18/07/2025
শুধুমাত্র মানুষের মতামত বা ভাবনা বোঝার জন্য প্রশ্নটা করছি। বুরকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, শাদ, কলম্বিয়া, গুয়াতেমালা, গিনি, হন্ডুরাস, লাইবেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মেক্সিকো, নাইজার, ফিলিস্তিন, সুদান, তিউনিসিয়া, ইয়েমেন, উত্তর কোরিয়া, ইউক্রেন, সিরিয়ার পর বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের মিশন চালু হতে যাচ্ছে। কিন্তু কেন?
আচ্ছা যে ১৮টি দেশে এই মিশন আছে সবগুলো দেশই যুদ্ধ, যুদ্ধ পরিস্থিতি, বা জাতিগত সংঘাতে জর্জরিত।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি তো এমন না। তাহলে বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের মিশন কী আসলেই এই দেশের মানুষ চায়? আপনি চান?
আচ্ছা ফ্যাসিজমের পতন এবং শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের পর তো এই দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো হবার কথা। তাহলে সরকার কোন বিবেচনায় দেশে এই মিশনের অনুমতি দিলো? দয়া করে সরকার বা সরকার সমর্থক কেউ একটু পরিস্কার করবেন কী? অন্তত কেউ একজন ব্যাখা করেন।
দেখেন সব সরকারের আমলে কথা বলে লিখে গালি আর হুমকি মার খেয়েছি। তবুও আজীবন এই দেশে থাকতে চাই। কথা বলতে চাই, কাজ করতে চাই। পৃথিবীর বহু দেশ ঘুরলেও বাংলাদেশ ছাড়া আমার আর কোন ঠিকানা নেই। আর কোন দেশের পাসপোর্ট নেই। এই বাংলাদেশেই আমি মরতে চাই। সে কারণেই জানতে চাইছি।
আপনারা যে কেউ চাইলে তালিকার ১৮ দেশের পরিস্থিতির বিস্তারিত জানতে পারেন। আবারো বলছি যে ১৮টি দেশে এই মিশন আছে সবগুলো দেশই যুদ্ধ, যুদ্ধ পরিস্থিতি, বা জাতিগত সংঘাতে জর্জরিত। বাংলাদেশেও কি একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে না করার আশঙ্কা রয়েছে? কেন তাহলে বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের মিশন চালু করতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করলো এই সরকার?
এর আগে মানবিক করিডরের কথা শুনেছি। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ এগ্রিমেন্টের অধীনতামূলক চুক্তি স্বাক্ষরের কথা শুনছি। বন্দর বিদেশিদের দেওয়ার কথা শুনছি। গোপালগঞ্জ আর জামায়াতের সমাবেশ নিয়ে দেশবাসীর ব্যস্ততার মধ্যে জানা গেল এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়ে গেছে।
না ঢাকা বিষয়টি জানায়নি। জেনেভা থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকার–বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম বাংলাদেশের এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার–বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক জাতিসংঘের পক্ষে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছেন।
আমার খুব সাধারণ প্রশ্ন এই দেশের মানুষ কী আসলেই মানবাধিকার মিশন চায় চায়? আপনারা কেউ চান? দেখেন বহু বিষয়ে মানুষের মধ্যে মত ও দ্বিমত থাকবে। কিন্তু দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব দেশপ্রেম প্রশ্নে সবাইকে এক থাকতেই হবে। কাজেই প্রতিটা রাজনৈতিক দল ও নাগরিককে বলবো আপনারা জানতে চান কেন এই মিশন? কেন?
©