দৈনিক সোনার বাংলা

দৈনিক সোনার বাংলা তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার সোনার বাংলা চাই🇧🇩 News & Media Website

19/03/2024

অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইল ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১১ নং ওয়ার্ড নিবাসী সবার প্রতি🌹

গতকাল ৯ মার্চ, ২০২৪ইং তারিখে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত শাহজাহানপুর থানা এলাকার অন্তর্ভুক্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১১ নং ওয়ার্ড এলাকার কাউন্সিলর পদের শূন্যস্থানটি পূরণের লক্ষ্যে উপনির্বাচনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উক্ত এলাকাবাসীরা একজন নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক সৈনিককে কাউন্সিলর হিসেবে স্থান দিতে সক্ষম হয়েছেন, সকল পরিসংখ্যান এমনটাই বলে। ঢাকা সিটির এই নেতার কাউন্সিলর হবার পরবর্তী সময়ে এখন এলাকাবাসী অত্যন্ত আশাবাদী, কেননা তিনি একজন নতুন প্রজন্মের এক কালে ছাত্ররাজনীতি করে রাজনীতিতে দীক্ষা নেয়া তরুণ নেতাও বটে, আমরাও...

সবাই মিলে ভালো থাকার পথ বেছে নিয়ে আমরা সবাই মিলে ভালো থাকার পথে চলা সকলের প্রতি আমাদের আন্তরিক শ্রদ্ধা ও 'লাল-সালাম' জানাই।

'insha'Allah one day we'll be good together',

-best wishes from,
Admin,
সাফকথা নিউজ
Investigation Agency
দৈনিক সোনার বাংলা

Specially thanks to,
@ফলোয়ার
#ডিএমপি_শাহজাহানপুর_থানা_এলাকা
#ঢাকা_দক্ষিণ_সিটি_কর্পোরেশন
#কাউন্সিলর_উপনির্বাচন_ঢাকা
#ঢাকা_দক্ষিণ_সিটি_কর্পোরেশনের_এগারোনং_ওয়ার্ড_এলাকা

19/03/2024

চলে গেলো, বাংলা গানের আসরে সুরেলা নক্ষত্র

দৈনিক সোনার বাংলা
@ফলোয়ার
Public Voice
Balai Das
Strangers Voice
সাফকথা নিউজ
Investigation Agency

13/02/2024

একদিন ৩ মিনিট ২২ সেকেন্ড, একজন মন্জুরুল আলম রাজিব ও একজন তাসপিয়া ইসলাম ....

দৈনিক সোনার বাংলা 🇧🇩

27/01/2024

কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বিষয়টি যদিও সারাদেশে সবার জন্য ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কিন্তু কোনো এক অজানা রহস্যের কারণে আমাদের প্রধানমন্ত্রীসহ গত ও বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী এবিষয়ে মুখ খুলছেন না!

দৈনিক সোনার বাংলা সংবাদ

আন্তর্জাতিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখা গেছে গত কিছুদিন লাগাতার ব্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের ছবি উপাচার্যের বলে খুব ...
27/01/2024

আন্তর্জাতিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখা গেছে গত কিছুদিন লাগাতার ব্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের ছবি উপাচার্যের বলে খুব করে পোস্ট করা হয়েছে।

চিন্তাবিদরা বলেন, "এই ভুল কাজটা কে বা কারা করবে? যাদের ফয়দা আছে, যারা এই ভুলটাকে কেন্দ্র করে কাউকে কিছুক্ষণের জন্য ভুল পথে নিয়ে কোনো কিছু ধামাচাপা দিতে চাইবে তাদের‌ই করার কথা।

ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে চাকুরী থেকে যেভাবে এবং যে কারণে সরিয়ে দেয়া হয়েছে তা অবশ্যই আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে গণ্য, আর এই অপরাধটাকেই যারা চাপা দিতে চায়, ভুল তথ্য বহনকারী এই ছবিটা ফেইসবুকে ছড়ানো তাদের‌ই কম্ম হবে...!"

আমাদের দাবি, "সবাই মিলে ভালো থাকতে চাই, আচরণবিধি লংঘন করবেন না।"

দৈনিক সোনার বাংলা সংবাদ

এটা নতুন কোনো কথা নয়, জন্মলগ্ন থেকেই এই পৃথিবীতে সাধু শয়তানের যুদ্ধ চলে। যদিও এ যুদ্ধে শয়তান পক্ষ এগিয়ে তাই বলে সাধু...
27/01/2024

এটা নতুন কোনো কথা নয়, জন্মলগ্ন থেকেই এই পৃথিবীতে সাধু শয়তানের যুদ্ধ চলে।

যদিও এ যুদ্ধে শয়তান পক্ষ এগিয়ে তাই বলে সাধু পক্ষ থেমে থাকে নাই কোনোদিন,

আমরা সাধু পক্ষের, আমরা সবাই মিলে ভালো থাকতে চাই, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, আমার সোনার বাংলা 🇧🇩

(ছবি: প্রতীকী; ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত শিক্ষাগুর ও অন্যান্যরা; সংগৃহীত)

চলো বদলে যাই 🌹

দৈনিক সোনার বাংলা সংবাদ

27/01/2024

গাইবান্ধার সাংসদের বক্তৃতায় মন্ত্রীপরিষদ বিব্রত

🔴 আমার এলাকার উন্নয়নের জন্য মন্ত্রীর টেবিলেও থাপ্পড় দেবো আমি;

🔴 বাংলাদেশ অর্ডার অফ প্রেসিডেন্ট, মাননীয় মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্পিকার তাঁর রক্ত আমার শরীরে;

🔴 নৌকা নিয়ে দাঁড়াইলে কি হবে? আমাদের যোগ্যতা ওদের চেয়ে দশ গুণ বেশি এবং আমরা ওদের চেয়ে দশগুণ পাওয়ারফুল হবো, -এসব কথা গাইবান্ধা -২ সদর আসনের সাংসদ সারোয়ার কবির বলেন। এবারের নির্বাচিত তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন।
-এমতাবস্থায় বিব্রত মন্ত্রী পরিষদ।

দৈনিক সোনার বাংলা সংবাদ


#সাফকথা
#সাফকথা_নিউজ
#সাফকথাভিশন
#গাইবান্ধা_সদর
#এমপি
#সাংসদ
#স্বতন্ত্র

সকল দুর্নীতি, অনিয়ম আর উশৃঙ্খলা‌র মূল কারণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রাসেল মিয়া', -এমনটাই বলেন সাধারণ মানুষ ও কৃ...
01/12/2023

সকল দুর্নীতি, অনিয়ম আর উশৃঙ্খলা‌র মূল কারণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রাসেল মিয়া', -এমনটাই বলেন সাধারণ মানুষ ও কৃষক সমাজ। সে ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে উক্ত এলাকায় অভিযোগের শেষ নাই! তারা দুইভাই নানান দুর্নীতি ও অপকর্মের মাধ্যমে লোক ঠকিয়ে বিশাল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, এমন‌ই অভিযোগ মেলে স্থানীয় সূত্রে। স্থানীয় লোকজন জানান, তারা দুই ভাই হঠাৎ করেই শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন! ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হবার পর থেকেই রাসেল মিয়া যেনো আর মানুষ নাই! তার কাছে কোনো প্রকারের নাগরিক সেবার জন্য গেলেই সে ও তার লোকজন মিলে বিভিন্ন অযুহাতে হয়রানী করা করে, মূলতঃ তাদের সবকিছুই একমাত্র টাকার জন্যে, তাদের কাছে মানবতার সময় নাই।

দৈনিক সোনার বাংলা সংবাদ

(ছবি: প্রতীকী( বিশেষ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন : 'সকল দুর্নীতি, অনিয়ম আর উশৃঙ্খলা‌র মূল কারণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্য...

চলো বদলে যাই 🌹দৈনিক সোনার বাংলা সংবাদ
23/04/2023

চলো বদলে যাই 🌹

দৈনিক সোনার বাংলা সংবাদ

Address

Fulbaria

Telephone

+8801941805055

Website

https://voiceofstrangers.com/

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when দৈনিক সোনার বাংলা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to দৈনিক সোনার বাংলা:

Share

"সোনার বাংলা"

“সাত কোটি সন্তানেরে হে মুগ্ধ জননী রেখেছ বাঙ্গালী করে মানুষ করনি"

কবির এ মর্মবেদনা অনেক পুরোনো। সেদিনের কবির চেতনায় আগুন ধরেছিল বঙ্গ সন্তানদের চেহারা দেখে।তাই বড় আফসোস করে কবি তার বেদনা দগ্ধ চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন কাব্যিক ছন্দে। কিন্তু আজ অনেক চড়াই উৎরাই ঘাত প্রতিঘাত আর উস্থান-পতনের মাধ্যমে স্বাধীনতার এতো বছর পরেও বাঙ্গালীর জাতির পিতা নিয়ে আমরা নষ্ট খেলা, ইতিহাস নিয়ে টানাটানি এবং অপবাদ নিয়ে মেতে আছি। আমরা আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে, সংশয় এবং মানা না মানার মধ্যে দিয়ে যে নষ্ট খেলায় মেতে আছি তা শুধু আমাদের জন্য অপমান জনক না বরং তা আমাদের বিশ্বের মানচিত্রে অতি নগ্ন হিসাবেই পরিচিত লাভ করাতে দ্বিগুন সাহায্য করে। আজ যারা ধর্মের টালবাহনা করে বঙ্গবন্ধুকে মানতে অস্বীকার করেন তাদের জন্য তিনটি কথা বলে নেই যেমন :-

১। সমগ্র মানব জাতির পিতা - বাবা আদম (আঃ) ২। মুসলিম জাতির পিতা - ইব্রাহিম (আঃ) ৩। বাঙ্গালী জাতির পিতা - শেখ মুজিবুর রহমান

এই তিনটি কথা বলার কারন আপনারা অবশ্যই বুঝতে পারছেন। আর যদি না বুঝে থাকেন তাহলে আপনাকে আমার বা অন্য কারো বুঝানোর ক্ষমতা নাই বলেই আমি সুস্পষ্ট ধারনা ব্যক্ত করি। কারন বাংলায় একটা চুটকি আছে চোখ থাকিতেই অন্ধ সেটাতো জানি আমরা। কারন আপনি যদি দেখেই না দেখার ভান করেন তাহলে আপনাকে কেও আর চোখে দেখাতে পারবেনা। তাই আপনি যদি আমার কথা বুঝেও যদি বলেন আমি বুঝিনাই তাহলে আমি আপনাকে দোষ দিবনা। কারন আমি এমনি এক মূর্খ যে, আমি আপনার মত লোককে বুঝাতে গেছি বাঙ্গালীর জাতির পিতা কে।তাই আপনার না বুঝাটা আপনার ভুল না বরং আপনার স্বার্থকতা আর আমার ব্যর্থতা। সত্যি বলতে কি জানেন,বাঙ্গালী জাতি মানীর কদর একটু কমই করতে পারে। তার কারন আমার লিখার শুরুতেই কবির এক মর্ম বেদনাময়ী আক্ষেপ এটাই জলন্ত প্রমান। তাইতো ডক্টর মুনতাসির মামুন বলেছিলেন : “বঙ্গবন্ধু একটা অনিচ্ছুক জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন” জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এবং বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি (২৬ মার্চ ১৯৭১ থেকে ১১ জানুয়ারি ১৯৭২)। শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল ঘাতক সেনা এবং নিজের বিশ্বস্ত লোক দাড়াই স্ব-পরিবার হত্যা হন। তাঁর পিতা শেখ লুৎফর রহমান ছিলেন গোপালগঞ্জ দেওয়ানি আদালতের সেরেস্তাদার। মুজিব ছয় ভাই-বোনের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন। তিনি স্থানীয় গীমাডাঙ্গা স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। চোখের সমস্যার কারণে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা চার বছর ব্যাহত হয়। ১৯৪২ সালে তিনি গোপালগঞ্জ মিশনারী স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৪৪ সালে কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ থেকে আই.এ এবং একই কলেজ থেকে ১৯৪৭ সালে বি.এ পাশ করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন লড়েছেন বাংলার স্বাধীনতা ও বাঙালির জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। স্কুল জীবন থেকেই মুজিবের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলীর বিকাশ ঘটে। নিজেই নিজেকে রাজনৈতিক ভাবে এবং গণ মানুষের অধিকার আদায়ের প্রস্তুতের আদর্শে গড়ে তোলেন। তাঁর জাতির পিতা বা বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠার পেছনে তাঁর গ্রাম টুঙ্গিপাড়ার মানুষের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। এই ছোট্ট অনুন্নত গ্রাম ও মানুষের মধ্যে তিনি লক্ষাধিক গ্রাম ও কয়েক কোটি মানুষকেও দেখেছেন। আর সেজন্যই বাঙালি জাতির ভাগ্যকে তিনি জয় করতে গিয়ে তিনি নিজের জীবনের প্রতি তাকিয়ে দেখার সুযোগ পান নি। জেল-জুলুম, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, শাসকগোষ্টীর অত্যাচার সবকিছু সহ্য করেছেন। কিন্তু বাংলার মানুষের সঙ্গে কখনও বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। তাঁর লক্ষ্য ছিল বাংলার মানুষের মুক্তি। বাঙালি উন্নত জীবনের অধিকারী হোক। বিশ্বে মাথা উচু করে দাঁড়াক। বাঙালি জাতিসত্তাকে প্রতিষ্ঠা করুক। একজন মহান নেতা হবার সবকটি গুণই আমরা তার মধ্যে খুঁজে পাই। তাইতো কিউবার বিপ্লবী প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রোর বলেছিলেন, ‘‘আমি হিমালয় দেখিনি, আমি শেখ মুজিবকে দেখেছি” ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্ট (১৯৭২ সালের এক সাক্ষাৎকারে) বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘‘আপনার শক্তি কোথায়?” বঙ্গবন্ধু সে প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘‘আমি আমার জনগণকে ভালোবাসি” ‘‘আর আপনার দুর্বল দিকটা কী?” বঙ্গবন্ধুর উত্তর, ‘আমি আমার জনগণকে খুব বেশি ভালোবাসি৷” এই হলেন বঙ্গবন্ধু৷ জনগণের অন্তর্নিহিত শক্তির ওপর অপার আস্থা-বিশ্বাস,অসাম্প্রদায়িক,মানুষের প্রতি নিঃশর্ত ভালোবাসা, মমত্ববোধ,ত্যাগ স্বীকার এবং সহমর্মিতার বিরল দৃষ্টান্ত সমৃদ্ধ মানুষ বঙ্গবন্ধু৷ স্কুল ছাত্র জীবনেই তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। যারা রাজনীতি করতেন তাদের খুব কাছাকাছি চলে যান। ঐ সময়ে বাংলার প্রধানমন্ত্রী এ. কে. ফজলুল হক ও মন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গোপালগঞ্জে রাজনৈতিক সফরে এলে তিনি তাঁদের সামনে গিয়ে স্কুলের ছাদ দিয়ে পানি পড়ার অভিযোগ তুলে ধরেন এবং মেরামতের দাবি জানান। তাঁর কথা বলার ভঙ্গি দেখে দুই নেতাই মুগ্ধ হন। সোহরাওয়ার্দী তাঁকে কাছে ডেকে কথা বলেন এবং এলাকার রাজনৈতিক খবরাখবর নেন। তিনি ঠিকানা দিয়ে চিঠি লিখতেও বলেন। শেখ মুজিবের সঙ্গে সেই প্রথম সম্পর্ক গড়ে ওঠে যা আজীবন ছিল। সোহরাওয়ার্দীর রাজনৈতিক আদর্শ শিষ্য হিসেবে শেখ মুজিব গড়ে উঠতে থাকেন। সেই সফরে সম্বর্ধনা জানাতে একটি কমিটি গঠিত হয়। পরবর্তীতে সেই কমিটির একটি গোলমালের ঘটনায় শেখ মুজিবসহ চার পাঁচজনকে আসামী করে বিরোধীরা থানায় একটি মামলা করে। গোপালগঞ্জ থানা হাজতে সাতদিন বন্দি থেকে জামিনে মুক্তিলাভ করেন। পরবর্তীতে ১৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিলে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। সেই তাঁর প্রথম কারাজীবন এবং এটাও তাঁর জীবনে গভীর ভাবে প্রভাব ফেলে। অল্পবয়স থেকেই তাঁর রাজনৈতিক প্রতিভার প্রকাশ ঘটতে থাকে। ১৯৪০ সালে তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগের ছাত্র সংগঠন নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগ দেন। কট্টরপন্থী এই সংগঠন ছেড়ে ১৯৪৩ সালে যোগ দেন উদারপন্থী ও প্রগতিশীল সংগঠন বেঙ্গল মুসলিম লীগে। এখানেই সান্নিধ্যে আসেন হুসেইন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময়ে রক্ষণশীল কট্টরপন্থী নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের কর্তৃত্ব খর্ব করতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্র লীগ। ১৯৪৬ সালের সাধারণ নির্বাচনেও তাঁর ভূমিকা ছিল। ছাত্রজীবন থেকেই দেশপ্রেম ও দেশের জন্য কাজ করা তাঁর স্বভাবের অংশ হয়ে ওঠে। ছাত্রজীবনে তাঁর কর্মকাণ্ড, বিচক্ষণতা ও ভাষণ শুনে সবাই আকৃষ্ট হতো। ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বরে শেখ মুজিব ঢাকায় এসে ১৪০নং মোগলটুলীর ‘কর্মী-ক্যাম্পে’ ওঠেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন এবং সলিমুল্লাহ হলে মাঝে মাঝে থাকতেন। ঢাকায় এসে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন এবং মুসলিম ছাত্রলীগের স্বেচ্ছাচারিতা ও বাংলা বিরোধী ভূমিকার জন্য তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেন। তিনি পূর্ব বাংলা মুসলিম ছাত্রলীগ গঠন করেন। যুবলীগেরও একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। খাজা নাজিমুদ্দিনের বাংলাভাষাবিরোধী ভূমিকা এবং উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার হুমকির বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজ যখন গর্জে ওঠে, তিনিও তাদের সঙ্গে নেতৃত্ব দেন। ১৯৪৮ সালে প্রথম প্রতিবাদ ও হরতাল পালিত হলে শেখ মুজিবও সবার সঙ্গে গ্রেফতার হন। কারাগারে থাকার সময় তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগের যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন। জেল থেকে বের হয়ে এক ছাত্রসভায় বক্তৃতা দিয়ে তিনি ছাত্র রাজনীতি থেকে বিদায় নেন এবং জাতীয় রাজনীতিতে যোগদান করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে বহিস্কার করা হয়েছিল। জেলে থাকাকালে সরকার তাঁকে জরিমানা ও মুচলেকার প্রস্তাব দেয় এবং জানায় তিনি যদি রাজনীতি না করেন, তাহলে ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেয়া হবে। তিনি সরকারি প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছিলেন। কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে শেখ মুজিব টুঙ্গিপাড়ায় গ্রামের বাড়িতে কিছুদিন অবস্থান করেন। তাঁর পিতা শেখ লুৎফর রহমান তাঁকে লন্ডনে গিয়ে ব্যারিস্টারি পড়তে বলেন। কিন্তু শেখ মুজিব ততদিনে পাকিস্তানের শাসকদের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকে অনুধাবন করে ফেলেন। তিনি তাঁর প্রিয় বাংলার জনগণকে পাকিস্তানের শোষণের মধ্যে ফেলে রেখে লন্ডনে গিয়ে আর পড়তে চাইলেন না। তিনি রাজনীতি করার সদিচ্ছা প্রকাশ করে বাংলার মানুষের আদায়ের দাবিতে আবার ঢাকা চলে এলেন। তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জীবনের ইতি ঘটে। পঞ্চাশের দশক তাঁর রাজনৈতিক উত্থানের কাল। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠেন দূরদর্শীতা এবং প্রজ্ঞাসম্পন্ন এক কুশলী রাজনৈতিক নেতা। এসময় শেখ মুজিব মুসলিম লীগ ছেড়ে দেন এবং হোসেন সোহরাওয়ার্দী এবং মাওলানা ভাসানীর সাথে মিলে গঠন করেন আওয়ামী মুসলিম লীগ। তিনি দলের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ সালে তিনি দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে যুক্তফ্রন্ট সরকারের কৃষি মন্ত্রী হন মুজিব। ১৯৫৬ সালে কোয়ালিশন সরকারের মন্ত্রিসভায় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তিনি। ১৯৬৩ সালে হোসেন সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি নির্বাচিত এবং১৯৬৬ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলগুলোর জাতীয় সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন। এই ছয় দফা ছিল পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্ত্বশাসনের রূপরেখা। মুজিবের ৬ দফার প্রতি জনগণের ব্যাপক সমর্থনে ভীত হয়ে তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার শেখ মুজিবকে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বাংলার সমস্ত জনগণ। জনরোষের কাছে নতি স্বীকার করে এক পর্যায়ে তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় শোষকগোষ্ঠী। ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে শেখ মুজিবুর রহমানকে গণসম্বর্ধনা দেওয়া হয়৷সেখানেই উত্থাপিত হয় এগার দফা দাবি যার মধ্যে ছয় দফার সবগুলোই দফাই অন্তর্ভুক্ত ছিল। লাখো মানুষের এই জমায়েতে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর আয়োজিত এক জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পূর্ব বাংলার নামকরণ করেন ‘বাংলাদেশ’। ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বরে সাধারণ নির্বাচনে শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ প্রাদেশিক আইনসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। আওয়ামী লীগ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসন এবং প্রাদেশিক পরিষদের ৩১০টি আসনের মধ্যে ৩০৫টি আসন লাভ করে। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী মুজিবের স্বায়ত্বশাসনের নীতির পুরোপুরি বিপক্ষে ছিলো। আওয়ামী লীগের সরকার গঠন ঠেকাতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সংসদের অধিবেশন ডাকা নিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। শেখ মুজিব তখনই বুঝে যান যে, পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে লড়াইয়ের কোনো বিকল্প নেই। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ মুজিব রেসকোর্স ময়দানে দশ লক্ষ লোকের বিশাল জমায়েতে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ দেন যা বাঙালি জাতির ইতিহাসে যুগ সন্ধিক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। মুজিব তাঁর ভাষণে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে ব্যর্থ সামরিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ আনেন। বক্তৃতার শেষে মুজিব ঘোষণা করেন: ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে।মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এরপর আসে ২৫ মার্চ, ১৯৭১। রাতের অন্ধকারে নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালীর ওপর শকুনের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনারা; শুরু করে অপারেশন সার্চলাইট নামে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ড। অশীতিপর বৃদ্ধ থেকে কোলের শিশু- কেউ রক্ষা পায়না পাক হায়েনাদের নারকীয়তা থেকে। মুজিবকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয় পশ্চিম পাকিস্তানে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি দখলদারী থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর শেখ মুজিবকে পাকিস্তানি কারাগার হতে মুক্তি দেওয়া হয় এবং ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি লন্ডন হয়ে বিজয়ীর বেশে স্বদেশ প্রর্ত্যাবর্তন করেন। সারা দেশে আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের বন্যা বয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশে প্রথম সরকারের মাত্র সাড়ে তিন বছরের সংক্ষিপ্ত সময়টুকু নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। শূণ্য থেকে শুরু করে তাঁর সরকারকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশের অগণিত সমস্যার মোকাবিলা করতে হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ সকল ক্ষেত্রে রাষ্ট্র এবং জাতিগঠন কার্যক্রম শুরু হয়। আইন শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন, যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃনির্মাণ, মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধীদের জনরোষ থেকে রক্ষা করা এবং সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হলো লক্ষ লক্ষ ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য খাদ্য সংগ্রহ করা এবং আরো অনেক সমস্যার সমাধান তাঁর সরকারের সামনে সুবিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।এরপর জনমোহিনী ভাবমূর্তিকে আশ্রয় করে তিনি বাকশাল বা বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ নামে একদলীয় শাসন কায়েম করেন এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল বাতিল করেন।এর ফলে দেশে স্থিতিশীলতা আসতে শুরু করে। সমস্ত দেশ যখন ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল, ঠিখ তখনই আসে আরেকটি আঘাত।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মধ্যরাতে একদল বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা হত্যা করে শেখ মুজিব এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের। কেবল তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সেই সময় দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান। সদ্য স্বাধীন জাতির জীবনে এক অপূরণীয় ক্ষতি নিয়ে আসে এই জঘন্য হত্যাকাণ্ড, তৈরি করে রাজনৈতিক শূণ্যতা, ব্যাহত হয় গণতান্ত্রিক উন্নয়নের ধারা। বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু আর মুক্তিযুদ্ধ এই শব্দ তিনটি মূলত সমার্থক৷ এই তিনটির যে কোনো একটিকে আলাদা করে বিশ্লেষণ করার কোনো সুযোগ নেই৷ দেশ ও মানুষকে তিনি তাঁর হৃদয়ের আধেয় করে একজন আত্মত্যাগী দেশপ্রেমিক নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হন। ছাত্রজীবন থেকে যে শিক্ষা ও দীক্ষা তাঁর জীবনকে আলোকিত করে তোলে, তার শিখা চিরন্তন করে রেখে গেছেন তিনি।