17/07/2025
শেখ মাহেদির মতো একজন জেনুইন স্পিনার বাংলাদেশ দলে আছে, যে কিনা শুধু বোলিং পিচ নয়, ফ্ল্যাট পিচেও টাইট লেন্থে জোরের ওপর বোলিং করতে পারে।
আবার অন্যদিকে মিরাজের ভারতের সাথে ৮৩ বলে ১০০, চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের সাথে দ্রুত ৬ উইকেট পড়ার পরও দুর্দান্ত জয়, এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের সাথে সেঞ্চুরি—এই পারফরম্যান্সগুলো দেখে ভাবতাম, একজন ৮ নম্বরে খেলা প্লেয়ার যে কিনা দলে বোলার হিসেবে খেলে, সে নিজের ব্যাটিংটাকে কতটা ইম্প্রুভ করে ফেলেছে!
কিন্তু মিরাজের এই ব্যাটিং পারফরম্যান্স দেখলেও তার বোলিং দেখলে ভাবতাম, মিরাজ কেনো শেখ মাহেদির মতো ধারালো বোলিং করতে পারে না?
আবার মাহেদির ব্যাটিং দেখেও হতাশ হতাম—মাহেদি কেন মিরাজের মতো ব্যাটিং করতে পারে না?
এদের ২ জনের মধ্যে যদি একজন মিরাজের মতো ব্যাটিং + মাহেদির মতো বোলিংটা আয়ত্ত করতে পারতো, তাহলে বাংলাদেশ হয়তো একজন সত্যিকারের মানের অলরাউন্ডার পেতো।
এখন আর হয়তো সেটা বাস্তবে হবে না… মাহেদির বয়স ৩০, মিরাজের ২৭…
এই ২টি প্রতিভার সমন্বয় দেখা হয়তো আমার জন্য এক আফসোসই হয়ে থাকবে… 😔
কিন্তু তখনই একটা নাম মনে পড়ে—সাকিব আল হাসান।
ব্যাটে-বলে, অভিজ্ঞতায়, আগ্রাসনে, হিম্মতে—যে একা পুরো একটা যুগ টেনে নিয়ে গেছে বাংলাদেশকে।
এখন বুঝি, একজন সাকিব কেন শত বছরে একটা হয়।
আশেপাশে এত প্রতিভা থাকার পরও কেউ সাকিবের ছায়া হতে পারে না।
আর হয়তো কখনো পারবেও না।
তাই যতদিন সাকিব ছিল, আমরা একজন “কমপ্লিট অলরাউন্ডার” দেখেছি। এখন শুধু দেখি—কে ব্যাটে ভালো, কে বোলিংয়ে ভালো… কিন্তু দুটো একসাথে? আফসোস, এখন সেটা কল্পনাই হয়ে গেছে।
#স্পিনঅলরাউন্ডার #আফসোস #ক্রিকেটবাংলাদেশ