাপ, হাসির ফোয়ারা, আর শাড়ির রঙিন ঢেউ—সবকিছুই এক রকম মায়া ছড়িয়ে রেখেছে।
তিথি একা বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিল, যখন পেছন থেকে এক গলা ভেসে এল, “আপনার চুলে কি নারকেল তেল, না অন্য কিছু? এত গন্ধ কেন জানি… মাথা ঘুরে যায়।”
তিথি চমকে তাকায়। চোখে চোখ। ছেলেটা হেসে বলল, “আমি রায়হান। তোমার ভাইয়ের শালা। মানে, আমার আপু হচ্ছেন বউ।”
তিথির গাল হালকা গরম হয়ে ওঠে। অজান্তেই হাসে, “তুমি একটু বেশি কথা বলো না?”
“জানার আগেই বললে, সেটা ‘একটু’ হয় না, হয়ে যায় সরাসরি—আকর্ষণ।”
সেই শুরু।
দিন কেটে যায় হাসি, ঠাট্টা আর চোখে চোখ পড়ার অজানা কম্পনে। তিথির শরীরের ভেতর কেমন যেন জ্বলে ওঠে প্রতি বার রায়হানের স্পর্শ—একটা বকুল ফুল কানে গুঁজে দেওয়া, শাড়ির আঁচল ঠিক করে দেওয়া, বা চা এগিয়ে দেওয়ার সময় আঙুল ছুঁয়ে যাওয়া।
এক রাতে, বিয়ের গানের রিহার্সাল শেষে তিথি একা ছাদে দাঁড়িয়ে ছিল। পেছনে হালকা পায়ের শব্দে চমকে ফিরে তাকায়। রায়হান।
সে এগিয়ে এসে এক কাঁধে হেলিয়ে দাঁড়ায়, “তুমি জানো, তুমি একেকদিন একেক রকম দেখাও। আজকে একটু বেশিই… অচেনা।”
তিথি ধীরে বলে, “তুমি সবসময় এমন করে কথা বলো নাকি?”
“না। শুধু তোমার সঙ্গে।”
কিছুক্ষণ নীরবতা। বাতাসে শীত, কিন্তু তিথির গাল গরম। হঠাৎ রায়হান তার চুল সরিয়ে দেয় কানের পাশ থেকে। সেই স্পর্শটা ছিল ধীর, কিন্তু তীব্র।
তিথির নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসে। বলে, “এইসব ঠিক না, ভাইয়ের বিয়েতে…”
রায়হান হাসে, “ঠিক-ভুল জানি না, কিন্তু তোমার চোখে আগুন দেখি। আমি শুধু তাকিয়ে থাকতে চাই, আর একটু ছুঁয়ে দেখতে চাই, তুমি কতটা সত্যি।”
তিথি মুখ ফিরিয়ে নেয়। কিন্তু তার দেহ-পালটা বলে, সে থামতে চায় না।
পরদিন রাতে, গায়ে হলুদের পর সবাই যখন গান আর খাওয়া-দাওয়ায় ব্যস্ত, তিথি আর রায়হান একফাঁকে চলে যায় পিছনের বাগানে।
বাগানে এক কোণায় মাধবীলতা গাছ, বাতাসে গন্ধ। অন্ধকারে শুধু দু’জন, এক চিলতে চাঁদের আলো। রায়হান তার সামনে এসে দাঁড়ায়।
“তুমি চাইলে আমি এক ইঞ্চিও ছুঁব না। শুধু বলো—তোমার গায়ে আমার ছায়া পড়ুক কি না।”
তিথির চোখে জল চলে আসে। সে জানে, রায়হান শুধু স্পর্শের খিদে মেটাতে আসেনি। সে কিছু টের পেয়েছে—এক গভীর, পুড়ে যাওয়ার মতো টান।
সে এক ধাপ এগিয়ে আসে, ঠোঁট রায়হানের কানের কাছে নিয়ে বলে, “আমার গায়ে আগুন দাও… দেখি